জাহীদ রেজা নূর

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়।
কোলিয়া আসলে নিকোলাই থেকে এসেছে। তোলিয়া এসেছে আনাতলি থেকে। আমরা মিখাইল গর্বাচভের কথা বলি। তাঁর বাবা-মা, বন্ধু–বান্ধবেরা মিখাইলকে মিশা নামে ডাকেন। ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কিকে ডাকা হয় ফেদিয়া নামে। কারণ, ফিওদরকে আদর করে ফেদিয়া বলা হয়। ভ্লাদিমির ইলিচকে বন্ধুরা ডাকত ভ্লাদ বলে। ভাসিলি হচ্ছে ভাসিয়া, গেন্নাদি হচ্ছে গেনা, দিমত্রি হচ্ছে দিমা, তাকে মিতিয়া বলেও ডাকা হয়। গেওর্গি হচ্ছে গোশা, গোরা, ঝোরা। ইভ্গেনি হলো ঝেনিয়া। মেয়েদের নাম হয় ইভগেনিয়া, সেটার ছোট রূপটাও কিন্তু ঝেনিয়া। মানে ছেলেও ঝেনিয়া, মেয়েও ঝেনিয়া।
ইভান হলো ভানিয়া। তাহলে বুঝতেই পারছেন তুর্গিয়েনেভকে আপনি ভানিয়া বলেও ডাকতে পারেন। আন্তন চেখভকে তাঁর স্বজনেরা ডাকত আনতোশা বলে।
আলেক্সান্দর আর আলেক্সান্দ্রা। প্রথমটি ছেলেদের নাম, দ্বিতীয়টি মেয়েদের। কিন্তু আদর করে ডাকলে দুজনকেই বলতে হবে সাশা। সাশাকেই বলা হয় শুরিক। আরও বলা হয় শুরা।
এবার মেয়েদের নামগুলো নিয়ে কিছু কথা হোক।
যদি শুনি লেনার কথা, তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে আমরা আসলে ইয়েলেনার কথা বলছি। তেমনি কাতিয়া কিন্তু ইয়েকাতেরিনার ছোট আদুরে রূপ। নাতালিয়াকে আদর করে ডাকা হয় নাতাশা বলে। ওলিয়া যে বলি, তার ভদ্রগোছের রূপটা হচ্ছে ওলগা। আনতোনিনা বা আনতোনিয়াকে ডাকা হয় তোসিয়া বলে।
এ তো গেল নামের প্রাথমিক পরিচয়। কিন্তু রুশ নামগুলো কেমন হয়, সেটা নিয়েও একটু কথা বলা দরকার। প্রতিটি রুশ নামে থাকে তিনটি ভাগ। প্রথম অংশটি লোকটির নাম, দ্বিতীয় অংশটি পিতৃনাম আর তৃতীয় অংশটি পারিবারিক পদবি। আমরা সেভাবে আমাদের নামগুলো তৈরি করে একটু রগড় করব।
একটি নাম বেছে নিচ্ছি। হ্যাঁ, বেদনার ঋষি দস্তইয়েভ্স্কির নামটিই বেছে নেওয়া যাক।
দস্তইয়েভ্স্কির পুরো নাম তাঁর ফিওদর মিখাইলোভিচ দস্তইয়েভ্স্কি। আগে যে কথা বলেছি, সেই সূত্রকে মনে রেখে আমরা বলতে পারি, ফিওদর হচ্ছে লেখকের নাম। অর্থাৎ, কেউ যদি একান্ত আলাপে তাঁর নামটি উচ্চারণ করতে চায়, তাহলে বলতে হবে ফিওদর, ফেদিয়া, ফেদকা। খুব কাছের লোকেরাই পরের দুটো ফর্ম ব্যবহার করতে পারে। এর পরের অংশটা হচ্ছে মিখাইলোভিচ। মিখাইলোভিচের মানে হলো মিখাইলের ছেলে। যদি ছেলে না হয়ে মেয়ে হতো, তাহলে? তাহলে কী হতো, সে আলোচনা তো হবে মেয়েদের একটি নাম বেছে নেওয়ার পর। যাক। আমরা মিখাইলোভিচে এসে ঠেকেছি। তার মানে হলো মিখাইলের ছেলে ফিওদর। এর পর যে অংশটি আছে, সেটি হলো পারিবারিক পদবি। এই পরিবারের সব ছেলের পদবি হবে দস্তইয়েভ্স্কি। আর মেয়ে হলে? আরে! আগেই তো বললাম, সেটা বলব মেয়েদের নামের আলোচনায়। তাহলে আমাদের লেখক দস্তইয়েভ্স্কির নামের মানেটা কী দাঁড়াল? দাঁড়াল: দস্তইয়েভ্স্কি পরিবারের মিখাইলের ছেলে ফিওদর।
ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কির এক ছেলের নাম আলেক্সেই দস্তইয়েভ্স্কি। তাহলে তাঁর পুরো নাম কী হবে বোঝা যাচ্ছে? তিনি তো ফিওদরের ছেলে, মিখাইলের ছেলে নন। তাই তাঁর পুরো নাম হবে আলেক্সেই ফিওদোরোভিচ দস্তয়েভ্স্কি। দস্তইয়েভ্স্কি পরিবারের ফিওদরের ছেলে আলেক্সেই। বোঝা গেল?
এবার মেয়েদের নাম। এই পরিবারেরই একটি মেয়েকে নিয়ে কথা বলি। ওই ফিওদরের মেয়ে সোনিয়াকে বেছে নেওয়া যাক। এবার একটু ভাবুন। তাঁর পিতৃনাম কী হবে? নিশ্চয়ই মিখাইল নয়? হবে ফেওদর। কিন্তু তিনি তো ছেলে নন। ছেলে হলে পিতৃনাম হতো ফিওদোরোভিচ। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘ওভিচ’ না হয়ে হয় ‘ওভনা’। আর দস্তইয়েভ্স্কি না হয়ে হবে দস্তইয়েভ্স্কায়া।
যদি পদবি হতো পুশকিন? তাহলে সেই পরিবারের সব মেয়ের নাম হতো পুশকিনা।
যদি হতো তুর্গিয়েনেভ? তবে হতো তুর্গিনিয়েভা।
যদি হতো চেখভ? তাহলে হতো চেখভা। পরিষ্কার?
তাহলে ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কির মেয়েটার নাম দাঁড়াল কী?
সোনিয়া ফিওদোরোভ্না দস্তইয়েভ্স্কায়া। বোঝা গেল?
একটু ঝালাই করে নিই:
আন্তন পাভলোভিচ চেখভ মানে হলো চেখভ পরিবারের পাভেলের ছেলে আন্তন।
লিয়েফ নিকোলায়েভিচ তলস্তোয়ের মানে হলো তলস্তয় পরিবারের নিকোলাইয়ের ছেলে লিয়েভ।
যদি আন্তনের বোনের নাম হতো ইয়েকারেতিনা, তাহলে সেই পরিবারের মেয়েটার নাম হতো ইয়েকাতেরিনা পাভলোভ্না চেখভা। যদি সে হতো তলস্তয় পরিবারের, তাহলে নাম হতো, ইয়েকাতেরিনা নিকোলায়েভ্না তলস্তোয়া।
মনে রাখতে পারবেন?
আমি যদি এই নাম নিয়েই রুশ দেশে জন্মাতাম, তাহলে আমার নাম হতো জাহীদ সিরাজোভিচ হোসেন।
আমি মেয়ে হলে নাম হতো জাহীদা সিরাজোভ্না হোসেনা।
আর নয়। আমার নিজেরই মাথা ঘুরছে!

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়।
কোলিয়া আসলে নিকোলাই থেকে এসেছে। তোলিয়া এসেছে আনাতলি থেকে। আমরা মিখাইল গর্বাচভের কথা বলি। তাঁর বাবা-মা, বন্ধু–বান্ধবেরা মিখাইলকে মিশা নামে ডাকেন। ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কিকে ডাকা হয় ফেদিয়া নামে। কারণ, ফিওদরকে আদর করে ফেদিয়া বলা হয়। ভ্লাদিমির ইলিচকে বন্ধুরা ডাকত ভ্লাদ বলে। ভাসিলি হচ্ছে ভাসিয়া, গেন্নাদি হচ্ছে গেনা, দিমত্রি হচ্ছে দিমা, তাকে মিতিয়া বলেও ডাকা হয়। গেওর্গি হচ্ছে গোশা, গোরা, ঝোরা। ইভ্গেনি হলো ঝেনিয়া। মেয়েদের নাম হয় ইভগেনিয়া, সেটার ছোট রূপটাও কিন্তু ঝেনিয়া। মানে ছেলেও ঝেনিয়া, মেয়েও ঝেনিয়া।
ইভান হলো ভানিয়া। তাহলে বুঝতেই পারছেন তুর্গিয়েনেভকে আপনি ভানিয়া বলেও ডাকতে পারেন। আন্তন চেখভকে তাঁর স্বজনেরা ডাকত আনতোশা বলে।
আলেক্সান্দর আর আলেক্সান্দ্রা। প্রথমটি ছেলেদের নাম, দ্বিতীয়টি মেয়েদের। কিন্তু আদর করে ডাকলে দুজনকেই বলতে হবে সাশা। সাশাকেই বলা হয় শুরিক। আরও বলা হয় শুরা।
এবার মেয়েদের নামগুলো নিয়ে কিছু কথা হোক।
যদি শুনি লেনার কথা, তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে আমরা আসলে ইয়েলেনার কথা বলছি। তেমনি কাতিয়া কিন্তু ইয়েকাতেরিনার ছোট আদুরে রূপ। নাতালিয়াকে আদর করে ডাকা হয় নাতাশা বলে। ওলিয়া যে বলি, তার ভদ্রগোছের রূপটা হচ্ছে ওলগা। আনতোনিনা বা আনতোনিয়াকে ডাকা হয় তোসিয়া বলে।
এ তো গেল নামের প্রাথমিক পরিচয়। কিন্তু রুশ নামগুলো কেমন হয়, সেটা নিয়েও একটু কথা বলা দরকার। প্রতিটি রুশ নামে থাকে তিনটি ভাগ। প্রথম অংশটি লোকটির নাম, দ্বিতীয় অংশটি পিতৃনাম আর তৃতীয় অংশটি পারিবারিক পদবি। আমরা সেভাবে আমাদের নামগুলো তৈরি করে একটু রগড় করব।
একটি নাম বেছে নিচ্ছি। হ্যাঁ, বেদনার ঋষি দস্তইয়েভ্স্কির নামটিই বেছে নেওয়া যাক।
দস্তইয়েভ্স্কির পুরো নাম তাঁর ফিওদর মিখাইলোভিচ দস্তইয়েভ্স্কি। আগে যে কথা বলেছি, সেই সূত্রকে মনে রেখে আমরা বলতে পারি, ফিওদর হচ্ছে লেখকের নাম। অর্থাৎ, কেউ যদি একান্ত আলাপে তাঁর নামটি উচ্চারণ করতে চায়, তাহলে বলতে হবে ফিওদর, ফেদিয়া, ফেদকা। খুব কাছের লোকেরাই পরের দুটো ফর্ম ব্যবহার করতে পারে। এর পরের অংশটা হচ্ছে মিখাইলোভিচ। মিখাইলোভিচের মানে হলো মিখাইলের ছেলে। যদি ছেলে না হয়ে মেয়ে হতো, তাহলে? তাহলে কী হতো, সে আলোচনা তো হবে মেয়েদের একটি নাম বেছে নেওয়ার পর। যাক। আমরা মিখাইলোভিচে এসে ঠেকেছি। তার মানে হলো মিখাইলের ছেলে ফিওদর। এর পর যে অংশটি আছে, সেটি হলো পারিবারিক পদবি। এই পরিবারের সব ছেলের পদবি হবে দস্তইয়েভ্স্কি। আর মেয়ে হলে? আরে! আগেই তো বললাম, সেটা বলব মেয়েদের নামের আলোচনায়। তাহলে আমাদের লেখক দস্তইয়েভ্স্কির নামের মানেটা কী দাঁড়াল? দাঁড়াল: দস্তইয়েভ্স্কি পরিবারের মিখাইলের ছেলে ফিওদর।
ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কির এক ছেলের নাম আলেক্সেই দস্তইয়েভ্স্কি। তাহলে তাঁর পুরো নাম কী হবে বোঝা যাচ্ছে? তিনি তো ফিওদরের ছেলে, মিখাইলের ছেলে নন। তাই তাঁর পুরো নাম হবে আলেক্সেই ফিওদোরোভিচ দস্তয়েভ্স্কি। দস্তইয়েভ্স্কি পরিবারের ফিওদরের ছেলে আলেক্সেই। বোঝা গেল?
এবার মেয়েদের নাম। এই পরিবারেরই একটি মেয়েকে নিয়ে কথা বলি। ওই ফিওদরের মেয়ে সোনিয়াকে বেছে নেওয়া যাক। এবার একটু ভাবুন। তাঁর পিতৃনাম কী হবে? নিশ্চয়ই মিখাইল নয়? হবে ফেওদর। কিন্তু তিনি তো ছেলে নন। ছেলে হলে পিতৃনাম হতো ফিওদোরোভিচ। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘ওভিচ’ না হয়ে হয় ‘ওভনা’। আর দস্তইয়েভ্স্কি না হয়ে হবে দস্তইয়েভ্স্কায়া।
যদি পদবি হতো পুশকিন? তাহলে সেই পরিবারের সব মেয়ের নাম হতো পুশকিনা।
যদি হতো তুর্গিয়েনেভ? তবে হতো তুর্গিনিয়েভা।
যদি হতো চেখভ? তাহলে হতো চেখভা। পরিষ্কার?
তাহলে ফিওদর দস্তইয়েভ্স্কির মেয়েটার নাম দাঁড়াল কী?
সোনিয়া ফিওদোরোভ্না দস্তইয়েভ্স্কায়া। বোঝা গেল?
একটু ঝালাই করে নিই:
আন্তন পাভলোভিচ চেখভ মানে হলো চেখভ পরিবারের পাভেলের ছেলে আন্তন।
লিয়েফ নিকোলায়েভিচ তলস্তোয়ের মানে হলো তলস্তয় পরিবারের নিকোলাইয়ের ছেলে লিয়েভ।
যদি আন্তনের বোনের নাম হতো ইয়েকারেতিনা, তাহলে সেই পরিবারের মেয়েটার নাম হতো ইয়েকাতেরিনা পাভলোভ্না চেখভা। যদি সে হতো তলস্তয় পরিবারের, তাহলে নাম হতো, ইয়েকাতেরিনা নিকোলায়েভ্না তলস্তোয়া।
মনে রাখতে পারবেন?
আমি যদি এই নাম নিয়েই রুশ দেশে জন্মাতাম, তাহলে আমার নাম হতো জাহীদ সিরাজোভিচ হোসেন।
আমি মেয়ে হলে নাম হতো জাহীদা সিরাজোভ্না হোসেনা।
আর নয়। আমার নিজেরই মাথা ঘুরছে!

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়...
২২ মে ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়...
২২ মে ২০২২
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়...
২২ মে ২০২২
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

কোলিয়া আর তোলিয়াকে নিয়ে দুটো স্মৃতিচারণের পর মনে হলো, আরে! নাম দুটোই শেষ হচ্ছে ‘আ’ দিয়ে, আর তাতে মনে হতে পারে এগুলো তো মেয়েদের নাম! কিন্তু যে দুজনের কথা বলা হলো, তারা তো ছেলে! সে রহস্য ভেদ করা হবে আজকের লেখায়...
২২ মে ২০২২
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে