Ajker Patrika

ঢাকা নগর পরিবহন: নেতাদের অসহযোগিতায় থমকে আছে উদ্যোগ

  • পরিবহন নেতাদের অসহযোগিতায় দাঁড়াতে পারেনি নগর পরিবহন।
  • নগর পরিবহন কমিটির ২৯টি সভা হয়েছে, দৃশ্যমান উন্নতি নেই।
  • একক কোম্পানিভিত্তিক বাস ব্যবস্থাপনায় আসতে চান না মালিকেরা।
  • পরিবহন মালিকেরা নগর পরিবহনকে টেক্কা দিতে গোলাপি বাস সড়কে নামিয়েছিল।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ১৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘একক বাস কোম্পানি’ হিসেবে নগর পরিবহন চালু করেছিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। কিন্তু এই সেবাও সড়কে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এক রুট চালু হচ্ছে তো, আরেক রুট বন্ধ হয়। পরিবহন নেতাদের অসহযোগিতায় দাঁড়াতে পারছে না নগর পরিবহন—এমন অভিযোগ রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নগর পরিবহন আস্তে আস্তে হচ্ছে, এটা কিছুটা স্লো, আমরাও ধীরে ধীরে এগোচ্ছি। এগুলোর পেছনে অনেক প্রস্তুতি লাগে। আমরা পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতির সঙ্গে কাজ করছি। এত বছরের অব্যবস্থাপনা কেউ যদি মনে করে ৭-৮ মাসে চলে যাবে, এটা সম্ভব না।’

বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিকল্পনা ছিল ধীরে ধীরে পুরো রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে একটি কোম্পানির আওতায় আনা। ২০২১ সালে সেই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কয়েকটি রুটের মাধ্যমে।

ডিটিসিএ সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে ২০২১ সালে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ২১ নম্বর রুট। ঘাটারচর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ২২ নম্বর রুট এবং ঘাটারচর থেকে পোস্তগোলা ২৬ নম্বর রুট। এই তিন রুট চালু হয়েছিল, এখন সব রুট বন্ধহয়ে গেছে। এর মধ্যে ২১ ও ২৬ নম্বর রুটে চলত বিআরটিসি বাস। ২২ নম্বর রুটে চলত অভি মোটরস। একই রুটে নগর পরিবহনের পাশাপাশি অন্যান্য বাসও চলত।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাস রুট রেশনালাইজেশন নিয়ে নড়েচড়ে বসে। তবে পরিবহন নেতাদের অসহযোগিতায় করে খুব বেশি এগোতে পারেনি নগর পরিবহন। সবশেষ গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া পর্যন্ত ২১ নম্বর সংশোধিত রুটে এসি বাস নামিয়েছে ডিটিসিএ। বর্তমানে এই রুট চালু আছে।

ডিটিডিএর কর্মকর্তারা পরিবহন মালিকদের বিষয়ে নানা অভিযোগের কথা জানিয়েছেন। পরিবহন নেতাদের অসহযোগিতার কারণে নগর পরিবহন দাঁড়াতে পারছে না বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাস রুট রেশনালাইজেশনের প্রকল্প পরিচালক ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিভিন্ন কারণেই নগর পরিবহন দাঁড়াতে পারেনি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পরিবহন মালিকদের অসহযোগিতা। আমাদের পরিকল্পনামতো কাজ করতে পারিনি।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা-আবদুল্লাহপুর রুটে কাউন্টারভিত্তিক গোলাপি রঙের বাসসেবা চালু করেছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এটা বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ কি না? তবে এই গোলাপি বাস ডিটিসির বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের কোনো অংশ না বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ। তবে পরিবহন মালিকেরা নগর পরিবহনকে টেক্কা দিতে গোলাপি বাস সড়কে নামিয়েছিল। গোলাপি বাসের নেই কোনো কাউন্টার, যেখানে সেখানে উঠছে যাত্রী, নেই কোনো শৃঙ্খলা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, ‘নগর পরিবহনে আমরা সহযোগিতা করি না, এটা ঠিক না। ডিটিসিএ যে পরিকল্পনা করেছে, সে অনুযায়ী তারা নতুন গাড়ি নামাক না। এটা ব্যবসায়িক ব্যাপার, জোর করে তো আর করা যায় না। ফলে পরিকল্পনা করে নতুনভাবে এটা করা দরকার।’

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি মারা গেলে ২০১৭ সালে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির দায়িত্ব পান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি ১১টি সভা করেছেন। এরপর সংস্থাটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কমিটির দায়িত্ব পান। তাঁর আমলে ২৭তম সভা পর্যন্ত হয়। ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের সভাপতিত্বে কমিটির সর্বশেষ ২৯তম সভা হয়। সভায় বাস রুট রেশনালাইজেশন ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়, কিন্তু বাস্তবে কোনো উন্নতি নেই।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সরকারের নগর পরিবহন চালু করতে না পারা, একটা বড় ব্যর্থতা। ডিটিসিএ ভুল পথে আছে। আগামী দিনে এটা আরও খারাপ অবস্থায় যাবে। যত দিন যাচ্ছে, তত এটা কমপ্লেক্স (জটিল) হয়ে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত