Ajker Patrika

ডাকাতি ঠেকাতে মধুপুরে দূরপাল্লার বাসে ভিডিও রেকর্ডের সিদ্ধান্ত

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ২০: ১৩
ডাকাতি ঠেকাতে মধুপুরে দূরপাল্লার বাসে ভিডিও রেকর্ডের সিদ্ধান্ত

গভীর রাতে বাসে ডাকাতি ঠেকাতে মধুপুরে সব দূরপাল্লার বাসে যাত্রী ও চালকদের নিয়মিত ভিডিও ধারণ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে প্রশাসন ও মধুপুর উপজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা ধর্ষণ-ডাকাতি ঠেকাতে করণীয় বিষয় নিয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। 

গত ২ আগস্ট দিবাগত গভীর রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুরে একদল ডাকাত অস্ত্রের বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এই ঘটনার দুদিন পর ৫ আগস্ট গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন আরেক নারী। সারা দেশ আলোচিত এ দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে সভা করল পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন। 

বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর প্রান্ত শাখা ও পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় পরিবহন মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর প্রান্ত শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার শাহিনা আক্তার। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন— বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম হাসনাইন যুবরাজ, মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিনসহ বক্তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল কার্যক্রম না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ ঘটিয়ে মধুপুরের এই সড়কের পাশে নির্যাতিতদের ফেলে যাওয়ার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অনতিবিলম্বে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল জোরদার করলে পরের দোষগুলোর দায়ভার আমাদের কাঁধে আসবে না। 

প্রধান অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার শাহিনা আক্তার বাস মালিকদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সবার সহযোগিতা পেলে মধুপুরে অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর উপজেলা প্রান্ত শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাতের বেলায় টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়কটি অনিরাপদ হয়ে ওঠে। এই সড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল না থাকায় বিভিন্ন স্থানে অপরাধ সংগঠিত করে অপরাধীরা মধুপুরে আলামত রেখে যায়। যার কারণে মধুপুরবাসীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নাইটকোচগুলো ভিডিওর আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রশাসনিক এবং মালিক সমিতির নেতাদের সহযোগিতা পেলে যাত্রীদের ভিডিও করার পাশাপাশি মধুপুরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা যাবে।’ 

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবপক্ষের সহযোগিতা কামনা করে মধুপুর ও ধনবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহিনা আক্তার বলেন, ‘মধুপুরবাসী তথা দূরপাল্লার যাত্রী ও পরিবহনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে মধুপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলো সিসিটিভির আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে বাসে ওঠানামা করা সব যাত্রীকে ভিডিওতে সংরক্ষণ করা যায়। এতে করে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করা ও আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। এতে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন। বাস মালিক, শ্রমিক ও সবার সহযোগিতা পেলে দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

ভোলা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার দৌলতখানে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে বিতণ্ডায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমির জাং গজনবী স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

মারামারিতে আহতদের মধ্যে গুরুতর সৈয়দপুর ইউনিয়ন জামায়াত আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম (৬০), জামায়াত কর্মী হাসনাইন (২৮), আবু তালহা (৪০), মো. সরোয়ার আলম (৫০), শাহরুপ (২৮), আমজাদ হোসেনকে (২৪) দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে দৌলতখান উপজেলার আমির জাং গজনবী স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান চলছিল। সকাল ৯টার দিকে অনুষ্ঠানে চেয়ার না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উদ্দেশে ‘রাজাকার’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারামারি হয়।

দৌলতখান উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাসান তারেক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমরাও ইনভাইটেড (দাওয়াতি) ছিলাম। আমাদের বসার জন্য নির্ধারিত চেয়ারও ছিল। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর লোকজনও ছিল। সকাল ৯টার দিকে দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি গ্রুপ সেখানে ঢুকেছে। এ সময় বাবুলের আসন কোথায় জানতে চান। তখন আমাদের দলের সেক্রেটারির নির্ধারিত আসনে লেখা স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে সেই চেয়ারে বসে পড়েন ওই বিএনপির ওই নেতা।’

হাসান তারেক বলেন, ‘তখন আমি তাঁকে বললাম এটা আপনি ঠিক করেননি। এ কথা বলার সাথে সাথেই ভবানীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি স্বপন কেরানি ও বিএনপি নেতা জহিরের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের রাজাকার বলে গালি দিয়ে আমাদের লোকজনদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতখান পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, ‘আমাদের সাথে কোনো কিছুই হয়নি। আমাদের তো চেয়ার ছিল। সেখানে সব দলের লোকজন ছিল।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে রাজাকার নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে জামায়াতে ইসলামীর লোকজনের হট্টগোল হয়েছে।’ জামায়াতে ইসলামী তাঁদের বন্ধু দাবি করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘জামায়াতের সাথে যেহেতু আমাদের জোট ভাঙে নাই। সেহেতু তারা এখনো আমাদের বন্ধু।’

দৌলতখান থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সিকদার জানান, স্টেডিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করলেন জবি শিক্ষার্থীরা

জবি প্রতিনিধি 
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা অঙ্কন ও তা পদদলিত করতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে প্রতীকী ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ‎

‎আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। ‎

আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ হোসেন বলেন, ‘যুদ্ধে পাকিস্তান আমাদের লক্ষ লক্ষ মানুষকে শহীদ করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আমাদের ভাইয়েরা পদদলিত করার জন্য পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেই প্রতিবাদেই আমরা আজ রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করছি।’ ‎

আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে কি প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া লাগবে? অথচ তারা রাতে আমাদের ভাইদের পতাকা একে পদদলিত করতে বাধা দিল। এর তীব্র নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ‎

‎এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে প্রশাসন বাধা দিলে উপাচার্যকে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রদল। এ সময় তারা রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীকালে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জুলাই রেবেলসের দুজনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফসহ গ্রেপ্তার ৩

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে
শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজ। ছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেবেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফসহ (৪৬) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অন্যরা হলেন সাইফুল ইসলাম (৩৭) ও আমির হোসেন ফিরোজ (৪৭)।

গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ ট্রান্সমিটার আজমেরী গার্মেন্টস এলাকার নায়েব আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার গুহিলপুর গ্রামের মৃত আ. জব্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ভোলার দৌলতখান উপজেলার বড়দলি গ্রামের আবুর হোসেন ওরফে আ. হাশেমের ছেলে আমির হোসেন ফিরোজ। তাঁদের মধ্যে সাইফুল কুমিল্লার সদরে এবং আলতাফ ও আমির দক্ষিণখানের ফায়দাব ও গোয়ালটেক এলাকায় বসবাস করেন।

এর আগে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজসংলগ্ন জুলাই রেবেলস অফিসে গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর জুলাই রেবেলসের প্রস্তাবিত সহসংগঠক ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও সদস্য মো. ইয়াসিনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গত শনিবার রাতেই ইউসুফ আলী রেদওয়ান বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার পরপরই দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ এলাকা থেকে মো. মাসুদ ও ফাহিম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফসহ তিনজন গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‍্যাব-১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাকিব হাসান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা থেকে জুলাই রেবেলসের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ ওরফে ঠোঁটকাটা আলতাফ, সাইফুল ইসলাম ও আমির হোসেন ফিরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যাচেষ্টাসহ ১৬টি মামলা রয়েছে; যার মধ্যে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ৯টি, উত্তরা পূর্ব থানায় চারটি, বিমানবন্দর থানায় দুটি ও উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব হাসান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে ১০০ নৌকা নিয়ে জবি শিবিরের নৌ র‍্যালি

জবি প্রতিনিধি 
আজ ‎মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদীতে ১০০টি নৌকা নিয়ে নৌ র‍্যালি আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ‎মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদীতে ১০০টি নৌকা নিয়ে নৌ র‍্যালি আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ১০০টি নৌকা নিয়ে নৌ র‍্যালি আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ‎

আজ ‎মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বুড়িগঙ্গা নদীতে শুরু হওয়া এই র‍্যালিতে ১০০টি নৌকায় প্রায় সাত শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালিটি শ্যামবাজার ঘাট থেকে শুরু হয়ে পোস্তগোলা ব্রিজ হয়ে আবারও শ্যামবাজার ঘাটে এসে শেষ হয়। ‎

‎র‍্যালিতে শিবির নেতা-কর্মীরা ‘বিজয় দিবস, সফল হোক’; ‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’; ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’; ‘এক হাদি হাসপাতালে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’; ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‎

আজ ‎মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদীতে ১০০টি নৌকা নিয়ে নৌ র‍্যালি আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ ‎মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা নদীতে ১০০টি নৌকা নিয়ে নৌ র‍্যালি আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎র‍্যালি শেষে অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও শাখা শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা বিজয় দিবসে এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা পুরো জাতিকে নদী রক্ষা ও বাঁচানোর জন্য একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’ ‎

রিয়াজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সব নদী দখল ও দূষণের কারণে মৃতপ্রায়। তিস্তা, ফেনীসহ বড় নদীগুলোতে ভারতের পানি নিয়ন্ত্রণ আমাদের ন্যায্য অংশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে। ভারতের এমন মনোভাব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’ ‎

‎এ সময় শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও শাখা শিবির সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফসহ প্রায় সাত শতাধিক শিবির নেতা-কর্মী এতে অংশগ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত