নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে