তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।
তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টিকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টিকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষা
০৫ এপ্রিল ২০২২
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে ধোঁয়া দেখে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। পরে নির্বাচন অফিসের প্রহরী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভান।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু দাউদ জানান, আগুনে কিছু নথি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্টোররুমের পেছনের জানালার পাশ থেকে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষা
০৫ এপ্রিল ২০২২
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকেই তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকেই তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষা
০৫ এপ্রিল ২০২২
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানাজার সময় আধা ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বেলা আড়াইটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা আজ বেলা ২টায় নির্ধারিত হয়েছে।
জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে:
ব্যাগ বহন নিষেধ: জানাজায় আসা মুসল্লিদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ: নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে সংসদ ভবন ও এর সংলগ্ন এলাকায় যেকোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ওসমান হাদির জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে বিবেচনা করে ট্রাফিক বিভাগ থেকেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজা আজ শনিবার বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই জানাজাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানাজার সময় আধা ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এর আগে বেলা আড়াইটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা আজ বেলা ২টায় নির্ধারিত হয়েছে।
জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে:
ব্যাগ বহন নিষেধ: জানাজায় আসা মুসল্লিদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ: নিরাপত্তাঝুঁকি এড়াতে সংসদ ভবন ও এর সংলগ্ন এলাকায় যেকোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ওসমান হাদির জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে বিবেচনা করে ট্রাফিক বিভাগ থেকেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষা
০৫ এপ্রিল ২০২২
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোররুমে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে নিচতলার স্টোররুমে সংরক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি থাকলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
২৩ মিনিট আগে