ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে আছেন কি না—তা নিয়ে মিশ্র বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশ্যে ট্রাম্প প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে, তখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়েছে—এর ফলাফল কী হতে পারে। বিশেষ করে, ইরানে কি ২০০৩ সালে ইরাক হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করার পর রাশিয়ার কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দেয়। তবে এরপর শিগগির রুশ গণমাধ্যমগুলো এই যুদ্ধে মস্কোর সম্ভাব্য লাভের দিকগুলো তুলে ধরে। কিন্তু, তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ভুলে যায়—মধ্যপ্রাচ্যে মস্কোর শেষ...
ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক ভান্ডারের বড় একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো তাদের কাছে বিধ্বংসী বেশ কিছু অস্ত্র আছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধনের মতো বেশ কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনো অবশিষ্ট রয়েছে হিজবুল্লাহর ভান্ডারে। তবে এরপর ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ সামাল দিতে যে পরিমাণ
তাই প্রশ্ন উঠছে, ইসরায়েলি নেতারা কি সত্যিই ইরানিদের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তেজিত করতে পারবেন? উত্তরটা খুব স্পষ্ট—না। নেতানিয়াহু ও তাঁর সহযোগীদের এই দাবি অবাস্তব। এমনকি এই দলে আছেন রেজা পাহলভিও, যিনি ইরানের সাবেক শাহর পুত্র। তাঁর বাবা যাঁর শাসনামলে দেশের জনগণ আন্দোলনে ফুঁসে উঠেছিল, সেই শাহের পতন...
কানাডায় চলমান শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭-এর শীর্ষ সম্মেলনে পুরো মনোযোগ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে। সেখানে অন্য কোনো ইস্যু বলতে গেলে স্থানই পায়নি; বরং এই সম্মেলনে রাশিয়া এক অনাকাঙ্ক্ষিত পক্ষপাত পেয়ে গেছে। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও রাশিয়াকে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭-এ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে একের পর এক হামলা চালানোর আগে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কড়া ‘সতর্কবার্তাও’ দেয়। ইসরায়েল দাবি করে, ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছে, আর এই হামলাগুলো সেই প্রচেষ্টা রুখতেই প্রয়োজন ছিল। তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন খুবই সাংঘর্ষিক।
হামলা চালিয়ে ইরান সরকারের জন্য জনসমর্থন অর্জনের পথ খুলে দিচ্ছে ইসরায়েল—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তেহরানভিত্তিক সাংবাদিক ও গবেষক আব্বাস আসলানি বলেন, এত দিন যাঁরা সরকারবিরোধী অবস্থানে ছিলেন, তাঁরাও এখন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন।
কিন্তু গত শুক্রবার ইরানের ওপর হামলা চালানোর পর ইসরায়েল আর সেই ছাড় পায়নি, যা ইরাকের ক্ষেত্রে শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা দিনের পর দিন গড়াচ্ছে, সম্ভবত সপ্তাহও পেরিয়ে যাবে। এবারে ইসরায়েলের লক্ষ্য আরও বড়—তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার ধ্বংস, একাধিক পারমাণবিক
ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে যে হামলা শুরু করেছে, তা যেন শুধু স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে নয়, বরং সেই কর্মসূচির মাথা হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধেও। এই হামলার তালিকায় ছিল ইরানের পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসির নাম।
ফরেন পলিসির নিবন্ধ
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কেবল শুরু। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস ও সামরিক বাহিনীকে পঙ্গু করে দিতে ‘যত দিন লাগবে’ ইসরায়েল তত দিন আঘাত হানতে থাকবে। এটি প্রাথমিকভাবে কয়েক সপ্তাহ হতে পারে। ইরান এরই মধ্যে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলের
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে এক নতুন অস্থিরতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ভূমিকাও হয়ে উঠেছে নজরকাড়া। এর মধ্যে রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু জটিল অবস্থানে রয়েছে। একদিকে তাদের ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ, অন্যদিকে বর্তমান সংঘাতে
গত শুক্রবার ভোরে আকস্মিকভাবে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। মূলত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিচ্ছে দেশটি। ইসরায়েল দাবি করেছে, গত শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ইরান মোট ৩৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইরান আসলে কী করবে এখন? বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রথমত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাত এড়াতে সর্তক অবস্থানে থাকবে ইরান। শেষমেষ নিজেদের মর্যাদা বজায় রেখে যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে। জয়-পরাজয়ের হিসাবে ইরানকে যেন কোনোভাবেই পরাজিত বলা না যায়, সেটি এখন তেহরানের মূল লক্ষ্য।
সাইরেনের শব্দে যখন রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙে আর ইসরায়েল বা ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে, তখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কৌশল নিয়ে একটি বিশেষ চিত্র সামনে আসে—রাতের আঁধার। বারবার রাতের বেলাতেই ইরান বা ইসরায়েল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় বরং এটি গোপনীয়তা, চমক
ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অনেক দেশই ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু ইরানের সঙ্গে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকার পরও ভারত তেহরানের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা থেকে ভারত নিজেদের দূরে রেখেছে।
চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দৈনিক ব্যয় অনুমান করা বেশ জটিল। কারণ সরকারি তথ্য প্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা, সংঘাতের তীব্রতার পরিবর্তন এবং পরোক্ষ অর্থনৈতিক প্রভাব মিলিয়ে হিসাবটি অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠে। এরপরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে, সরাসরি সামরিক ব্যয়ের আনুমানিক একটা হিসাব করা যেতে...