শিশির ভট্টাচার্য

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
বাঙালি জাতি যে কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি, দুর্নীতি তার একমাত্র কারণ না হলেও অন্যতম কারণ তো বটেই। অর্থের জোগান নয়, আমি মনে করি, যেকোনো অর্থনীতির প্রধান সমস্যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, যার অন্যতম লক্ষণ বেহিসাব ও দুর্নীতি। হিসাবের গরুকে বাঘে খায় না। বারো ভূতে বা বারো বাঘে বাংলাদেশের বেহিসাবের গরু খেয়ে নিচ্ছে।
চালুনি জিনিসটা কাজের অবশ্যই, কিন্তু তেল বা জল জমিয়ে রাখার জন্য নয়। দুর্নীতিপ্রবণ সমাজও চালুনির মতো। উন্নয়নের সুবিধাটুকু এখানে অনর্থক অপচয় ও নষ্ট হয়।
দুই রকমের চোর ছিল প্রাচীন ভারতবর্ষে: প্রকাশ চোর ও অপ্রকাশ চোর। চাণক্য খান বিশেক রকমের অপ্রকাশ চোরের উল্লেখ করেছেন অর্থশাস্ত্রে। প্রকাশ্যে চুরি-ছিনতাই যারা করত, তাদের বলা হতো প্রকাশ চোর। আমলা-পুলিশের মতো গোপনে যারা ঘুষ খেত, তাদের বলা হতো অপ্রকাশ চোর। কোন চুরি সমাজের বেশি ক্ষতি করে? প্রকাশ্য চুরি, নাকি অপ্রকাশ্য চুরি?
‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’, ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?’, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ যুগান্তরের ইত্যাদি বাংলা প্রবাদ প্রমাণ করে যে বাঙালি সমাজে অতীতেও দুর্নীতি ছিল। ব্রিটিশরাজ যখন ভারতবর্ষে প্রথম দারোগা নিয়োগ করে, দারোগার নাকি বেতন ছিল না। একে মেরে, ওকে ধরে দারোগাকে নিজের আয়ের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হতো। দারোগার এতটাই প্রতাপ ছিল যে গ্রামের এক অশিক্ষিতা, সরল বৃদ্ধা একবার কোর্টে সুবিচার পেয়ে এক জজকে নাকি আশীর্বাদ করে বলেছিল: ‘বাবা, প্রমোশন পেয়ে তুমি দারোগা হও!’ আধুনিক ভারতবর্ষে দুর্নীতির শুরুই সম্ভবত বাঙালিকে দিয়ে। প্রথম ক্যালকাটা করপোরেশনে নাকি এত দুর্নীতি হয়েছিল যে লোকে সেটাকে ‘ক্যালকাটা চোরপোরেশন’ বলত।
গুরু, লঘু ও মাঝারি—দুর্নীতি তিন প্রকার। প্রশান্ত হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা মেরে ফেরার হয়েছেন। এটা গুরু দুর্নীতির উদাহরণ। পিয়ন আপনার হাতে চিঠি দিয়ে বকশিশের জন্য হাত কচলাচ্ছেন। এটা লঘু দুর্নীতির নমুনা। ধরা যাক, ঢাকা নিউমার্কেটে ফুটপাতের অতি দুস্থ এক চা-দোকানিকে মাসে কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা ঘুষ বা তোলা গুনতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষক দল এবং যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের ধামাধরা ছাত্রসংগঠনকে দিতে হয় এই টাকা। এটা মাঝারি দুর্নীতির উদাহরণ।
গুরু দুর্নীতিবাজেরা যেকোনো সরকারের কাছের লোক হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে হাতেনাতে ধরা পড়লেও বেশির ভাগ সময় তারা অধরা থেকে যায়। এদের কারণে এবং এদের প্রতি সরকারের সমর্থন কিংবা কৌশলগত উদাসীনতার কারণে লঘু দুর্নীতি সমাজে ছড়িয়ে যায়। বড়কে দেখেই তো ছোটরা শেখে।
গুরু দুর্নীতি সমাজের গুরুতর ক্ষতি করে সন্দেহ নেই, এই উভয় প্রকার দুর্নীতিই দমন করার বিকল্প নেই সেটাও সত্য, কিন্তু আমার মতে, লঘু দুর্নীতি গুরুতর বিপদের কারণ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয় লঘু ও মাঝারি দুর্নীতি, ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো খেয়ে ফোকলা করে দেয় সমাজকাঠামোকে।
উপরিকাঠামো ফিটফাট আছে বলে মনে হলেও ভেতর থেকে সমাজ এতটাই ধসে যায় যে সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সভ্য দেশে সমাজের উচ্চপর্যায়ে গুরু দুর্নীতি আছে, জাপান ও কোরিয়ার মতো দেশেও আছে। কিন্তু এসব দেশে সমাজের সর্বস্তরে লঘু ও মাঝারি দুর্নীতি দুরারোগ্য কর্কট রোগের মতো ছড়িয়ে যায়নি, যেমনটা হয়েছে বাংলাদেশে, গত ১০০ বছরে বা তারও আগে থেকে।
যেহেতু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই, সেহেতু বাংলাদেশের সর্বস্তরে দুর্নীতির বীজতলা তৈরি হয়েই আছে। কাজি-কায়স্থ-কোতোয়ালের মতো অতি ‘ঘুষপ্রবণ’ পেশাগুলোতে ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিবরণ দেখলেই এই সত্য উঠে আসবে। দেখা যাবে, মাসিক বেতন ৫০ হাজার, কিন্তু মাসিক খরচ দেড়-দুই লাখ। স্ত্রী-পুত্র, পিতা-মাতা কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই যে তারা হারামের টাকায় শরীর-মন পুষ্ট করছে। ‘সুই বলে চালুনিরে, তোর পিছনে ফুটা!’ বাংলাদেশে এক ঘুষখোর আরেক ঘুষখোর সম্পর্কে বলে: ‘আমি তো সৎ থেকে কিছুই করতে পারলাম না এই জীবনে। ওমুকের তো চোখের লজ্জাটুকুও নাই’!
শূন্য দুর্নীতি আকাশকুসুম কল্পনা। লক্ষ রাখতে হবে, দুর্নীতি যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। দুর্নীতি দমনের অন্যতম উপায় সব গরুকে হিসাবের আওতায় আনা। হিসাব থাকলে চুরি হলেও জানা যাবে, ঠিক কত টাকা চুরি হয়েছে বা হচ্ছে।
কার কত আয়, সরকারকে কম–বেশি জানতে হবে। নাগরিকমাত্রেরই একটি টিন নম্বর থাকবে, থাকতে হবে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর, তিনি রাস্তার অতি নগণ্য ফুচকা বিক্রেতাই হোন না কেন, কমপক্ষে একটা ট্রেড লাইসেন্স থাকতেই হবে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রকার পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধ। ট্রেড লাইসেন্সের ফি ছাড়াও ব্যবসায়ীকে প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।
প্রশ্ন হতে পারে, এই টাকা অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোথায় পাবেন? যে পরিমাণ টাকা তোলাবাজ বা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি মাসে (একেক এলাকায় একেক রকম তোলা সংস্কৃতি বাংলাদেশে!), সেই পরিমাণ বা তার চেয়ে কম পরিমাণ টাকা ফি হিসেবে দিতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
এই ব্যবস্থায় গরিবের টাকা সরকারের তহবিলে আসবে, ভুঁইফোড় মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে যাবে না। বছরে যে ব্যবসায়ী ৭২ হাজার টাকা তোলা বা ঘুষ দিতে সক্ষম, তিনি বছরে কমবেশি ১২ হাজার টাকা আয়কর দিতে আপত্তি করবেন না নিশ্চয়ই। ব্যবসায়ীরা সাধারণত বলেন যে ঘুষ–তোলা বন্ধ হলে আইনসংগতভাবে সরকারকে টাকা দিতে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। টাকাটা এখনো তাঁরা দিচ্ছেন, বহুগুণ বেশিই দিচ্ছেন, কিন্তু সরকারের খাতায় টাকাটা আসছে না, বারো ভূতে লুটে খাচ্ছে।
চোরা কি ধর্মের কাহিনি শুনবে? প্রশ্ন করতে পারেন কেউ। আমার উত্তর: ব্যর্থতাটা চোরের নয় নয়, ধর্মের।
দুর্নীতিকে সামাজিকভাবে ঘৃণার সংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতিকে উপজীব্য করে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন-নাটক-সিনেমা নিয়মিত প্রচার করা যেতে পারে। প্রতিটি ব্যাংকের দেয়ালে ঋণখেলাপিদের ছবি ও নামসহ তালিকা টাঙিয়ে রাখলে কেমন হয়?
চোরাকে শোনানো হোক রাষ্ট্রধর্মের কাহিনি। দুর্নীতি দমনে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারেন ধর্মগুরুরা। সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সমাজ ও ধর্মের উপযুক্ত ‘হেফাজত’ করতে পারেন তাঁরা।
তবে ‘সরিষায় ভূত’ যুগান্তরের বাঙালি প্রবাদ এবং ধর্মগুরুরা সবাই যে ‘মামুন’ (আরবি শব্দ। অর্থ ‘বিশ্বস্ত’) নন, তাও আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি বটে।
দুর্নীতি দূর করতে হলে দুর্নীতিকে অপ্রয়োজনীয়, অগ্রহণীয় করে তুলতে হবে। বাংলাদেশের বেতনকাঠামো কেন অন্ততপক্ষে পাকিস্তান বা ভারতের সমান হবে না? এমন বেতন দিতে হবে, যাতে উপরি আয় ছাড়াই নাগরিকেরা সাদামাটাভাবে খেয়ে–পরে চলতে পারে। দ্রব্যমূল্যের ওপরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে বৈকি। ‘বাড়িভাড়া, রিকশাভাড়াসহ সব জিনিসপত্রের দামের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে! তা যদি না করতে পারে, তো সরকার ব্যর্থ! দাম এমন উল্টাপাল্টা বাড়লে আমরা তো বাঁচবার পারি না।
গরিবের কথা সরকার না ভাবলে আর কে ভাববে?’ কথাটা বলেছিলেন এক অশিক্ষিত রিকশাচালক। হয়তো একটু বেশিই দাবি করছেন তিনি সরকারের কাছে, কিন্তু কথাটার মধ্যে সত্য যে একেবারে নেই, তা তো নয়। ‘সরকারের কাজই হইল গিয়া (প্রয়োজনে) নিয়ন্ত্রণ করা। (দরকারমতো) নিয়ন্ত্রণই যদি না করতে পারল, তবে সরকার থাইকা কী লাভ?’ নিউমার্কেটে আমাকে নামিয়ে দিয়ে রিকশাওয়ালা বলেন।
বেতন বাড়লে অর্থনীতির ক্ষতি যত, লাভ তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। কম বেতন শ্রমিককে অতি দুর্বল করে, মালিককে অতি সবল করে, আখেরে পুরো জাতিকে অতি দুর্বল করে দেয়। বেতন বেশি হলে বাজারচক্রে বেশি টাকা প্রবেশ করবে এবং বেশি মূলধন সৃষ্টি হবে। বেতন বেশি হলে বেতনভোগীর আয়করও বেশি হবে। সৎভাবে উপার্জিত অর্থ কোনো প্রকার মনোবেদনা ছাড়াই খরচ করবে মানুষ খাদ্য, বিনোদন, সন্তানের শিক্ষা ও ভ্রমণে। এতে সমাজে বিচিত্র সেবা ও পেশার সৃষ্টি হবে, বিদ্যমান পেশা ও সেবার সমৃদ্ধি হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সামগ্রিকভাবে জাতির মান বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে যে লেবেঞ্চুস খাওয়ার বেতন দেয় সরকার, তা সৎ মানুষকে স্বস্তিতে থাকতে দেয় না এবং অসৎকে অধিকতর অসৎ হতে প্রণোদনা দেয়। উপযুক্ত বেতন দিলে দুর্নীতিবাজের কাছে জবাবদিহি দাবি করতে পারত সমাজ। লেবেঞ্চুসের বেতন দিলে দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন করার মতো নৈতিক ভিত্তিটাই সমাজের থাকে না।
কী বললেন, টাকা নেই? ‘মানি ইজ নো প্রবলেম! বাট আই উইল মেক পলিটিকস ডিফিকাল্ট!’ বাংলাদেশের এক পাতাবাহার রাষ্ট্রপ্রধান বলেছিলেন বটে এমন কথা। হলমার্ক না কোন এক কোম্পানি কয়েক বছর আগে যখন কয়েক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছিল, তখন ‘এটা কোনো টাকাই না!’ বলেছিলেন বাংলাদেশের বয়োবৃদ্ধ, ঝানু অর্থমন্ত্রী।
আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নাকি উপচে পড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের নারকীয় গরমে মরুভূমিতে মাথার ঘাম শাবলে ফেলে এই রিজার্ভ বাড়াচ্ছে লাখ লাখ আম বাঙালি। প্রবাদ আছে: ধন গোবরের মতো, এক জায়গায় জমিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ বের হয়, খেতে ছড়িয়ে দিলে ফসল ফলে। রিজার্ভে টাকা যদি থেকেই থাকে, তবে সতর্কতা, বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনার সঙ্গে সেই সম্পদ দেশের মানুষের নগদ অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজনমতো ব্যক্তির আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে। সঠিক রাজনীতি মূলত রাষ্ট্রের সম্পদের সুষম বণ্টন ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশে সম্পদ আছে, কিন্তু সেই সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না এবং সে কারণে টেকসই উন্নয়নও থেমে আছে।
অস্থাবর সম্পদ খামাখা জমিয়ে রাখলে আখেরে বিপদেরও সম্ভাবনা থাকে। ‘নেপোয় মারে দই!’ ফিলিপাইনের কোনো হ্যাকার নেপো কখন যে দেশি নেপোদের সহায়তায় রিজার্ভের দই আবারও ‘মেরে দেবে না’, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তার চেয়ে বরং আমরা খেয়ে মরি না কেন, বিশেষ করে এই করোনার আকালে, যখন কিনা কার কখন শ্বাস উঠবে (আক্ষরিক অর্থে) তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই।
দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সামাজিক মিডিয়ার বিকল্প নেই। দুর্নীতির যাবতীয় খবর সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হতে দেওয়া হোক এবং সরকার সামাজিক মিডিয়াসহ সব মিডিয়ায় কড়া নজর রাখুক। প্রকৃত অপরাধীকে আটক করা হোক এবং নিরপরাধকে স্বস্তি ও শান্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। বন্ধনে নয়, মুক্তিতেই স্বস্তি ব্যক্তির, সমাজের এবং রাষ্ট্রের—এই সত্য আমাদের সরকারগুলো কবে বুঝবে? তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সামাজিক মিডিয়া অধিদপ্তর গঠনের প্রয়োজনীয়তা এখনই অনুভূত হচ্ছে।
আর্থরাজনীতিতে অনধিকারী আমার কথাটি আপাতত ফুরোল। অধিকারী সরকার সদিচ্ছা থাকলে একে একে নটে গাছগুলো মুড়োতে শুরু করুক। পথ আটকে থাকা সমস্যা পর্বতপ্রমাণ, কিন্তু কোদাল দিয়ে একটানা কোপাতে শুরু করলে যেকোনো পর্বতই একসময় পথ করে দিতে বাধ্য হয়—এমন গল্প নামমাত্র মূল্যে কেনা মাও সেতুংয়ের লাল বইয়ে কিশোর বয়সে পড়েছিলাম বটে। খাওবাদী এই যুগে এসব তামাদি হয়ে যাওয়া মাওবাদী আলাপের কি আর কোনো মূল্য আছে? সুহৃদ কুদরাত–এ–খুদা যেমন বলে থাকেন, উলুবনে মুক্তাই হয়তো ছড়ালাম আবার, বরাবরের মতো।
শিশির ভট্টাচার্য
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
বাঙালি জাতি যে কাঙ্ক্ষিত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি, দুর্নীতি তার একমাত্র কারণ না হলেও অন্যতম কারণ তো বটেই। অর্থের জোগান নয়, আমি মনে করি, যেকোনো অর্থনীতির প্রধান সমস্যা সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, যার অন্যতম লক্ষণ বেহিসাব ও দুর্নীতি। হিসাবের গরুকে বাঘে খায় না। বারো ভূতে বা বারো বাঘে বাংলাদেশের বেহিসাবের গরু খেয়ে নিচ্ছে।
চালুনি জিনিসটা কাজের অবশ্যই, কিন্তু তেল বা জল জমিয়ে রাখার জন্য নয়। দুর্নীতিপ্রবণ সমাজও চালুনির মতো। উন্নয়নের সুবিধাটুকু এখানে অনর্থক অপচয় ও নষ্ট হয়।
দুই রকমের চোর ছিল প্রাচীন ভারতবর্ষে: প্রকাশ চোর ও অপ্রকাশ চোর। চাণক্য খান বিশেক রকমের অপ্রকাশ চোরের উল্লেখ করেছেন অর্থশাস্ত্রে। প্রকাশ্যে চুরি-ছিনতাই যারা করত, তাদের বলা হতো প্রকাশ চোর। আমলা-পুলিশের মতো গোপনে যারা ঘুষ খেত, তাদের বলা হতো অপ্রকাশ চোর। কোন চুরি সমাজের বেশি ক্ষতি করে? প্রকাশ্য চুরি, নাকি অপ্রকাশ্য চুরি?
‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’, ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?’, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ যুগান্তরের ইত্যাদি বাংলা প্রবাদ প্রমাণ করে যে বাঙালি সমাজে অতীতেও দুর্নীতি ছিল। ব্রিটিশরাজ যখন ভারতবর্ষে প্রথম দারোগা নিয়োগ করে, দারোগার নাকি বেতন ছিল না। একে মেরে, ওকে ধরে দারোগাকে নিজের আয়ের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হতো। দারোগার এতটাই প্রতাপ ছিল যে গ্রামের এক অশিক্ষিতা, সরল বৃদ্ধা একবার কোর্টে সুবিচার পেয়ে এক জজকে নাকি আশীর্বাদ করে বলেছিল: ‘বাবা, প্রমোশন পেয়ে তুমি দারোগা হও!’ আধুনিক ভারতবর্ষে দুর্নীতির শুরুই সম্ভবত বাঙালিকে দিয়ে। প্রথম ক্যালকাটা করপোরেশনে নাকি এত দুর্নীতি হয়েছিল যে লোকে সেটাকে ‘ক্যালকাটা চোরপোরেশন’ বলত।
গুরু, লঘু ও মাঝারি—দুর্নীতি তিন প্রকার। প্রশান্ত হালদার কয়েক হাজার কোটি টাকা মেরে ফেরার হয়েছেন। এটা গুরু দুর্নীতির উদাহরণ। পিয়ন আপনার হাতে চিঠি দিয়ে বকশিশের জন্য হাত কচলাচ্ছেন। এটা লঘু দুর্নীতির নমুনা। ধরা যাক, ঢাকা নিউমার্কেটে ফুটপাতের অতি দুস্থ এক চা-দোকানিকে মাসে কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা ঘুষ বা তোলা গুনতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষক দল এবং যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের ধামাধরা ছাত্রসংগঠনকে দিতে হয় এই টাকা। এটা মাঝারি দুর্নীতির উদাহরণ।
গুরু দুর্নীতিবাজেরা যেকোনো সরকারের কাছের লোক হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে হাতেনাতে ধরা পড়লেও বেশির ভাগ সময় তারা অধরা থেকে যায়। এদের কারণে এবং এদের প্রতি সরকারের সমর্থন কিংবা কৌশলগত উদাসীনতার কারণে লঘু দুর্নীতি সমাজে ছড়িয়ে যায়। বড়কে দেখেই তো ছোটরা শেখে।
গুরু দুর্নীতি সমাজের গুরুতর ক্ষতি করে সন্দেহ নেই, এই উভয় প্রকার দুর্নীতিই দমন করার বিকল্প নেই সেটাও সত্য, কিন্তু আমার মতে, লঘু দুর্নীতি গুরুতর বিপদের কারণ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয় লঘু ও মাঝারি দুর্নীতি, ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো খেয়ে ফোকলা করে দেয় সমাজকাঠামোকে।
উপরিকাঠামো ফিটফাট আছে বলে মনে হলেও ভেতর থেকে সমাজ এতটাই ধসে যায় যে সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সভ্য দেশে সমাজের উচ্চপর্যায়ে গুরু দুর্নীতি আছে, জাপান ও কোরিয়ার মতো দেশেও আছে। কিন্তু এসব দেশে সমাজের সর্বস্তরে লঘু ও মাঝারি দুর্নীতি দুরারোগ্য কর্কট রোগের মতো ছড়িয়ে যায়নি, যেমনটা হয়েছে বাংলাদেশে, গত ১০০ বছরে বা তারও আগে থেকে।
যেহেতু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই, সেহেতু বাংলাদেশের সর্বস্তরে দুর্নীতির বীজতলা তৈরি হয়েই আছে। কাজি-কায়স্থ-কোতোয়ালের মতো অতি ‘ঘুষপ্রবণ’ পেশাগুলোতে ব্যক্তির আয়-ব্যয়ের বিবরণ দেখলেই এই সত্য উঠে আসবে। দেখা যাবে, মাসিক বেতন ৫০ হাজার, কিন্তু মাসিক খরচ দেড়-দুই লাখ। স্ত্রী-পুত্র, পিতা-মাতা কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই যে তারা হারামের টাকায় শরীর-মন পুষ্ট করছে। ‘সুই বলে চালুনিরে, তোর পিছনে ফুটা!’ বাংলাদেশে এক ঘুষখোর আরেক ঘুষখোর সম্পর্কে বলে: ‘আমি তো সৎ থেকে কিছুই করতে পারলাম না এই জীবনে। ওমুকের তো চোখের লজ্জাটুকুও নাই’!
শূন্য দুর্নীতি আকাশকুসুম কল্পনা। লক্ষ রাখতে হবে, দুর্নীতি যেন সীমা ছাড়িয়ে না যায়। দুর্নীতি দমনের অন্যতম উপায় সব গরুকে হিসাবের আওতায় আনা। হিসাব থাকলে চুরি হলেও জানা যাবে, ঠিক কত টাকা চুরি হয়েছে বা হচ্ছে।
কার কত আয়, সরকারকে কম–বেশি জানতে হবে। নাগরিকমাত্রেরই একটি টিন নম্বর থাকবে, থাকতে হবে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর, তিনি রাস্তার অতি নগণ্য ফুচকা বিক্রেতাই হোন না কেন, কমপক্ষে একটা ট্রেড লাইসেন্স থাকতেই হবে। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রকার পণ্য কেনাবেচা নিষিদ্ধ। ট্রেড লাইসেন্সের ফি ছাড়াও ব্যবসায়ীকে প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।
প্রশ্ন হতে পারে, এই টাকা অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোথায় পাবেন? যে পরিমাণ টাকা তোলাবাজ বা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি মাসে (একেক এলাকায় একেক রকম তোলা সংস্কৃতি বাংলাদেশে!), সেই পরিমাণ বা তার চেয়ে কম পরিমাণ টাকা ফি হিসেবে দিতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
এই ব্যবস্থায় গরিবের টাকা সরকারের তহবিলে আসবে, ভুঁইফোড় মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে যাবে না। বছরে যে ব্যবসায়ী ৭২ হাজার টাকা তোলা বা ঘুষ দিতে সক্ষম, তিনি বছরে কমবেশি ১২ হাজার টাকা আয়কর দিতে আপত্তি করবেন না নিশ্চয়ই। ব্যবসায়ীরা সাধারণত বলেন যে ঘুষ–তোলা বন্ধ হলে আইনসংগতভাবে সরকারকে টাকা দিতে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। টাকাটা এখনো তাঁরা দিচ্ছেন, বহুগুণ বেশিই দিচ্ছেন, কিন্তু সরকারের খাতায় টাকাটা আসছে না, বারো ভূতে লুটে খাচ্ছে।
চোরা কি ধর্মের কাহিনি শুনবে? প্রশ্ন করতে পারেন কেউ। আমার উত্তর: ব্যর্থতাটা চোরের নয় নয়, ধর্মের।
দুর্নীতিকে সামাজিকভাবে ঘৃণার সংস্কৃতি চালু করার চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতিকে উপজীব্য করে জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন-নাটক-সিনেমা নিয়মিত প্রচার করা যেতে পারে। প্রতিটি ব্যাংকের দেয়ালে ঋণখেলাপিদের ছবি ও নামসহ তালিকা টাঙিয়ে রাখলে কেমন হয়?
চোরাকে শোনানো হোক রাষ্ট্রধর্মের কাহিনি। দুর্নীতি দমনে অন্যতম হাতিয়ার হতে পারেন ধর্মগুরুরা। সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সমাজ ও ধর্মের উপযুক্ত ‘হেফাজত’ করতে পারেন তাঁরা।
তবে ‘সরিষায় ভূত’ যুগান্তরের বাঙালি প্রবাদ এবং ধর্মগুরুরা সবাই যে ‘মামুন’ (আরবি শব্দ। অর্থ ‘বিশ্বস্ত’) নন, তাও আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি বটে।
দুর্নীতি দূর করতে হলে দুর্নীতিকে অপ্রয়োজনীয়, অগ্রহণীয় করে তুলতে হবে। বাংলাদেশের বেতনকাঠামো কেন অন্ততপক্ষে পাকিস্তান বা ভারতের সমান হবে না? এমন বেতন দিতে হবে, যাতে উপরি আয় ছাড়াই নাগরিকেরা সাদামাটাভাবে খেয়ে–পরে চলতে পারে। দ্রব্যমূল্যের ওপরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে বৈকি। ‘বাড়িভাড়া, রিকশাভাড়াসহ সব জিনিসপত্রের দামের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে! তা যদি না করতে পারে, তো সরকার ব্যর্থ! দাম এমন উল্টাপাল্টা বাড়লে আমরা তো বাঁচবার পারি না।
গরিবের কথা সরকার না ভাবলে আর কে ভাববে?’ কথাটা বলেছিলেন এক অশিক্ষিত রিকশাচালক। হয়তো একটু বেশিই দাবি করছেন তিনি সরকারের কাছে, কিন্তু কথাটার মধ্যে সত্য যে একেবারে নেই, তা তো নয়। ‘সরকারের কাজই হইল গিয়া (প্রয়োজনে) নিয়ন্ত্রণ করা। (দরকারমতো) নিয়ন্ত্রণই যদি না করতে পারল, তবে সরকার থাইকা কী লাভ?’ নিউমার্কেটে আমাকে নামিয়ে দিয়ে রিকশাওয়ালা বলেন।
বেতন বাড়লে অর্থনীতির ক্ষতি যত, লাভ তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। কম বেতন শ্রমিককে অতি দুর্বল করে, মালিককে অতি সবল করে, আখেরে পুরো জাতিকে অতি দুর্বল করে দেয়। বেতন বেশি হলে বাজারচক্রে বেশি টাকা প্রবেশ করবে এবং বেশি মূলধন সৃষ্টি হবে। বেতন বেশি হলে বেতনভোগীর আয়করও বেশি হবে। সৎভাবে উপার্জিত অর্থ কোনো প্রকার মনোবেদনা ছাড়াই খরচ করবে মানুষ খাদ্য, বিনোদন, সন্তানের শিক্ষা ও ভ্রমণে। এতে সমাজে বিচিত্র সেবা ও পেশার সৃষ্টি হবে, বিদ্যমান পেশা ও সেবার সমৃদ্ধি হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সামগ্রিকভাবে জাতির মান বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশে যে লেবেঞ্চুস খাওয়ার বেতন দেয় সরকার, তা সৎ মানুষকে স্বস্তিতে থাকতে দেয় না এবং অসৎকে অধিকতর অসৎ হতে প্রণোদনা দেয়। উপযুক্ত বেতন দিলে দুর্নীতিবাজের কাছে জবাবদিহি দাবি করতে পারত সমাজ। লেবেঞ্চুসের বেতন দিলে দুর্নীতির ব্যাপারে প্রশ্ন করার মতো নৈতিক ভিত্তিটাই সমাজের থাকে না।
কী বললেন, টাকা নেই? ‘মানি ইজ নো প্রবলেম! বাট আই উইল মেক পলিটিকস ডিফিকাল্ট!’ বাংলাদেশের এক পাতাবাহার রাষ্ট্রপ্রধান বলেছিলেন বটে এমন কথা। হলমার্ক না কোন এক কোম্পানি কয়েক বছর আগে যখন কয়েক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছিল, তখন ‘এটা কোনো টাকাই না!’ বলেছিলেন বাংলাদেশের বয়োবৃদ্ধ, ঝানু অর্থমন্ত্রী।
আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নাকি উপচে পড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের নারকীয় গরমে মরুভূমিতে মাথার ঘাম শাবলে ফেলে এই রিজার্ভ বাড়াচ্ছে লাখ লাখ আম বাঙালি। প্রবাদ আছে: ধন গোবরের মতো, এক জায়গায় জমিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ বের হয়, খেতে ছড়িয়ে দিলে ফসল ফলে। রিজার্ভে টাকা যদি থেকেই থাকে, তবে সতর্কতা, বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনার সঙ্গে সেই সম্পদ দেশের মানুষের নগদ অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রয়োজনমতো ব্যক্তির আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে। সঠিক রাজনীতি মূলত রাষ্ট্রের সম্পদের সুষম বণ্টন ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশে সম্পদ আছে, কিন্তু সেই সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না এবং সে কারণে টেকসই উন্নয়নও থেমে আছে।
অস্থাবর সম্পদ খামাখা জমিয়ে রাখলে আখেরে বিপদেরও সম্ভাবনা থাকে। ‘নেপোয় মারে দই!’ ফিলিপাইনের কোনো হ্যাকার নেপো কখন যে দেশি নেপোদের সহায়তায় রিজার্ভের দই আবারও ‘মেরে দেবে না’, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তার চেয়ে বরং আমরা খেয়ে মরি না কেন, বিশেষ করে এই করোনার আকালে, যখন কিনা কার কখন শ্বাস উঠবে (আক্ষরিক অর্থে) তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই।
দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে সামাজিক মিডিয়ার বিকল্প নেই। দুর্নীতির যাবতীয় খবর সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হতে দেওয়া হোক এবং সরকার সামাজিক মিডিয়াসহ সব মিডিয়ায় কড়া নজর রাখুক। প্রকৃত অপরাধীকে আটক করা হোক এবং নিরপরাধকে স্বস্তি ও শান্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। বন্ধনে নয়, মুক্তিতেই স্বস্তি ব্যক্তির, সমাজের এবং রাষ্ট্রের—এই সত্য আমাদের সরকারগুলো কবে বুঝবে? তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সামাজিক মিডিয়া অধিদপ্তর গঠনের প্রয়োজনীয়তা এখনই অনুভূত হচ্ছে।
আর্থরাজনীতিতে অনধিকারী আমার কথাটি আপাতত ফুরোল। অধিকারী সরকার সদিচ্ছা থাকলে একে একে নটে গাছগুলো মুড়োতে শুরু করুক। পথ আটকে থাকা সমস্যা পর্বতপ্রমাণ, কিন্তু কোদাল দিয়ে একটানা কোপাতে শুরু করলে যেকোনো পর্বতই একসময় পথ করে দিতে বাধ্য হয়—এমন গল্প নামমাত্র মূল্যে কেনা মাও সেতুংয়ের লাল বইয়ে কিশোর বয়সে পড়েছিলাম বটে। খাওবাদী এই যুগে এসব তামাদি হয়ে যাওয়া মাওবাদী আলাপের কি আর কোনো মূল্য আছে? সুহৃদ কুদরাত–এ–খুদা যেমন বলে থাকেন, উলুবনে মুক্তাই হয়তো ছড়ালাম আবার, বরাবরের মতো।
শিশির ভট্টাচার্য
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ক্যাশলেস সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সালের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক নাদিম নেওয়াজ।
নাদিম নেওয়াজ

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
২৭ জুন ২০২১
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
দেশের ক্রেডিট কার্ড বাজারে সিটি ব্যাংক এক নির্ভরযোগ্য নাম, বিশেষ করে একমাত্র আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং অ্যাকুয়ারের ক্ষেত্রে। উদ্ভাবন এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিয়ে নেতৃত্বের আসন মজবুত করেছে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজুল ইসলাম।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

সুশোষিত জাতি মাত্রেই স্বশোষিত। ২০০ বছর ধরে ইংরেজ এবং চব্বিশ বছর ধরে পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে যে পরিমাণ শোষণ করেছে, বাঙালি নিজেকে নিজে তার চেয়ে কম শোষণ করেনি গত ৫০ বছরে।
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫