নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের দেশ। দুর্ধর্ষ এই কাজ করেছেন আশিক চৌধুরী।
অনানুষ্ঠানিকভাবে এত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্ব রেকর্ড। কেবল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে ঘোষণার অপেক্ষা। সে কাজও চলছে। কী অনুপ্রাণিত করেছিল আশিককে এই দুর্ধর্ষ কাজে? স্মিত হেসে সেই গল্প দিয়েই শুরু করেন।
‘ডাইভিংয়ে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে সবাই জাম্পস্যুট পরে। সেখানে সবাই খুব আগ্রহ করে তাঁদের ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ বসান। আমি যেদিন প্রথম জাম্পস্যুট পরে গেলাম, সেদিন আমাদের ফ্ল্যাগ দেখে প্রথম জিজ্ঞেস করল, জাপানের ফ্ল্যাগ কি না, তারপরে নেপালের, তারপরে ইন্ডিয়া—এ রকম বলতে বলতে অনেক দেশের নাম বলল। আসলে ডাইভিং কমিউনিটিতে এটা কমন ফ্ল্যাগ না। তাই ওরা চিনবে না। সেখান থেকে পুরো আইডিয়াটার জন্ম। এমন কিছু করা যায় কি না, যাতে আমাদের দেশের নামটা ওই কমিউনিটিতে এবং অ্যাডভেঞ্চারস স্পোর্টসে আমরা খুব একটা প্রেজেন্ট না; ওই জায়গায় নিজের দেশের নামটা পরিচিত করাতে পারি কি না। প্ল্যানটা ছিল বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নিয়ে যত ওপরে ওঠা যায়, তত ওপর থেকে জাম্প করা।’ গল্পের শুরুটা এভাবে বলে দম নিলেন আশিক।
এরপরে কী করে এই যাত্রা পূর্ণতার প্রাপ্তিতে ভরে উঠল, সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার আগে একটু বলে নিই, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর বাবার কাছে বিমান চালনার রোমাঞ্চকর গল্প শুনতেন ঠিকই, তবে উচ্চতাভীতি ছিল তাঁর যথেষ্ট। পেশায় ব্যাংকার হলেও বিলেতে পড়তে গিয়ে স্কাই ডাইভিংয়ের পোকা মাথায় ঢোকে। তারপরে থাইল্যান্ডে স্কাই ডাইভিংয়ে চলে একের পর এক অভিজ্ঞতা।
আশিকের এই রোমাঞ্চকর গল্পের ইংরেজি নাম ঠিক এ রকম, ‘দ্য হাইয়েস্ট এভার স্কাই ডাইভ উইদ আ ফ্ল্যাগ’। এতে ভাঙা হয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি রেকর্ড। একটি ‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ আরেকটি ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রি ফল উইদ দ্য ফ্ল্যাগ।’ বিশ্বে অ্যারোনটিক্যাল রেকর্ডের স্বীকৃতি দানকারী প্রধান সংস্থা এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আশিকের স্কাই ডাইভটি পর্যবেক্ষণ করেন। স্কাই ডাইভিংয়ের সময় আশিকের হাতে থাকা বাংলাদেশের পতাকাটির মাপ ছিল প্রায় ৭ বর্গফুট, যা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এযাবৎ ওড়ানো সবচেয়ে বড় পতাকা। আশিক তাঁর এই প্রস্তুতিতে তিনটি পতাকা ব্যবহার করেছিলেন। এর একটিই ছিল তাঁর হাতে গতকালের আয়োজনে।
এই দুরূহ কাজ তো এত সহজ নয়। সেই শ্বাসরুদ্ধকর গল্পও বললেন। ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে ‘হাই অল্টিচ্যুড লো ওপেনিং’ (হেলো) স্কাই ডাইভ করেন আশিক। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সাধারণত ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে দরকার হয় বিশেষায়িত বিমান। যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের এয়ারফিল্ডে এ ধরনের বিশেষ বিমান পাওয়া যায়। আশিক বলেন, তাদের ডাইভিংয়ের জন্য বিমান ওঠানামাও বন্ধ রাখা হয়েছিল।
দেশের পতাকা হাতে প্রায় তিন মিনিট পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নেমে আসেন। ঝাঁপ দেওয়ার ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৩১৪ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতি (ভার্টিক্যাল স্পিড) লাভ করেন। ৩৭ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতা অতিক্রমের পর অবশেষে ৪ হাজার ৪৯৮ ফুট উচ্চতা থেকে তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদে অবতরণ করেন। পুরো ঝাঁপটা ছিল ছয় মিনিটের কম।
আশিক বলেন, ‘এই উদ্যোগ থেকে আমরা আসলে কী অ্যাচিভ করেছি। দুটো ভাগে বলব, এক কোয়ান্টিটেটিভ দুই, কোয়ালিটিভলি আমাদের অ্যাচিভমেন্ট। এফএআই ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের একজন বিজ্ঞ বিচারক আমার সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে গত বুধবার রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব প্যারামিটার হিসাব করে অলরেডি দুটো রেকর্ড আমাদের ভাঙা হয়ে গেছে। বাট কোয়ালিটিভলি আমরা কী অর্জন করেছি, সেটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি শেয়ার হয়েছে যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ অলমোস্ট মহাশূন্যে দেখা যাচ্ছে। আমার জন্য ওটা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের পতাকার যে কনসেপ্ট, সেটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা এমন একটা উচ্চতায় আমাদের পতাকা নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে এই সাইজের পতাকা ইতিহাসে আর যায়নি। এটা হলো সবচেয়ে বড় অর্জন। সেকেন্ড হয়েছে, বন্ধুরা অনেকে বলেছে, তাদের বাচ্চারা আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমার জন্য এটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। মূলত আইডিয়াটা এটাই ছিল যে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে আগামী প্রজন্মকে যে তারা যাতে স্বপ্ন দেখতে ভুলে না যায়।’
গতকাল রাজধানীর গুলশানের ইউসিবি পিএলসির ভবনে এই অনন্য রেকর্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পনসর কোম্পানি ইউসিবি। সেখানে স্পনসরের কথা বলতে গিয়ে আশিক বলেন, ‘এসব অপরিচিত খেলাধুলায় সাধারণত কোম্পানিগুলো স্পনসর করতে এগিয়ে আসে না। ইউসিবির কাছে কৃতজ্ঞতা। তারা এসেছে। এক মাস আগেও তার স্পনসরের নিশ্চয়তা ছিল না।
অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ কাদরী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করার মাধ্যমে আরও বেশি সফল ও দক্ষ হিসেবে গড়ে ওঠার সংস্কৃতিই ইউসিবিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই যাদের ভেতর বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দৃষ্টান্ত গড়ার সত্যিকার স্পৃহা রয়েছে, আমরা সব সময়ই তাদের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়ার জন্য আশিকের প্রতি অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।’
আশিক বলছিলেন, স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে লাইসেন্স পাওয়ার পরে লোকজন বিভিন্ন দিকে চলে যায়। সাধারণত কিছু একদম আনন্দের জন্য ডাইভিং করে। কিছু আছে যারা ইনস্ট্রাক্টর হয়ে যায়। পরে ট্যুরিস্টদের নিয়ে ঝাঁপ দেয়। কিছু মানুষ আছে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। কিছু মানুষ আছে বাউন্ডারি ছাড়ানোর স্বপ্নে বিভোর থাকে। আশিক সেই মানুষদের একজন, যাঁরা স্কাই ডাইভিংয়ের নেক্সট কী রেকর্ড করা যায়, সেদিকে দৌড়ান। এ যেন নজরুলের সেই কবিতার লাইনকে দেখে নেওয়া—‘বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।’

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
৪০ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে চারপাশে পচা-গলা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুকুরপাড় দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে হয়। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, বাণিজ্যিকভাবে পুকুরটিতে মাছ চাষ করায় বিভিন্ন সময় মাছ মরার ঘটনা ঘটছে। এতে পুকুরের পানিতে দূষণ ঘটছে। দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিবির পুকুরের সঙ্গে অতীতে কীর্তনখোলা নদীর সংযোগ ছিল। বর্তমানে নদী থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকাসহ ময়লা ফেলার কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নীল রং ধারণ করা পানিতে একধরনের স্তর পড়ে গেছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তত্ত্বাবধানে থাকা বিবির পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন। বিভিন্ন সময় সেই মাছ মরে পচে ভেসে উঠে। এতে দুর্গন্ধে পুকুরপাড়ে আসা বিনোদনপ্রেমী ও পথচারীদের টেকা দায় হয়ে পড়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, পুকুরপাড়ে এসে মরা মাছের গন্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। দ্রুত মরা মাছ অপসারণ করে পুকুরটির পানিদূষণ রোধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিবির পুকুরটির অবস্থান। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করায় নানা সময় মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হয়তো পুকুরের পানির মান খারাপ হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে উচিত হবে, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শক রকিব উদ্দিন বলেন, বিবির পুকুরের পানিতে অক্সিজেন কমে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পানির মান দেখতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং নদীর পানির মানমাত্রা পরীক্ষা করেন। বিবির পুকুরের পরিস্থিতি পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, মরা মাছ দ্রুত অপসারণের জন্য ইজারাদারকে বলা হচ্ছে। যদিও তাঁরা পুকুরের পানি দূষণ ঠেকাতে কিছু অংশ জাল দিয়ে আটকে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিবির পুকুর বরিশাল নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। উনিশ শতকে জনসাধারণের জলকষ্ট দূর করতে জিন্নাত বিবি নামে এক মুসলিম নারীর উদ্যোগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই পুকুরটি সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং এটি বরিশাল নগরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এখন আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে চারপাশে পচা-গলা মাছের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুকুরপাড় দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে হয়। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, বাণিজ্যিকভাবে পুকুরটিতে মাছ চাষ করায় বিভিন্ন সময় মাছ মরার ঘটনা ঘটছে। এতে পুকুরের পানিতে দূষণ ঘটছে। দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
বিবির পুকুরের সঙ্গে অতীতে কীর্তনখোলা নদীর সংযোগ ছিল। বর্তমানে নদী থেকে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকাসহ ময়লা ফেলার কারণে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নীল রং ধারণ করা পানিতে একধরনের স্তর পড়ে গেছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তত্ত্বাবধানে থাকা বিবির পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষিরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন। বিভিন্ন সময় সেই মাছ মরে পচে ভেসে উঠে। এতে দুর্গন্ধে পুকুরপাড়ে আসা বিনোদনপ্রেমী ও পথচারীদের টেকা দায় হয়ে পড়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, পুকুরপাড়ে এসে মরা মাছের গন্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। দ্রুত মরা মাছ অপসারণ করে পুকুরটির পানিদূষণ রোধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বিবির পুকুরটির অবস্থান। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করায় নানা সময় মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হয়তো পুকুরের পানির মান খারাপ হয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে উচিত হবে, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শক রকিব উদ্দিন বলেন, বিবির পুকুরের পানিতে অক্সিজেন কমে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পানির মান দেখতে হবে। তিনি বলেন, তাঁরা বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় এবং নদীর পানির মানমাত্রা পরীক্ষা করেন। বিবির পুকুরের পরিস্থিতি পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, মরা মাছ দ্রুত অপসারণের জন্য ইজারাদারকে বলা হচ্ছে। যদিও তাঁরা পুকুরের পানি দূষণ ঠেকাতে কিছু অংশ জাল দিয়ে আটকে দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বিবির পুকুর বরিশাল নগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। উনিশ শতকে জনসাধারণের জলকষ্ট দূর করতে জিন্নাত বিবি নামে এক মুসলিম নারীর উদ্যোগে পুকুরটি খনন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই পুকুরটি সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং এটি বরিশাল নগরের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি এখন আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।
সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।
এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
কিন্তু গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে সিয়ামের সেই স্বপ্ন থেমে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ককটেলটি ওপর থেকে এসে তাঁর মাথায় লাগে।
সিয়ামের পরিবার জানায়, ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন তাঁর বাবা আলী আকবর মজুমদার। মা সিজু বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ নেন। ছোট ভাই সেজান মজুমদারও ইস্কাটন এলাকায় একটি গাড়ি ডেকোরেশনের দোকানে কাজ করেন। পরিবারের সবাই মিলে চেষ্টা করছিলেন ঋণমুক্ত হওয়ার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইস্কাটনের দুই হাজার গলির ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, শোকে ভেঙে পড়েছেন সিয়ামের মা সিজু বেগম। বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ঢাকায় এসে তাঁদের সব শেষ হয়ে গেছে। ছেলের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ছোট ভাই সেজান মজুমদার বলেন, পরিবারের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ভাই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ এই মৃত্যু পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছেলের মরদেহ নিতে গিয়ে বাবা আলী আকবর মজুমদার বলেন, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় এসে ছেলেকে হারাতে হবে—এমনটা জানলে তিনি কখনোই ঢাকায় আসতেন না।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ১০ মিনিটে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বিস্ফোরকদ্রব্যের আঘাতে সিয়াম মজুমদার নিহত হন। ঘটনার সময় তিনি মগবাজার-নিউ ইস্কাটন সড়কে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের চা-দোকানি মো. ফারুক আজ বিকেলে বলেন, চা বানানোর সময় বিকট শব্দ হয়। পরে দেখা যায়, সিয়াম মাটিতে পড়ে আছেন, মাথা থেকে রক্ত ঝরছে।
এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
৪০ মিনিট আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছে।
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সবুজ খাঁন চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব েনন। তবে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে গত ১ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সনদ যাচাই কার্যক্রম শুরু করে।
সূত্র আরও জানায়, যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবুজ খাঁনের দাখিল করা সনদে কোনো ক্রমিক নম্বর নেই, কোর্স কোডে অসংগতি রয়েছে এবং স্বাক্ষর ও তারিখেও গরমিল পাওয়া গেছে। এসব কারণে সনদ দুটিকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আসে। পরে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক লিখিত নির্দেশনায় দক্ষিণ আইচা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়, মো. সিরাজুল ইসলামের মাস্টার্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সভাপতির দায়িত্ব আর বৈধ নয়। ফলে শূন্য ঘোষিত পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী যোগ্য তিনজন প্রার্থীর নাম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ প্রকাশের পর কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের অব্যাহতিপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ আইচা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একটি কথা শুনেছি। এখনো অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমি এর প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।’ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান সবুজ খাঁন।
সবুজ খাঁন নিজেকে থানা বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছে।
মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সবুজ খাঁন চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব েনন। তবে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে গত ১ নভেম্বর জনৈক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ সনদ যাচাই কার্যক্রম শুরু করে।
সূত্র আরও জানায়, যাচাই শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সবুজ খাঁনের দাখিল করা সনদে কোনো ক্রমিক নম্বর নেই, কোর্স কোডে অসংগতি রয়েছে এবং স্বাক্ষর ও তারিখেও গরমিল পাওয়া গেছে। এসব কারণে সনদ দুটিকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আসে। পরে গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক লিখিত নির্দেশনায় দক্ষিণ আইচা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করা হয়। সেই নির্দেশনায় বলা হয়, মো. সিরাজুল ইসলামের মাস্টার্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর সভাপতির দায়িত্ব আর বৈধ নয়। ফলে শূন্য ঘোষিত পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রিধারী যোগ্য তিনজন প্রার্থীর নাম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ প্রকাশের পর কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁনের অব্যাহতিপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইলে পাওয়ার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ আইচা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলেজের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন একটি কথা শুনেছি। এখনো অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। তবে আমি এর প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।’ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও জানান সবুজ খাঁন।
সবুজ খাঁন নিজেকে থানা বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
৪০ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

পতাকাটা হাতেই ছিল। ভাঁজ করা। মিলনায়তনে ঢুকলেন। ছিমছাম একটি ছেলে। হাস্যোজ্জ্বল। কে বলবে প্রায় ৪২ হাজার ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছেন তিনি। সঙ্গী ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বিশ্ব স্কাই ডাইভিং কমিউনিটিতে বাংলাদেশের পতাকা চেনানোই যেখানে দুঃসাধ্য! সেখানে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় লাল-সবুজের
০৯ জুন ২০২৪
বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে ভেসে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুকুরটিতে এই মরা মাছ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পুকুরটিতে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
৪০ মিনিট আগে
পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ছোটবেলা থেকেই চেষ্টা করেছেন সিয়াম মজুমদার (২১)। তাই চার বছর আগে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। নিউ ইস্কাটনের একটি মোটরকার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করে পরিবারকে সহায়তাও করতেন তিনি। ঋণ পরিশোধের পর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে
মাস্টার্সের সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির পদ হারালেন মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ খাঁন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবুজ খাঁনের সভাপতির পদ বাতিল করে নতুন সভাপতি মনোনয়নের
১ ঘণ্টা আগে