Ajker Patrika

করছাড় কমানোর কোনো বিকল্প নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৫৪
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান । ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান । ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া রয়েছে। তবে রাজস্ব বৃদ্ধি ও করছাড় যৌক্তিকীকরণ করতে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কিছু করছাড় প্রত্যাহারের চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইতিমধ্যে কিছু বাস্তবায়নও হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত কার্যালয়ে ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ সময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘করছাড় কমানোর কোনো বিকল্প নেই। করছাড় যেটা দিয়েছি, সেটা জনস্বার্থেই দিয়েছি। এর মধ্যে আমরা অতিরিক্ত ছাড়ও দিয়েছি। দেশের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের স্বার্থে দিয়েছি।’

আবদুর রহমান বলেন, ‘যখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তখনই আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি যে কীভাবে করের ছাড়গুলো যৌক্তিকীকরণ করা যায়। আমরা কাজ শুরু করেছি। আপনার দেখতে পাবেন। কয়েকটি এসআরও বাতিল করা হয়েছে, আর কিছু প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’

করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তা না পারলে আমাদের রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব নয়। সুতরাং, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা (আইএমএফ) যা বলছেন, আমাদের ভালোর জন্যই বলছেন। এটা আমরা সময়মতো অবশ্যই করব। শুরু করেছি, এমন নয় যে বসে আছি।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে যেহেতু ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা আছে, আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা সেটা করব।’

ভ্যাট প্রশাসনের প্রত্যেক কর্মকর্তাকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘করদাতাগণকে ব্যবসায় সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রেখে কর আদায় করতে হবে, যাতে আমাদের ব্যবসায়ীগণ কোনোভাবেই মনে না করেন যে তাঁদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।’

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা তাঁদের (ব্যবসায়ী) নিশ্চয়তা দিতে চাই, আপনাদের আইনানুগ করটাই দিতে হবে। এর বেশি কিছু না। আপনারা যদি নিয়মিত কর দেন, তাহলেই দেশটা এগোবে। আমরা দেশকে যে জায়গায় নিতে চাই, সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারব।’

করছাড়ের জন্য রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে আমাদের অনেক করছাড় দিতে হয়েছে। বিশেষ করে চিনি, সয়াবিন, চাল, আলু, ডিম—এগুলোতে যে করছাড় দিয়েছি, এর কারণে গত কয়েক মাসে কর আহরণ কম হয়েছে।’

আবদুর রহমান খান বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে, যেগুলোতে আমরা তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নিতে পারি, সরাসরি তুলে দিতে (করছাড়) পারি, সেগুলো নিয়ে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। নীতি সিদ্ধান্তের অনেক বিষয় আছে, সেগুলো আলাপ-আলোচনার বিষয় আছে।’

করছাড় প্রত্যাহার বা নীতি বাস্তবায়ন জোর করে সম্ভব নয় বলে মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘১৯৫১ সালে ভ্যাট আইন হওয়ার পরে ২০১২ সালে আমরা নতুন আইন করলাম। কিন্তু, সেটা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ব্যবসায়ীদের আস্থায় এনেই বাস্তবায়ন করতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেব না। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করব।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিঙ্গেল রেটে ভ্যাট দিতে পারলে ভালো হয়, এতে লিকেজ (ফাঁকি) অনেক কমে যায়। এটা পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়। অবশ্যই চেষ্টা করব। যে জায়গাগুলোতে ছাড় দেওয়া আছে, সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। এখনই নয়, যে মনে হলো আর তুলে নিলাম। যাদের জন্য এটা করা, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই করব।

করছাড় দিয়েও নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব পণ্যের করছাড় দিয়েছি, সেগুলো তাৎক্ষণিক প্রচার করেছি। আপনারাই প্রচার করেছেন। জনগণ এটা জানে না, তা ঠিক নয়। আবার যে রকম সুফল আমরা আশা করেছিলাম, সে রকম পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু জায়গায় পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিমের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার পর আমদানি যখন হলো, তখন ১৮০ টাকা ডজনে উঠে যাওয়া দাম সেটা এখন ১৪০ টাকায় নেমেছে। চিনির ক্ষেত্রেও দাম কমেছে। সয়াবিনের ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক ছাড় দিয়েছি, তবে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের কথা হলো—আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেছে অনেক, সে কারণে তাঁরা আগের দামে পণ্য সরবরাহ করছেন না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে দাম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, সেটা কম বলছেন তাঁরা। এটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। অচিরেই দেখতে পাবেন।’

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দীর্ঘদিন সমন্বয় না করাকে দায়ী করেছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, তার যে প্রভাব হঠাৎ করে পড়ল, ৮০ টাকার ডলার ১২০ টাকা হয়ে গেল, যেগুলো আমদানি পণ্য, সেগুলো ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি একবারে হয়ে গেছে। আগে থেকেই যদি সমন্বয় করতাম, তাহলে অল্প অল্প করে দাম বাড়ত, জনসাধারণের এত ভোগান্তি হতো না। এই জায়গা বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। অতীতের কথা বলে লাভ নেই। ভবিষ্যতে সেই চেষ্টা করা হবে।

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় যে সিন্ডিকেট এবং ব্যবসা-বাণিজ্য যে হার্ডল আছে, সেগুলো দূর করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। সাংবাদিক বন্ধুরাও কাজ করছে। এমনকি আমাদের জনগণেরও সেখানে আওয়াজ তোলার সময় এসেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদ্‌যাপন করা হবে। ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর থেকে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এবারের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে’।

এনবিআর বলছে, এই স্লোগানে মূলত ভ্যাট প্রদানে জনগণের ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁদের অবদানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণের ভ্যাট প্রদান ও দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ এই স্লোগানের মূল উপজীব্য। স্লোগানের মাধ্যমে এও প্রকাশ পায় যে ভ্যাট একটি ব্যাপকভিত্তিক কর ব্যবস্থা।

এনবিআরের প্রত্যাশা, এসব প্রচারণামূলক কার্যক্রম দেশে কর-সংস্কৃতি নির্মাণে যথেষ্ট সহায়ক হবে, যা উত্তরোত্তর ভ্যাট আদায় বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এর ধারাবাহিকতায় সম্পন্ন হবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন। একটি সুখী, সুন্দর সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় চার দিনের আবাসন মেলার শুরু বুধবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেলার তথ্য জানায় রিহ্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেলার তথ্য জানায় রিহ্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজনে ঢাকায় চার দিনব্যাপী আবাসন মেলা ‘রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫’ আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত এবারের মেলায় আবাসন, নির্মাণসামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ২২০টি স্টল থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করেন আয়োজকেরা।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় রিহ্যাব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রিহ্যাব পরিচালক ও মিডিয়া স্টানিং কমিটির চেয়ারম্যান লাবিব বিল্লাহ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় মোট ২২০টি স্টল থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে চারটি ডায়মন্ড স্পনসর, সাতটি গোল্ড স্পনসর, ১০টি কো-স্পনসর, ১৪টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রতিষ্ঠান ও ১২টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। প্রবেশ টিকিটের মূল্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা ও মাল্টিপল এন্ট্রি ১০০ টাকা। টিকিট বিক্রির সম্পূর্ণ অর্থ রিহ্যাবের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন রাত ৯টায় র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

রিহ্যাব নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০২৫ আবাসন খাতে নতুন গতি আনবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবাসন খাত শুধু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করছে না; বরং সরকারের রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রড-সিমেন্টসহ ২০০টির বেশি লিংকেজ শিল্পের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে নির্মাণ খাতের অবদান জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২ কোটি মানুষ।

রিহ্যাব নেতারা বলেন, রিহ্যাব ফেয়ার ক্রেতাদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এক ছাদের নিচে ফ্ল্যাট ও প্লট কেনাবেচা, গৃহঋণ সুবিধা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক নির্মাণসামগ্রী যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ব্যস্ত জীবনে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে এ মেলা ক্রেতাদের জন্য সময় ও সিদ্ধান্ত নেওয়াকে সহজ করে।

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, নতুন ড্যাপ ও ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা, ২০২৫-এ পুরোনো জটিলতা ও বৈষম্য অনেকাংশে দূর করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ ও বিধিমালা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং আবাসন খাতকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল করবে।

তিন দিন ছুটি থাকায় এবারের মেলায় লোকসমাগম অনেক বাড়বে—এমন প্রত্যাশা করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এই ফেয়ার শুধু একটি প্রদর্শনী নয়; এটি ক্রেতা ও ডেভেলপারদের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প মান, অবস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রিহ্যাব ফেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: স্মার্টফোনে নগদ সহায়তা ইন্টারনেটে ছাড়ের প্রস্তাব

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নগদবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্টফোন কেনা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিউআর কোড চালু থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে এই নতুন উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সিমের ওপর কর ও ভ্যাট কমানোর বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, নগদবিহীন লেনদেন প্রসারে একক ও আন্তসংযোগ-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম চালুর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হন অংশগ্রহণকারীরা। প্রস্তাবগুলো পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত আকারে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘বাংলা কিউআর’ চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাপ ব্যবহার করে নগদবিহীন লেনদেন শুরু হয়। বর্তমানে এই ব্যবস্থায় ৪৩টি ব্যাংক, ৫টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ৩টি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) যুক্ত রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অভাব, সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট ব্যয় এবং অতিরিক্ত চার্জের কারণে প্রান্তিক ও সাধারণ গ্রাহকদের বড় একটি অংশ এই ব্যবস্থার বাইরে রয়ে গেছে।

এই বাস্তবতায় স্মার্টফোন কেনায় নগদ সহায়তা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। পাশাপাশি মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাকে সাশ্রয়ী করতে অপারেটরদের জন্য ভ্যাট ও করছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।

সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের খুচরা লেনদেনের অন্তত ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে সব ধরনের লেনদেন ক্যাশলেস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’-এর চার স্তম্ভ—স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ বাস্তবায়নের অংশ। এই লক্ষ্যে ব্যাংক, এমএফএস, মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেমেন্ট সেবাদাতাকে একটি একক আন্তসংযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনার কাজ চলছে। ইন্টারঅপারেবিলিটি পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সহজে টাকা আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরিই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশকে ক্যাশলেস করতে হলে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছাতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য বিশেষ সুবিধাও দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শিগগির সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টা ‘রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেম’ চালুর কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পেমেন্ট সিস্টেম প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে এখনো ৭২ শতাংশের বেশি লেনদেন নগদে হচ্ছে। যদিও ছোট ও মাঝারি অঙ্কের লেনদেনে ডিজিটাল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি নিশ্চিত করা ছাড়া ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়া সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নগদনির্ভরতা কমাতে হলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। একবার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে মুদ্রণ ব্যয়সহ আর্থিক ব্যবস্থাপনার খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাশ ইজ কিং’ ধারণা এখনো বাস্তবতা। দেশের অধিকাংশ লেনদেন অনানুষ্ঠানিক খাতে হয়। এসব খাতকে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার আওতায় না আনলে ক্যাশলেস সমাজ গড়া কঠিন। নগদে স্বচ্ছন্দ থাকার পুরোনো মানসিকতার কারণে এই রূপান্তরে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অর্থবছরের ৫ মাস: রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৩
অর্থবছরের ৫ মাস: রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি
ছবি: সংগৃহীত

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সব খাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা (অটোমেশন) চালুর উদ্যোগের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়তি তৎপরতা সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। প্রতিমাসে রাজকোষের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে ঘাটতির ব্যবধান স্পষ্ট হচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা বজায় আছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ১৩.৮৯ শতাংশ।

তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো—রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি হয়েছে ১৫.১৫ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে সাধারণত আদায় বাড়ে। করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন জোরদার করা এবং ফাঁকি প্রতিরোধে এনবিআর সক্রিয়।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব, কাঠামোগত দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাব সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া অর্থবছরের মাঝপথে লক্ষ্যমাত্রা একলাফে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর কারণে বাস্তবতার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ব্যবধান আরও প্রকট হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। তবে ১০ নভেম্বর বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি তা ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে। ফলে বাকি সাত মাসে এনবিআরকে ৪ লাখ ৫ হাজার ২৪ কোটি টাকা আদায় করতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকে। প্রধান কারণ হলো এনবিআরের সক্ষমতার চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। মানবসম্পদ, কারিগরি দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা পর্যাপ্ত নয়; পাশাপাশি করদাতা এবং করযোগ্য ব্যক্তির মধ্যে বড় ব্যবধান রয়েছে, কর ফাঁকিও প্রচুর। বর্তমান ব্যবসায়িক মন্দা, খরচ বৃদ্ধি, আয় হ্রাস এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়াও রাজস্ব আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানো, অটোমেশন ও সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করলে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে আদায় বাড়ানো সম্ভব।

সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, এনবিআরের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি প্রশাসনিক পদে বড় রদবদলের কারণে কার্যক্রম গোছাতে কিছুটা সময় লাগা স্বাভাবিক।

রাজস্ব খাত অনুযায়ী, ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। প্রথম পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা; ঘাটতি ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৬.১৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৯৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে আয়কর খাতে। আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি, লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি ২৫ লাখ; ঘাটতি ২০.১৯ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ। কাস্টমস বা শুল্ক খাতে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি ৫৬ লাখ; ঘাটতি ১৫.৯১ শতাংশ, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.২৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার অপরিহার্য। এনবিআরের মানবসম্পদ, প্রযুক্তি ব্যবহার, প্রক্রিয়ার সরলীকরণ এবং অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আদালতের রায়ে ইতিহাস গড়লেন ইলন মাস্ক, সম্পদ ছাড়াল ৭০০ বিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৪
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত
টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

পে প্যাকেজ বা বেতন-ভাতাসংক্রান্ত একটি মামলার রায়ের পর টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের সম্পদ গত শুক্রবার রাতে ৭৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।

ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট মাস্কের ১৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলা স্টক অপশনগুলো পুনর্বহাল করার পরই তাঁর সম্পদে এই বিশাল উল্লম্ফন দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত বছর আদালত এই সুবিধাগুলো বাতিল করেছিলেন।

২০১৮ সালে মাস্কের যে বেতন প্যাকেজের মূল্য ৫৬ বিলিয়ন ডলার ছিল, সেটিই গত শুক্রবার ডেলাওয়্যার সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করেন। এর দুই বছর আগে নিম্ন আদালত ওই পারিশ্রমিক চুক্তিকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ২০২৪ সালে দেওয়া যে সিদ্ধান্তে বেতনের প্যাকেজটি বাতিল করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না এবং মাস্কের প্রতি অন্যায্য ছিল।

এর আগে চলতি সপ্তাহে মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন প্রতিবেদনের পর মাস্কের সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।

এদিকে গত নভেম্বরে টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা আলাদাভাবে মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পারিশ্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।

এটি করপোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ। বিনিয়োগকারীরা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিকসভিত্তিক এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে মাস্কের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান।

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, মাস্কের বর্তমান সম্পদমূল্য গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের চেয়ে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বেশি। ল্যারি পেজ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত