Ajker Patrika

হাসিনার রায় নিয়ে পোস্ট: ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লাহ রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
লাভলু মোল্লাহ শিশির। ছবি: সংগৃহীত
লাভলু মোল্লাহ শিশির। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাহকে (শিশির) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

লাভলু মোল্লাহকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামির আইনজীবী জি এম কাউসার উল ইসলাম রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তাঁর পক্ষে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন লাভলু মোল্লাহ। সেদিন তাঁকে বাসা থেকে আটক করে শাহবাগ থানায় দেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। পরদিন ১৮ নভেম্বর সাড়ে পাঁচ মাস আগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মিছিল করার ঘটনায় করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩১ মে শাহবাগ থানাধীন কাঁটাবন মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন। পাঁচ মিনিট পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ৯ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক কামাল উদ্দিন মিয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেরোবির প্রথম সমাবর্তন স্থগিত, জাতীয় নির্বাচনের পরে আয়োজন

বেরোবি সংবাদদাতা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রথম সমাবর্তনের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। নিবন্ধন ফি কমানোসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া আমলে নিয়ে এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এহতেরামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়। আগামী ১৭ জানুয়ারি এই সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার সমাবর্তন কমিটির সভা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমাবর্তনের তারিখ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। সমাবর্তন রেজিস্ট্রেশনের তারিখ পরিবর্তন, ফি কমানোসহ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উত্থাপিত দাবি আবেদন আমলে নিয়ে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রথম সমাবর্তনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া সমাবর্তনের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হবে।

সমাবর্তন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনা করে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় আমরা আপাতত সমাবর্তন স্থগিত রেখেছি। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি কতটুকু কমানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করব। জাতীয় নির্বাচনের পরে সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় দিনদুপুরে জাহানারা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে পৌর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত বৃদ্ধার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত জাহানারা বেগম ওই এলাকার আবুল মোল্লার স্ত্রী। তবে ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুজনই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে এক প্রতিবেশী কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে বিছানার ওপর জাহানারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) প্রণব কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করা মেঘলা নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। এরপর আমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও কাজে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে থাকা আমার বোনকে বিকেল ৪টার দিকে এসে গবাদিপশুগুলোকে পানি খাইয়ে যেতে বলেছিলাম। তখন আমার বোন এসে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে গলাকাটা অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, জাহানারা বেগমের ছেলে রাজধানী ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় থাকেন। বাড়ির ভাড়াটে লিটন নামের এক ভ্যানচালক ও তাঁর স্ত্রী নিহত জাহানারা বেগমের দেখভাল করতেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, কোনো নেশাগ্রস্ত লোক চুরি করতে এসে দেখে ফেলায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা, নিহত ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের পেছনে ধাক্কা লেগে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ চার যাত্রী আহত হন।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাইজদী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের একলাশপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

নিহত ব্যক্তির নাম ধন রঞ্জন দে (৬০)। তিনি চৌমুহনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

জানা গেছে, চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলা শহর মাইজদীর উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অটোরিকশাটি মাইজদী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের একলাশপুর এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা বাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় আরোহী ধন রঞ্জনসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন আহত ধন রঞ্জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুর্ঘটনার শিকার অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলে এককাট্টা বিএনপির পাঁচ নেতা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শহরে বিএনপি নেতা রেজাউল করিম খান চুন্নুর স্টেশন রোডের কার্যালয়ে দলের পাঁচ মনোনয়নপ্রার্থী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

মনোয়ন বাতিল চাওয়া ওই পাঁচজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, রুহুল হোসাইন, শরীফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।

মাসুদ হিলালী লিখিত বক্তব্যে বলেন, এক ব্যক্তিকে খুশি করতেই এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি ইতিপূর্বে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় দুবারের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হয়েও পাস করতে পারেননি এবং যাঁর বিরুদ্ধে স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আঁতাত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা-মোকদ্দমাও হয়নি। যিনি বিগত ১৬ বছরে পুলিশের লাঠির আঘাত কিংবা একটি আঁচড়ও পাননি। যাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অঢেল অভিযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম খান চুন্নু বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় সবার মুখে একটি কথাই রয়েছে যে, একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন বলেন, ৫ আগস্টের পর মাজহারুল ইসলাম ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে বালুমহাল, জলমহালসহ যত ধরনের অফিস-আদালত আছে, সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সবখান থেকেই চাঁদা নিয়েছেন।

খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, ‘যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, উনার নিজের কেন্দ্রেও উনি সাত ভোট কম পেয়েছিলেন। উনি দলের মধ্যেও প্রশ্নবিদ্ধ। উনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকা মার্কার ব্যাচ পরে দলের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন। উনার পৌরসভাতেই বিচরণ নাই। উনাকে ইউনিয়নের মানুষ চেনে কি না, তাতেও সন্দেহ আছে।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সবকিছু নিখুঁতভাবে যাচাইয়ের পর আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলার বিএনপির সব নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে আছেন। হাজার হাজার কর্মী আমার পক্ষে, ধানের শীষের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। আজ সোমবার হাজার হাজার নেতা-কর্মী আমার পক্ষে মিছিল করেছেন। অথচ দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দল মনোনয়ন তো সবাইকে দিতে পারবে না। তাঁরা এখন মনঃক্ষুণ্ন। আমি আশা করছি, দলের নির্দেশে তাঁরাও আমার পক্ষে কাজ করবেন।’

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার মালিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটি। আমার তো ক্ষমতা নাই মনোনয়ন দেওয়ার। সারা দেশে উনি ৬-৭টা জরিপ করেছেন। যাঁর অবস্থান ভালো, উনি তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত