আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দুদিন পরও তার চেহারায় আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কণ্ঠস্বর কাঁপছিল।
আহনাফ জানায়, স্কুলের মাঠের এক কোনায় ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। হঠাৎ বিকট শব্দে একটি উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ে স্কুল ভবনে। আহনাফ জানায়, পুরো ঘটনাটি তার চোখের সামনেই ঘটেছে। বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আহনাফ ও তার বন্ধুরা দুহাতে মাথা ঢেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে। বিবিসিকে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি, আশপাশের কিছুই আর আগের মতো নেই। চারদিকে আগুন আর ধোঁয়া। বাচ্চাদের চিৎকার, দৌড়াদৌড়িতে পুরো জায়গাটি মুহূর্তেই চরম বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল।’
আহনাফ জানায়, উড়োজাহাজ থেকে পাইলটকেও ইজেক্ট করতে দেখেছে সে। সে বলে, ‘সাদা রঙের একটি প্যারাস্যুটে করে পাইলটকে ইজেক্ট করতে দেখেছি আমি। টিনের ছাদ ভেঙে একটি কক্ষে পড়েন তিনি। শুনেছি, তখনো জীবিত ছিলেন। পরে একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।’

আহনাফ নিজেও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তবে গুরুতর নয়। সে বলে, ‘বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আমার ব্যাগেও এক টুকরো আগুনের ফুলকি এসে লাগে। আমার ট্রাউজার পুড়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দূরে ছুড়ে ফেলি। এরপর স্কুল ভবনের দিকে ছুটে যাই। কাউকে সাহায্য করতে পারি কি না—ওই মুহূর্তে সেটিই মাথায় আসে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন যুদ্ধবিমানটি স্কুল ভবনের মূল ফটক ভেদ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট গভীরে ঢুকে পড়ে, এরপর তির্যকভাবে প্রথম তলায় আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। ‘ক্লাউড’ ও ‘স্কাই’ নামের দুটি শ্রেণিকক্ষ তাৎক্ষণিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
আহনাফ জানায়, মাঠের সঙ্গে প্রাইমারি ভবনের মাঝে যে কংক্রিটের পথ, সেদিকে ছুটে যায় সে। প্রবেশপথের কাছে আহনাফ একটি শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। সে বলে, ‘মনে হচ্ছিল, বিমানটি প্রথমে ওকেই ধাক্কা মেরেছে। ও বয়সে আমার অনেক ছোট ছিল। একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পাই, এক শিশুর দেহ পুড়ে গেছে। আর তার বন্ধু তাকে আগুন থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। আমাকে দেখে সে বলল, সে একা তাকে বের করতে পারছে না। পরে আমি ওই ছেলেটিকে কাঁধে তুলে নিয়ে মেডিকেল রুমে নিয়ে যাই।’
আহনাফের ভাষ্যমতে, ততক্ষণে অনেকেই ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছিল। অনেকের গায়ের কাপড় পুড়ে গিয়ে প্রায় নগ্ন হয়ে পড়েছিল। অনেকের গায়ের ত্বক ঝলসে গেছে, ফোসকা পড়ে গেছে। আহনাফ জানায়, এমন এক ছাত্রকে নিজের শার্ট খুলে দেয় সে। খালি গায়েই উদ্ধারকাজে লেগে পড়ে।
আহনাফ জানায়, দোতলায় বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকা পড়েছিল। আহনাফ ও আরও কয়েকজন ছাত্র গিয়ে দোতলায় দেখে, তাপে নরম হয়ে গেছে কিছু গ্রিল। তেমনই নরম হয়ে যাওয়া একটি গ্রিল ভেঙে বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেয় তারা। পরে ওই পথে অনেকে বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কিছু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিশুদের একজন ১১ বছর বয়সী ওয়াকিয়া ফেরদৌস নিধি। মাত্র পাঁচ দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল সে। কিন্তু কে জানত, স্কুল থেকে আর কোনো দিন বাড়ি ফেরা হবে না তার!
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল ভবনে উড়োজাহাজটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ছিলেন নিধির বাবা। যখনই খবরটা শুনতে পান, খালি পায়ে ছুটে যান স্কুল ক্যাম্পাসে। কিন্তু খুঁজে পাননি তাঁর চোখের মণিকে। নিধির চাচা সৈয়দ বিল্লাল হোসেন জানান, গভীর রাত পর্যন্ত উত্তরার প্রায় সব হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাঁরা। পরে খবর পেলেন একটি হাসপাতালে ছয়টি মরদেহ এসেছে। শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ একটি মরদেহের দাঁতের গঠন আর চোখ দেখে নিধিকে চিনতে পারেন বাবা। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মরদেহ একাধিক পরিবার তাদের সন্তান বলে দাবি করছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয়। মরদেহ পেতে প্রথমে তাঁদের জিডি করতে হয়েছে, পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে বাবার রক্ত। মায়ের ডিএনএর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে তবেই দেওয়া হবে মরদেহ।
তিন ভাই–বোনের মধ্যে নিধি সবার ছোট। উত্তরার স্থায়ী বাসিন্দা তার বাবা। নিধির চাচা বিল্লাল হোসেন বলেন, ও ছাদে খেলত, নারকেল গাছের নিচে বসত, সব সময় কোলে বাচ্চা নিয়ে খেলত। নিধি ছোট হলেও শিশুদের খুব ভালোবাসত ও। আফসোস করে তিনি বলেন, স্কুলের পর যদি ওর কোচিং না থাকত, তাহলে আজ ও বেঁচে থাকত!
আরেক পিতার জন্য দিনটি ছিল আরও নির্মম। গুরুতর আহত হয় তাঁর দুই সন্তানই। প্রথমে তাঁর কন্যাসন্তান মারা যায়। তাকে দাফন শেষে হাসপাতালে ফিরে কিছুক্ষণের জন্য চোখ লেগে আসে তাঁর। ঘুম ভেঙে ছোট ছেলেটির মৃত্যুর খবর পান।
এই হৃদয়বিদারক প্রেক্ষাপটেই সামনে আসে একজন শিক্ষিকার অনন্য সাহসের গল্প। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তত ২০টি শিশুকে উদ্ধার করেন। তিনি বারবার ভবনে আগুনের ভেতর থেকে একের পর এক শিশুকে বের করে আনছিলেন। দগ্ধ হয় তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ, কিন্তু তিনি থামেননি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তুলতুল (৪৩) বলেন, ‘আমি এখন আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারি না। স্কুল ভবনের দিকে তাকালেই বুকের ভেতর শোকের ঢেউ আছড়ে পড়ে। শরীর খারাপ লাগে, মন ভেঙে পড়ে। আমি তিনজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, যাদের একজন আমার এক সহকর্মীরই সন্তান।’
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সাতটি মরদেহ শনাক্ত হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দুদিন পরও তার চেহারায় আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কণ্ঠস্বর কাঁপছিল।
আহনাফ জানায়, স্কুলের মাঠের এক কোনায় ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। হঠাৎ বিকট শব্দে একটি উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ে স্কুল ভবনে। আহনাফ জানায়, পুরো ঘটনাটি তার চোখের সামনেই ঘটেছে। বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আহনাফ ও তার বন্ধুরা দুহাতে মাথা ঢেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে। বিবিসিকে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি, আশপাশের কিছুই আর আগের মতো নেই। চারদিকে আগুন আর ধোঁয়া। বাচ্চাদের চিৎকার, দৌড়াদৌড়িতে পুরো জায়গাটি মুহূর্তেই চরম বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল।’
আহনাফ জানায়, উড়োজাহাজ থেকে পাইলটকেও ইজেক্ট করতে দেখেছে সে। সে বলে, ‘সাদা রঙের একটি প্যারাস্যুটে করে পাইলটকে ইজেক্ট করতে দেখেছি আমি। টিনের ছাদ ভেঙে একটি কক্ষে পড়েন তিনি। শুনেছি, তখনো জীবিত ছিলেন। পরে একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।’

আহনাফ নিজেও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তবে গুরুতর নয়। সে বলে, ‘বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আমার ব্যাগেও এক টুকরো আগুনের ফুলকি এসে লাগে। আমার ট্রাউজার পুড়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দূরে ছুড়ে ফেলি। এরপর স্কুল ভবনের দিকে ছুটে যাই। কাউকে সাহায্য করতে পারি কি না—ওই মুহূর্তে সেটিই মাথায় আসে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন যুদ্ধবিমানটি স্কুল ভবনের মূল ফটক ভেদ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট গভীরে ঢুকে পড়ে, এরপর তির্যকভাবে প্রথম তলায় আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। ‘ক্লাউড’ ও ‘স্কাই’ নামের দুটি শ্রেণিকক্ষ তাৎক্ষণিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
আহনাফ জানায়, মাঠের সঙ্গে প্রাইমারি ভবনের মাঝে যে কংক্রিটের পথ, সেদিকে ছুটে যায় সে। প্রবেশপথের কাছে আহনাফ একটি শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। সে বলে, ‘মনে হচ্ছিল, বিমানটি প্রথমে ওকেই ধাক্কা মেরেছে। ও বয়সে আমার অনেক ছোট ছিল। একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পাই, এক শিশুর দেহ পুড়ে গেছে। আর তার বন্ধু তাকে আগুন থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। আমাকে দেখে সে বলল, সে একা তাকে বের করতে পারছে না। পরে আমি ওই ছেলেটিকে কাঁধে তুলে নিয়ে মেডিকেল রুমে নিয়ে যাই।’
আহনাফের ভাষ্যমতে, ততক্ষণে অনেকেই ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছিল। অনেকের গায়ের কাপড় পুড়ে গিয়ে প্রায় নগ্ন হয়ে পড়েছিল। অনেকের গায়ের ত্বক ঝলসে গেছে, ফোসকা পড়ে গেছে। আহনাফ জানায়, এমন এক ছাত্রকে নিজের শার্ট খুলে দেয় সে। খালি গায়েই উদ্ধারকাজে লেগে পড়ে।
আহনাফ জানায়, দোতলায় বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকা পড়েছিল। আহনাফ ও আরও কয়েকজন ছাত্র গিয়ে দোতলায় দেখে, তাপে নরম হয়ে গেছে কিছু গ্রিল। তেমনই নরম হয়ে যাওয়া একটি গ্রিল ভেঙে বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেয় তারা। পরে ওই পথে অনেকে বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কিছু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিশুদের একজন ১১ বছর বয়সী ওয়াকিয়া ফেরদৌস নিধি। মাত্র পাঁচ দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল সে। কিন্তু কে জানত, স্কুল থেকে আর কোনো দিন বাড়ি ফেরা হবে না তার!
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল ভবনে উড়োজাহাজটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ছিলেন নিধির বাবা। যখনই খবরটা শুনতে পান, খালি পায়ে ছুটে যান স্কুল ক্যাম্পাসে। কিন্তু খুঁজে পাননি তাঁর চোখের মণিকে। নিধির চাচা সৈয়দ বিল্লাল হোসেন জানান, গভীর রাত পর্যন্ত উত্তরার প্রায় সব হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাঁরা। পরে খবর পেলেন একটি হাসপাতালে ছয়টি মরদেহ এসেছে। শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ একটি মরদেহের দাঁতের গঠন আর চোখ দেখে নিধিকে চিনতে পারেন বাবা। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মরদেহ একাধিক পরিবার তাদের সন্তান বলে দাবি করছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয়। মরদেহ পেতে প্রথমে তাঁদের জিডি করতে হয়েছে, পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে বাবার রক্ত। মায়ের ডিএনএর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে তবেই দেওয়া হবে মরদেহ।
তিন ভাই–বোনের মধ্যে নিধি সবার ছোট। উত্তরার স্থায়ী বাসিন্দা তার বাবা। নিধির চাচা বিল্লাল হোসেন বলেন, ও ছাদে খেলত, নারকেল গাছের নিচে বসত, সব সময় কোলে বাচ্চা নিয়ে খেলত। নিধি ছোট হলেও শিশুদের খুব ভালোবাসত ও। আফসোস করে তিনি বলেন, স্কুলের পর যদি ওর কোচিং না থাকত, তাহলে আজ ও বেঁচে থাকত!
আরেক পিতার জন্য দিনটি ছিল আরও নির্মম। গুরুতর আহত হয় তাঁর দুই সন্তানই। প্রথমে তাঁর কন্যাসন্তান মারা যায়। তাকে দাফন শেষে হাসপাতালে ফিরে কিছুক্ষণের জন্য চোখ লেগে আসে তাঁর। ঘুম ভেঙে ছোট ছেলেটির মৃত্যুর খবর পান।
এই হৃদয়বিদারক প্রেক্ষাপটেই সামনে আসে একজন শিক্ষিকার অনন্য সাহসের গল্প। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তত ২০টি শিশুকে উদ্ধার করেন। তিনি বারবার ভবনে আগুনের ভেতর থেকে একের পর এক শিশুকে বের করে আনছিলেন। দগ্ধ হয় তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ, কিন্তু তিনি থামেননি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তুলতুল (৪৩) বলেন, ‘আমি এখন আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারি না। স্কুল ভবনের দিকে তাকালেই বুকের ভেতর শোকের ঢেউ আছড়ে পড়ে। শরীর খারাপ লাগে, মন ভেঙে পড়ে। আমি তিনজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, যাদের একজন আমার এক সহকর্মীরই সন্তান।’
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সাতটি মরদেহ শনাক্ত হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দুদিন পরও তার চেহারায় আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কণ্ঠস্বর কাঁপছিল।
আহনাফ জানায়, স্কুলের মাঠের এক কোনায় ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। হঠাৎ বিকট শব্দে একটি উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ে স্কুল ভবনে। আহনাফ জানায়, পুরো ঘটনাটি তার চোখের সামনেই ঘটেছে। বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আহনাফ ও তার বন্ধুরা দুহাতে মাথা ঢেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে। বিবিসিকে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি, আশপাশের কিছুই আর আগের মতো নেই। চারদিকে আগুন আর ধোঁয়া। বাচ্চাদের চিৎকার, দৌড়াদৌড়িতে পুরো জায়গাটি মুহূর্তেই চরম বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল।’
আহনাফ জানায়, উড়োজাহাজ থেকে পাইলটকেও ইজেক্ট করতে দেখেছে সে। সে বলে, ‘সাদা রঙের একটি প্যারাস্যুটে করে পাইলটকে ইজেক্ট করতে দেখেছি আমি। টিনের ছাদ ভেঙে একটি কক্ষে পড়েন তিনি। শুনেছি, তখনো জীবিত ছিলেন। পরে একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।’

আহনাফ নিজেও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তবে গুরুতর নয়। সে বলে, ‘বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আমার ব্যাগেও এক টুকরো আগুনের ফুলকি এসে লাগে। আমার ট্রাউজার পুড়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দূরে ছুড়ে ফেলি। এরপর স্কুল ভবনের দিকে ছুটে যাই। কাউকে সাহায্য করতে পারি কি না—ওই মুহূর্তে সেটিই মাথায় আসে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন যুদ্ধবিমানটি স্কুল ভবনের মূল ফটক ভেদ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট গভীরে ঢুকে পড়ে, এরপর তির্যকভাবে প্রথম তলায় আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। ‘ক্লাউড’ ও ‘স্কাই’ নামের দুটি শ্রেণিকক্ষ তাৎক্ষণিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
আহনাফ জানায়, মাঠের সঙ্গে প্রাইমারি ভবনের মাঝে যে কংক্রিটের পথ, সেদিকে ছুটে যায় সে। প্রবেশপথের কাছে আহনাফ একটি শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। সে বলে, ‘মনে হচ্ছিল, বিমানটি প্রথমে ওকেই ধাক্কা মেরেছে। ও বয়সে আমার অনেক ছোট ছিল। একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পাই, এক শিশুর দেহ পুড়ে গেছে। আর তার বন্ধু তাকে আগুন থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। আমাকে দেখে সে বলল, সে একা তাকে বের করতে পারছে না। পরে আমি ওই ছেলেটিকে কাঁধে তুলে নিয়ে মেডিকেল রুমে নিয়ে যাই।’
আহনাফের ভাষ্যমতে, ততক্ষণে অনেকেই ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছিল। অনেকের গায়ের কাপড় পুড়ে গিয়ে প্রায় নগ্ন হয়ে পড়েছিল। অনেকের গায়ের ত্বক ঝলসে গেছে, ফোসকা পড়ে গেছে। আহনাফ জানায়, এমন এক ছাত্রকে নিজের শার্ট খুলে দেয় সে। খালি গায়েই উদ্ধারকাজে লেগে পড়ে।
আহনাফ জানায়, দোতলায় বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকা পড়েছিল। আহনাফ ও আরও কয়েকজন ছাত্র গিয়ে দোতলায় দেখে, তাপে নরম হয়ে গেছে কিছু গ্রিল। তেমনই নরম হয়ে যাওয়া একটি গ্রিল ভেঙে বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেয় তারা। পরে ওই পথে অনেকে বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কিছু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিশুদের একজন ১১ বছর বয়সী ওয়াকিয়া ফেরদৌস নিধি। মাত্র পাঁচ দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল সে। কিন্তু কে জানত, স্কুল থেকে আর কোনো দিন বাড়ি ফেরা হবে না তার!
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল ভবনে উড়োজাহাজটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ছিলেন নিধির বাবা। যখনই খবরটা শুনতে পান, খালি পায়ে ছুটে যান স্কুল ক্যাম্পাসে। কিন্তু খুঁজে পাননি তাঁর চোখের মণিকে। নিধির চাচা সৈয়দ বিল্লাল হোসেন জানান, গভীর রাত পর্যন্ত উত্তরার প্রায় সব হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাঁরা। পরে খবর পেলেন একটি হাসপাতালে ছয়টি মরদেহ এসেছে। শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ একটি মরদেহের দাঁতের গঠন আর চোখ দেখে নিধিকে চিনতে পারেন বাবা। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মরদেহ একাধিক পরিবার তাদের সন্তান বলে দাবি করছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয়। মরদেহ পেতে প্রথমে তাঁদের জিডি করতে হয়েছে, পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে বাবার রক্ত। মায়ের ডিএনএর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে তবেই দেওয়া হবে মরদেহ।
তিন ভাই–বোনের মধ্যে নিধি সবার ছোট। উত্তরার স্থায়ী বাসিন্দা তার বাবা। নিধির চাচা বিল্লাল হোসেন বলেন, ও ছাদে খেলত, নারকেল গাছের নিচে বসত, সব সময় কোলে বাচ্চা নিয়ে খেলত। নিধি ছোট হলেও শিশুদের খুব ভালোবাসত ও। আফসোস করে তিনি বলেন, স্কুলের পর যদি ওর কোচিং না থাকত, তাহলে আজ ও বেঁচে থাকত!
আরেক পিতার জন্য দিনটি ছিল আরও নির্মম। গুরুতর আহত হয় তাঁর দুই সন্তানই। প্রথমে তাঁর কন্যাসন্তান মারা যায়। তাকে দাফন শেষে হাসপাতালে ফিরে কিছুক্ষণের জন্য চোখ লেগে আসে তাঁর। ঘুম ভেঙে ছোট ছেলেটির মৃত্যুর খবর পান।
এই হৃদয়বিদারক প্রেক্ষাপটেই সামনে আসে একজন শিক্ষিকার অনন্য সাহসের গল্প। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তত ২০টি শিশুকে উদ্ধার করেন। তিনি বারবার ভবনে আগুনের ভেতর থেকে একের পর এক শিশুকে বের করে আনছিলেন। দগ্ধ হয় তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ, কিন্তু তিনি থামেননি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তুলতুল (৪৩) বলেন, ‘আমি এখন আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারি না। স্কুল ভবনের দিকে তাকালেই বুকের ভেতর শোকের ঢেউ আছড়ে পড়ে। শরীর খারাপ লাগে, মন ভেঙে পড়ে। আমি তিনজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, যাদের একজন আমার এক সহকর্মীরই সন্তান।’
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সাতটি মরদেহ শনাক্ত হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার দুদিন পরও তার চেহারায় আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কণ্ঠস্বর কাঁপছিল।
আহনাফ জানায়, স্কুলের মাঠের এক কোনায় ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল সে। হঠাৎ বিকট শব্দে একটি উড়োজাহাজ আছড়ে পড়ে স্কুল ভবনে। আহনাফ জানায়, পুরো ঘটনাটি তার চোখের সামনেই ঘটেছে। বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আহনাফ ও তার বন্ধুরা দুহাতে মাথা ঢেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে। বিবিসিকে সে বলে, ‘চোখ খুলে দেখি, আশপাশের কিছুই আর আগের মতো নেই। চারদিকে আগুন আর ধোঁয়া। বাচ্চাদের চিৎকার, দৌড়াদৌড়িতে পুরো জায়গাটি মুহূর্তেই চরম বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ল।’
আহনাফ জানায়, উড়োজাহাজ থেকে পাইলটকেও ইজেক্ট করতে দেখেছে সে। সে বলে, ‘সাদা রঙের একটি প্যারাস্যুটে করে পাইলটকে ইজেক্ট করতে দেখেছি আমি। টিনের ছাদ ভেঙে একটি কক্ষে পড়েন তিনি। শুনেছি, তখনো জীবিত ছিলেন। পরে একটি হেলিকপ্টার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।’

আহনাফ নিজেও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তবে গুরুতর নয়। সে বলে, ‘বিমানটি যখন আছড়ে পড়ে, তখন আমার ব্যাগেও এক টুকরো আগুনের ফুলকি এসে লাগে। আমার ট্রাউজার পুড়ে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ দূরে ছুড়ে ফেলি। এরপর স্কুল ভবনের দিকে ছুটে যাই। কাউকে সাহায্য করতে পারি কি না—ওই মুহূর্তে সেটিই মাথায় আসে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন যুদ্ধবিমানটি স্কুল ভবনের মূল ফটক ভেদ করে প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট গভীরে ঢুকে পড়ে, এরপর তির্যকভাবে প্রথম তলায় আঘাত করে বিস্ফোরিত হয়। ‘ক্লাউড’ ও ‘স্কাই’ নামের দুটি শ্রেণিকক্ষ তাৎক্ষণিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
আহনাফ জানায়, মাঠের সঙ্গে প্রাইমারি ভবনের মাঝে যে কংক্রিটের পথ, সেদিকে ছুটে যায় সে। প্রবেশপথের কাছে আহনাফ একটি শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। সে বলে, ‘মনে হচ্ছিল, বিমানটি প্রথমে ওকেই ধাক্কা মেরেছে। ও বয়সে আমার অনেক ছোট ছিল। একটু এগিয়ে যেতেই দেখতে পাই, এক শিশুর দেহ পুড়ে গেছে। আর তার বন্ধু তাকে আগুন থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। আমাকে দেখে সে বলল, সে একা তাকে বের করতে পারছে না। পরে আমি ওই ছেলেটিকে কাঁধে তুলে নিয়ে মেডিকেল রুমে নিয়ে যাই।’
আহনাফের ভাষ্যমতে, ততক্ষণে অনেকেই ভবন থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছিল। অনেকের গায়ের কাপড় পুড়ে গিয়ে প্রায় নগ্ন হয়ে পড়েছিল। অনেকের গায়ের ত্বক ঝলসে গেছে, ফোসকা পড়ে গেছে। আহনাফ জানায়, এমন এক ছাত্রকে নিজের শার্ট খুলে দেয় সে। খালি গায়েই উদ্ধারকাজে লেগে পড়ে।
আহনাফ জানায়, দোতলায় বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকা পড়েছিল। আহনাফ ও আরও কয়েকজন ছাত্র গিয়ে দোতলায় দেখে, তাপে নরম হয়ে গেছে কিছু গ্রিল। তেমনই নরম হয়ে যাওয়া একটি গ্রিল ভেঙে বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেয় তারা। পরে ওই পথে অনেকে বেরিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কিছু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

মাইলস্টোন স্কুলে ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিশুদের একজন ১১ বছর বয়সী ওয়াকিয়া ফেরদৌস নিধি। মাত্র পাঁচ দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল সে। কিন্তু কে জানত, স্কুল থেকে আর কোনো দিন বাড়ি ফেরা হবে না তার!
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল ভবনে উড়োজাহাজটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ছিলেন নিধির বাবা। যখনই খবরটা শুনতে পান, খালি পায়ে ছুটে যান স্কুল ক্যাম্পাসে। কিন্তু খুঁজে পাননি তাঁর চোখের মণিকে। নিধির চাচা সৈয়দ বিল্লাল হোসেন জানান, গভীর রাত পর্যন্ত উত্তরার প্রায় সব হাসপাতালে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাঁরা। পরে খবর পেলেন একটি হাসপাতালে ছয়টি মরদেহ এসেছে। শেষমেশ রাত ১টা নাগাদ একটি মরদেহের দাঁতের গঠন আর চোখ দেখে নিধিকে চিনতে পারেন বাবা। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মরদেহ একাধিক পরিবার তাদের সন্তান বলে দাবি করছে। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া হস্তান্তর সম্ভব নয়। মরদেহ পেতে প্রথমে তাঁদের জিডি করতে হয়েছে, পরে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে বাবার রক্ত। মায়ের ডিএনএর নমুনা নিয়ে পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে তবেই দেওয়া হবে মরদেহ।
তিন ভাই–বোনের মধ্যে নিধি সবার ছোট। উত্তরার স্থায়ী বাসিন্দা তার বাবা। নিধির চাচা বিল্লাল হোসেন বলেন, ও ছাদে খেলত, নারকেল গাছের নিচে বসত, সব সময় কোলে বাচ্চা নিয়ে খেলত। নিধি ছোট হলেও শিশুদের খুব ভালোবাসত ও। আফসোস করে তিনি বলেন, স্কুলের পর যদি ওর কোচিং না থাকত, তাহলে আজ ও বেঁচে থাকত!
আরেক পিতার জন্য দিনটি ছিল আরও নির্মম। গুরুতর আহত হয় তাঁর দুই সন্তানই। প্রথমে তাঁর কন্যাসন্তান মারা যায়। তাকে দাফন শেষে হাসপাতালে ফিরে কিছুক্ষণের জন্য চোখ লেগে আসে তাঁর। ঘুম ভেঙে ছোট ছেলেটির মৃত্যুর খবর পান।
এই হৃদয়বিদারক প্রেক্ষাপটেই সামনে আসে একজন শিক্ষিকার অনন্য সাহসের গল্প। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তত ২০টি শিশুকে উদ্ধার করেন। তিনি বারবার ভবনে আগুনের ভেতর থেকে একের পর এক শিশুকে বের করে আনছিলেন। দগ্ধ হয় তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ, কিন্তু তিনি থামেননি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলার শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তুলতুল (৪৩) বলেন, ‘আমি এখন আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারি না। স্কুল ভবনের দিকে তাকালেই বুকের ভেতর শোকের ঢেউ আছড়ে পড়ে। শরীর খারাপ লাগে, মন ভেঙে পড়ে। আমি তিনজন শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি, যাদের একজন আমার এক সহকর্মীরই সন্তান।’
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো সাতটি মরদেহ শনাক্ত হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানিয়েছেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে।

কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
২৩ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

ছাত্রদল আপনার মতো ‘ফুটেজখোর’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ।
শাকিলুর রহমান আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে স্বাগতমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের উদ্দেশে ছাত্রদল নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সালাহউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন।
সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রবেশ করবেন না, সবার সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এরপর যারা মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বাংলার বাতাসে যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছিল, তা উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের শক্তির ওপর ভর করে অনেক বছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই তাঁর এই প্রত্যাবর্তন।
সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই অপসংস্কৃতি ও মব কালচারের অবসান। এটি অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্নকারীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সূচনা। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বরের পর যারা মব সৃষ্টি করবে, তাদের ধরে হাত-পা বেঁধে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের আঘাতে পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি। চাইলে তিনি নীরবে প্রবাসে জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু একটি ছোট কেবিনে বসে নিরলসভাবে তিনি সারা দেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটিয়েছেন। এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ৫ আগস্টের বিপ্লব সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রদলের নিজস্ব স্ট্যান্ডে এসে মিলিত হয়। এ সময় অন্যদের মাঝে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদল আপনার মতো ‘ফুটেজখোর’ সালাহউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ।
শাকিলুর রহমান আরও বলেন, কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে স্বাগতমিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের উদ্দেশে ছাত্রদল নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সালাহউদ্দিন আম্মার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন।
সমাবেশে ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের পর ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রবেশ করবেন না, সবার সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এরপর যারা মব সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বাংলার বাতাসে যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ ছিল, তা উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের শক্তির ওপর ভর করে অনেক বছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যেই তাঁর এই প্রত্যাবর্তন।
সুলতান আহমেদ আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানেই অপসংস্কৃতি ও মব কালচারের অবসান। এটি অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্নকারীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সূচনা। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বরের পর যারা মব সৃষ্টি করবে, তাদের ধরে হাত-পা বেঁধে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ষড়যন্ত্রের আঘাতে পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি। চাইলে তিনি নীরবে প্রবাসে জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু একটি ছোট কেবিনে বসে নিরলসভাবে তিনি সারা দেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটিয়েছেন। এই ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ৫ আগস্টের বিপ্লব সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রদলের নিজস্ব স্ট্যান্ডে এসে মিলিত হয়। এ সময় অন্যদের মাঝে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান।
২৭ জুলাই ২০২৫
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান।
২৭ জুলাই ২০২৫
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
২৩ মিনিট আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।
প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা
১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।
জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।
গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।
প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা
১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।
জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান।
২৭ জুলাই ২০২৫
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
২৩ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।
খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।
খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

‘জীবনে কখনো এমন বিকট শব্দ শুনিনি আমি। মনে হলো, একসঙ্গে ৩০-৪০টি বজ্রপাত হলো।’ এভাবেই স্কুলভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আহনাফ বিন হাসান।
২৭ জুলাই ২০২৫
কয়েক দিন ধরে রাকসুর নামধারী কিছু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ডিনের কার্যালয়, এমনকি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
২৩ মিনিট আগে
নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।
১ ঘণ্টা আগে