Ajker Patrika

সামনের নির্বাচনে ১০টি ‘মার্ডার’ হলেও মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা সাবেক এমপির

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ২০: ৫৩
সামনের নির্বাচনে ১০টি ‘মার্ডার’ হলেও মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা সাবেক এমপির

‘সামনে নির্বাচন আসবে, যদি সেই নির্বাচনে দশটি মার্ডারও হয়, আমি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা মাঠ থেকে সরব না। আর আপনারা কেন্দ্র ছাড়বেন না, না, না, যতকিছু হোক না কেন। প্রশাসনের লোক বলেন, দলীয়করণ বলেন যাই কিছু হোক না কেন, সবকিছু কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমার পক্ষে মেনটেইন করা সম্ভব।’  উপজেলা যুবলীগের অনুষ্ঠানে এভাবেই কথা বলছিলেন নরসিংদী-৩ (শিবপুর) সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

তাঁর এমন বক্তব্যের একপর্যায়ে মঞ্চে উপস্থিত জেলা যুবলীগ সভাপতি বিজয় গোস্বামী দাঁড়িয়ে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার কানে কিছু একটা বলার পর বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। 

উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের ইটাখোলা গোলচত্বরে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন। 

সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসন থেকে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে সেবার নির্বাচন করে জয়ী হন। 

২০১৪ সালে হাঁস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে বিজয়ী সাবেক এই এমপি বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি সাংসদ থাকাকালীন শিবপুরে কি উন্নয়ন হয়েছে, আর বর্তমানে কি উন্নয়ন হচ্ছে আপনারা তা দেখছেন। ইটাখোলা-সিঅ্যান্ডবি, শিবপুর-দুলালপুর, কামরাব রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারতলা ভবন এবং উপজেলা প্রশাসন ভবন, নদী খনন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমার মাধ্যমেই হয়েছে। বাংলাদেশের ১৪টি আদর্শ উপজেলার মধ্যে শিবপুর উপজেলার নাম আমি অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম।’ 

আগামী নির্বাচনে যদি দশটি মার্ডারও হয় মাঠ না ছাড়ার ঘোষণার এমন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নরসিংদী ও শিবপুরের রাজনীতির অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকে এমন বক্তব্যকে উসকানি হিসেবে দেখছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান বলেন, শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ২০১৪ এবং ১৮ সালে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। তা ছাড়া, ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ না করায় ২০১৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পাননি। পরপর দুইবার নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করায় উনি বুঝতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ থেকে কখনো মনোনয়ন পাবেন না। তাই আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার অভিপ্রায়ে ওনার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক এসব বক্তব্যে প্রদান করেছেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘সিরাজ মোল্লা সব সময়ই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। আগামী নির্বাচনে কালোটাকার বিনিময়ে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা হিসেবেই এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। আমি ওনার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ 

এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মহল নির্বাচন এলে সহিংসতা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। সামনের নির্বাচনে যদি ১০টি মার্ডারও হয় তাহলে কর্মী-সমর্থকেরা যেন মাঠ ছেড়ে না যায় সেই আহ্বান করেছি। যাতে কেউ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন, নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার জন্যই আমার এমন বক্তব্য দেওয়া। আমি হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কেউ যদি মার্ডার করার রাজনীতি করতে আসেন এবং বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের হুঁশিয়ারি করার জন্যই এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য।’ 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জহিরুল হক মোহনের সঙ্গে সিংহ প্রতীক নিয়ে দলের বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন কুন্দারপাড়া এলাকার একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মিলন মিয়া হত্যার শিকার হন। এই হত্যার ঘটনায় ২ জানুয়ারি এজেন্ট মিলনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর আলম মোল্লা তাজুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর আলম মোল্লা তাজুল। তদন্তের পর মামলার অভিযোগপত্রে সিরাজুল ইসলাম মোল্লাসহ কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আরেক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বগুড়া শহরতলির তেলিপুকুর এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালকের নাম সেলিম হোসেন (৪০)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক সেলিম গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসার পাশে ফের বিস্ফোরণ, আহত ১

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পাশের জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসাটিতে আগেরবার ঘটা বিস্ফোরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে রাজু (৩০) নামের এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে এ বিস্ফোরণ হয়।   

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে যায়, ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাশের একটি বিল্ডিং, গ্যারেজের ও ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন, তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তাঁদের দুই ছেলে এবং পাশের একটি সিএনজি গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫) আহত হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনারগাঁয়ে লরি বিকল: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি মালবাহী লরি বিকল হয়ে পড়ায় যান চলাচল ধীরগতির হয়। এর জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যানজট অব্যাহত আছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট দেখা গেছে। মেঘনা ঘাট থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। কোথাও কোথাও যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রোগী ও শিশুদের নিয়ে চলাচলকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

চাঁদপুরগামী যাত্রী শামশুল আলম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে এখন পর্যন্ত মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যেখানে দুই ঘণ্টায় পৌঁছানোর কথা, সেখানে পাঁচ ঘণ্টাতেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ‘গত রাতে মদনপুর এলাকায় একটি বড় লরি বিকল হয়ে পড়েছিল। কিছুক্ষণ আগে সেটি মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে। লরি বিকলের কারণেই যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যানজট ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত