সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল, তারা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি নির্বাচনে যাব না।’
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার চাই। ভোটাধিকার চাই। যখন সবাই পাকিস্তান চেয়েছিল, তখন জামায়াত ব্রিটিশদের গোলামি করেছে। যখন আমরা সবাই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে চেয়েছি, তখন এই জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, খুনখারাবি করেছে। সেই জামায়াত, তাকে নিয়ে ইলেকশন করলে আমি ইলেকশন করব?’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৩ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগের আছে। ১৪ পার্সেন্ট জাতীয় পার্টির আছে, আমাদেরও তিন পার্সেন্টের মতো ভোট হয়েছে। এখন ইউনূস সরকার যাদের নিয়ে মিটিং করে, সেখানে তো আমাদের ডাকে নাই! আর এখন আমাদের ডাকলেই যাব? আর না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেব, আপনাকে আমি অনেক বড় মানুষ মনে করেছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, আমি আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যদি আমি পাশে না দাঁড়াতাম, তবে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক মাটির সঙ্গে মিশে যেত। আপনার গ্রামীণ ব্যাংক না শুধু, গ্রামীণ নামে যা বানিয়েছেন, সবকিছুর বিপদ আছে। আপনার কান্না শেষ হবে না। আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা না। সে জন্য বলছি, এখনো সময় আছে, আপনি যদি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ও সন্তোষজনক একটা নির্বাচন করতে পারেন, এত কিছুর পরও আপনার নাম থাকবে, আপনাকে মানুষ সম্মান করবে। আর যদি মীরজাফর হতে চান, ঘসেটি বেগম হতে চান, তাহলে যা করছেন, তা করেন, বেশি দিন লাগবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ আমার ধ্যান, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনা, বঙ্গবন্ধু আমার চৈতন্য।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ এনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘কম বিরক্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে তাড়ায় নাই। মানুষ একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষমতা এই আট-দশটা বাচ্চা ছেলের ছিল না। বিএনপি পারে নাই, জামায়াত পারে নাই, কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। তিনি যে পরিমাণ অত্যাচার করেছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, এর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তিনি পরাজিত হয়েছেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে যে পরিমাণ চান্দা উঠিয়েছেন, তার ১০ গুণ এই ১২-১৪ মাসে অন্য দলেরা করেছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় এক নম্বর দল ছিল ধানের শীষ। এখন তারা কিন্তু পেটের বিষ। এ কারণে আমি আগেও বলেছিলাম, যে কারণে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছে, ঠিক একই কাজ করলে বিএনপিকেও মানুষের ভুলে যেতে কষ্ট হবে না।’
জনসভায় ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইথার সিদ্দিকী, বাসাইলের সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিদ্দিকী, আবু জাহিদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আঁখি আতোয়ার প্রমুখ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল, তারা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি নির্বাচনে যাব না।’
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই জনসভার আয়োজন করে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার চাই। ভোটাধিকার চাই। যখন সবাই পাকিস্তান চেয়েছিল, তখন জামায়াত ব্রিটিশদের গোলামি করেছে। যখন আমরা সবাই বাংলাদেশ স্বাধীন করতে চেয়েছি, তখন এই জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, খুনখারাবি করেছে। সেই জামায়াত, তাকে নিয়ে ইলেকশন করলে আমি ইলেকশন করব?’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো হিসাব করলে দেখা যায়, ৪৩ পার্সেন্ট ভোট আওয়ামী লীগের আছে। ১৪ পার্সেন্ট জাতীয় পার্টির আছে, আমাদেরও তিন পার্সেন্টের মতো ভোট হয়েছে। এখন ইউনূস সরকার যাদের নিয়ে মিটিং করে, সেখানে তো আমাদের ডাকে নাই! আর এখন আমাদের ডাকলেই যাব? আর না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইউনূস সাহেব, আপনাকে আমি অনেক বড় মানুষ মনে করেছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলত, আমি আপনার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যদি আমি পাশে না দাঁড়াতাম, তবে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক মাটির সঙ্গে মিশে যেত। আপনার গ্রামীণ ব্যাংক না শুধু, গ্রামীণ নামে যা বানিয়েছেন, সবকিছুর বিপদ আছে। আপনার কান্না শেষ হবে না। আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা না। সে জন্য বলছি, এখনো সময় আছে, আপনি যদি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ও সন্তোষজনক একটা নির্বাচন করতে পারেন, এত কিছুর পরও আপনার নাম থাকবে, আপনাকে মানুষ সম্মান করবে। আর যদি মীরজাফর হতে চান, ঘসেটি বেগম হতে চান, তাহলে যা করছেন, তা করেন, বেশি দিন লাগবে না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা করি। সরকার বাহাদুরকে বলে গেলাম, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। সেখানেও আমি বলব, আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমার জীবন দিয়ে যেতে চাই। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ আমার ধ্যান, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনা, বঙ্গবন্ধু আমার চৈতন্য।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ এনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘কম বিরক্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে তাড়ায় নাই। মানুষ একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষমতা এই আট-দশটা বাচ্চা ছেলের ছিল না। বিএনপি পারে নাই, জামায়াত পারে নাই, কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছে। তিনি যে পরিমাণ অত্যাচার করেছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, এর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে তিনি পরাজিত হয়েছেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে যে পরিমাণ চান্দা উঠিয়েছেন, তার ১০ গুণ এই ১২-১৪ মাসে অন্য দলেরা করেছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় এক নম্বর দল ছিল ধানের শীষ। এখন তারা কিন্তু পেটের বিষ। এ কারণে আমি আগেও বলেছিলাম, যে কারণে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছে, ঠিক একই কাজ করলে বিএনপিকেও মানুষের ভুলে যেতে কষ্ট হবে না।’
জনসভায় ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইথার সিদ্দিকী, বাসাইলের সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ মিয়া, সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, আলমগীর সিদ্দিকী, আবু জাহিদ রিপন, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আঁখি আতোয়ার প্রমুখ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা।
৫ মিনিট আগে
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা। অবমুক্ত, অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তারা বিক্রিও করে দিয়েছে পশুপাখি। এখন আবার পশুপাখি এনে চিড়িয়াখানার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক।
রাজশাহী শহরের মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণে ব্রিটিশ আমলে ঘোড়দৌড় মাঠে স্বাধীনতার পর উদ্যান ও চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ। ১৯৭২ সালে শুরু হয় কার্যক্রম। প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে এই উদ্যান করা হয়।
আগে এর নাম ছিল ‘শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর নানা প্রজাতির পশুপাখি ছিল এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ। এখানে একসময় উট, হায়েনা, গাধা, বানর, ভালুকসহ বেশ কিছু বন্য প্রাণী ছিল। ভালুকের জন্য পাশাপাশি দুটি নতুন খাঁচাও নির্মাণ করা হয়েছিল। করোনাকালে সিটি করপোরেশন এর সংস্কার ও উন্নয়নকাজ শুরু করে। চিড়িয়াখানার ভেতরেই নির্মাণ করা হয় একটি রিসোর্ট। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর ভেতরে নভোথিয়েটারও নির্মাণ করেছে।
এসব কাজ চলমান থাকায় করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়েও দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানাটি বন্ধ থাকে। তখনই খাঁচা ভেঙে ভেঙে পশু-পাখিগুলোর কিছু অবমুক্ত করা হয়। কিছু বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কিছু পশুপাখি অন্য চিড়িয়াখানাকে অনুদান দেওয়া হয়। শুধু শতাধিক হরিণ, দুটি ঘড়িয়াল আর কিছু পাখি ও কবুতর অবশিষ্ট থাকে এ চিড়িয়াখানায়। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থী প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এমন ফাঁকা চিড়িয়াখানা দেখে তখন থেকেই দর্শনার্থীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে আসছেন।
তৎকালীন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছিলেন, এখানে জায়গা কম। এটি চিড়িয়াখানার জন্য উপযুক্ত নয়। এটি উদ্যান হিসেবেই থাকবে। আর শহরের অদূরে একটি সাফারি পার্ক করা হবে।
তবে সরকার পতনের পর সবকিছুই থেমে যায়। এ অবস্থায় সাফারি পার্কের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে চিড়িয়াখানাকেই প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক। চিড়িয়াখানার এ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিক আহমদ সফিউদ্দিন। তাঁর ভাষায়, শিশুদের মানসিক বিকাশে বাস্তবে পশুপাখি দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিড়িয়াখানা প্রকৃতির বদলে কংক্রিটের স্তূপে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এভাবে নীরবে একটি চিড়িয়াখানা ধ্বংস করে ফেলার নজির আছে কি না, তিনি সে প্রশ্ন তোলেন।
জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের সময় খাঁচাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। তখন কিছু পশুপাখি অনুদান দেওয়া হয়, কিছু বিক্রি করা হয় এবং কিছু অবমুক্ত করা হয়। এরপর শুধু হরিণ, ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি থাকে। কথা ছিল, রাজশাহীতে আলাদা সাফারি পার্ক হবে। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সে পরিকল্পনা থেমে গেছে।’
চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক জানান, এখন চিড়িয়াখানার কর্মীরা নিজ নিজ উদ্যোগে পশুপাখি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনটি বানর, কিছু খরগোশ ও দুটি হনুমান নতুন করে সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে চিঠি দিয়ে ময়ূর চাওয়া হয়েছে। ময়ূরের জন্য খাঁচা নির্মাণ করা হচ্ছে।
এখন চিড়িয়াখানায় তিনটি বানর, ২৪টি খরগোশ, দুটি হনুমান ছাড়াও ১২৩টি হরিণ, ২৪টি খরগোশ, দুটি ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি এবং কবুতর আছে। চিড়িয়াখানাটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন ডা. ফরহাদ হোসেন।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা। অবমুক্ত, অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তারা বিক্রিও করে দিয়েছে পশুপাখি। এখন আবার পশুপাখি এনে চিড়িয়াখানার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক।
রাজশাহী শহরের মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণে ব্রিটিশ আমলে ঘোড়দৌড় মাঠে স্বাধীনতার পর উদ্যান ও চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আবদুর রউফ। ১৯৭২ সালে শুরু হয় কার্যক্রম। প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে এই উদ্যান করা হয়।
আগে এর নাম ছিল ‘শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা’। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর নানা প্রজাতির পশুপাখি ছিল এই উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ। এখানে একসময় উট, হায়েনা, গাধা, বানর, ভালুকসহ বেশ কিছু বন্য প্রাণী ছিল। ভালুকের জন্য পাশাপাশি দুটি নতুন খাঁচাও নির্মাণ করা হয়েছিল। করোনাকালে সিটি করপোরেশন এর সংস্কার ও উন্নয়নকাজ শুরু করে। চিড়িয়াখানার ভেতরেই নির্মাণ করা হয় একটি রিসোর্ট। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর ভেতরে নভোথিয়েটারও নির্মাণ করেছে।
এসব কাজ চলমান থাকায় করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়েও দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানাটি বন্ধ থাকে। তখনই খাঁচা ভেঙে ভেঙে পশু-পাখিগুলোর কিছু অবমুক্ত করা হয়। কিছু বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কিছু পশুপাখি অন্য চিড়িয়াখানাকে অনুদান দেওয়া হয়। শুধু শতাধিক হরিণ, দুটি ঘড়িয়াল আর কিছু পাখি ও কবুতর অবশিষ্ট থাকে এ চিড়িয়াখানায়। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থী প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এমন ফাঁকা চিড়িয়াখানা দেখে তখন থেকেই দর্শনার্থীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে আসছেন।
তৎকালীন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছিলেন, এখানে জায়গা কম। এটি চিড়িয়াখানার জন্য উপযুক্ত নয়। এটি উদ্যান হিসেবেই থাকবে। আর শহরের অদূরে একটি সাফারি পার্ক করা হবে।
তবে সরকার পতনের পর সবকিছুই থেমে যায়। এ অবস্থায় সাফারি পার্কের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে চিড়িয়াখানাকেই প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করছে রাসিক। চিড়িয়াখানার এ পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংবাদিক আহমদ সফিউদ্দিন। তাঁর ভাষায়, শিশুদের মানসিক বিকাশে বাস্তবে পশুপাখি দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিড়িয়াখানা প্রকৃতির বদলে কংক্রিটের স্তূপে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও এভাবে নীরবে একটি চিড়িয়াখানা ধ্বংস করে ফেলার নজির আছে কি না, তিনি সে প্রশ্ন তোলেন।
জানতে চাইলে চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সংস্কারের সময় খাঁচাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। তখন কিছু পশুপাখি অনুদান দেওয়া হয়, কিছু বিক্রি করা হয় এবং কিছু অবমুক্ত করা হয়। এরপর শুধু হরিণ, ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি থাকে। কথা ছিল, রাজশাহীতে আলাদা সাফারি পার্ক হবে। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সে পরিকল্পনা থেমে গেছে।’
চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক জানান, এখন চিড়িয়াখানার কর্মীরা নিজ নিজ উদ্যোগে পশুপাখি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনটি বানর, কিছু খরগোশ ও দুটি হনুমান নতুন করে সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে চিঠি দিয়ে ময়ূর চাওয়া হয়েছে। ময়ূরের জন্য খাঁচা নির্মাণ করা হচ্ছে।
এখন চিড়িয়াখানায় তিনটি বানর, ২৪টি খরগোশ, দুটি হনুমান ছাড়াও ১২৩টি হরিণ, ২৪টি খরগোশ, দুটি ঘড়িয়াল ও কিছু পাখি এবং কবুতর আছে। চিড়িয়াখানাটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাঁরা কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন ডা. ফরহাদ হোসেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
১০ নভেম্বর ২০২৫
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষমেশ সমঝোতা না হলে এই জেলায় বিএনপির কয়েকজন ‘বিদ্রোহ প্রার্থী’ নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বুধবার রাতে যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তির পরিবর্তে নুরুজ্জামান লিটন, যশোর-৬ আসনে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে যশোর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়ার পর দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এই আসনে নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। দলের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে পারব।’
দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণপন্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা পর্যন্ত তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। গত বুধবার দুপুরে হঠাৎ এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল হয়ে যায়। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে।
এর আগেও আসনটি বিএনপির শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিএনপি নিজেদের প্রার্থী দেওয়ায় চাঙা হয়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে প্রার্থী বদল হওয়ায় আবারও নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় বিএনপি সূত্র বলছে, এই নেতা-কর্মীদের জোটের শরিকের প্রার্থীর পক্ষে কতটা প্রচারে নামানো সম্ভব হবে, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীরা। শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে এ সিদ্ধান্তে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
যশোর-৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়ার পর বেশ জোরেশোরেই প্রচার শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এই সংসদ সদস্য। এলাকায় ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে আসছিলেন তিনি।
তবে এই আসনে তাঁর বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু। শুরু থেকে তাঁরা সবাই বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির বিরোধিতা করে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে কর্মসূচিও পালন করেছেন।
এরপর বুধবার এই আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন।
দুই আসনে বঞ্চিত ৯ জন
এ ছাড়া যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির মনোনীত সাবিরা সুলতানা মুন্নী ছাড়া আরও পাঁচজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুণ, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ ইসহাক ও মেহেদী হাসান।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনে বিএনপির মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব ছাড়াও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী, বিএনপির নেতা মো. আবদুল হাই মনা ও নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এবং টি এস আইয়ুবের ছেলে ফারহান সাজিদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিতদের অনেকেই ক্ষোভ ও আবেগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে আশা করি।’

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষমেশ সমঝোতা না হলে এই জেলায় বিএনপির কয়েকজন ‘বিদ্রোহ প্রার্থী’ নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত বুধবার রাতে যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তির পরিবর্তে নুরুজ্জামান লিটন, যশোর-৬ আসনে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে একই দিন দুপুরে যশোর-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়ার পর দেড় মাস ধরে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এই আসনে নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। দলের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে কেশবপুরবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনে এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে পারব।’
দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়ে শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণপন্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা পর্যন্ত তিনিও অপেক্ষায় রয়েছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। গত বুধবার দুপুরে হঠাৎ এই আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল হয়ে যায়। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে।
এর আগেও আসনটি বিএনপির শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিএনপি নিজেদের প্রার্থী দেওয়ায় চাঙা হয়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে প্রার্থী বদল হওয়ায় আবারও নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় বিএনপি সূত্র বলছে, এই নেতা-কর্মীদের জোটের শরিকের প্রার্থীর পক্ষে কতটা প্রচারে নামানো সম্ভব হবে, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন নেতা-কর্মীরা। শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে এ সিদ্ধান্তে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
যশোর-৫ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
যশোর-১ আসনে মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়ার পর বেশ জোরেশোরেই প্রচার শুরু করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক এই সংসদ সদস্য। এলাকায় ভোট চেয়ে ব্যাপক গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে আসছিলেন তিনি।
তবে এই আসনে তাঁর বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাবেক সভাপতি বর্তমান উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু। শুরু থেকে তাঁরা সবাই বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তির বিরোধিতা করে প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে কর্মসূচিও পালন করেছেন।
এরপর বুধবার এই আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। নতুন করে মনোনয়ন পেয়েছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন।
দুই আসনে বঞ্চিত ৯ জন
এ ছাড়া যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির মনোনীত সাবিরা সুলতানা মুন্নী ছাড়া আরও পাঁচজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুণ, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ ইসহাক ও মেহেদী হাসান।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনে বিএনপির মনোনীত ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব ছাড়াও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী, বিএনপির নেতা মো. আবদুল হাই মনা ও নাজিম উদ্দিন আল আজাদ এবং টি এস আইয়ুবের ছেলে ফারহান সাজিদ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘মনোনয়নবঞ্চিতদের অনেকেই ক্ষোভ ও আবেগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে আশা করি।’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
১০ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা।
৫ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
১০ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা।
৫ মিনিট আগে
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
১০ মিনিট আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে, আমি গামছা (তাঁর দলের প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করতে যাব না
১০ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় একসময় উট, হায়েনা, ভালুকসহ নানা বন্য প্রাণী ছিল। এসব একে একে মারা যাওয়ার পরও অজগর, বেবুন, বানর, হনুমানসহ নানা ধরনের পশুপাখি ছিল চিড়িয়াখানায়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) উন্নয়ন ও সংস্কারের নামে মেরে ফেলেছে এই চিড়িয়াখানা।
৫ মিনিট আগে
যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। মনোনয়ন পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ বঞ্চিত প্রার্থীর অনুসারীরা। প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এ ছাড়া বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে