Ajker Patrika

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম: কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম: কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। দায়সারা কাজের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (এলজেএসপি) প্রকল্পের আওতায় নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা পশ্চিমপাড়া কায়েমের বাড়ি থেকে কালভার্ট পর্যন্ত ৪৬০ ফুট রাস্তা সিসি করণের কাজ চলছিল। কাজটি নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম নিজেই তদারকি করছিলেন। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। 

গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে সড়ক সিসি করণে নিম্নমানের ইট খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা এসে তীব্র প্রতিবাদ করেন। তারপরও তাঁরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর তোপের মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হোন শ্রমিকেরা। 

সড়ক নির্মাণের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসীপালশা গ্রামের বুলবুল, জনি, রাসেল, রেজাউল, মতিউর বলেন, রাস্তায় একেবারেই নরম তিন নম্বর ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছিল। গাড়ি গেলেই দেবে যাচ্ছে রাস্তা। হাত দিয়েই ভাঙা যাচ্ছিল নরম ইটগুলো। এমন অনিয়ম দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তার বন্ধ করে দিয়েছে। ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহার না করলে রাস্তা কাজ হতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তাঁরা। এ জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নাই। কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। তা ছাড়া রাস্তা সিসি করণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে না। 

সড়ক নির্মাণের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসীউপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী ভিডিও এবং ছবি পাঠিয়েছে আমার কাছে। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীর পলাশে তাঁতশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় একটি তাঁত কারখানার শ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শ্রমিকের নাম এমরান মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। আজ মঙ্গলবার সকালে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামে একটি তাঁত কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, এমরান বাড়ির পাশে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তির তাঁত কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গতকাল রাতে নাইট ডিউটির সময় তিনি হঠাৎ কারখানা থেকে বের হন। এরপর আর ফিরেননি। পরে ভোরে কারখানার এক শ্রমিক রাস্তার পাশে এমরানের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরীয়তপুরে ছাত্রদল-এনসিপি সংঘর্ষের পর এনসিপির কার্যালয় তছনছ, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
এনসিপির জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপির জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরে ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর এনসিপির জেলা কার্যালয় ও এনসিপির এক কর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার।

এর আগে সন্ধ্যায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

ঘটনায় এখনও কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি বলে জানিয়েছেন পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে এনসিপির জেলা সদস্য সচিব সবুজ তালুকদারের নেতৃত্বে সোমবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গার্লস স্কুল এলাকা থেকে শুরু হয়ে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড় অতিক্রম করে তামিম ফ্যামিলি ফুড সেন্টারের সামনে পৌঁছালে আকাশ নামে ছাত্রদলের এক কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলের মধ্যে ঢুকে পরে। এ নিয়ে আকাশের সঙ্গে এনসিপির নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছাত্রদল কর্মী আকাশকে রক্ষা করার জন্য চৌরঙ্গী মোড়ে নিয়ে আসে।

এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, এনসিপির লোকজন ছাত্রদল কর্মী আকাশকে আটকে রেখে মারধর করছে।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদারের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। উভয় পক্ষ হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলায় জড়িয়ে পড়ে। হাতবোমা বিস্ফোরণ ও অস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এনসিপির কর্মী সাইফুজ্জামান খানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপির কর্মী সাইফুজ্জামান খানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার (৩৮), ছাত্রদল কর্মী নিরব তালুকদার (১৮), আকাশ (২২), আরমান (২৬), মামুন (৩০), আবিদ খান (২৮), ইসাহাক সরদার (৩২), যুবদল কর্মী নাঈম বেপারী (২৫), বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ আলী (৫০) সহ আরও কয়েকজন। তাদেরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত যুবদল কর্মী নাঈম বেপারীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

নাঈমকে এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা পাঠানোর পর উত্তেজিত ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা একযোগে মিছিল নিয়ে এনসিপির জেলা কার্যালয় ও এনসিপি কর্মী সাইফুজ্জামান খানের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ এনসিপির।

আজ মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর জেলা শহরের গার্লস স্কুল সংলগ্ন এনসিপির জেলা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের সমস্ত চেয়ার-টেবিল, আলমারি, ফ্যান সহ সবকিছু তছনছ অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় সংলগ্ন বেপারীপাড়া এলাকায় এনসিপির কর্মী সাইফুজ্জামান খানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দরজা-জানালা, টিনের বেড়া, চেয়ার-টেবিল, হাঁস-মুরগির খোয়াড় সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে।

এ বিষয়ে জেলা এনসিপির সদস্য সচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে গতকাল আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করি। আমাদের মিছিলে ছাত্রদলের এক কর্মী ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি ওই ছাত্রদল কর্মীকে রক্ষা করার জন্য তাকে চৌরঙ্গী মোড়ে নিয়ে আসি। তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ায় আমরা তাকে আটকে রেখে মারধর করছি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদারের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের সাত থেকে আটজন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আবারও সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এনসিপির জেলা কার্যালয় ও এনসিপির কর্মী সাইফুজ্জামান খানের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল, যুবদলের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রদল কর্মী আকাশকে ধরে নিয়ে মারধর করে এনসিপির লোকজন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাদের ওপরও হামলা করে। এনসিপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর একাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের সাত জন গুরুতর আহত হন। বোমা হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে এনসিপির লোকজন নিজেরাই নিজেদের অফিস ও বাড়িঘর ভাংচুর করে ছাত্রদলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় ভুল বোঝাবুঝি থেকে এনসিপি ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জানতে পারি এনসিপির কার্যালয় ও একজনের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন পক্ষই এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি। জানতে পেরেছি দুই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহনে পশ্চিমে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় নিতে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চার জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এ জন্য বিভিন্ন রুটের তিনটি ট্রেনের স্বাভাবিক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘খুলনা-ঢাকা-খুলনা, যশোর-ঢাকা-যশোর, চাটমোহর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-চাটমোহর এবং পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একটি করে ট্রেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনগুলো আপ ও ডাউন মিলিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এসব ট্রেনে প্রায় ১ হাজার ৯০০ যাত্রী পরিবহন করা যাবে।’

ফরিদ আহমেদ জানান, বিশেষ ট্রেন চালানোর কারণে রাজবাড়ী কমিউটার (রাজবাড়ী-পোড়াদহ), ঢালারচর এক্সপ্রেস (পাবনা-রাজশাহী) ও রহনপুর কমিউটার (রহনপুর-রাজশাহী) ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল এক দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।

এ সময় সাময়িক অসুবিধার জন্য নিয়মিত যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা, আটক ৩

বগুড়া প্রতিনিধি
ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দৃর্বৃত্তরা (ইনসেটে) নিহত পিন্টু আকন্দ। ছবি: সংগৃহীত
ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দৃর্বৃত্তরা (ইনসেটে) নিহত পিন্টু আকন্দ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে মাইক্রোবাসের মালিকের বুদ্ধিমত্তায় পুলিশ মাইক্রোবাসের চালককে আটক এবং লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত ব্যক্তির নাম পিন্টু আকন্দ (৩৮)। তিনি দুপচাঁচিয়া বাজার এলাকায় লোটো শোরুমের ব্যবস্থাপক ছিলেন।

সোমবার রাত ১২টার দিকে আদমদীঘি থানার কোমারভোগ গ্রামের একটি রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় গাড়িটির পেছনের সিট থেকে পিন্টু আকন্দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাক ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। ঘটনাস্থল থেকে মাইক্রোবাসের চালক সানোয়ার হোসেনকে (৪০) আটক করা হয়।

পিন্টু আকন্দ নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার লৌহচড়া গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি চার বছর ধরে দুপচাঁচিয়া বাজার এলাকায় বসবাস করছিলেন এবং তাঁর শ্যালক বাবু ও ইলাহীর মালিকানাধীন লোটো শোরুমে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয় লোকজন জানায়, সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ সড়কের খন্দকার মার্কেটের সামনে থামে। মাইক্রোবাস থেকে তিন-চার ব্যক্তি নেমে শোরুমে প্রবেশ করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পিন্টু আকন্দকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে তালোড়ার দিকে নিয়ে যান।

মাইক্রোবাসের মালিক মশিউর রহমান পান্না জানান, সোমবার বিকেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজশাহীতে আসামি ধরতে যাওয়ার কথা বলে দুপচাঁচিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁর গাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া পাঁচ-ছয়জন দুপচাঁচিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইক্রোবাসে উঠে সান্তাহারের দিকে যান।

মশিউর রহমান বলেন, ‘গাড়িটি ভাড়া দেওয়ার পর থেকে জিপিএসের মাধ্যমে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলাম এবং চালকের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখছিলাম। পরে গাড়িটি সান্তাহার থেকে আবার দুপচাঁচিয়ায় ফিরে এলে চালক জানায়, রাজশাহী যাওয়া বাতিল হয়েছে, তালোড়ায় আসামি ধরতে যাবে। এর আগে দুপচাঁচিয়া থানা থেকে দুই পুলিশ সদস্য গাড়িতে উঠবেন বলেও জানায়।’

মশিউর রহমান পান্না আরও জানান, রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাইক্রোবাসে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ভিডিও দেখতে পান। এরপর জিপিএসের মাধ্যমে দেখতে পান, গাড়িটি তালোড়া হয়ে নন্দীগ্রাম, সিংড়ার কালীগঞ্জ হয়ে নওগাঁর রাণীনগর এলাকায় ঘুরে সান্তাহারে আসে এবং পরে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামে অবস্থান নেয়। এ সময় চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় বিষয়টি জানান। পরে রাত ১১টার দিকে জিপিএসের মাধ্যমে গাড়িটি বন্ধ করে দেন।

এরপর সহকারী পুলিশ সুপার (আদমদীঘি সার্কেল) আসিফ হোসেনের নেতৃত্বে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে আদমদীঘি থানার কোমারভোগ গ্রামমুখী সড়কে তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে মাইক্রোবাসটি জব্দ করে। এ সময় চালককে আটক করা হয় এবং গাড়ি থেকে পিন্টু আকন্দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন বলেন, মাইক্রোবাসের চালকসহ তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা জানতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত