শরিফুল হাসান

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন সপ্তম স্থানে।
মূলত এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বিদেশ থেকে এই প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। তাদের অবদানে গত ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন (সাড়ে চার হাজার কোটি) মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। রিজার্ভের এমন শক্ত ভিতের কারণে শ্রীলঙ্কার মতো দেশকেও এখন অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে বাংলাদেশ। এ যেন অন্য রকম এক বদলে যাওয়া।
কিন্তু মাত্র পাঁচ দশকে কী করে বদলে গেল বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা ভাবনা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাকশ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসীদের অবদান অনন্য।
এই যে বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল কোনো দেশ নয় তার কারণ প্রবাসীরা। এই করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি অর্থবছরে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আরেকটু সহজ করে বললে বলা যায়, সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশকে এখন যে পরিমাণ ঋণ বা অনুদান দিচ্ছে বা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) যে অর্থ আসছে তার চেয়ে ছয় থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা, যার ওপর ভিত্তি করে দারুণ শক্ত অবস্থানে আছে দেশের অর্থনীতি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যেখানে আছেন প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি। এই দেশটি থেকে প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার আসে। অবশ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আছেন আরব আমিরাতে, সংখ্যাটা অন্তত ১৫ লাখ। এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে তিন থেকে চার লাখ বাংলাদেশি আছেন। মালয়েশিয়াতেও ছয় থেকে সাত লাখ বাংলাদেশি আছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, ব্রুনেই, লেবানন, ইতালি, মরিশাস কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াতেও আছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। মূলত এই দেশগুলো থেকেই বাংলাদেশের প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে।
বাংলাদেশিরা কোন কোন দেশে যায়, সেটা তো শুনলেন কিন্তু কোন জেলা থেকে যায়? বিএমইটির তথ্য বলছে, চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা। গত দেড় দশকে এ জেলা থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক বিদেশে গেছেন। শীর্ষ দশে থাকা বাকি জেলাগুলো হলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনী।
এই জেলাগুলোতে বেড়াতে গেলে বাংলাদেশের অন্য এলাকার সঙ্গে এখানকার পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। ছিমছাম সবুজ গ্রামের ভেতরকার রাস্তাঘাট-বাড়িঘর দেখে মনে হয় উন্নত এক বাংলাদেশ। এই জেলাগুলোর প্রায় সব বাড়ি থেকেই কেউ না কেউ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন।
বিদেশের পাঠানো টাকায় চলে এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতি। শুধু যে প্রবাসীদের পরিবারগুলোই এ টাকা ব্যবহার করে তা নয়, এখানকার পুরো অর্থনীতিই সচল রাখে এ প্রবাসী আয়। কৃষি হোক, মৎস্য কিংবা ছোট-বড় বেশির ভাগ উদ্যোগের পেছনেই আছে প্রবাসীদের বিনিয়োগ।
৬৪ জেলার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকার ১১ থেকে ২০-এ আছে যথাক্রমে লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও হবিগঞ্জ। এর প্রতিটি থেকে গত এক দশকে এক লাখের বেশি লোক বিদেশে গেছেন। তালিকার পরের জেলাগুলো হলো বরিশাল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, যশোর, বগুড়া, কক্সবাজার, পাবনা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়া।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ আয় ও ব্যয় খানা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কম বা ধনী ১০টি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা ও নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
আগেই বলেছি, এই জেলাগুলো থেকেই বিদেশে শ্রম অভিবাসন হয় সবচেয়ে বেশি। তার মানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং প্রবাসী আয় এ জেলাগুলোর অর্থনীতি বদলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ এলাকাগুলোতে নিয়মিতই বিদেশ থেকে টাকা আসছে। এখানকার ব্যাংক, বিনিয়োগ, বাজার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা—সবকিছুতেই প্রবাসীদের মূল অবদান।
শুধু প্রবাসী আয় নয়, নতুন কর্মসংস্থানেও অভিবাসন খাতের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ লোক নতুন করে শ্রমবাজোরে প্রবেশ করে। এদের বেশির ভাগেরেই কর্মসংস্থান হয় বিদেশে।
বিএমইটির তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ছয়-সাত লাখ মানুষ গড়ে বিদেশে যাচ্ছেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক, প্লান্টেশেন, কৃষি, সার্ভিস বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন বাংলাদেশিরা। তবে একটা বিষয় ভীষণ ইতিবাচক। বাংলাদেশিরা খুব দ্রুত কাজ ও ভাষা শিখে যান। এরপর কঠোর পরিশ্রম করে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান।
এত অবদানের পরও প্রবাসীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাস—সবখানেই পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই এর শুরু। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল ও প্রতারক এজেন্সি, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনাবেচা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্র —সবক্ষেত্রে সীমাহীন যন্ত্রণা। দেশের আকাশ পার হলে শুরু হয় বিরূপ প্রকৃতি, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত-কী। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না, দেশে ফিরলেও ভোগান্তি।
পুরোনো এসবের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংকট আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই সংকটটা ছিল মূলত তিন ধরনের। প্রথমত, স্বাভাবিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে লকডাউনে আটকে পড়েছেন লাখখানেকেরও বেশি মানুষ। তৃতীয়ত, কাজ হারিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য কোভিড-১৯ শুধু প্রবাসীদের জীবিকাতেই নয়, আঘাত করেছে জীবনেও৷ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশে আড়াইহাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ পুরোনো তথ্য যোগ করলে, গত এক যুগে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এদের অনেকেই ২৮ কিংবা ৩০ বছর বয়সেও মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেক নারীকর্মীও আছেন।
অবশ্য করোনায় কেবল চাকরি হারানো বা মৃত্যু নয়, আশার কথাও আছে। সারা বিশ্বেই কৃষিসহ নানা খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই এক লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার এখন নতুন করে আগামী দিনগুলোতে কোন খাতের লোক যাবে, তাদের দক্ষতা কী হবে— এসব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারে। বিশেষ করে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি করোনার কারণে যেসব পেশার চাহিদা বেড়েছে, সেসব পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
কোনো সন্দেহ নেই, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবেই।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী শুধু দেশের অর্থনীতি সচল রাখছেন তা নয়, অনেক দূর থেকেও বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছেন লাল-সবুজের জন্য ভালোবাসা। আর পৃথিবীর প্রতিটা দেশে তারাই তো বাংলাদেশের প্রতিনিধি! এই বাংলাদেশের উন্নতির জন্য লাল-সবুজের পাসপোর্টধারী প্রবাসীদের তাই সম্মান জানাতেই হবে। কাজেই স্যালুট এই প্রবাসীদের।
শরিফুল হাসান
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন সপ্তম স্থানে।
মূলত এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বিদেশ থেকে এই প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। তাদের অবদানে গত ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন (সাড়ে চার হাজার কোটি) মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। রিজার্ভের এমন শক্ত ভিতের কারণে শ্রীলঙ্কার মতো দেশকেও এখন অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে বাংলাদেশ। এ যেন অন্য রকম এক বদলে যাওয়া।
কিন্তু মাত্র পাঁচ দশকে কী করে বদলে গেল বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা ভাবনা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাকশ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসীদের অবদান অনন্য।
এই যে বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল কোনো দেশ নয় তার কারণ প্রবাসীরা। এই করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি অর্থবছরে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আরেকটু সহজ করে বললে বলা যায়, সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশকে এখন যে পরিমাণ ঋণ বা অনুদান দিচ্ছে বা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) যে অর্থ আসছে তার চেয়ে ছয় থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা, যার ওপর ভিত্তি করে দারুণ শক্ত অবস্থানে আছে দেশের অর্থনীতি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যেখানে আছেন প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি। এই দেশটি থেকে প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার আসে। অবশ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আছেন আরব আমিরাতে, সংখ্যাটা অন্তত ১৫ লাখ। এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে তিন থেকে চার লাখ বাংলাদেশি আছেন। মালয়েশিয়াতেও ছয় থেকে সাত লাখ বাংলাদেশি আছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, ব্রুনেই, লেবানন, ইতালি, মরিশাস কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াতেও আছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। মূলত এই দেশগুলো থেকেই বাংলাদেশের প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে।
বাংলাদেশিরা কোন কোন দেশে যায়, সেটা তো শুনলেন কিন্তু কোন জেলা থেকে যায়? বিএমইটির তথ্য বলছে, চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা। গত দেড় দশকে এ জেলা থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক বিদেশে গেছেন। শীর্ষ দশে থাকা বাকি জেলাগুলো হলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনী।
এই জেলাগুলোতে বেড়াতে গেলে বাংলাদেশের অন্য এলাকার সঙ্গে এখানকার পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। ছিমছাম সবুজ গ্রামের ভেতরকার রাস্তাঘাট-বাড়িঘর দেখে মনে হয় উন্নত এক বাংলাদেশ। এই জেলাগুলোর প্রায় সব বাড়ি থেকেই কেউ না কেউ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন।
বিদেশের পাঠানো টাকায় চলে এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতি। শুধু যে প্রবাসীদের পরিবারগুলোই এ টাকা ব্যবহার করে তা নয়, এখানকার পুরো অর্থনীতিই সচল রাখে এ প্রবাসী আয়। কৃষি হোক, মৎস্য কিংবা ছোট-বড় বেশির ভাগ উদ্যোগের পেছনেই আছে প্রবাসীদের বিনিয়োগ।
৬৪ জেলার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকার ১১ থেকে ২০-এ আছে যথাক্রমে লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও হবিগঞ্জ। এর প্রতিটি থেকে গত এক দশকে এক লাখের বেশি লোক বিদেশে গেছেন। তালিকার পরের জেলাগুলো হলো বরিশাল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, যশোর, বগুড়া, কক্সবাজার, পাবনা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়া।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ আয় ও ব্যয় খানা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কম বা ধনী ১০টি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা ও নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
আগেই বলেছি, এই জেলাগুলো থেকেই বিদেশে শ্রম অভিবাসন হয় সবচেয়ে বেশি। তার মানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং প্রবাসী আয় এ জেলাগুলোর অর্থনীতি বদলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ এলাকাগুলোতে নিয়মিতই বিদেশ থেকে টাকা আসছে। এখানকার ব্যাংক, বিনিয়োগ, বাজার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা—সবকিছুতেই প্রবাসীদের মূল অবদান।
শুধু প্রবাসী আয় নয়, নতুন কর্মসংস্থানেও অভিবাসন খাতের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ লোক নতুন করে শ্রমবাজোরে প্রবেশ করে। এদের বেশির ভাগেরেই কর্মসংস্থান হয় বিদেশে।
বিএমইটির তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ছয়-সাত লাখ মানুষ গড়ে বিদেশে যাচ্ছেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক, প্লান্টেশেন, কৃষি, সার্ভিস বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন বাংলাদেশিরা। তবে একটা বিষয় ভীষণ ইতিবাচক। বাংলাদেশিরা খুব দ্রুত কাজ ও ভাষা শিখে যান। এরপর কঠোর পরিশ্রম করে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান।
এত অবদানের পরও প্রবাসীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাস—সবখানেই পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই এর শুরু। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল ও প্রতারক এজেন্সি, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনাবেচা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্র —সবক্ষেত্রে সীমাহীন যন্ত্রণা। দেশের আকাশ পার হলে শুরু হয় বিরূপ প্রকৃতি, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত-কী। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না, দেশে ফিরলেও ভোগান্তি।
পুরোনো এসবের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংকট আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই সংকটটা ছিল মূলত তিন ধরনের। প্রথমত, স্বাভাবিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে লকডাউনে আটকে পড়েছেন লাখখানেকেরও বেশি মানুষ। তৃতীয়ত, কাজ হারিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য কোভিড-১৯ শুধু প্রবাসীদের জীবিকাতেই নয়, আঘাত করেছে জীবনেও৷ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশে আড়াইহাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ পুরোনো তথ্য যোগ করলে, গত এক যুগে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এদের অনেকেই ২৮ কিংবা ৩০ বছর বয়সেও মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেক নারীকর্মীও আছেন।
অবশ্য করোনায় কেবল চাকরি হারানো বা মৃত্যু নয়, আশার কথাও আছে। সারা বিশ্বেই কৃষিসহ নানা খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই এক লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার এখন নতুন করে আগামী দিনগুলোতে কোন খাতের লোক যাবে, তাদের দক্ষতা কী হবে— এসব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারে। বিশেষ করে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি করোনার কারণে যেসব পেশার চাহিদা বেড়েছে, সেসব পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
কোনো সন্দেহ নেই, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবেই।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী শুধু দেশের অর্থনীতি সচল রাখছেন তা নয়, অনেক দূর থেকেও বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছেন লাল-সবুজের জন্য ভালোবাসা। আর পৃথিবীর প্রতিটা দেশে তারাই তো বাংলাদেশের প্রতিনিধি! এই বাংলাদেশের উন্নতির জন্য লাল-সবুজের পাসপোর্টধারী প্রবাসীদের তাই সম্মান জানাতেই হবে। কাজেই স্যালুট এই প্রবাসীদের।
শরিফুল হাসান
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান
শরিফুল হাসান

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন সপ্তম স্থানে।
মূলত এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বিদেশ থেকে এই প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। তাদের অবদানে গত ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন (সাড়ে চার হাজার কোটি) মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। রিজার্ভের এমন শক্ত ভিতের কারণে শ্রীলঙ্কার মতো দেশকেও এখন অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে বাংলাদেশ। এ যেন অন্য রকম এক বদলে যাওয়া।
কিন্তু মাত্র পাঁচ দশকে কী করে বদলে গেল বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা ভাবনা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাকশ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসীদের অবদান অনন্য।
এই যে বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল কোনো দেশ নয় তার কারণ প্রবাসীরা। এই করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি অর্থবছরে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আরেকটু সহজ করে বললে বলা যায়, সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশকে এখন যে পরিমাণ ঋণ বা অনুদান দিচ্ছে বা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) যে অর্থ আসছে তার চেয়ে ছয় থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা, যার ওপর ভিত্তি করে দারুণ শক্ত অবস্থানে আছে দেশের অর্থনীতি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যেখানে আছেন প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি। এই দেশটি থেকে প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার আসে। অবশ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আছেন আরব আমিরাতে, সংখ্যাটা অন্তত ১৫ লাখ। এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে তিন থেকে চার লাখ বাংলাদেশি আছেন। মালয়েশিয়াতেও ছয় থেকে সাত লাখ বাংলাদেশি আছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, ব্রুনেই, লেবানন, ইতালি, মরিশাস কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াতেও আছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। মূলত এই দেশগুলো থেকেই বাংলাদেশের প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে।
বাংলাদেশিরা কোন কোন দেশে যায়, সেটা তো শুনলেন কিন্তু কোন জেলা থেকে যায়? বিএমইটির তথ্য বলছে, চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা। গত দেড় দশকে এ জেলা থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক বিদেশে গেছেন। শীর্ষ দশে থাকা বাকি জেলাগুলো হলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনী।
এই জেলাগুলোতে বেড়াতে গেলে বাংলাদেশের অন্য এলাকার সঙ্গে এখানকার পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। ছিমছাম সবুজ গ্রামের ভেতরকার রাস্তাঘাট-বাড়িঘর দেখে মনে হয় উন্নত এক বাংলাদেশ। এই জেলাগুলোর প্রায় সব বাড়ি থেকেই কেউ না কেউ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন।
বিদেশের পাঠানো টাকায় চলে এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতি। শুধু যে প্রবাসীদের পরিবারগুলোই এ টাকা ব্যবহার করে তা নয়, এখানকার পুরো অর্থনীতিই সচল রাখে এ প্রবাসী আয়। কৃষি হোক, মৎস্য কিংবা ছোট-বড় বেশির ভাগ উদ্যোগের পেছনেই আছে প্রবাসীদের বিনিয়োগ।
৬৪ জেলার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকার ১১ থেকে ২০-এ আছে যথাক্রমে লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও হবিগঞ্জ। এর প্রতিটি থেকে গত এক দশকে এক লাখের বেশি লোক বিদেশে গেছেন। তালিকার পরের জেলাগুলো হলো বরিশাল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, যশোর, বগুড়া, কক্সবাজার, পাবনা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়া।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ আয় ও ব্যয় খানা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কম বা ধনী ১০টি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা ও নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
আগেই বলেছি, এই জেলাগুলো থেকেই বিদেশে শ্রম অভিবাসন হয় সবচেয়ে বেশি। তার মানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং প্রবাসী আয় এ জেলাগুলোর অর্থনীতি বদলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ এলাকাগুলোতে নিয়মিতই বিদেশ থেকে টাকা আসছে। এখানকার ব্যাংক, বিনিয়োগ, বাজার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা—সবকিছুতেই প্রবাসীদের মূল অবদান।
শুধু প্রবাসী আয় নয়, নতুন কর্মসংস্থানেও অভিবাসন খাতের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ লোক নতুন করে শ্রমবাজোরে প্রবেশ করে। এদের বেশির ভাগেরেই কর্মসংস্থান হয় বিদেশে।
বিএমইটির তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ছয়-সাত লাখ মানুষ গড়ে বিদেশে যাচ্ছেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক, প্লান্টেশেন, কৃষি, সার্ভিস বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন বাংলাদেশিরা। তবে একটা বিষয় ভীষণ ইতিবাচক। বাংলাদেশিরা খুব দ্রুত কাজ ও ভাষা শিখে যান। এরপর কঠোর পরিশ্রম করে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান।
এত অবদানের পরও প্রবাসীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাস—সবখানেই পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই এর শুরু। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল ও প্রতারক এজেন্সি, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনাবেচা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্র —সবক্ষেত্রে সীমাহীন যন্ত্রণা। দেশের আকাশ পার হলে শুরু হয় বিরূপ প্রকৃতি, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত-কী। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না, দেশে ফিরলেও ভোগান্তি।
পুরোনো এসবের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংকট আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই সংকটটা ছিল মূলত তিন ধরনের। প্রথমত, স্বাভাবিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে লকডাউনে আটকে পড়েছেন লাখখানেকেরও বেশি মানুষ। তৃতীয়ত, কাজ হারিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য কোভিড-১৯ শুধু প্রবাসীদের জীবিকাতেই নয়, আঘাত করেছে জীবনেও৷ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশে আড়াইহাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ পুরোনো তথ্য যোগ করলে, গত এক যুগে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এদের অনেকেই ২৮ কিংবা ৩০ বছর বয়সেও মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেক নারীকর্মীও আছেন।
অবশ্য করোনায় কেবল চাকরি হারানো বা মৃত্যু নয়, আশার কথাও আছে। সারা বিশ্বেই কৃষিসহ নানা খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই এক লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার এখন নতুন করে আগামী দিনগুলোতে কোন খাতের লোক যাবে, তাদের দক্ষতা কী হবে— এসব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারে। বিশেষ করে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি করোনার কারণে যেসব পেশার চাহিদা বেড়েছে, সেসব পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
কোনো সন্দেহ নেই, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবেই।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী শুধু দেশের অর্থনীতি সচল রাখছেন তা নয়, অনেক দূর থেকেও বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছেন লাল-সবুজের জন্য ভালোবাসা। আর পৃথিবীর প্রতিটা দেশে তারাই তো বাংলাদেশের প্রতিনিধি! এই বাংলাদেশের উন্নতির জন্য লাল-সবুজের পাসপোর্টধারী প্রবাসীদের তাই সম্মান জানাতেই হবে। কাজেই স্যালুট এই প্রবাসীদের।
শরিফুল হাসান
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন সপ্তম স্থানে।
মূলত এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বিদেশ থেকে এই প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। তাদের অবদানে গত ৩ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন (সাড়ে চার হাজার কোটি) মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। রিজার্ভের এমন শক্ত ভিতের কারণে শ্রীলঙ্কার মতো দেশকেও এখন অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে বাংলাদেশ। এ যেন অন্য রকম এক বদলে যাওয়া।
কিন্তু মাত্র পাঁচ দশকে কী করে বদলে গেল বাংলাদেশ? এ প্রসঙ্গে আমার নিজের একটা ভাবনা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাকশ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসীদের অবদান অনন্য।
এই যে বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল কোনো দেশ নয় তার কারণ প্রবাসীরা। এই করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি অর্থবছরে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আরেকটু সহজ করে বললে বলা যায়, সারা বিশ্ব মিলে বাংলাদেশকে এখন যে পরিমাণ ঋণ বা অনুদান দিচ্ছে বা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) যে অর্থ আসছে তার চেয়ে ছয় থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা, যার ওপর ভিত্তি করে দারুণ শক্ত অবস্থানে আছে দেশের অর্থনীতি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন, যার ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যেখানে আছেন প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি। এই দেশটি থেকে প্রতিবছর গড়ে তিন থেকে চার বিলিয়ন ডলার আসে। অবশ্য ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আছেন আরব আমিরাতে, সংখ্যাটা অন্তত ১৫ লাখ। এ ছাড়া কাতার, কুয়েত, ওমান, বাহরাইনে গড়ে তিন থেকে চার লাখ বাংলাদেশি আছেন। মালয়েশিয়াতেও ছয় থেকে সাত লাখ বাংলাদেশি আছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, জর্ডান, ব্রুনেই, লেবানন, ইতালি, মরিশাস কিংবা দক্ষিণ কোরিয়াতেও আছেন কয়েক লাখ বাংলাদেশি। মূলত এই দেশগুলো থেকেই বাংলাদেশের প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি আসে।
বাংলাদেশিরা কোন কোন দেশে যায়, সেটা তো শুনলেন কিন্তু কোন জেলা থেকে যায়? বিএমইটির তথ্য বলছে, চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা। গত দেড় দশকে এ জেলা থেকে ১০ লাখেরও বেশি লোক বিদেশে গেছেন। শীর্ষ দশে থাকা বাকি জেলাগুলো হলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনী।
এই জেলাগুলোতে বেড়াতে গেলে বাংলাদেশের অন্য এলাকার সঙ্গে এখানকার পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। ছিমছাম সবুজ গ্রামের ভেতরকার রাস্তাঘাট-বাড়িঘর দেখে মনে হয় উন্নত এক বাংলাদেশ। এই জেলাগুলোর প্রায় সব বাড়ি থেকেই কেউ না কেউ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন।
বিদেশের পাঠানো টাকায় চলে এখানকার গ্রামীণ অর্থনীতি। শুধু যে প্রবাসীদের পরিবারগুলোই এ টাকা ব্যবহার করে তা নয়, এখানকার পুরো অর্থনীতিই সচল রাখে এ প্রবাসী আয়। কৃষি হোক, মৎস্য কিংবা ছোট-বড় বেশির ভাগ উদ্যোগের পেছনেই আছে প্রবাসীদের বিনিয়োগ।
৬৪ জেলার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তালিকার ১১ থেকে ২০-এ আছে যথাক্রমে লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও হবিগঞ্জ। এর প্রতিটি থেকে গত এক দশকে এক লাখের বেশি লোক বিদেশে গেছেন। তালিকার পরের জেলাগুলো হলো বরিশাল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, যশোর, বগুড়া, কক্সবাজার, পাবনা, সুনামগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়া।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ আয় ও ব্যয় খানা জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কম বা ধনী ১০টি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা ও নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও সিলেট।
আগেই বলেছি, এই জেলাগুলো থেকেই বিদেশে শ্রম অভিবাসন হয় সবচেয়ে বেশি। তার মানে আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং প্রবাসী আয় এ জেলাগুলোর অর্থনীতি বদলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ এলাকাগুলোতে নিয়মিতই বিদেশ থেকে টাকা আসছে। এখানকার ব্যাংক, বিনিয়োগ, বাজার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা—সবকিছুতেই প্রবাসীদের মূল অবদান।
শুধু প্রবাসী আয় নয়, নতুন কর্মসংস্থানেও অভিবাসন খাতের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০ লাখ লোক নতুন করে শ্রমবাজোরে প্রবেশ করে। এদের বেশির ভাগেরেই কর্মসংস্থান হয় বিদেশে।
বিএমইটির তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ছয়-সাত লাখ মানুষ গড়ে বিদেশে যাচ্ছেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক, প্লান্টেশেন, কৃষি, সার্ভিস বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন বাংলাদেশিরা। তবে একটা বিষয় ভীষণ ইতিবাচক। বাংলাদেশিরা খুব দ্রুত কাজ ও ভাষা শিখে যান। এরপর কঠোর পরিশ্রম করে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠান।
এত অবদানের পরও প্রবাসীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাস—সবখানেই পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই এর শুরু। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল ও প্রতারক এজেন্সি, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনাবেচা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্র —সবক্ষেত্রে সীমাহীন যন্ত্রণা। দেশের আকাশ পার হলে শুরু হয় বিরূপ প্রকৃতি, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত-কী। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না, দেশে ফিরলেও ভোগান্তি।
পুরোনো এসবের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংকট আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এই সংকটটা ছিল মূলত তিন ধরনের। প্রথমত, স্বাভাবিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে লকডাউনে আটকে পড়েছেন লাখখানেকেরও বেশি মানুষ। তৃতীয়ত, কাজ হারিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
অবশ্য কোভিড-১৯ শুধু প্রবাসীদের জীবিকাতেই নয়, আঘাত করেছে জীবনেও৷ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশে আড়াইহাজারেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ পুরোনো তথ্য যোগ করলে, গত এক যুগে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এদের অনেকেই ২৮ কিংবা ৩০ বছর বয়সেও মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেক নারীকর্মীও আছেন।
অবশ্য করোনায় কেবল চাকরি হারানো বা মৃত্যু নয়, আশার কথাও আছে। সারা বিশ্বেই কৃষিসহ নানা খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই এক লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকার এখন নতুন করে আগামী দিনগুলোতে কোন খাতের লোক যাবে, তাদের দক্ষতা কী হবে— এসব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারে। বিশেষ করে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি করোনার কারণে যেসব পেশার চাহিদা বেড়েছে, সেসব পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
কোনো সন্দেহ নেই, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবেই।
তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী শুধু দেশের অর্থনীতি সচল রাখছেন তা নয়, অনেক দূর থেকেও বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছেন লাল-সবুজের জন্য ভালোবাসা। আর পৃথিবীর প্রতিটা দেশে তারাই তো বাংলাদেশের প্রতিনিধি! এই বাংলাদেশের উন্নতির জন্য লাল-সবুজের পাসপোর্টধারী প্রবাসীদের তাই সম্মান জানাতেই হবে। কাজেই স্যালুট এই প্রবাসীদের।
শরিফুল হাসান
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ক্যাশলেস সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সালের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক নাদিম নেওয়াজ।
নাদিম নেওয়াজ

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন
২৭ জুন ২০২১
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
দেশের ক্রেডিট কার্ড বাজারে সিটি ব্যাংক এক নির্ভরযোগ্য নাম, বিশেষ করে একমাত্র আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং অ্যাকুয়ারের ক্ষেত্রে। উদ্ভাবন এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিয়ে নেতৃত্বের আসন মজবুত করেছে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজুল ইসলাম।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

৯ মাসের স্বাধীনতাসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যখন বিজয় লাভ করে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ ছিল। একদিকে শূন্য রিজার্ভ আরেক দিকে ডলারের তীব্র সংকট। কিন্তু পাঁচ দশক পর আজ অন্য এক উচ্চতায় বাংলাদেশ। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে গোটা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ এখন
২৭ জুন ২০২১
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫