আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে চাপ দিতে ডলার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু ডলার নয়; ফেডারেল রিজার্ভের ‘সোয়াপ লাইন’, ভিসা-মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট জায়ান্ট কিংবা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম—সবকিছু নিয়েই এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় কী, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহল।
এ নিয়ে সম্পূরক এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র এবং রিজার্ভ মুদ্রার প্রবর্তক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে নানা ধরনের কৌশল—ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে বিদেশি ব্যাংকগুলোয় ডলারের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত।
এ ধরনের অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে এবং তা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে এমন ‘আশঙ্কা’ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যর্থ হলে বর্তমান শ্রমবাজারের টানাপোড়েনে সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্যারি আইচেনগ্রিন বলেন, ‘আমি খুব ভালোভাবেই কল্পনা করতে পারি, ট্রাম্প হতাশ হয়ে এমন কিছু অদ্ভুত ধারণা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারেন, যেগুলোর পেছনে কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই।’
মার-আ-লাগো চুক্তির ইঙ্গিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ডলারকে দুর্বল করার একটি কৌশল নিয়ে ভাবছে। এই উদ্দেশ্যে তারা বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সহায়তায় তাদের নিজস্ব মুদ্রার মান পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছে।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত স্টিফেন মিরানের একটি প্রবন্ধে এই ধারণাকে বলা হয়েছে ‘মার-আ-লাগো অ্যাকর্ড’। ১৯৮৫ সালের ডলার-নিয়ন্ত্রণমূলক ‘প্লাজা অ্যাকর্ড’-এর অনুকরণে এবং ট্রাম্পের ফ্লোরিডার অবকাশকেন্দ্র মার-আ-লাগোর নাম মিলিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে।
এই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শুল্ক আরোপের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যান্য দেশকে তাদের মুদ্রার মান বাড়াতে বাধ্য করা হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, ইউরোপ কিংবা চীনে এ ধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন এখনকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধারণা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, যেহেতু শুল্ক এরই মধ্যে আরোপ করা হয়েছে, তাই সেগুলোকে আর হুমকি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় তাদের অঙ্গীকার নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।

ইউরোপীয় অঞ্চল, জাপান বা ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এমন কোনো চুক্তিতে যেতে চাইবে না, যাতে তাদের সুদের হার বাড়িয়ে মন্দার ঝুঁকি নিতে হয়।
অন্যদিকে টিএস লম্বার্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রেয়া বিমিশ বলেন, চীনের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে ইউয়ানের মান বৃদ্ধি নয়, বরং নীতিগতভাবে মুদ্রার মান কমানো প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে মুদ্রার মান বাড়ানো অর্থহীন।
জাপানের ক্ষেত্রেও বিগত ২৫ বছরের মূল্যস্ফীতি সংকটের স্মৃতি এখনো সতেজ। ফলে শক্তিশালী ইয়েন চালু করার ক্ষেত্রে দেশটি অনাগ্রহ দেখাতে পারে।
ডলার অস্ত্রের আশঙ্কায় ইউরোপ
কোনো বৈশ্বিক চুক্তি না হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও আগ্রাসী কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তার মধ্যে অন্যতম হতে পারে—বিশ্ব বাণিজ্য, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে ব্যবহৃত প্রধান মুদ্রা ডলারের অবস্থানকে কাজে লাগানো।
পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষক মউরিস অবস্টফেল্ড এবং কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের মতে, এর একটি রূপ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সোয়াপ লাইন বন্ধ করে দেওয়া; যার মাধ্যমে বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা জামানত রেখে ডলার ধার নিতে পারে।
অর্থবাজারে অচলাবস্থা দেখা দিলে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার জন্য ডলারমুখী হলে এই সোয়াপ লাইন হয় তাঁদের আখেরে সম্বল। এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ডলার ঋণের বাজারে বড় ধাক্কা লাগবে। বিশেষ করে ব্রিটেন, ইউরোপীয় অঞ্চল এবং জাপানের ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোয়াপ লাইন চালু বা বন্ধ করার ক্ষমতা এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের। ট্রাম্প কখনো প্রকাশ্যে এটি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার ইঙ্গিত দেননি। তবু সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক বদলের কারণে পর্যবেক্ষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
থিন আইস ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রতিষ্ঠাতা স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাস বলেন, একটি বড় চুক্তির দর-কষাকষিতে এটি ‘পারমাণবিক হুমকি’ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে; এখন সেটা আর অবিশ্বাস্য শোনায় না।
স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাসের মতে, এমন পদক্ষেপ ডলারকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে তাঁর মর্যাদা হারাতে বাধ্য করবে।

ক্রেডিট কার্ড কূটনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পেমেন্ট জায়ান্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ড। জাপান ও চীন নিজস্ব ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুললেও ইউরোপের ২০টি দেশের গড়ে দুই-তৃতীয়াংশ কার্ড লেনদেন এই দুই মার্কিন কোম্পানির মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
অ্যাপল ও গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মোবাইল পেমেন্ট সেবাও এখন ইউরোপে খুচরা লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপের এই বাজারের পরিমাণ ছিল ১১৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর যেমন ভিসা ও মাস্টারকার্ড সেখান থেকে সরে গিয়েছিল, তেমনি ইউরোপ থেকে সেবা বন্ধ করতে তাদের বাধ্য করা হলে ভোক্তাদের বিকল্পহীন হয়ে নগদ অর্থ বা ঝামেলাপূর্ণ ব্যাংক ট্রান্সফারের ওপর নির্ভর করতে হবে।
ইউরোপের কনফারেন্স বোর্ড থিংকট্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মারিয়া ডেমার্টজিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈরী আচরণ করলে সেটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে।’
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরই মধ্যে এই নির্ভরশীলতাকে ‘অর্থনৈতিক চাপ ও জোরজবরদস্তির ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর সমাধান হিসেবে তারা ‘ডিজিটাল ইউরো’ চালুর কথা বলছে। তবে এই পরিকল্পনা নানা আলোচনা ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত এবং বাস্তবায়িত হতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার হিসাব
ট্রাম্পের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউরোপ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে বা চরম পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন ব্যাংকের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে পারে।
তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। কারণ, ওয়াল স্ট্রিটের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় তারা হাত গুটাতে বাধ্য হতে পারে।
তবু রয়টার্সকে দেওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক ব্যাংক নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপের পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে চাপ দিতে ডলার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু ডলার নয়; ফেডারেল রিজার্ভের ‘সোয়াপ লাইন’, ভিসা-মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট জায়ান্ট কিংবা মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম—সবকিছু নিয়েই এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের করণীয় কী, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহল।
এ নিয়ে সম্পূরক এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্র এবং রিজার্ভ মুদ্রার প্রবর্তক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে নানা ধরনের কৌশল—ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে বিদেশি ব্যাংকগুলোয় ডলারের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা পর্যন্ত।
এ ধরনের অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রকেও বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হতে পারে এবং তা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে এমন ‘আশঙ্কা’ একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যর্থ হলে বর্তমান শ্রমবাজারের টানাপোড়েনে সম্ভব না-ও হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদ।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্যারি আইচেনগ্রিন বলেন, ‘আমি খুব ভালোভাবেই কল্পনা করতে পারি, ট্রাম্প হতাশ হয়ে এমন কিছু অদ্ভুত ধারণা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারেন, যেগুলোর পেছনে কোনো অর্থনৈতিক যুক্তি নেই।’
মার-আ-লাগো চুক্তির ইঙ্গিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ডলারকে দুর্বল করার একটি কৌশল নিয়ে ভাবছে। এই উদ্দেশ্যে তারা বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সহায়তায় তাদের নিজস্ব মুদ্রার মান পুনর্মূল্যায়ন করতে চাইছে।
ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত স্টিফেন মিরানের একটি প্রবন্ধে এই ধারণাকে বলা হয়েছে ‘মার-আ-লাগো অ্যাকর্ড’। ১৯৮৫ সালের ডলার-নিয়ন্ত্রণমূলক ‘প্লাজা অ্যাকর্ড’-এর অনুকরণে এবং ট্রাম্পের ফ্লোরিডার অবকাশকেন্দ্র মার-আ-লাগোর নাম মিলিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে।
এই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, শুল্ক আরোপের হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যান্য দেশকে তাদের মুদ্রার মান বাড়াতে বাধ্য করা হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, ইউরোপ কিংবা চীনে এ ধরনের চুক্তির বাস্তবায়ন এখনকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের সিনিয়র ফেলো মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধারণা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
মউরিস অবস্টফেল্ড বলেন, যেহেতু শুল্ক এরই মধ্যে আরোপ করা হয়েছে, তাই সেগুলোকে আর হুমকি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্পষ্ট অবস্থানের কারণে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় তাদের অঙ্গীকার নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠেছে।

ইউরোপীয় অঞ্চল, জাপান বা ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এমন কোনো চুক্তিতে যেতে চাইবে না, যাতে তাদের সুদের হার বাড়িয়ে মন্দার ঝুঁকি নিতে হয়।
অন্যদিকে টিএস লম্বার্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রেয়া বিমিশ বলেন, চীনের দুর্বল অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে ইউয়ানের মান বৃদ্ধি নয়, বরং নীতিগতভাবে মুদ্রার মান কমানো প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে মুদ্রার মান বাড়ানো অর্থহীন।
জাপানের ক্ষেত্রেও বিগত ২৫ বছরের মূল্যস্ফীতি সংকটের স্মৃতি এখনো সতেজ। ফলে শক্তিশালী ইয়েন চালু করার ক্ষেত্রে দেশটি অনাগ্রহ দেখাতে পারে।
ডলার অস্ত্রের আশঙ্কায় ইউরোপ
কোনো বৈশ্বিক চুক্তি না হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও আগ্রাসী কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তার মধ্যে অন্যতম হতে পারে—বিশ্ব বাণিজ্য, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে ব্যবহৃত প্রধান মুদ্রা ডলারের অবস্থানকে কাজে লাগানো।
পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষক মউরিস অবস্টফেল্ড এবং কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের মতে, এর একটি রূপ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সোয়াপ লাইন বন্ধ করে দেওয়া; যার মাধ্যমে বিদেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা জামানত রেখে ডলার ধার নিতে পারে।
অর্থবাজারে অচলাবস্থা দেখা দিলে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তার জন্য ডলারমুখী হলে এই সোয়াপ লাইন হয় তাঁদের আখেরে সম্বল। এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ডলার ঋণের বাজারে বড় ধাক্কা লাগবে। বিশেষ করে ব্রিটেন, ইউরোপীয় অঞ্চল এবং জাপানের ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোয়াপ লাইন চালু বা বন্ধ করার ক্ষমতা এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের। ট্রাম্প কখনো প্রকাশ্যে এটি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার ইঙ্গিত দেননি। তবু সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক বদলের কারণে পর্যবেক্ষকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
থিন আইস ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রতিষ্ঠাতা স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাস বলেন, একটি বড় চুক্তির দর-কষাকষিতে এটি ‘পারমাণবিক হুমকি’ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে; এখন সেটা আর অবিশ্বাস্য শোনায় না।
স্পাইরস অ্যান্ড্রিওপোলাসের মতে, এমন পদক্ষেপ ডলারকে বিশ্বস্ত বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে তাঁর মর্যাদা হারাতে বাধ্য করবে।

ক্রেডিট কার্ড কূটনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আরও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পেমেন্ট জায়ান্ট ভিসা ও মাস্টারকার্ড। জাপান ও চীন নিজস্ব ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুললেও ইউরোপের ২০টি দেশের গড়ে দুই-তৃতীয়াংশ কার্ড লেনদেন এই দুই মার্কিন কোম্পানির মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
অ্যাপল ও গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মোবাইল পেমেন্ট সেবাও এখন ইউরোপে খুচরা লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসেই ইউরোপের এই বাজারের পরিমাণ ছিল ১১৩ ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর যেমন ভিসা ও মাস্টারকার্ড সেখান থেকে সরে গিয়েছিল, তেমনি ইউরোপ থেকে সেবা বন্ধ করতে তাদের বাধ্য করা হলে ভোক্তাদের বিকল্পহীন হয়ে নগদ অর্থ বা ঝামেলাপূর্ণ ব্যাংক ট্রান্সফারের ওপর নির্ভর করতে হবে।
ইউরোপের কনফারেন্স বোর্ড থিংকট্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মারিয়া ডেমার্টজিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈরী আচরণ করলে সেটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে।’
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এরই মধ্যে এই নির্ভরশীলতাকে ‘অর্থনৈতিক চাপ ও জোরজবরদস্তির ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর সমাধান হিসেবে তারা ‘ডিজিটাল ইউরো’ চালুর কথা বলছে। তবে এই পরিকল্পনা নানা আলোচনা ও অনিশ্চয়তায় জর্জরিত এবং বাস্তবায়িত হতে আরও কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার হিসাব
ট্রাম্পের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইউরোপ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে বা চরম পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন ব্যাংকের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে পারে।
তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে। কারণ, ওয়াল স্ট্রিটের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় তারা হাত গুটাতে বাধ্য হতে পারে।
তবু রয়টার্সকে দেওয়া একাধিক আন্তর্জাতিক ব্যাংক নির্বাহীর বক্তব্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসে ইউরোপের পাল্টা পদক্ষেপের আশঙ্কায় তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আগেই নানা শঙ্কা ছিল ইউরোপসহ মিত্রদেশগুলোর। এবার সেই শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে; কারণ, মার্কিন প্রশাসন শুধু শুল্ক আরোপেই থেমে নেই। ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের ফাঁড়া কাটানোর আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি এবার মিত্রদেশগুলোকে...
০৫ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২১ ঘণ্টা আগে