
বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট। এই আয়োজন, উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জেন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. সবুর খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন উদ্যোক্তা বেড়ে ওঠার পরিবেশ কেমন? সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলছে কি?
সবুর খান: দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা এ প্রবণতাকে উৎসাহিত করছে। তবে বাস্তবতা হলো, উদ্যোক্তাদের পথচলায় এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন পুঁজির সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। স্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ে, নতুন ব্যবসা শুরু করাও সহজ হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের উদ্ভাবনী পথচলা অব্যাহত রাখবে।
আজকের পত্রিকা: ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর মূল ধারণা কী? বাংলাদেশ এতে কীভাবে যুক্ত?
সবুর খান: এটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা ২০১৯ সালে শুরু হয় গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন)-এর মাধ্যমে। উদ্যোক্তাদের একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণা ও প্রচেষ্টা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ শুরু থেকেই এতে যুক্ত আছে এবং এবারও আমরা জাতীয় পর্ব আয়োজন করছি, যাতে উদীয়মান উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য কী?
সবুর খান: মূলত উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ও উদ্যোগকে সহায়তা, স্বীকৃতি এবং সংযোগ দেওয়া—এই তিন স্তম্ভেই দাঁড়িয়ে আছে এই উদ্যোগ। তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার সুযোগ, প্রয়োজনীয় মেন্টরশিপ এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার মঞ্চ এটি। আমরা চাই উদ্যোক্তারা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হোন।
আজকের পত্রিকা: কোন ধরনের উদ্যোক্তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন?
সবুর খান: তিন ধরনের উদ্যোক্তা এতে অংশ নিতে পারেন। প্রথমত, আইডিয়া স্টেজ; যাঁদের ভালো একটি নতুন ধারণা রয়েছে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করেননি। দ্বিতীয়ত, আর্লি স্টেজ; যাঁরা ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্তু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। তৃতীয়ত, গ্রোথ স্টেজ; যাঁদের ব্যবসা ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রতিষ্ঠিত এবং এখন বড় পরিসরে যেতে প্রস্তুত। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগ্রহীদের ইডব্লিউসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে, যেখানে ব্যবসার কাঠামো, সমস্যার সমাধান, রাজস্ব মডেল ইত্যাদি তথ্য জমা দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কেমন?
সবুর খান: প্রাথমিকভাবে জমাকৃত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। যাঁরা নির্বাচিত হন, তাঁরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যেখানে ৩-৫ মিনিটের মধ্যে বিচারকদের সামনে তাঁদের উদ্যোগ বা আইডিয়াটি তুলে ধরতে হয়; যাকে আমরা বলি ‘পিচ’। বিচারকেরা ধারণার মৌলিকত্ব, বাজারে সম্ভাবনা, দলের দক্ষতা এবং স্কেল করার সম্ভাবনা বিবেচনায় বিজয়ী নির্ধারণ করেন। এরপর বিজয়ীরা ২-৩ মাসের একটি অনলাইন মেনটরিং প্রোগ্রাম পান। সেখান থেকে যাঁরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন, তাঁরা বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করেন।
আজকের পত্রিকা: অংশগ্রহণকারীরা কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
সবুর খান: এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি উদ্যোক্তাদের একটি নতুন জগতে প্রবেশের দরজা। বিজয়ীরা পাবেন নগদ অর্থ পুরস্কার এবং প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইন-কাইন্ড সাপোর্ট; যার মধ্যে আইনি সহায়তা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং উদ্যোক্তারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে তা কাটিয়ে উঠতে শেখেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলক কষ্ট বেশি হয়, এই বাস্তবতা নতুন উদ্যোক্তাদের কীভাবে প্রভাবিত করে?
সবুর খান: আপনি ঠিক বলেছেন। ‘ডুয়িং বিজনেস কস্ট’ এখনো নতুন উদ্যোক্তাদের বড় প্রতিবন্ধক। লাইসেন্সিং, নীতিগত জটিলতা, লজিস্টিক দুর্বলতা—সবকিছু মিলিয়ে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এর সমাধানে প্রয়োজন সরকারি প্রক্রিয়াকে আরও ডিজিটাল ও সহজ করা, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ সহজ করা। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার মাধ্যমেও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা তৈরির এই উদ্যোগে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
সবুর খান: সরকার যদি আন্তরিকভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে এই উদ্যোগগুলো বহুগুণে সফল হবে। সরকার চাইলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারে, সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে, উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় তরুণদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারে সরকার।
আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন উদ্যোক্তা বেড়ে ওঠার পরিবেশ কেমন? সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলছে কি?
সবুর খান: দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা এ প্রবণতাকে উৎসাহিত করছে। তবে বাস্তবতা হলো, উদ্যোক্তাদের পথচলায় এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন পুঁজির সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। স্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ে, নতুন ব্যবসা শুরু করাও সহজ হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের উদ্ভাবনী পথচলা অব্যাহত রাখবে।
আজকের পত্রিকা: ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর মূল ধারণা কী? বাংলাদেশ এতে কীভাবে যুক্ত?
সবুর খান: এটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা ২০১৯ সালে শুরু হয় গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন)-এর মাধ্যমে। উদ্যোক্তাদের একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণা ও প্রচেষ্টা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ শুরু থেকেই এতে যুক্ত আছে এবং এবারও আমরা জাতীয় পর্ব আয়োজন করছি, যাতে উদীয়মান উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য কী?
সবুর খান: মূলত উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ও উদ্যোগকে সহায়তা, স্বীকৃতি এবং সংযোগ দেওয়া—এই তিন স্তম্ভেই দাঁড়িয়ে আছে এই উদ্যোগ। তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার সুযোগ, প্রয়োজনীয় মেন্টরশিপ এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার মঞ্চ এটি। আমরা চাই উদ্যোক্তারা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হোন।
আজকের পত্রিকা: কোন ধরনের উদ্যোক্তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন?
সবুর খান: তিন ধরনের উদ্যোক্তা এতে অংশ নিতে পারেন। প্রথমত, আইডিয়া স্টেজ; যাঁদের ভালো একটি নতুন ধারণা রয়েছে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করেননি। দ্বিতীয়ত, আর্লি স্টেজ; যাঁরা ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্তু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। তৃতীয়ত, গ্রোথ স্টেজ; যাঁদের ব্যবসা ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রতিষ্ঠিত এবং এখন বড় পরিসরে যেতে প্রস্তুত। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগ্রহীদের ইডব্লিউসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে, যেখানে ব্যবসার কাঠামো, সমস্যার সমাধান, রাজস্ব মডেল ইত্যাদি তথ্য জমা দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কেমন?
সবুর খান: প্রাথমিকভাবে জমাকৃত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। যাঁরা নির্বাচিত হন, তাঁরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যেখানে ৩-৫ মিনিটের মধ্যে বিচারকদের সামনে তাঁদের উদ্যোগ বা আইডিয়াটি তুলে ধরতে হয়; যাকে আমরা বলি ‘পিচ’। বিচারকেরা ধারণার মৌলিকত্ব, বাজারে সম্ভাবনা, দলের দক্ষতা এবং স্কেল করার সম্ভাবনা বিবেচনায় বিজয়ী নির্ধারণ করেন। এরপর বিজয়ীরা ২-৩ মাসের একটি অনলাইন মেনটরিং প্রোগ্রাম পান। সেখান থেকে যাঁরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন, তাঁরা বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করেন।
আজকের পত্রিকা: অংশগ্রহণকারীরা কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
সবুর খান: এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি উদ্যোক্তাদের একটি নতুন জগতে প্রবেশের দরজা। বিজয়ীরা পাবেন নগদ অর্থ পুরস্কার এবং প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইন-কাইন্ড সাপোর্ট; যার মধ্যে আইনি সহায়তা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং উদ্যোক্তারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে তা কাটিয়ে উঠতে শেখেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলক কষ্ট বেশি হয়, এই বাস্তবতা নতুন উদ্যোক্তাদের কীভাবে প্রভাবিত করে?
সবুর খান: আপনি ঠিক বলেছেন। ‘ডুয়িং বিজনেস কস্ট’ এখনো নতুন উদ্যোক্তাদের বড় প্রতিবন্ধক। লাইসেন্সিং, নীতিগত জটিলতা, লজিস্টিক দুর্বলতা—সবকিছু মিলিয়ে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এর সমাধানে প্রয়োজন সরকারি প্রক্রিয়াকে আরও ডিজিটাল ও সহজ করা, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ সহজ করা। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার মাধ্যমেও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা তৈরির এই উদ্যোগে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
সবুর খান: সরকার যদি আন্তরিকভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে এই উদ্যোগগুলো বহুগুণে সফল হবে। সরকার চাইলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারে, সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে, উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় তরুণদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারে সরকার।

বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট। এই আয়োজন, উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জেন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. সবুর খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রোকন উদ্দীন।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন উদ্যোক্তা বেড়ে ওঠার পরিবেশ কেমন? সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলছে কি?
সবুর খান: দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা এ প্রবণতাকে উৎসাহিত করছে। তবে বাস্তবতা হলো, উদ্যোক্তাদের পথচলায় এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন পুঁজির সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। স্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ে, নতুন ব্যবসা শুরু করাও সহজ হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের উদ্ভাবনী পথচলা অব্যাহত রাখবে।
আজকের পত্রিকা: ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর মূল ধারণা কী? বাংলাদেশ এতে কীভাবে যুক্ত?
সবুর খান: এটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা ২০১৯ সালে শুরু হয় গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন)-এর মাধ্যমে। উদ্যোক্তাদের একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণা ও প্রচেষ্টা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ শুরু থেকেই এতে যুক্ত আছে এবং এবারও আমরা জাতীয় পর্ব আয়োজন করছি, যাতে উদীয়মান উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য কী?
সবুর খান: মূলত উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ও উদ্যোগকে সহায়তা, স্বীকৃতি এবং সংযোগ দেওয়া—এই তিন স্তম্ভেই দাঁড়িয়ে আছে এই উদ্যোগ। তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার সুযোগ, প্রয়োজনীয় মেন্টরশিপ এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার মঞ্চ এটি। আমরা চাই উদ্যোক্তারা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হোন।
আজকের পত্রিকা: কোন ধরনের উদ্যোক্তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন?
সবুর খান: তিন ধরনের উদ্যোক্তা এতে অংশ নিতে পারেন। প্রথমত, আইডিয়া স্টেজ; যাঁদের ভালো একটি নতুন ধারণা রয়েছে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করেননি। দ্বিতীয়ত, আর্লি স্টেজ; যাঁরা ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্তু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। তৃতীয়ত, গ্রোথ স্টেজ; যাঁদের ব্যবসা ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রতিষ্ঠিত এবং এখন বড় পরিসরে যেতে প্রস্তুত। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগ্রহীদের ইডব্লিউসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে, যেখানে ব্যবসার কাঠামো, সমস্যার সমাধান, রাজস্ব মডেল ইত্যাদি তথ্য জমা দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কেমন?
সবুর খান: প্রাথমিকভাবে জমাকৃত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। যাঁরা নির্বাচিত হন, তাঁরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যেখানে ৩-৫ মিনিটের মধ্যে বিচারকদের সামনে তাঁদের উদ্যোগ বা আইডিয়াটি তুলে ধরতে হয়; যাকে আমরা বলি ‘পিচ’। বিচারকেরা ধারণার মৌলিকত্ব, বাজারে সম্ভাবনা, দলের দক্ষতা এবং স্কেল করার সম্ভাবনা বিবেচনায় বিজয়ী নির্ধারণ করেন। এরপর বিজয়ীরা ২-৩ মাসের একটি অনলাইন মেনটরিং প্রোগ্রাম পান। সেখান থেকে যাঁরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন, তাঁরা বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করেন।
আজকের পত্রিকা: অংশগ্রহণকারীরা কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
সবুর খান: এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি উদ্যোক্তাদের একটি নতুন জগতে প্রবেশের দরজা। বিজয়ীরা পাবেন নগদ অর্থ পুরস্কার এবং প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইন-কাইন্ড সাপোর্ট; যার মধ্যে আইনি সহায়তা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং উদ্যোক্তারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে তা কাটিয়ে উঠতে শেখেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলক কষ্ট বেশি হয়, এই বাস্তবতা নতুন উদ্যোক্তাদের কীভাবে প্রভাবিত করে?
সবুর খান: আপনি ঠিক বলেছেন। ‘ডুয়িং বিজনেস কস্ট’ এখনো নতুন উদ্যোক্তাদের বড় প্রতিবন্ধক। লাইসেন্সিং, নীতিগত জটিলতা, লজিস্টিক দুর্বলতা—সবকিছু মিলিয়ে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এর সমাধানে প্রয়োজন সরকারি প্রক্রিয়াকে আরও ডিজিটাল ও সহজ করা, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ সহজ করা। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার মাধ্যমেও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা তৈরির এই উদ্যোগে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
সবুর খান: সরকার যদি আন্তরিকভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে এই উদ্যোগগুলো বহুগুণে সফল হবে। সরকার চাইলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারে, সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে, উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় তরুণদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারে সরকার।
আজকের পত্রিকা: দেশে নতুন উদ্যোক্তা বেড়ে ওঠার পরিবেশ কেমন? সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলছে কি?
সবুর খান: দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহ এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তা এ প্রবণতাকে উৎসাহিত করছে। তবে বাস্তবতা হলো, উদ্যোক্তাদের পথচলায় এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন পুঁজির সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও প্রশাসনিক জটিলতা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায়িক পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে। স্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ে, নতুন ব্যবসা শুরু করাও সহজ হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের উদ্ভাবনী পথচলা অব্যাহত রাখবে।
আজকের পত্রিকা: ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর মূল ধারণা কী? বাংলাদেশ এতে কীভাবে যুক্ত?
সবুর খান: এটি একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, যা ২০১৯ সালে শুরু হয় গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন)-এর মাধ্যমে। উদ্যোক্তাদের একটি সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণা ও প্রচেষ্টা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ শুরু থেকেই এতে যুক্ত আছে এবং এবারও আমরা জাতীয় পর্ব আয়োজন করছি, যাতে উদীয়মান উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য কী?
সবুর খান: মূলত উদ্যোক্তাদের আইডিয়া ও উদ্যোগকে সহায়তা, স্বীকৃতি এবং সংযোগ দেওয়া—এই তিন স্তম্ভেই দাঁড়িয়ে আছে এই উদ্যোগ। তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার সুযোগ, প্রয়োজনীয় মেন্টরশিপ এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার মঞ্চ এটি। আমরা চাই উদ্যোক্তারা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হোন।
আজকের পত্রিকা: কোন ধরনের উদ্যোক্তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন?
সবুর খান: তিন ধরনের উদ্যোক্তা এতে অংশ নিতে পারেন। প্রথমত, আইডিয়া স্টেজ; যাঁদের ভালো একটি নতুন ধারণা রয়েছে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করেননি। দ্বিতীয়ত, আর্লি স্টেজ; যাঁরা ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্তু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন। তৃতীয়ত, গ্রোথ স্টেজ; যাঁদের ব্যবসা ইতিমধ্যেই কিছুটা প্রতিষ্ঠিত এবং এখন বড় পরিসরে যেতে প্রস্তুত। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগ্রহীদের ইডব্লিউসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে, যেখানে ব্যবসার কাঠামো, সমস্যার সমাধান, রাজস্ব মডেল ইত্যাদি তথ্য জমা দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি কেমন?
সবুর খান: প্রাথমিকভাবে জমাকৃত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়। যাঁরা নির্বাচিত হন, তাঁরা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যেখানে ৩-৫ মিনিটের মধ্যে বিচারকদের সামনে তাঁদের উদ্যোগ বা আইডিয়াটি তুলে ধরতে হয়; যাকে আমরা বলি ‘পিচ’। বিচারকেরা ধারণার মৌলিকত্ব, বাজারে সম্ভাবনা, দলের দক্ষতা এবং স্কেল করার সম্ভাবনা বিবেচনায় বিজয়ী নির্ধারণ করেন। এরপর বিজয়ীরা ২-৩ মাসের একটি অনলাইন মেনটরিং প্রোগ্রাম পান। সেখান থেকে যাঁরা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন, তাঁরা বিশ্ব মঞ্চে প্রতিযোগিতা করেন।
আজকের পত্রিকা: অংশগ্রহণকারীরা কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
সবুর খান: এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি উদ্যোক্তাদের একটি নতুন জগতে প্রবেশের দরজা। বিজয়ীরা পাবেন নগদ অর্থ পুরস্কার এবং প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ইন-কাইন্ড সাপোর্ট; যার মধ্যে আইনি সহায়তা, প্রযুক্তিগত পরামর্শ, বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগের সুযোগ রয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং উদ্যোক্তারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝে তা কাটিয়ে উঠতে শেখেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে তুলনামূলক কষ্ট বেশি হয়, এই বাস্তবতা নতুন উদ্যোক্তাদের কীভাবে প্রভাবিত করে?
সবুর খান: আপনি ঠিক বলেছেন। ‘ডুয়িং বিজনেস কস্ট’ এখনো নতুন উদ্যোক্তাদের বড় প্রতিবন্ধক। লাইসেন্সিং, নীতিগত জটিলতা, লজিস্টিক দুর্বলতা—সবকিছু মিলিয়ে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এর সমাধানে প্রয়োজন সরকারি প্রক্রিয়াকে আরও ডিজিটাল ও সহজ করা, সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ সহজ করা। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মশালার মাধ্যমেও উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তা তৈরির এই উদ্যোগে সরকার কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে?
সবুর খান: সরকার যদি আন্তরিকভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়, তবে এই উদ্যোগগুলো বহুগুণে সফল হবে। সরকার চাইলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ তহবিল তৈরি করতে পারে, সহজ শর্তে ঋণ দিতে পারে, উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে দেশীয় তরুণদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারে সরকার।

দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল।
১ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
৮ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল। এই আমদানি চাপ কমাতে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সরকার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ১৩টি জোনে চাষ সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ, কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রণোদনা নিশ্চিত করার কার্যক্রম জোরদার করেছে। কৃষিজমি কমলেও তুলা চাষের জমি, উৎপাদন ও চাষির সংখ্যা যে বাড়ছে, তা এসব উদ্যোগের বাস্তব অগ্রগতি ফুটিয়ে তোলে।
কৃষকেরা বলছেন, তুলা চাষ এখন অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভজনক। প্রতি বিঘায় খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা, কিন্তু লাভ হয় তিন-চার গুণ। বড় সুবিধা হলো, তুলা খেতেই বিক্রি হয়ে যায়। পাশাপাশি তুলার সঙ্গে আন্তফসল হিসেবে বেগুন, মুলা, হলুদসহ নানা শাকসবজি চাষ করে মৌসুমে অতিরিক্ত আয় করা যায়। এসব ফসল সারির ফাঁকে বেড়ে ওঠায় আলাদা জমি বা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রয়োজন হয় না, বরং এক মৌসুমে দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ফলে তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়ছে।
বর্তমানে দেশে চর কটন, হিল কটন, আপল্যান্ড কটন এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে উপযোগী ড্রাউট কটন—এই চার ধরনের তুলার চাষ হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জাত উন্নয়ন, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত না করে ২০৪০ সালের মধ্যে তুলা চাষের পরিমাণ ২ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা, চাষির সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে তোলা এবং বছরে ১৫ লাখ ৮০ হাজার বেল উৎপাদন অর্জন করা।
এই জাতীয় পরিকল্পনার সবচেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র যশোর জোন; যেখানে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা মিলিয়ে এই মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। শুধু এ জোনেই ১৩ হাজার কৃষক তুলা চাষে যুক্ত, আর ২ হাজার ৬০০ কৃষকের কাছে পৌঁছেছে প্রণোদনার বীজ, সার, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণ। চলতি মৌসুমে সারা দেশে ১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারনির্ধারিত মণপ্রতি চার হাজার টাকা দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঝিকরগাছার তুলাচাষি শহিদুল ইসলাম মনে করেন, দীর্ঘ চাষচক্র বিবেচনায় দাম আরও বাড়ানো দরকার।
যশোর জোনের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এই অঞ্চলে চাষির সংখ্যা ১৫ হাজারে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে এবং ফলনও দ্রুত বাড়ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমীন বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে। এতে যুক্ত আছেন ৭৪ হাজার কৃষক, আর প্রণোদনা পেয়েছেন ২১ হাজার। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার বেল; পরের মৌসুমে তা ৫০ হাজার হেক্টরে আড়াই লাখ বেলে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তুলাবীজ থেকে ভোজ্যতেল এবং অয়েল কেক উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্প খাতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ মনে করেন, তুলা চাষের জন্য আলাদা ঋণব্যবস্থা চালু হলে উৎপাদন ও আবাদ—দুটোই দ্রুত বাড়বে। সরকারের বর্তমান উদ্যোগ এবং কৃষকের বাড়তি আগ্রহ ভবিষ্যতে দেশের তুলা উৎপাদনকে আমদানিনির্ভরতা কমানোর বাস্তব সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল। এই আমদানি চাপ কমাতে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সরকার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ১৩টি জোনে চাষ সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ, কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রণোদনা নিশ্চিত করার কার্যক্রম জোরদার করেছে। কৃষিজমি কমলেও তুলা চাষের জমি, উৎপাদন ও চাষির সংখ্যা যে বাড়ছে, তা এসব উদ্যোগের বাস্তব অগ্রগতি ফুটিয়ে তোলে।
কৃষকেরা বলছেন, তুলা চাষ এখন অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভজনক। প্রতি বিঘায় খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা, কিন্তু লাভ হয় তিন-চার গুণ। বড় সুবিধা হলো, তুলা খেতেই বিক্রি হয়ে যায়। পাশাপাশি তুলার সঙ্গে আন্তফসল হিসেবে বেগুন, মুলা, হলুদসহ নানা শাকসবজি চাষ করে মৌসুমে অতিরিক্ত আয় করা যায়। এসব ফসল সারির ফাঁকে বেড়ে ওঠায় আলাদা জমি বা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রয়োজন হয় না, বরং এক মৌসুমে দ্বিগুণ আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ফলে তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাড়ছে।
বর্তমানে দেশে চর কটন, হিল কটন, আপল্যান্ড কটন এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে উপযোগী ড্রাউট কটন—এই চার ধরনের তুলার চাষ হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জাত উন্নয়ন, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত না করে ২০৪০ সালের মধ্যে তুলা চাষের পরিমাণ ২ লাখ হেক্টরে উন্নীত করা, চাষির সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখে তোলা এবং বছরে ১৫ লাখ ৮০ হাজার বেল উৎপাদন অর্জন করা।
এই জাতীয় পরিকল্পনার সবচেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র যশোর জোন; যেখানে যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা মিলিয়ে এই মৌসুমে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। শুধু এ জোনেই ১৩ হাজার কৃষক তুলা চাষে যুক্ত, আর ২ হাজার ৬০০ কৃষকের কাছে পৌঁছেছে প্রণোদনার বীজ, সার, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণ। চলতি মৌসুমে সারা দেশে ১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারনির্ধারিত মণপ্রতি চার হাজার টাকা দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঝিকরগাছার তুলাচাষি শহিদুল ইসলাম মনে করেন, দীর্ঘ চাষচক্র বিবেচনায় দাম আরও বাড়ানো দরকার।
যশোর জোনের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এই অঞ্চলে চাষির সংখ্যা ১৫ হাজারে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে এবং ফলনও দ্রুত বাড়ছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমীন বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হচ্ছে। এতে যুক্ত আছেন ৭৪ হাজার কৃষক, আর প্রণোদনা পেয়েছেন ২১ হাজার। উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার বেল; পরের মৌসুমে তা ৫০ হাজার হেক্টরে আড়াই লাখ বেলে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তুলাবীজ থেকে ভোজ্যতেল এবং অয়েল কেক উৎপাদনের মাধ্যমে শিল্প খাতেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক এ এস এম গোলাম হাফিজ মনে করেন, তুলা চাষের জন্য আলাদা ঋণব্যবস্থা চালু হলে উৎপাদন ও আবাদ—দুটোই দ্রুত বাড়বে। সরকারের বর্তমান উদ্যোগ এবং কৃষকের বাড়তি আগ্রহ ভবিষ্যতে দেশের তুলা উৎপাদনকে আমদানিনির্ভরতা কমানোর বাস্তব সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট।
০৭ মে ২০২৫
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
৮ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯টি কোম্পানি শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা, পরিচালকদের বড় বিনিয়োগ থাকলেও এবারের লভ্যাংশ থেকে তাঁরা নিজেদের অংশ নেবেন না।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজারে আস্থা ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
তবে অনেকেই মনে করেন, কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পরিচালকেরা লভ্যাংশ না নেওয়ার পেছনে অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বাধ্যবাধকতা না থাকলে অনেক কোম্পানি হয়তো নগদ লভ্যাংশই দিত না। শুধু বোনাস দিয়ে ক্যাটাগরি বজায় রাখার চেষ্টা করত।
বর্তমানে লভ্যাংশ ঘোষণায় নগদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রয়েছে। কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে বোনাস শেয়ার দেওয়া গেলেও নগদ দেওয়ার সুযোগ কম। এ কারণে সক্ষমতার অভাব থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
এক কোম্পানির সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক কোম্পানির মালিকপক্ষ নিজেরাই শেয়ারের ব্যবসা করেন। বাস্তবে মুনাফা কম হলেও আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় তা বেশি দেখান। ফলে হিসাব অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা দেখা গেলেও বাস্তবে তা থাকে না। তাই উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বাদ দিয়ে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
শীর্ষ পাঁচের কে কত লভ্যাংশ দেবে
সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। ১ টাকা ৭১ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেবে ২০ শতাংশ বা ২ টাকা। অর্থাৎ ইপিএসের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে। বাকি টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।
সোনালি লাইফের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। কোম্পানি লভ্যাংশ দেবে ১৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা।
নাভানা ফার্মা মুনাফার বড় একটা অংশ কোম্পানিতে রেখে দিতে চায়। কোম্পানির ইপিএস হয়েছে সাড়ে ৪ টাকা; কিন্তু লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা করে।
ফাইন ফুডসও মুনাফার বড় একটা অংশ রিজার্ভে রাখতে চায়। ৪ টাকা ১৮ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা।
এমকে ফুটওয়্যার ১ টাকা ৮৩ পয়সার বিপরীতে ১২ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। এ ছাড়া ৩৪টি কোম্পানি কেবল শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, লভ্যাংশ ঘোষণার এখতিয়ার কোম্পানির নিজের। আইনের বরখেলাপ না হলে এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৯টি কোম্পানি শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তা, পরিচালকদের বড় বিনিয়োগ থাকলেও এবারের লভ্যাংশ থেকে তাঁরা নিজেদের অংশ নেবেন না।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও বাজারে আস্থা ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
তবে অনেকেই মনে করেন, কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পরিচালকেরা লভ্যাংশ না নেওয়ার পেছনে অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে।
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, বাধ্যবাধকতা না থাকলে অনেক কোম্পানি হয়তো নগদ লভ্যাংশই দিত না। শুধু বোনাস দিয়ে ক্যাটাগরি বজায় রাখার চেষ্টা করত।
বর্তমানে লভ্যাংশ ঘোষণায় নগদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রয়েছে। কৃত্রিমভাবে মুনাফা বাড়িয়ে বোনাস শেয়ার দেওয়া গেলেও নগদ দেওয়ার সুযোগ কম। এ কারণে সক্ষমতার অভাব থাকা অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
এক কোম্পানির সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক কোম্পানির মালিকপক্ষ নিজেরাই শেয়ারের ব্যবসা করেন। বাস্তবে মুনাফা কম হলেও আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় তা বেশি দেখান। ফলে হিসাব অনুযায়ী লভ্যাংশ দেওয়ার সক্ষমতা দেখা গেলেও বাস্তবে তা থাকে না। তাই উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বাদ দিয়ে শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
শীর্ষ পাঁচের কে কত লভ্যাংশ দেবে
সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। ১ টাকা ৭১ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেবে ২০ শতাংশ বা ২ টাকা। অর্থাৎ ইপিএসের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেবে। বাকি টাকা রিজার্ভ থেকে দেওয়া হবে।
সোনালি লাইফের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। কোম্পানি লভ্যাংশ দেবে ১৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা।
নাভানা ফার্মা মুনাফার বড় একটা অংশ কোম্পানিতে রেখে দিতে চায়। কোম্পানির ইপিএস হয়েছে সাড়ে ৪ টাকা; কিন্তু লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা করে।
ফাইন ফুডসও মুনাফার বড় একটা অংশ রিজার্ভে রাখতে চায়। ৪ টাকা ১৮ পয়সা ইপিএসের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১৪ শতাংশ বা ১ টাকা ৪০ পয়সা।
এমকে ফুটওয়্যার ১ টাকা ৮৩ পয়সার বিপরীতে ১২ শতাংশ বা ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। এ ছাড়া ৩৪টি কোম্পানি কেবল শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, লভ্যাংশ ঘোষণার এখতিয়ার কোম্পানির নিজের। আইনের বরখেলাপ না হলে এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন না হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।

বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট।
০৭ মে ২০২৫
দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল।
১ ঘণ্টা আগে
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
৮ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামীকাল রোববার থেকে আমদানিকারকেরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) নিতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত তিন দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার অনলাইনে এক জরুরি বৈঠক করে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষিসচিব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংকে আইপি দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোববার সকাল ১০টায় সার্ভার খুলে দেব। তারপর ৫০ জন হলে আবার সার্ভার বন্ধ করে দেব। অনেকটা ট্রেনের টিকিটের মতো। আমাদের কাছে সাড়ে তিন হাজার আবেদন ছিল। যা আমরা ফেরত দিয়েছিলাম। মূলত তাদের মধ্য থেকেই এই আবেদন নেওয়া হবে।’
গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ে। ওই সময় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৮০-৯০ টাকার পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় ওঠে।
তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা জানিয়েছিল। এরপর কিছুটা কমে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি।

পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামীকাল রোববার থেকে আমদানিকারকেরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) নিতে পারবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত তিন দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে খুচরা ও পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২৫-৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার অনলাইনে এক জরুরি বৈঠক করে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষিসচিব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংকে আইপি দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রোববার সকাল ১০টায় সার্ভার খুলে দেব। তারপর ৫০ জন হলে আবার সার্ভার বন্ধ করে দেব। অনেকটা ট্রেনের টিকিটের মতো। আমাদের কাছে সাড়ে তিন হাজার আবেদন ছিল। যা আমরা ফেরত দিয়েছিলাম। মূলত তাদের মধ্য থেকেই এই আবেদন নেওয়া হবে।’
গত নভেম্বরের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ে। ওই সময় এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৮০-৯০ টাকার পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় ওঠে।
তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা জানিয়েছিল। এরপর কিছুটা কমে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপত্তির মুখে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি।

বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট।
০৭ মে ২০২৫
দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল।
১ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
আর রুপির দরপতনে সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলে রুপির এই পতন ঠেকানোর একটি সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সেই চুক্তিও অধরা রয়ে গেছে।
তবে এর প্রধান কারণ হলো ভারতের শেয়ারবাজার। ১৯৯৩ সালের পর থেকে ইন্ডিয়ান স্টক মার্কেট অন্যান্য বাজারগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। এই বছর এমএসসিআই ইন্ডিয়া সূচকের ডলার রিটার্ন ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ, যেখানে বৃহত্তর উদীয়মান বাজার ইনডেক্সের রিটার্ন দাঁড়িয়েছে ২৭.৭ শতাংশে।
এই ব্যবধানের ফলে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা দেশের বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার। আর সেগুলো বিনিয়োগ করেছে ভালো পারফর্ম করা বাজারগুলোতে।
রুপির নিম্নমুখী অবস্থানে যারা কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। মার্কিন চড়া শুল্কের কারণে তারা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। রুপির দরপতন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
ভারতের প্রযুক্তিখাতের শেয়ার কয়েকটি ত্রৈমাসিক ধরে একটি সীমিত পরিসরে আটকে ছিল। তা এই সপ্তাহে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এছাড়া আর কোনো ইতিবাচক দিক চোখে পড়ে না।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ভারতের চলতি হিসাবের ঘাটতি কিছুটা কমলেও পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি অক্টোবর মাসে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৪১.৭ বিলিয়ন ডলারে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। রুপি আরও নিচে নামতে থাকায় জ্বালানি আমদানি ব্যয় বাড়বে; পাশাপাশি বাড়বে বিদেশি ঋণের খরচও। আর এর প্রভাব পড়বে বিমান, ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলের মতো বিভিন্ন খাতের উৎপাদন ব্যয়ে।
এ অবস্থায় বিদেশ ভ্রমণ ও বিদেশে শিক্ষার খরচও ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরন বলেন, রুপির দরপতন নিয়ে তিনি ‘নিদ্রাহীন রাত’ কাটাচ্ছেন না। স্বল্প মুদ্রাস্ফীতি ও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি তাঁকে চিন্তামুক্ত রাখছে। রুপির দুর্বলতা ছিল নরেন্দ্র মোদির প্রথমবারের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থিতার সময় বড় প্রচারণা–ইস্যুগুলোর একটি। ২০১৩ সালে মোদি যখন প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন রুপির বিনিময়মূল্য ছিল ডলারের বিপরীতে ৬০.৫; আর তিনি দায়িত্ব গ্রহণের বছর তা ছিল ৬১। তবে ক্ষমতায় আসার পর মুদ্রার অবমূল্যায়নের অর্থনৈতিক প্রভাবকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি মোদি সরকার।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে আছে। এই মুদ্রামান আরও নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বছর ধরেই রুপির দরপতন অব্যাহত ছিল। এখন এর মান কমেছে ৫ শতাংশেরও বেশি। যা এই মুদ্রাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।
আর রুপির দরপতনে সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হলে রুপির এই পতন ঠেকানোর একটি সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সেই চুক্তিও অধরা রয়ে গেছে।
তবে এর প্রধান কারণ হলো ভারতের শেয়ারবাজার। ১৯৯৩ সালের পর থেকে ইন্ডিয়ান স্টক মার্কেট অন্যান্য বাজারগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। এই বছর এমএসসিআই ইন্ডিয়া সূচকের ডলার রিটার্ন ছিল মাত্র ২.৫ শতাংশ, যেখানে বৃহত্তর উদীয়মান বাজার ইনডেক্সের রিটার্ন দাঁড়িয়েছে ২৭.৭ শতাংশে।
এই ব্যবধানের ফলে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা দেশের বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ১৬ বিলিয়ন ডলার। আর সেগুলো বিনিয়োগ করেছে ভালো পারফর্ম করা বাজারগুলোতে।
রুপির নিম্নমুখী অবস্থানে যারা কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। মার্কিন চড়া শুল্কের কারণে তারা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। রুপির দরপতন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।
ভারতের প্রযুক্তিখাতের শেয়ার কয়েকটি ত্রৈমাসিক ধরে একটি সীমিত পরিসরে আটকে ছিল। তা এই সপ্তাহে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এছাড়া আর কোনো ইতিবাচক দিক চোখে পড়ে না।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ভারতের চলতি হিসাবের ঘাটতি কিছুটা কমলেও পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি অক্টোবর মাসে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৪১.৭ বিলিয়ন ডলারে, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। রুপি আরও নিচে নামতে থাকায় জ্বালানি আমদানি ব্যয় বাড়বে; পাশাপাশি বাড়বে বিদেশি ঋণের খরচও। আর এর প্রভাব পড়বে বিমান, ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলের মতো বিভিন্ন খাতের উৎপাদন ব্যয়ে।
এ অবস্থায় বিদেশ ভ্রমণ ও বিদেশে শিক্ষার খরচও ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরন বলেন, রুপির দরপতন নিয়ে তিনি ‘নিদ্রাহীন রাত’ কাটাচ্ছেন না। স্বল্প মুদ্রাস্ফীতি ও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি তাঁকে চিন্তামুক্ত রাখছে। রুপির দুর্বলতা ছিল নরেন্দ্র মোদির প্রথমবারের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থিতার সময় বড় প্রচারণা–ইস্যুগুলোর একটি। ২০১৩ সালে মোদি যখন প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন রুপির বিনিময়মূল্য ছিল ডলারের বিপরীতে ৬০.৫; আর তিনি দায়িত্ব গ্রহণের বছর তা ছিল ৬১। তবে ক্ষমতায় আসার পর মুদ্রার অবমূল্যায়নের অর্থনৈতিক প্রভাবকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি মোদি সরকার।

বিশ্বব্যাপী তরুণ উদ্যোক্তাদের পথচলার বাধাগুলো দূর করে বিকাশমান সম্ভাবনা বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরতে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ নেটওয়ার্ক (জেন) চালু করেছে ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ’। বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরাও এবার অংশ নিচ্ছেন এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, যার সমন্বয় করছে জেনের দেশীয় ইউনিট।
০৭ মে ২০২৫
দেশে পোশাকশিল্প এখনো রপ্তানি আয়ের প্রধান ভিত্তি; অথচ সেই শিল্পের কাঁচামাল তুলার প্রায় ২ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশে। বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও উৎপাদিত হয় মাত্র ২ লাখ বেল, ফলে বাকি চাহিদা আমদানির ওপরই নির্ভরশীল।
১ ঘণ্টা আগে
বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উদ্যোক্তা, পরিচালকেরা তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে নানা সুবিধা ভোগ করেন। গৃহস্থালি খরচ, বাজার, কর্মচারী বা বুয়ার বেতনসহ বিভিন্ন ব্যয় প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে। ফলে লভ্যাংশ না নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জন্য বড় ত্যাগ নয়; অন্য সুবিধা থেকেই তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
এই উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৈঠকের পর আমাদের আইপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মোট ৫০ জন আমদানিকারককে আইপি দেওয়া হবে। প্রতিজন ৩০ টন করে আমদানি করতে পারবে। সাধারণত আমদানি করতে তিন মাস সময় পাওয়া যায়।’
৮ ঘণ্টা আগে