বিবিসি

গতকাল সোমবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একবুক আশা নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি হলো। এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই ‘ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি’ বয়ে আনবে। কিন্তু রাত না পেরোতেই তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানো, আর তা ধরে রাখা এক জিনিস নয়।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময়সীমা অতিক্রম করার পর ইরান থেকে রকেট ছোড়ার খবর ও তেহরানে নতুন বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসতেই ট্রাম্প একের পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের সাউথ লন থেকে সাংবাদিকদের সামনে তিনি যে অশ্রাব্য ভাষায় ইরান ও ইসরায়েলকে সতর্ক করেন, তা একদিকে যেমন বিরল, অন্যদিকে চরম হতাশা ও চাপের প্রতিফলন।
ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে গিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পুঁজি উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি কেবল ঘোষণায় থেমে থাকেননি, যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় পক্ষ বানিয়েছেন এই সংঘাতে, এমনকি মার্কিন সেনাদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়—যা এই সমঝোতার চাবিকাঠি হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সমঝোতার কাঠামো নড়বড়ে, অনিশ্চিত এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এরই মধ্যে ইসরায়েল ও ইরান উভয়েই হামলা করেছে।
তবু ওয়াশিংটন ছেড়ে ইউরোপের ন্যাটো সম্মেলনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে ট্রাম্প ফের দাবি করেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। সব বিমান ঘুরে দাঁড়াবে, আকাশে বন্ধুত্বসূচক ওয়েভ করবে ইরানের দিকে। কেউ আহত হবে না।’
ন্যাটোর বৈঠকে যেতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে বারবার সংযত থাকার আহ্বান জানান।
কিন্তু ট্রাম্পের উড়োজাহাজ যখন ইউরোপে নামবে, তখন এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবে থাকবে কি না? কারণ, যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেছেন যে, এটি ভেঙে পড়লে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবেই দেখা হবে।

গতকাল সোমবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একবুক আশা নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধের সমাপ্তি হলো। এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই ‘ভালোবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি’ বয়ে আনবে। কিন্তু রাত না পেরোতেই তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানো, আর তা ধরে রাখা এক জিনিস নয়।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার সময়সীমা অতিক্রম করার পর ইরান থেকে রকেট ছোড়ার খবর ও তেহরানে নতুন বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসতেই ট্রাম্প একের পর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের সাউথ লন থেকে সাংবাদিকদের সামনে তিনি যে অশ্রাব্য ভাষায় ইরান ও ইসরায়েলকে সতর্ক করেন, তা একদিকে যেমন বিরল, অন্যদিকে চরম হতাশা ও চাপের প্রতিফলন।
ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে গিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পুঁজি উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি কেবল ঘোষণায় থেমে থাকেননি, যুক্তরাষ্ট্রকে সক্রিয় পক্ষ বানিয়েছেন এই সংঘাতে, এমনকি মার্কিন সেনাদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়—যা এই সমঝোতার চাবিকাঠি হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সমঝোতার কাঠামো নড়বড়ে, অনিশ্চিত এবং যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এরই মধ্যে ইসরায়েল ও ইরান উভয়েই হামলা করেছে।
তবু ওয়াশিংটন ছেড়ে ইউরোপের ন্যাটো সম্মেলনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে ট্রাম্প ফের দাবি করেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে। সব বিমান ঘুরে দাঁড়াবে, আকাশে বন্ধুত্বসূচক ওয়েভ করবে ইরানের দিকে। কেউ আহত হবে না।’
ন্যাটোর বৈঠকে যেতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে বারবার সংযত থাকার আহ্বান জানান।
কিন্তু ট্রাম্পের উড়োজাহাজ যখন ইউরোপে নামবে, তখন এই যুদ্ধবিরতি বাস্তবে থাকবে কি না? কারণ, যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে এমনভাবে জড়িয়ে ফেলেছেন যে, এটি ভেঙে পড়লে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবেই দেখা হবে।

নিজেকে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে দাবি করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বছরেই মার্কিন সামরিক বাহিনী বিশ্বের অন্তত সাতটি দেশে শক্তিশালী বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সংঘাত পর্যবেক্ষণ সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটার (এসিএলইডি) তথ্যমতে, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নেওয়ার
১ ঘণ্টা আগে
গত ২৬ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম জাতিসংঘ সদস্য দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তকে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর একটি সাহসী সম্প্রসারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
৪ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের মূল ভূখণ্ড হারানোর পর আইএস এখন মূলত স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সেলের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, কঙ্গো এবং সাহেল অঞ্চলে আইএস অত্যন্ত শক্তিশালী। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘আইএসডব্লিউএপি’ এবং উত্তর-পশ্চিমে বিভিন্ন অনুসারী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।
৫ দিন আগে
নাইজেরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মুসলমান, ৪৫ শতাংশ খ্রিষ্টান এবং অন্যরা আফ্রিকার ঐতিহ্যগত কিছু ধর্মে বিশ্বাসী। খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক মনোযোগ পেলেও বহু বিশ্লেষকের মতে, বিষয়টি কেবল ধর্মীয় নিপীড়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর পেছন
৫ দিন আগে