Ajker Patrika

ডাচ ভক্ত বদরুদ্দোজার ঘর যেন একখণ্ড ‘হল্যান্ড’ 

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ৩০
ডাচ ভক্ত বদরুদ্দোজার ঘর যেন একখণ্ড ‘হল্যান্ড’ 

বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনায় মাতোয়ারা গোটা বিশ্ব। নিজ নিজ পছন্দের দলের সমর্থনে নানা আয়োজনে মেতেছেন ভক্তরা। বাংলাদেশের বেশির ভাগ দর্শক আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের সমর্থক। এর বাইরে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, ইংল্যান্ড, পর্তুগালের সমর্থকও চোখে পড়ে। এবার দেখা মিলেছে ডাচ ফুটবল ভক্তের, যিনি ডাচ পতাকা ও জার্সি দিয়ে ঘর সাজিয়েছেন। ঘরেই বানিয়েছেন প্রতীকী মাঠ। 

মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা লস্কর (৪২) নামের ওই ডাচ ভক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এনায়েতনগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি পেশায় সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। বর্তমানে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও ফুটবলকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন তিনি। ফুটবলে তাঁর প্রিয় দল হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডস। 

ডাচ ফুটবলের ভক্ত মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা লস্করনিজ ঘরের ভেতরে বদরুদ্দোজা লস্কর তৈরি করেছেন ৮ ফুট ও ১২ ফুটের প্রতীকী মাঠ। তাঁর ঘরে ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত হল্যান্ডের সব রকমের জার্সি ও টি-শার্ট সংরক্ষিত আছে। এ ছাড়া আছে হল্যান্ডের কাপ (কালো, নীল), প্র্যাকটিস কিট, হল্যান্ডের পানির পট, হল্যান্ডের পানির মগ, হল্যান্ডের প্লেট, হল্যান্ডের বল, হল্যান্ডের চাবির রিংসহ আরও অনেক টুকিটাকি জিনিস। 

বদরুদ্দোজা লস্কর জানান, শৈশব থেকেই ফুটবলকে ভালোবাসেন। খেলা বুঝতে শেখার পর থেকেই তিনি হল্যান্ডের সমর্থক। কেননা, ওই সময়টাতে হল্যান্ড ফুটবল দল ইউরো কাপ জয়ী হয়। ১৯৮৮ সালে হল্যান্ডের সেই ইউরো কাপ জয় এখনো তাঁকে আবেগতাড়িত করে। হল্যান্ডের রুড হুলিট, মার্কো ভ্যান বাস্তেন, ফ্রাংক রাইকার্ড, রোনাল্ড কোয়েম্যান, রোনাল্ড ডি বোয়ের তাঁর প্রিয় খেলোয়াড়। 

ঘরেই বানিয়েছেন প্রতীকী মাঠবদরুদ্দোজা লস্কর আরও জানান, ২০১০ সালে আর জে রোবেন, ভ্যান পার্সি, ওয়েসলি স্লাইডাররা হল্যান্ডকে ফাইনালে তোলে। কিন্তু ফাইনালে স্পেনের কাছে ১-০ গোলের সেই হার আজও ব্যথিত করে তাঁকে।

চার সদস্যের পরিবার লস্করের। নিজে হল্যান্ডের সমর্থন করলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা ভিন্ন দলের সমর্থক। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিলির প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১০ বছরের বড় ছেলে আমির হামজা লস্করের প্রিয় দল জার্মানি। 

১৯৮৮ সাল থেকে হল্যান্ড ফুটবলকে সমর্থন দিয়ে আসছেন বদরুদ্দোজা লস্করলস্কর বলেন, ‘ফুটবলে সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ডিফেন্স। বর্তমান দলে ভ্যান ডাইকের মতো বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার আছেন। এর সঙ্গে আছেন ডি লিট, নাথান আকে, ড্যাম্ফ্রাইস, মালাসিয়ার মতো বিশ্বের নামীদামি ডিফেন্ডাররা। মাঝমাঠে আছেন বিশ্বসেরা ফ্রাঙ্ক ডি ইয়ং, ডি রুন, কোমপেয়ারসের মতো খেলোয়াড়েরা। স্ট্রাইকিংয়ে আছেন মেমফিস ডেপাই, গেগপো, নুয়া ল্যাং। এই দলে বিশ্বকে চমক দেখানোমাত্র ১৯ বছর বয়সী সিমন্সও আছেন। যিনি একাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবেন। তাই আশা করছি, এবার সিমন্সই হবেন বিশ্বকাপের সেরা তরুণ প্লেয়ার।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে আগুনে পুড়ে মারা গেল কৃষকের পাঁচটি গরু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কামারখন্দে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি গরু পুড়ে মারা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কামারখন্দে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি গরু পুড়ে মারা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি গরু পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ১২-১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর মাঠপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর ভাই আসাদুজ্জামান। প্রতিবেশী নাজমুল আলম বলেন, রাতে হঠাৎ আগুন লাগার পর পাঁচটি গরু মারা যায় এবং দুটি গরু আহত হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর খামারে সাতটি গরু ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি গাভি, একটি বাছুর ও একটি ষাঁড় ছিল। চারটি গাভি গর্ভবতী ছিল। অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি গরু মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ভরসা ছিল এই গরুগুলো। সব মিলিয়ে ১২-১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হাসান আলী বলেন, খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ৪৫ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপাশা হোসাইন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পক্ষ থেকে আবেদন পেলে ক্ষতির পরিমাণ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৪
হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ আজ সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ আজ সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

লায়লা আফরোজ তাঁর প্রাণোচ্ছল মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে নিয়ে ফিরলেন নিজ বাসায়; তবে ফ্রিজিং ভ্যানে, লাশ হয়ে। এমন ফিরে আসা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে হত্যার শিকার মা-মেয়ের মরদেহ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নাটোরে নিজ বাসায় এসে পৌঁছেছে। আজ সকাল ৬টায় লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানটি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নিজ বাসভবনের সামনে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা।

নিহত লায়লা আফরোজের ছোট ভাই উত্তরায় বসবাসরত ফরহাদ হোসেন জানান, বড় বোনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। দিনে বেশ কয়েকবার তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হতো। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিডিও কল করে লায়লা জানান, তাঁর বাসার চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চাবি হারানোর ঘটনায় তাঁকে বেশ উদ্বিগ্ন মনে হচ্ছিল। নতুন কাজের মেয়ে বাসায় কাজ শুরুর পর চাবি হারানো স্বাভাবিকভাবে নেননি তিনি। দু-এক মিনিটের এই কথোপকথনই তাঁদের শেষ কথা ছিল।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অনেকটা মানবিকতার খাতিরেই লায়লা গৃহপরিচারিকার কাজ দিয়েছিলেন আয়শাকে। আয়শা তখন জানিয়েছিল, রংপুরে তাদের বাড়িতে আগুন লেগে মা-বাবা মারা গেছে। তার গলা থেকে বুক পর্যন্ত ও হাতের কিছু অংশ আগুনে পোড়া। এ কারণে তাকে কেউ কাজে নিতে চাননি। আয়শার এ কথা লায়লাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। তখন তাকে বাসায় কাজের জন্য রাখেন লায়লা।’

নাটোরে লায়লার প্রতিবেশী মামুন শিকদার বলেন, ‘লায়লাদের পুরো পরিবারকে আমরা ভালোভাবে চিনি। তাদের পরিবারের কেউ কাউকে কষ্ট দিয়ে কোনো দিন কথা বলেছে, এমনটি শুনিনি। অথচ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড তাদের সঙ্গেই ঘটল, যা মেনে নেওয়া কঠিন।’

আজ জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে দক্ষিণ বড়গাছা কবরস্থানে দাফন করা হবে লায়লা ও তাঁর কন্যা নাফিসাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। ছবি: সংগৃহীত
কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করে স্বাক্ষর দেওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানাকে পদোন্নতি দিতে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভায় আহ্বান করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে হইচই পড়েছে।

জানা যায়, ড. মাসুদ রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সমিতি নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলো থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার ওএমআর শিট ও এমপির ডিও লেটার উদ্ধার করা হয়। তখন ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন ড. মাসুদ রানা। ওই ঘটনায় মাসুদ রানাসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিষয়টির বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পর্যায়োন্নয়ন সভায় অংশগ্রহণে মাসুদ রানার নাম থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ রানা বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে, ভিসি সৌমিত্র শেখরকে ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল। তা বিভিন্ন বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে অধ্যাপক হতে তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে পদোন্নতি দেওয়া হলে জুলাই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’

এ বিষয়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা বলেন, ‘সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হতে ৯ মাস আগে আবেদন করেছি। পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভায় অংশগ্রহণের জন্য এখনো কোনো চিঠি পাইনি। পদোন্নতি হয় কি না, তা-ও জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘ওএমআর কেলেঙ্কারিতে আমার নাম অযথা জড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনার রায় প্রত্যাখ্যান করে যেখানে আমার নাম ব্যবহার করে স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকায় প্রতিবাদও করতে পারিনি।’

মাসুদ রানাকে পদোন্নতির বিষয়ে জানতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে পর্যায়োন্নয়ন কমিটির সভার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মুঠোফোনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যায় না। আপনি অফিসে সামনাসামনি আসেন, তারপর কথা বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাংনীতে আমনের বাম্পার ফলন, ধান-বিচালির ভালো দামে খুশি চাষিরা

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধান কাটছেন কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন ও সন্তোষজনক বাজারদর পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। আবাদ করতে গিয়ে শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশকসহ নানা খরচ বেড়ে গেলেও ভালো ফলন ও বাজারদর সেই চাপ অনেকটা কাটিয়ে দিয়েছে। ধানের পাশাপাশি বিচালির দামও এই মৌসুমে ব্যতিক্রমীভাবে বেশি—এক বিঘার বিচালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।

গাংনীর জোড়পুকুর, তেরাইল, বামন্দী, বালিয়াঘাট, হাড়াভাঙ্গা এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধান কাটতে কৃষকদের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিবারের নারী সদস্যরাও। চাষিরা জানান, আমনের ফলন এবং দাম—দুই দিক থেকেই তাঁরা সন্তুষ্ট। যদিও কিছু এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে ফলন কিছুটা কমেছে।

তেরাইল এলাকার কৃষক খবির উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পেয়েছি। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থাকলেও কীটনাশক ব্যবহার করে তা নিয়ন্ত্রণ করেছি। অধিকাংশ জমির ফলন খুবই ভালো হয়েছে। ধানের দামে আমরা খুশি।’

অন্য কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এবারও ভালো ফলন পেয়েছি। বিঘায় ১৮-১৯ মণ হয়েছে। আমন চাষে বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়, কিন্তু ধান ঘরে তুলতে পারলে সেই খরচ আর মনে থাকে না। তা ছাড়া বিচালির এই যে দাম—এক বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তাতে ভালোই লাভ হচ্ছে।’

ধান ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে ধানের বাজারদর মণপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকা। দাম বাড়বে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। ফলন ও দাম দুটিতেই কৃষকেরা সন্তুষ্ট।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাংনীর কৃষকেরা এই মৌসুমে ভালো ফলন পাচ্ছেন। যেসব জমিতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে, সেখানে কিছু ফলন হ্রাস পেলেও তা বিচালির দামে পুষিয়ে যাচ্ছে। চাষিদের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত