Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যবসায়ী-সাংবাদিক ও ওসিসহ আহত অর্ধশতাধিক

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
গঙ্গাচড়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ব্যবসায়ী-সাংবাদিক ও ওসিসহ আহত অর্ধশতাধিক

গঙ্গাচড়া উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেনও রয়েছেন।

গুম, খুন, জ্বালানি তেল ও পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় গঙ্গাচড়া পুরাতন সোনালী ব্যাংকের মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি।

বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেনও আহত হয়েছেন।

এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি নেতাকর্মীরা গঙ্গাচড়া দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে গঙ্গাচড়া উপজেলা মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল বারি স্বপন রাবার বুলেটে আহত হন। আর বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন সাংবাদিক।

সংঘর্ষে বিএনপির নেতাকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ অর্ধশতাধিক আহত। পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে গঙ্গাচড়া বাজারের ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ ৫০ জন আহত হন। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মী সন্দেহে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।

এরপর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল বারী স্বপন বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ছবি তুলছিলাম। এমন সময় পুলিশের গুলির শব্দ, এমন স্পিডে আমার কপালে এসে পুলিশের রাবার বুলেট লেগেছে যে আমি তাৎক্ষণিক মাটিতে পড়ে যাই। পরে কয়েকজন আমাকে নিয়ে এসে গঙ্গাচড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।’ 

গঙ্গাচড়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বলেন, ‘আমাদের কী দোষ। পুলিশ আমাদের দোকানে এসে অযথা মারপিট করেছে। আমরা গরিব মানুষ। আমরা ব্যবসা করে খাই। দলের লোকদের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা, পুলিশ বুঝবে আর দলের লোকজন বুঝবে, আমার দোকানে এসে আমার দোকান ভাঙচুর করে পুলিশ সদস্যরা এবং আমাকে বেদম মারপিট করে। পুলিশের মাইরে আমার পিঠ পুরো ফেটে গেছে।’

গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুকাইয়া আক্তার বলেন, ‘হঠাৎ করে এত রোগী জরুরি বিভাগে এসেছে যে আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’ 

সংঘর্ষস্থল থেকে সন্দেহজনকভাবে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরাতো পুলিশদের কিছু বলিনি। আমরা চেয়েছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও সমাবেশ করতে। অযথা পুলিশ সদস্যরা আমাদের মিছিলে এসে বাধা দেয় এবং তারাই আগে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এতে আমার গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপি অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।’

তবে বিএনপিই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে অভিযোগ করে গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা গঙ্গাচড়ার শান্তিপ্রিয় মানুষকে অশান্ত করে তুলেছে। তাদের দীর্ঘদিনের যে চরিত্র—সন্ত্রাসবাদী, সেই চরিত্রের তারা আজকে বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। মসজিদের ভেতরে পুলিশেরা আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানে গিয়েও তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সেই সন্ত্রাসবাদী দলের নেতারা। তারা শান্তিপ্রিয় মিছিল করতে চেয়েছিল, তাই আজ আওয়ামী লীগ কোনো প্রোগ্রাম রাখেনি। আওয়ামী লীগ কোনো প্রশাসনকে বলেনি তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিন। আজকে তারা শান্তিপূর্ণ মিছিলের নামে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ উপজেলা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানে তারা পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিক ভাইদের ওপর হামলা চালায়।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে দলই আসুক না কেন, রুটের মধ্যে মিছিল করতে গেলে প্রশাসনের কাছ থেকে পারমিশন নিতে হয়। তারাও আজকে মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য কয়েক দিন আগে রুট পারমিশন নিয়েছিল। কিন্তু তারা যে রুটের জন্য পারমিশন নিয়েছে সে রুট ব্যবহার না করে অন্য রুটে জোরপূর্বক মিছিল করতে চায়। সে সময়ে আমাদের পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে। এ সময় পেছন থেকে কিছু নেতাকর্মী উসকানিমূলক ভাবে গুজব ছড়ায়। তারা বলে, পুলিশ আমাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবেই পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিজেকে হেফাজত করার জন্য মসজিদের ভেতরে ঢুকল। তারা কিন্তু আমাদের পুলিশ সদস্যদের মসজিদের ভেতরে মারধর করে। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। গঙ্গাচড়া থানার ওসি তাঁর পায়ে ইট পাটকেলের আঘাত লাগার কারণে তিনি এখন পর্যন্ত উঠে দাঁড়াতে পারছেন না।’

সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত উঠানে পড়ে রইল লাশ, সম্পত্তি নিয়ে ছেলেমেয়েদের ঝগড়া

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে রুহুল আমিন নামের এক বৃদ্ধের লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন তাঁর ছেলেমেয়েরা। আজ সোমবার উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আজ ভোরের দিকে সত্তরোর্ধ্ব রুহুল আমিন মারা যান। শেষপর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেলে বৃদ্ধের লাশ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সোহেল রুহুল আমিনের জমিজমা ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে বাবার বিষয়সম্পত্তি থেকে প্রথম পক্ষের সন্তানেরা বঞ্চিত হয়েছেন। রুহুল আমিনের মৃত্যুর খবর শুনে প্রথম পক্ষের সন্তান মোফাশ্বেরা বেগম, নাসিমা আক্তার, শরীফসহ সবাই বাবার সম্পত্তির হিসাব চাইতে আসেন। সোহেল তাঁদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসীর ভিড় জমে গেলে একপর্যায়ে লাশ ফেলে চলে যান সোহেল। অন্যদিকে সম্পত্তির হিসাব না পেলে লাশ দাফনে বাধা দিতে অনঢ় থাকেন প্রথম পক্ষের সন্তানেরা।

এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, সিদ্দিক উল্যা ও শরিফ জানান, রুহুল আমিনের অনেক বিষয়সম্পত্তি ছিল। আগের সৎভাই-বোনদের কোনো সম্পত্তি না দিয়ে সবকিছু সোহেল দখল করে রেখেছেন। এ ছাড়া এলাকার কিছু মানুষের কাছে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে সোহেল বলেন, ‘আমার বাবার কোনো সম্পত্তি আমার কাছে নাই। তারা যদি লাশ দাফন করতে না দেয়, আমার কোনো আপত্তি নাই।’

চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, ‘লাশ দাফনে বাধার খবর শুনে এসে দেখি, মৃত রুহুল আমিনের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলছে। সোহেলের কাছে রুহুলের প্রথম ঘরের ছেলেমেয়েরা সম্পত্তির হিসাব চাইলে সে বসে বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হয়নি।’

‎এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেল ৫টার দিকে লাশ দাফন করা হয়েছে। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৪ আসনে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আজ সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

পরে কাগজপত্র সংশোধন করে রিটার্নিং কার্যালয়ে আসতে আসতে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। ফলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।

জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গতকাল রোববার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সদ্য নিবন্ধিত আমজনতা দলের মনোনয়ন পান। আজ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। পরে জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সংশোধনের জন্য তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দেখি এ ব্যাপারে কী করা যায়।’

বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, আশরাফুল আলম মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও সঠিক সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেননি। তাঁকে আপিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌলভীবাজার-৪ আসনে বাবা ধানের শীষের প্রার্থী, ছেলে স্বতন্ত্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুঈদ আশিদ চিশতী। ইউএনও আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জের ইউএনও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

জানা গেছে, কোনো কারণে মুজিবুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বিকল্প হিসেবে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী প্রার্থী হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ির মালিককে কামড়ে পালানোর চেষ্টা চোরের, দুজনেই হাসপাতালে

মধুখালী প্রতিনিধি
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের মধুখালীতে রাতের আঁধারে গেরস্তের ঘরে চুরি করতে ঢোকে এক চোর। ঘরে ঢুকে এদিক-সেদিক টাকাপয়সা ও মালপত্র খুঁজতে থাকেন তিনি। চোরের এই আগমন টের পেয়ে যান বাড়ির মালিক। চোর যখন চুরি করতে ব্যস্ত, তখন আচমকা পেছন থেকে তাঁকে ঝাঁপটে ধরেন তিনি। এ সময় পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা চোর বাড়ির মালিককে আঁচড়ে-কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। বাড়ির মালিকের চিৎকার হইচইয়ে ঘরের অন্য সদস্য এবং আশপাশের লোকজন চোরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়।

গত শনিবার গভীর রাতে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. রবিন শেখের (২৭) ঘরে এই কাণ্ড ঘটে। রবিন শেখ ওই বাড়ির মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে। অভিযুক্ত চোর হলেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার প্রাভাটুরা গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (৪১)।

জানা গেছে, বাড়ির মালিক রবিনের হাতে ধরা খাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন চোর সোহেল। রবিন শেখের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে-আঁচড়ে গুরুতর আহত করেন তিনি। রবিনের চিৎকারে তাঁর বাবাসহ অন্যরা চোরকে ধরে ফেলেন। এলাকার লোকজন মিলে চোরকে পিটুনি দেয়। বর্তমানে বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিক—দুজনেই মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুন হাসান বলেন, আহত মো. রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিককে হাসপাতালে নিয়ে এলে দুজনকেই ভর্তি করি এবং তাঁরা চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত