বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার এই দফার আলোচনা শুরুর কথা। ৩-৪ জুলাই এই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দেশটির সঙ্গে ‘পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই আলোচনায় গতি থাকলেও সমঝোতার পথ সুগম হয়নি এখনো। কারণ, চুক্তি নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে মূল জটিলতা সৃষ্টি করেছে দুই পক্ষের নীতিগত অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের রপ্তানি মার্কিন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হোক এবং দেশটি যদি কোনো তৃতীয় দেশের ওপর শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশও যেন একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই চাওয়া বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় বাণিজ্যনীতি ও কৌশলগত অবস্থানের পরিপন্থী।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, যেসব পণ্যে তারা শুল্কছাড় পাবে, সেসব পণ্যে বাংলাদেশ যেন অন্য কোনো দেশকে একই সুবিধা না দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ বলছে, এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক পণ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করুক এবং কোনো পক্ষ একতরফাভাবে শুল্ক বা বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার। তাই আলোচনা চলছে। আমরা আলোচনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তবে তা কখনো জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য। আমাদের যা পদক্ষেপ হবে, তা ডব্লিউটিওর বিধিবিধান মেনেই হবে। এই সীমাবদ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রও জানে।’
জানা যায়, পারস্পরিক শুল্কের বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে দুই দেশ ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন ইউএসটিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বৈঠক করেন। আলোচনা এখনো বন্ধ হয়নি, বরং নতুন বৈঠকের কথা রয়েছে ৩-৪ জুলাই। সেখানে অংশ নেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
চুক্তির আলোচনায় ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু উচ্চমূল্যের পণ্যের আমদানির আশ্বাস দিয়েছে—যেমন গম, এলএনজি, বোয়িং বিমান, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক পণ্য। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন পণ্যে তারা শুল্কছাড় চাইছে, তার একটি ট্যারিফ শিডিউলও চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সেই তালিকা পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এমনকি ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা পার হলেও তারা প্রয়োজনে ৯০ দিন বা তারও বেশি সময় চুক্তির কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার জায়গাও কম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে দেশটিতে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ককাঠামো কার্যকর হবে এবং দেশভেদে শুল্কহার নির্ধারণ করে তা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। খসড়া পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের উৎস মূলত বাণিজ্য ভারসাম্যের বড় ব্যবধান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে তৈরি পোশাক ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিপরীতে আমদানি মাত্র ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার—এই বিশাল রপ্তানি উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে এবং চুক্তির মাধ্যমে ভারসাম্য আনার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা দেখছে।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই কৌশলগত অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখে চলতে হবে। বাণিজ্যিক সুবিধা থাকলেও রাষ্ট্রীয় অবস্থান জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়, তবে নমনীয় হবে। এ সময় দরকার সংবেদনশীল অথচ সাহসী কূটনৈতিক অবস্থান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো কী করছে, তার ওপর চোখ রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছেন দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একতরফাভাবে শুল্ক বাড়িয়ে দিলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে পারব না। চুক্তি হোক, কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করেই। সেটি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সম্ভব না হলে আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার সদিচ্ছা দেখিয়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৯০ দিন বা তদূর্ধ্ব বাড়ানোর সময় চাওয়া হোক।’

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার এই দফার আলোচনা শুরুর কথা। ৩-৪ জুলাই এই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দেশটির সঙ্গে ‘পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই আলোচনায় গতি থাকলেও সমঝোতার পথ সুগম হয়নি এখনো। কারণ, চুক্তি নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে মূল জটিলতা সৃষ্টি করেছে দুই পক্ষের নীতিগত অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের রপ্তানি মার্কিন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হোক এবং দেশটি যদি কোনো তৃতীয় দেশের ওপর শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশও যেন একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই চাওয়া বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় বাণিজ্যনীতি ও কৌশলগত অবস্থানের পরিপন্থী।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, যেসব পণ্যে তারা শুল্কছাড় পাবে, সেসব পণ্যে বাংলাদেশ যেন অন্য কোনো দেশকে একই সুবিধা না দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ বলছে, এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক পণ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করুক এবং কোনো পক্ষ একতরফাভাবে শুল্ক বা বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার। তাই আলোচনা চলছে। আমরা আলোচনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তবে তা কখনো জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য। আমাদের যা পদক্ষেপ হবে, তা ডব্লিউটিওর বিধিবিধান মেনেই হবে। এই সীমাবদ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রও জানে।’
জানা যায়, পারস্পরিক শুল্কের বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে দুই দেশ ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন ইউএসটিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বৈঠক করেন। আলোচনা এখনো বন্ধ হয়নি, বরং নতুন বৈঠকের কথা রয়েছে ৩-৪ জুলাই। সেখানে অংশ নেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
চুক্তির আলোচনায় ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু উচ্চমূল্যের পণ্যের আমদানির আশ্বাস দিয়েছে—যেমন গম, এলএনজি, বোয়িং বিমান, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক পণ্য। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন পণ্যে তারা শুল্কছাড় চাইছে, তার একটি ট্যারিফ শিডিউলও চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সেই তালিকা পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এমনকি ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা পার হলেও তারা প্রয়োজনে ৯০ দিন বা তারও বেশি সময় চুক্তির কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার জায়গাও কম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে দেশটিতে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ককাঠামো কার্যকর হবে এবং দেশভেদে শুল্কহার নির্ধারণ করে তা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। খসড়া পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের উৎস মূলত বাণিজ্য ভারসাম্যের বড় ব্যবধান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে তৈরি পোশাক ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিপরীতে আমদানি মাত্র ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার—এই বিশাল রপ্তানি উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে এবং চুক্তির মাধ্যমে ভারসাম্য আনার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা দেখছে।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই কৌশলগত অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখে চলতে হবে। বাণিজ্যিক সুবিধা থাকলেও রাষ্ট্রীয় অবস্থান জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়, তবে নমনীয় হবে। এ সময় দরকার সংবেদনশীল অথচ সাহসী কূটনৈতিক অবস্থান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো কী করছে, তার ওপর চোখ রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছেন দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একতরফাভাবে শুল্ক বাড়িয়ে দিলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে পারব না। চুক্তি হোক, কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করেই। সেটি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সম্ভব না হলে আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার সদিচ্ছা দেখিয়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৯০ দিন বা তদূর্ধ্ব বাড়ানোর সময় চাওয়া হোক।’

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ...
০৩ জুলাই ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ...
০৩ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ...
০৩ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ...
০৩ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে