নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘যদি আমাদের জোটে যেতে হয়, তা অবশ্যই একটা নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। জুলাই সনদ বা সংস্কার বিষয়ে কারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, আমাদের সহযোগিতা করছে, সেই জায়গা থেকে জোটের বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। যদি সংস্কারের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। কারণ, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই দাঁড়াতে চাই।’
নির্বাচন পেছাতে শাপলা দেওয়া হচ্ছে না
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শাপলা না দেওয়ার বিষয়টা নির্বাচন কমিশনের একটা স্বেচ্ছাচারিতা। কারণ, নির্বাচন কমিশন যদি কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়া একটা বিষয় চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা ধরে নেব নির্বাচন কমিশন অন্য কোনো শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, ন্যায়বিচার করতে সক্ষম নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না, গায়ের জোরে পরিচালিত হচ্ছে। তখন জনগণের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হবে। যদি আমাদের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, আমরা অন্য যেকোনো প্রতীক নিতে প্রস্তুত আছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো বাধা নই।’
এনসিপি যাতে নির্বাচনমুখী কার্যক্রম করতে না পারে, সেই উদ্দেশ্য থেকেই শাপলা প্রতীক নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক শক্তি এটা করছে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের অভিযোগ নতুন নয়। আমরা কিন্তু কমিশন গঠনের শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলাম, এই গঠনটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো।’
নাহিদ বলেন, ‘এখন প্রতীক ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে আমাদের নির্বাচন করতে দেবে না, তখন এটাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কার্যক্রম থামিয়ে রাখিনি। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই চলছে। খুব শিগগিরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। আমরা চাই, আগামী সংসদে তরুণদের ভয়েস থাকবে। পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য মানুষ, যারা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করতে চায়, সেই ধরনের মানুষগুলোকে আমরা উঠিয়ে আনতে চায়। প্রবাসীদের সমন্বয়ে নারী ও সংখ্যালঘুদের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা করতে চাই।’
জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা
বাস্তবায়নের রূপরেখা ছাড়া জুলাই সনদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেদিন স্বাক্ষর হয়, সেদিনই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এটি কেবলই একটা আনুষ্ঠানিকতা। কাগজের সাইন, যার মূল্য কেবলই কাগজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এ রকম ত্রিদলীয় রূপরেখা দেখেছিলাম, যেটা জনগণকে লোকদেখানো এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে ভুলে যাওয়া। এই ভুল আমরা করব না।
‘তবে আমরা বলেছি, আমরা স্বাক্ষর করতে চাই। এই সংস্কারের পুরো অগ্রযাত্রাতেই আমরা ছিলাম। অবশ্যই আমরা সংস্কার চাই। স্বাক্ষর করার জন্যই আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা শুনেছি, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশটা দেওয়া হবে। আমরা বলেছি, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে আমরা সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় দেখতে চাই। একটি হচ্ছে, নোট অব ডিসেন্ট বলে কোনো কিছু থাকবে না। যে সমস্ত বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে অথবা ঐকমত্য কমিশন সংবিধান সংস্কারের জন্য যে সমস্ত বিষয়কে লিপিবদ্ধ করেছে, সেই বিষয়গুলো গণভোটে যাবে এবং জনগণ রায় দেবে সেই বিষয়গুলো পরিবর্তিত হবে কি না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই ঘোষণা করতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ অনুমোদিত হবে এবং এই আদেশটা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এই আদেশের বা সংস্কারের ভিত্তিটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এই ধরনের সাংবিধানিক আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যে প্রেসিডেন্ট আছেন চুপ্পু, তিনি এই আদেশ দিতে পারেন না। সেটা বৈধ হবে না, জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার জায়গা থেকে এই আদেশটি জারি করবেন। পরবর্তীতে যে সংসদ হবে, সেখানে একটা সংস্কার পরিষদ হওয়ার কথা, সেখানে এই সকল পরিবর্তিত বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হবে। এগুলো যখন নিশ্চিত হবে, সেখানে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করব।’
একক সরকার টিকবে না
নাহিদ বলেছেন, ‘আমরা বলেছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন হয়। এ জন্য সকল পক্ষকেই কাজ করতে হবে। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সবকিছু করবে বা এই জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হবে। তারা সংসদ টেকাতে পারবে না। সংসদ টেকাতে তাদের কষ্ট হবে এবং জনগণের আস্থা তারা পাবে না। তাই সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান করব, সংস্কারের পক্ষে থাকার।’
তবে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ দিতে হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই বিচারের রোডম্যাপ দিতে হবে। সারা দেশে যে আট শতাধিক মামলা রয়েছে, সেগুলোর কী হবে—তা জানাতে হবে। ট্রাইব্যুনালে যে গুমের মামলা চলমান রয়েছে, সেটি যেন অব্যাহত থাকে। ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম যাতে পরবর্তী সরকারের সময়েও চলমান থাকে, এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সকল রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে থাকতে হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না
আগামী সংসদ নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাহিদ। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই মুহূর্তে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আমরা বিচার বিভাগকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জায়গায় টেনে আনতে চাই না। এর নানা ক্ষতিকর দিক আমরা অতীতে দেখেছি। এটা ঐকমত্য কমিশনের বিষয় যেহেতু, এটা গণভোটে গেলেই চূড়ান্ত হবে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই আমাদের নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এই সরকারের কিছু সমালোচনা এসেছে। আমাদের জায়গা থেকেও বলেছি। কিছু উপদেষ্টাদের বিষয়েও কথা এসেছে। এটা যথাযথভাবেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অ্যাড্রেস করা উচিত। সরকারের সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো রদবদলের প্রয়োজন হলে সরকার করতে পারে।’
নিম্নকক্ষে পিআর নয়
জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দলের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয় ছিল। পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষের তো কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই আন্দোলন সামগ্রিক ঐকমত্য কমিশনের আলাপটাকে ডাইভার্ট করেছে, মনোযোগটা অন্য দিকে সরিয়েছে। যে সমস্ত দল এই আন্দোলনে ছিল, আমরা তাদের আহ্বান করেছি সেটা থেকে সরে এসে সত্যিকার যে সংস্কার প্রয়োজন সেটির ব্যাপারে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।’
আ.লীগ রাজনৈতিক শক্তি নয়
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ কোনো দিনই নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। নির্বাচন যাতে না হয়, বাংলাদেশে যেন স্থিতিশীলতা না হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। তাই ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ এখনো নানাভাবে রয়ে গেছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনীতি এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আছে। আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী শ্রেণি রয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পর্যন্ত জামিন পেয়ে নানা জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছে।’
জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়! সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের সকল গুম-খুনকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা মনে করি না, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো দল। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ নেহাল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, রাজশাহী মহানগর সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১০ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। কেউ পথের কাঁটা হলে হত্যাও করানো হচ্ছে। এর সর্বশেষ শিকার পল্লবীর যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া।
মিরপুরে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ফোর স্টার গ্রুপের চাঁদাবাজিতে মিরপুরের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। মামলা, জিডি, আন্দোলন করেও তাঁরা চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পরিবহন খাতেও চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দাদের তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মিরপুরে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন মফিজুর রহমান মামুন, ‘কিলার’ ইব্রাহীম, শাহাদাত হোসেন ও মোক্তার হোসেন। তাঁদের মধ্যে মামুন মালয়েশিয়ায়, ইব্রাহীম ফ্রান্সে, শাহাদাত ইতালিতে এবং মোক্তার ভারতে অবস্থান করছেন। মামুনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১২, পল্লবী, সাগুফতা ও বাউনিয়া এলাকা। ইব্রাহিমের নিয়ন্ত্রণ মিরপুর ১৩, মিরপুর ১৪, ভাষানটেক ও কালশীতে। শাহাদাতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিরপুর ১, মিরপুর ২, মিরপুর ৬, মিরপুর ৭। মোক্তার হোসেনের নিয়ন্ত্রণে মিরপুর ১০ ও ১১ এলাকা। বিদেশে বসেই তাঁরা দেড় শতাধিক অনুসারীকে দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন। একজনের অনুসারীরা অন্যজনের এলাকায় যাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, গত ১৭ নভেম্বর মিরপুর ১২ নম্বরের সি ব্লকের একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ মামুনের অনুসারীরা। কারণ, সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া এলাকায় মাদক কারবারসহ বেশ কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করায় মামুন ক্ষিপ্ত হন।
র্যাব-৪ সূত্র বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় মাদক কারবার, পরিবহন ও আবাসন খাতে চাঁদাবাজিতে সক্রিয় তাঁর অনুসারীরা। গত জানুয়ারিতে পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্সের অফিসে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পল্লবী থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আটজনকে। এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান বলেন, মামুনের রেফারেন্স দিয়ে ‘জামিল’ পরিচয়ে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ওই চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বিহঙ্গ পরিবহনের একজন লাইনম্যান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিরপুরের প্রতিটি বাস, বাসস্ট্যান্ডে মাসিক ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা টাকা পায়। তারা এলাকা ভাগ করে এই চাঁদা নেয়।
ইব্রাহীমের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় বিহারি ক্যাম্পগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকের কারবার করছে তার অনুসারীরা। এসব এলাকায় মাদকের অন্তত ১১টি বড় স্পট রয়েছে।
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত হোসেন ইতালিতে থেকে অনুসারীদের দিয়ে তাঁর এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রেখেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শাহ আলীর স্বাধীন মার্কেটে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে আসিফ সিকদারের নেতৃত্বে ভাঙচুর চালায় শাহাদাত বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মার্কেটের ম্যানেজার তরিকুল মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসিফ পুলিশকে জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, ‘ফোর স্টার গ্রুপের’ অপরজন মোক্তার ভারতে আত্মগোপনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ান। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর অনুসারীরা চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। মিরপুর ১০ নম্বরের বেনারসিপল্লির ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকির অভিযোগে পল্লবী থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
চাঁদাবাজদের ভয়ে কয়েক দিন দোকান বন্ধ রাখা সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য গত ১০ মে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১২ বার তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
‘ফোর স্টার গ্রুপের’ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। এর নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল, তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মিরপুরের কয়েকজন সন্ত্রাসীর বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।’

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
২৮ অক্টোবর ২০২৫
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মৌলভীবাজারে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করে, চালায় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের নানান দলিলপত্রে এসব উঠে এসেছে। পরবর্তী সময়ে এসব গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করে কয়েকটি বধ্যভূমি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। তবে যেসব স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ঠিক করা হয়েছে, সেসব স্থান বছরের পর বছর ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। মাঝেমধ্যে বিজয় দিবসে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ২০টি বধ্যভূমি আছে। এর মধ্যে মাত্র আটটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই সংরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো সব সময় ঝোপজঙ্গলে ভরা থাকে। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়।
সরেজমিনে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শমশেরনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, সম্মুখসমরের স্মৃতিস্তম্ভ, দেওড়াছড়া বধ্যভূমিতে সরকারিভাবে স্থাপনা তৈরি করা হলেও বাইর থেকে বোঝার উপায় নেই এগুলো বধ্যভূমি। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটা একটা ভূতের বাড়ি। ঘন জঙ্গলে ভরা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন নথি সূত্রে জানা যায়, জেলার চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বিমানবন্দরসংলগ্ন বধ্যভূমি, দেওড়াছড়া; শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গণকবর; কুলাউড়া উপজেলার হাকাতির দিঘিরপাড়ের গণকবর; কুলাউড়া রেলস্টেশনের দক্ষিণে রেললাইনের পূর্ব পাশের গণকবর; রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের হিরনারায়ণ দাসের দিঘিরপাড়ের গণকবর, বড়লেখা উপজেলার সায়পুর গণকবর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাড়ন্তি-নালিউড়ি সড়কের উত্তর পাশের গণকবর ও আপার কাগাবলা ইউপির নড়িয়া গ্রামের কামিনী দেবের বাড়ির দক্ষিণ পাশের গণকবরসহ বেশ কিছু বধ্যভূমি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, বধ্যভূমিগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নিদর্শন। এখানে পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ এই স্থানগুলো এখনো গরু-ছাগল ও মানুষের মলমূত্র ত্যাগের জায়গা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজয় দিবসের আগে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা মনু মিয়া বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। বয়স হয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছি। শমশেরনগর বধ্যভূমিতে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। দেওড়াছড়ায় একসাথে প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করে গণকবর দিয়েছে। এ স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হলেও কোনো কদর নেই। শুধু এই দুটি নয়, সারা জেলায় অনেক গণকবর ও বধ্যভূমি আছে, যার চিহ্ন এখন নেই।’
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভায় একটি বধ্যভূমি আছে, যা বিজয় দিবসের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলে দেওয়া হবে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য।

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
২৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
২৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১০ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

যারা সংস্কারের বিপক্ষে এবং যাদের ইতিহাসের দায়ভার রয়েছে, তাদের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জোটে যেতে অনেকবার ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
২৮ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানী ঢাকার বৃহত্তর মিরপুরে অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘ফোর স্টার গ্রুপ’ নামে পরিচিত এই চার শীর্ষ সন্ত্রাসীর সবাই বিদেশে। মিরপুরকে নিজেদের মধ্যে ১৪ ভাগে ভাগ করে নিজস্ব সন্ত্রাসী দল দিয়ে বিদেশে বসেই নিজ নিজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
১০ মিনিট আগে
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে মৌলভীবাজারের অর্ধেকের বেশি বধ্যভূমি এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে