আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে চাপ দিতে ডলার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু ডলার নয়; ফেডারেল রিজার্ভের ‘সোয়াপ লাইন’, ভিসা-মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট জায়ান্ট কিংবা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম—সবকিছু নিয়েই এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় কী, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহল।
এ নিয়ে সম্পূরক এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র এবং রিজার্ভ মুদ্রার প্রবর্তক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে নানা ধরনের কৌশল—ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে বিদেশি ব্যাংকগুলোয় ডলারের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত।
এ ধরনের অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে এবং তা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে এমন ‘আশঙ্কা’ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যর্থ হলে বর্তমান শ্রমবাজারের টানাপোড়েনে সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্যারি আইচেনগ্রিন বলেন, ‘আমি খুব ভালোভাবেই কল্পনা করতে পারি, ট্রাম্প হতাশ হয়ে এমন কিছু অদ্ভুত ধারণা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারেন, যেগুলোর পেছনে কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই।’
মার-আ-লাগো চুক্তির ইঙ্গিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ডলারকে দুর্বল করার একটি কৌশল নিয়ে ভাবছে। এই উদ্দেশ্যে তারা বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সহায়তায় তাদের নিজস্ব মুদ্রার মান পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছে।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত স্টিফেন মিরানের একটি প্রবন্ধে এই ধারণাকে বলা হয়েছে ‘মার-আ-লাগো অ্যাকর্ড’। ১৯৮৫ সালের ডলার-নিয়ন্ত্রণমূলক ‘প্লাজা অ্যাকর্ড’-এর অনুকরণে এবং ট্রাম্পের ফ্লোরিডার অবকাশকেন্দ্র মার-আ-লাগোর নাম মিলিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে।
এই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শুল্ক আরোপের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যান্য দেশকে তাদের মুদ্রার মান বাড়াতে বাধ্য করা হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, ইউরোপ কিংবা চীনে এ ধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন এখনকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধারণা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, যেহেতু শুল্ক এরই মধ্যে আরোপ করা হয়েছে, তাই সেগুলোকে আর হুমকি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় তাদের অঙ্গীকার নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।

ইউরোপীয় অঞ্চল, জাপান বা ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এমন কোনো চুক্তিতে যেতে চাইবে না, যাতে তাদের সুদের হার বাড়িয়ে মন্দার ঝুঁকি নিতে হয়।
অন্যদিকে টিএস লম্বার্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রেয়া বিমিশ বলেন, চীনের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে ইউয়ানের মান বৃদ্ধি নয়, বরং নীতিগতভাবে মুদ্রার মান কমানো প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে মুদ্রার মান বাড়ানো অর্থহীন।
জাপানের ক্ষেত্রেও বিগত ২৫ বছরের মূল্যস্ফীতি সংকটের স্মৃতি এখনো সতেজ। ফলে শক্তিশালী ইয়েন চালু করার ক্ষেত্রে দেশটি অনাগ্রহ দেখাতে পারে।
ডলার অস্ত্রের আশঙ্কায় ইউরোপ
কোনো বৈশ্বিক চুক্তি না হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও আগ্রাসী কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তার মধ্যে অন্যতম হতে পারে—বিশ্ব বাণিজ্য, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে ব্যবহৃত প্রধান মুদ্রা ডলারের অবস্থানকে কাজে লাগানো।
পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষক মউরিস অবস্টফেল্ড এবং কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের মতে, এর একটি রূপ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সোয়াপ লাইন বন্ধ করে দেওয়া; যার মাধ্যমে বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা জামানত রেখে ডলার ধার নিতে পারে।
অর্থবাজারে অচলাবস্থা দেখা দিলে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার জন্য ডলারমুখী হলে এই সোয়াপ লাইন হয় তাঁদের আখেরে সম্বল। এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ডলার ঋণের বাজারে বড় ধাক্কা লাগবে। বিশেষ করে ব্রিটেন, ইউরোপীয় অঞ্চল এবং জাপানের ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোয়াপ লাইন চালু বা বন্ধ করার ক্ষমতা এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের। ট্রাম্প কখনো প্রকাশ্যে এটি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার ইঙ্গিত দেননি। তবু সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক বদলের কারণে পর্যবেক্ষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
থিন আইস ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রতিষ্ঠাতা স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাস বলেন, একটি বড় চুক্তির দর-কষাকষিতে এটি ‘পারমাণবিক হুমকি’ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে; এখন সেটা আর অবিশ্বাস্য শোনায় না।
স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাসের মতে, এমন পদক্ষেপ ডলারকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে তাঁর মর্যাদা হারাতে বাধ্য করবে।

ক্রেডিট কার্ড কূটনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পেমেন্ট জায়ান্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ড। জাপান ও চীন নিজস্ব ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুললেও ইউরোপের ২০টি দেশের গড়ে দুই-তৃতীয়াংশ কার্ড লেনদেন এই দুই মার্কিন কোম্পানির মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
অ্যাপল ও গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মোবাইল পেমেন্ট সেবাও এখন ইউরোপে খুচরা লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপের এই বাজারের পরিমাণ ছিল ১১৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর যেমন ভিসা ও মাস্টারকার্ড সেখান থেকে সরে গিয়েছিল, তেমনি ইউরোপ থেকে সেবা বন্ধ করতে তাদের বাধ্য করা হলে ভোক্তাদের বিকল্পহীন হয়ে নগদ অর্থ বা ঝামেলাপূর্ণ ব্যাংক ট্রান্সফারের ওপর নির্ভর করতে হবে।
ইউরোপের কনফারেন্স বোর্ড থিংকট্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মারিয়া ডেমার্টজিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈরী আচরণ করলে সেটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে।’
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরই মধ্যে এই নির্ভরশীলতাকে ‘অর্থনৈতিক চাপ ও জোরজবরদস্তির ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর সমাধান হিসেবে তারা ‘ডিজিটাল ইউরো’ চালুর কথা বলছে। তবে এই পরিকল্পনা নানা আলোচনা ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত এবং বাস্তবায়িত হতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার হিসাব
ট্রাম্পের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউরোপ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে বা চরম পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন ব্যাংকের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে পারে।
তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। কারণ, ওয়াল স্ট্রিটের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় তারা হাত গুটাতে বাধ্য হতে পারে।
তবু রয়টার্সকে দেওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক ব্যাংক নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপের পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে চাপ দিতে ডলার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু ডলার নয়; ফেডারেল রিজার্ভের ‘সোয়াপ লাইন’, ভিসা-মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট জায়ান্ট কিংবা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম—সবকিছু নিয়েই এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় কী, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহল।
এ নিয়ে সম্পূরক এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র এবং রিজার্ভ মুদ্রার প্রবর্তক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে নানা ধরনের কৌশল—ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে বিদেশি ব্যাংকগুলোয় ডলারের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত।
এ ধরনের অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে এবং তা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে এমন ‘আশঙ্কা’ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যর্থ হলে বর্তমান শ্রমবাজারের টানাপোড়েনে সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্যারি আইচেনগ্রিন বলেন, ‘আমি খুব ভালোভাবেই কল্পনা করতে পারি, ট্রাম্প হতাশ হয়ে এমন কিছু অদ্ভুত ধারণা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারেন, যেগুলোর পেছনে কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই।’
মার-আ-লাগো চুক্তির ইঙ্গিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ডলারকে দুর্বল করার একটি কৌশল নিয়ে ভাবছে। এই উদ্দেশ্যে তারা বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সহায়তায় তাদের নিজস্ব মুদ্রার মান পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছে।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত স্টিফেন মিরানের একটি প্রবন্ধে এই ধারণাকে বলা হয়েছে ‘মার-আ-লাগো অ্যাকর্ড’। ১৯৮৫ সালের ডলার-নিয়ন্ত্রণমূলক ‘প্লাজা অ্যাকর্ড’-এর অনুকরণে এবং ট্রাম্পের ফ্লোরিডার অবকাশকেন্দ্র মার-আ-লাগোর নাম মিলিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে।
এই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শুল্ক আরোপের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যান্য দেশকে তাদের মুদ্রার মান বাড়াতে বাধ্য করা হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, ইউরোপ কিংবা চীনে এ ধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন এখনকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধারণা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, যেহেতু শুল্ক এরই মধ্যে আরোপ করা হয়েছে, তাই সেগুলোকে আর হুমকি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় তাদের অঙ্গীকার নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।

ইউরোপীয় অঞ্চল, জাপান বা ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এমন কোনো চুক্তিতে যেতে চাইবে না, যাতে তাদের সুদের হার বাড়িয়ে মন্দার ঝুঁকি নিতে হয়।
অন্যদিকে টিএস লম্বার্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রেয়া বিমিশ বলেন, চীনের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে ইউয়ানের মান বৃদ্ধি নয়, বরং নীতিগতভাবে মুদ্রার মান কমানো প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে মুদ্রার মান বাড়ানো অর্থহীন।
জাপানের ক্ষেত্রেও বিগত ২৫ বছরের মূল্যস্ফীতি সংকটের স্মৃতি এখনো সতেজ। ফলে শক্তিশালী ইয়েন চালু করার ক্ষেত্রে দেশটি অনাগ্রহ দেখাতে পারে।
ডলার অস্ত্রের আশঙ্কায় ইউরোপ
কোনো বৈশ্বিক চুক্তি না হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও আগ্রাসী কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তার মধ্যে অন্যতম হতে পারে—বিশ্ব বাণিজ্য, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে ব্যবহৃত প্রধান মুদ্রা ডলারের অবস্থানকে কাজে লাগানো।
পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষক মউরিস অবস্টফেল্ড এবং কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের মতে, এর একটি রূপ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সোয়াপ লাইন বন্ধ করে দেওয়া; যার মাধ্যমে বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা জামানত রেখে ডলার ধার নিতে পারে।
অর্থবাজারে অচলাবস্থা দেখা দিলে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার জন্য ডলারমুখী হলে এই সোয়াপ লাইন হয় তাঁদের আখেরে সম্বল। এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ডলার ঋণের বাজারে বড় ধাক্কা লাগবে। বিশেষ করে ব্রিটেন, ইউরোপীয় অঞ্চল এবং জাপানের ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোয়াপ লাইন চালু বা বন্ধ করার ক্ষমতা এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের। ট্রাম্প কখনো প্রকাশ্যে এটি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার ইঙ্গিত দেননি। তবু সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক বদলের কারণে পর্যবেক্ষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
থিন আইস ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রতিষ্ঠাতা স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাস বলেন, একটি বড় চুক্তির দর-কষাকষিতে এটি ‘পারমাণবিক হুমকি’ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে; এখন সেটা আর অবিশ্বাস্য শোনায় না।
স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাসের মতে, এমন পদক্ষেপ ডলারকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে তাঁর মর্যাদা হারাতে বাধ্য করবে।

ক্রেডিট কার্ড কূটনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পেমেন্ট জায়ান্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ড। জাপান ও চীন নিজস্ব ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুললেও ইউরোপের ২০টি দেশের গড়ে দুই-তৃতীয়াংশ কার্ড লেনদেন এই দুই মার্কিন কোম্পানির মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
অ্যাপল ও গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মোবাইল পেমেন্ট সেবাও এখন ইউরোপে খুচরা লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপের এই বাজারের পরিমাণ ছিল ১১৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর যেমন ভিসা ও মাস্টারকার্ড সেখান থেকে সরে গিয়েছিল, তেমনি ইউরোপ থেকে সেবা বন্ধ করতে তাদের বাধ্য করা হলে ভোক্তাদের বিকল্পহীন হয়ে নগদ অর্থ বা ঝামেলাপূর্ণ ব্যাংক ট্রান্সফারের ওপর নির্ভর করতে হবে।
ইউরোপের কনফারেন্স বোর্ড থিংকট্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মারিয়া ডেমার্টজিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈরী আচরণ করলে সেটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে।’
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরই মধ্যে এই নির্ভরশীলতাকে ‘অর্থনৈতিক চাপ ও জোরজবরদস্তির ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর সমাধান হিসেবে তারা ‘ডিজিটাল ইউরো’ চালুর কথা বলছে। তবে এই পরিকল্পনা নানা আলোচনা ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত এবং বাস্তবায়িত হতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার হিসাব
ট্রাম্পের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউরোপ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে বা চরম পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন ব্যাংকের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে পারে।
তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। কারণ, ওয়াল স্ট্রিটের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় তারা হাত গুটাতে বাধ্য হতে পারে।
তবু রয়টার্সকে দেওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক ব্যাংক নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপের পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৯ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৭ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৯ ঘণ্টা আগে