বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার এই দফার আলোচনা শুরুর কথা। ৩-৪ জুলাই এই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দেশটির সঙ্গে ‘পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই আলোচনায় গতি থাকলেও সমঝোতার পথ সুগম হয়নি এখনো। কারণ, চুক্তি নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে মূল জটিলতা সৃষ্টি করেছে দুই পক্ষের নীতিগত অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের রপ্তানি মার্কিন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হোক এবং দেশটি যদি কোনো তৃতীয় দেশের ওপর শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশও যেন একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই চাওয়া বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় বাণিজ্যনীতি ও কৌশলগত অবস্থানের পরিপন্থী।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, যেসব পণ্যে তারা শুল্কছাড় পাবে, সেসব পণ্যে বাংলাদেশ যেন অন্য কোনো দেশকে একই সুবিধা না দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ বলছে, এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক পণ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করুক এবং কোনো পক্ষ একতরফাভাবে শুল্ক বা বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার। তাই আলোচনা চলছে। আমরা আলোচনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তবে তা কখনো জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য। আমাদের যা পদক্ষেপ হবে, তা ডব্লিউটিওর বিধিবিধান মেনেই হবে। এই সীমাবদ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রও জানে।’
জানা যায়, পারস্পরিক শুল্কের বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে দুই দেশ ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন ইউএসটিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বৈঠক করেন। আলোচনা এখনো বন্ধ হয়নি, বরং নতুন বৈঠকের কথা রয়েছে ৩-৪ জুলাই। সেখানে অংশ নেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
চুক্তির আলোচনায় ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু উচ্চমূল্যের পণ্যের আমদানির আশ্বাস দিয়েছে—যেমন গম, এলএনজি, বোয়িং বিমান, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক পণ্য। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন পণ্যে তারা শুল্কছাড় চাইছে, তার একটি ট্যারিফ শিডিউলও চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সেই তালিকা পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এমনকি ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা পার হলেও তারা প্রয়োজনে ৯০ দিন বা তারও বেশি সময় চুক্তির কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার জায়গাও কম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে দেশটিতে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ককাঠামো কার্যকর হবে এবং দেশভেদে শুল্কহার নির্ধারণ করে তা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। খসড়া পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের উৎস মূলত বাণিজ্য ভারসাম্যের বড় ব্যবধান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে তৈরি পোশাক ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিপরীতে আমদানি মাত্র ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার—এই বিশাল রপ্তানি উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে এবং চুক্তির মাধ্যমে ভারসাম্য আনার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা দেখছে।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই কৌশলগত অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখে চলতে হবে। বাণিজ্যিক সুবিধা থাকলেও রাষ্ট্রীয় অবস্থান জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়, তবে নমনীয় হবে। এ সময় দরকার সংবেদনশীল অথচ সাহসী কূটনৈতিক অবস্থান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো কী করছে, তার ওপর চোখ রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছেন দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একতরফাভাবে শুল্ক বাড়িয়ে দিলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে পারব না। চুক্তি হোক, কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করেই। সেটি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সম্ভব না হলে আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার সদিচ্ছা দেখিয়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৯০ দিন বা তদূর্ধ্ব বাড়ানোর সময় চাওয়া হোক।’
৯ জুলাই তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত ৩৭ শতাংশ ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার এই দফার আলোচনা শুরুর কথা। ৩-৪ জুলাই এই আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের পর দেশটির সঙ্গে ‘পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই আলোচনায় গতি থাকলেও সমঝোতার পথ সুগম হয়নি এখনো। কারণ, চুক্তি নিয়ে দুই দেশের অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি নিয়ে মূল জটিলতা সৃষ্টি করেছে দুই পক্ষের নীতিগত অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র চায়, বাংলাদেশের রপ্তানি মার্কিন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হোক এবং দেশটি যদি কোনো তৃতীয় দেশের ওপর শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশও যেন একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের এই চাওয়া বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় বাণিজ্যনীতি ও কৌশলগত অবস্থানের পরিপন্থী।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, যেসব পণ্যে তারা শুল্কছাড় পাবে, সেসব পণ্যে বাংলাদেশ যেন অন্য কোনো দেশকে একই সুবিধা না দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ বলছে, এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চায়, চুক্তির আওতায় দুই দেশ পারস্পরিক পণ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করুক এবং কোনো পক্ষ একতরফাভাবে শুল্ক বা বাণিজ্যিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার। তাই আলোচনা চলছে। আমরা আলোচনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। তবে তা কখনো জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্য। আমাদের যা পদক্ষেপ হবে, তা ডব্লিউটিওর বিধিবিধান মেনেই হবে। এই সীমাবদ্ধতা যুক্তরাষ্ট্রও জানে।’
জানা যায়, পারস্পরিক শুল্কের বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে দুই দেশ ২৮টি বৈঠকে বসেছে। সর্বশেষ গত ২৬ জুন ইউএসটিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বৈঠক করেন। আলোচনা এখনো বন্ধ হয়নি, বরং নতুন বৈঠকের কথা রয়েছে ৩-৪ জুলাই। সেখানে অংশ নেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও। আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে শুল্কসীমা, ট্যারিফ শিডিউল ও আইনি ব্যাখ্যা।
চুক্তির আলোচনায় ভারসাম্য আনতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কিছু উচ্চমূল্যের পণ্যের আমদানির আশ্বাস দিয়েছে—যেমন গম, এলএনজি, বোয়িং বিমান, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক পণ্য। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোন পণ্যে তারা শুল্কছাড় চাইছে, তার একটি ট্যারিফ শিডিউলও চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো সেই তালিকা পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো লিখিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এমনকি ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা পার হলেও তারা প্রয়োজনে ৯০ দিন বা তারও বেশি সময় চুক্তির কার্যকারিতা স্থগিত রাখতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার জায়গাও কম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে দেশটিতে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ককাঠামো কার্যকর হবে এবং দেশভেদে শুল্কহার নির্ধারণ করে তা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। খসড়া পরিকল্পনায় বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের উৎস মূলত বাণিজ্য ভারসাম্যের বড় ব্যবধান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে তৈরি পোশাক ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিপরীতে আমদানি মাত্র ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার—এই বিশাল রপ্তানি উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে এবং চুক্তির মাধ্যমে ভারসাম্য আনার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা দেখছে।
এ প্রসঙ্গে সিপিডির বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে অবশ্যই কৌশলগত অবস্থান অক্ষুণ্ন রেখে চলতে হবে। বাণিজ্যিক সুবিধা থাকলেও রাষ্ট্রীয় অবস্থান জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়, তবে নমনীয় হবে। এ সময় দরকার সংবেদনশীল অথচ সাহসী কূটনৈতিক অবস্থান। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো কী করছে, তার ওপর চোখ রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছেন দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একতরফাভাবে শুল্ক বাড়িয়ে দিলে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকতে পারব না। চুক্তি হোক, কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করেই। সেটি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে সম্ভব না হলে আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার সদিচ্ছা দেখিয়ে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও ৯০ দিন বা তদূর্ধ্ব বাড়ানোর সময় চাওয়া হোক।’
দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে আরও কিছু বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে। তবে কয়েকটি বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, নিজেদের মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় আলোচনা চালু থাকবে।
১৫ মিনিট আগেবহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র তিন দিনব্যাপী শুল্ক আলোচনা শেষ হয়েছে কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা ছাড়াই। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক মৌলিক ইস্যুতে মতপার্থক্য থাকায়, আলোচনার ফলাফল এখনই স্পষ্ট নয়। ফলে মার্কিন বাজারে পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের যে আশাবাদ ছিল, তা বাস্তবায়নে...
৫ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য দায়ী ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিল্পগ্রুপ ও খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে আর্থিক খাতের বড় অনিয়মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নরসহ
৮ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল সৌন্দর্যচর্চাশিল্পের আন্তর্জাতিক নাম কে-বিউটি। একসময় জেন-জি বা এশীয় আমেরিকান ইনফ্লুয়েন্সাররা এর প্রধান ভোক্তা ছিল। কিন্তু এটি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারায় প্রবেশ করেছে। গত বছর কোরিয়ান বিউটি পণ্যের বিক্রি ৫৬ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
২১ ঘণ্টা আগে