Ajker Patrika

সড়কে গাড়ির বদলে দোকান

  • গুলিস্তানে সব ফুটপাতেই দোকান, সড়কগুলোর অর্ধেকই দখল।
  • কয়েকটি সংযোগ সড়কে যান চলাচল একরকম বন্ধ হয়ে গেছে।
  • ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সড়ক ছাড়তে বললেও হকাররা শোনে না।
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু চলাচলের রাস্তা দখল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু চলাচলের রাস্তা দখল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সড়কের একাংশে জটে বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার লম্বা সারি। সড়কের বাকি অংশ হকারদের পসরা। সড়কসংলগ্ন ফুটপাতজুড়ে পুরোদস্তুর দোকান। তাই পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন যানবাহন ও হকারদের পসরার মাঝে থাকা সরু অংশ দিয়ে। কোথাও কোথাও সে সুযোগও নেই রিকশা বা মোটরসাইকেলের আগে যাওয়ার আশায় সরু পথও বন্ধ করায়।

এ চিত্র গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের। সেখানে ফুটপাতগুলো অনেক আগেই হকারদের দখলে চলে গেছে। এরপর থেকে চলছে সড়ক দখল। দখলের কারণে কয়েকটি সড়কে যান চলাচলই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাকি সড়কগুলোতে চাপ বেড়ে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। হানিফ উড়ালসড়ক থেকে গুলিস্তান প্রান্তে নামা যানবাহন আটকে থাকায় উড়ালসড়কেও প্রতিদিন তীব্র যানজটের হচ্ছে।

জিপিওর কাছে জটে আটকে পড়া রিকশার যাত্রী সুবর্ণা কর্মকার বললেন, ‘পল্টন থেকে ফুলবাড়িয়া হেঁটে গেলেও ১০ মিনিট লাগে অথচ ২০ মিনিট একই জায়গায় বসে আছি। রোদ আর মানুষের ভিড়ের কারণে হাঁটতেও ইচ্ছা করছে না।’

শুধু সুবর্ণাই নন, বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের অনেকের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। জিরো পয়েন্ট থেকে গোলাপশাহ মাজারমুখী (নর্থ সাউথ রোড) সড়কের একাংশেও দোকান বসিয়েছেন হকাররা। গোলাপশাহ মাজার থেকে গুলিস্তান কমপ্লেক্সমুখী সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলার মতো জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে, বাকিটায় চৌকি ফেলে হকাররা পসরা সাজিয়েছেন। একই অবস্থা গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়ামুখী সড়কে। রমনা ভবন ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মাঝখানের সড়কে প্রায় ১৬ বছর ধরেই যান চলাচল বন্ধ। কিছু দিন আগে বন্ধ হয়েছে গুলিস্তানে ফোয়ারা ঘেঁষে নবাবপুরমুখী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যান হানিফ উড়ালসড়কে উঠতে পারত। এখন এগুলোকে গুলিস্তান পার্কের ভেতর দিয়ে ঘুরে টিকাটুলি দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে হচ্ছে। ফোয়ারার পাশের বন্ধ সড়কে এ সুযোগে বসেছেন কয়েকজন হকার।

গোলাপশাহ মাজারের সামনের সড়কে নেমে বায়তুল মোকাররমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। বললেন, জটের কারণে যানবাহনে উঠে গরমে বসে থাকতে হবে। কিন্তু দোকান আর যানবাহনের কারণে হেঁটে যাওয়াও কষ্ট। কখন চাপা দেয়, এ ভয়।

হকাররা জানান, পুলিশ এখন খুব একটা বিরক্ত করে না। ভ্যানে করে প্যান্ট বিক্রি করছিলেন সাগর নামের একজন। তিনি জানান, এ বছর তাঁদের কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তাই হকারের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। পুলিশ খুব বেশি বিরক্ত করছে না। তবে ভিআইপি কেউ গেলে তখন রাস্তা ছাড়তে বলে। তখন ১০-১৫ মিনিটের জন্য সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা। পুলিশ চলে গেলে আবার বসেন।

গোলাপশাহ মাজারসংলগ্ন সড়কের পাশে টুপি বিক্রি করা একজন বলেন, ‘আমরা তো আর রাস্তার মাঝখানে বসি নাই। এক পাশেই বসছি, তাইলে গাড়ি চলতে সমস্যা কই?’

আজমেরী গ্লোরি নামের একটি বাসের চালক স্বপন বলেন, আগে এখানে সব সময় জট থাকলেও তা ছিল কম। এখন জট বেড়েছে। হকাররা সড়কের অর্ধেক নিয়ে নিয়েছে। বাস চালানো কঠিন।

ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, হকারদের বারবার সড়ক ছাড়তে বললেও তাঁরা শোনেন না। একপাশ থেকে সরিয়ে দিলে আরেক পাশে গিয়ে বসেন। বলপ্রয়োগ করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন কেউ কেউ।

জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কুদ্দুস আলী বলেন, এখানে যানজটের মূল কারণ হকার ও রিকশা। পুরো রাস্তায় হাঁটার মতো জায়গা নেই। হকারদের সরানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর আবার বসে যায়। এখানে হাজার হাজার হকার। তাঁদের সরাতে গেলে যানজট লেগে যায়। আবার যান চলাচল ঠিক রাখায় মনোযোগ দিলে হকাররা সড়কে পসরা সাজান।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) জালাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক বেদখলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো হকার যেন রাস্তায় বসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গুলিস্তানে হকার নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। সপ্তাহে অন্তত দুবার হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সমস্যা খুব প্রকট। বিকেল ৪টায় উচ্ছেদ অভিযান করে ফিরে এলে ৫টায় আবার তাঁরা বসে যান। তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধান করতেও সময় লাগবে। পুনর্বাসনের পদক্ষেপ আগেও নেওয়া হয়েছে, মার্কেট করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নতুন করে আবার হকার সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত