জাহীদ রেজা নূর

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই।কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না। কোন যৌথ খামার থেকে এই আলু আসত, জানি না, কিন্তু যেভাবেই তা রান্না করতাম বা ভাজতাম, তাতে আলুর স্বাদটা হতো মনের মতো। আলুও যে আলাদাভাবে সুস্বাদু হতে পারে, সেটা আগ্রোপ্র্রোমের আলু খেয়েই প্রথম বুঝেছি। এর আগে আলু নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না।
আরও একটা কথা, ‘নতুন আলু’ যে স্বাদে-গন্ধে পুরোনো আলুর চেয়ে একেবারেই আলাদা, সেটাও সোভিয়েত জীবন শুরু হওয়ার পর বুঝতে শুরু করেছিলাম।
ক্লাসের পর যখন একা লাগত, তখনই বের হয়ে পড়তাম। কখনো ট্রামে, কখনো ট্রলিবাসে, কখনো বাসে করে চলে যেতাম বহু দূর। সে অভিজ্ঞতার কথাও বলব ধীরে ধীরে। আজ বলব সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যখন দেশগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, তার পরের কথা। সোভিয়েত যুগের নিশ্চিন্ত নির্ভরতা তত দিনে হারিয়ে গেছে। রুশ দেশের মানুষেরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে কত ধানে কত চাল। দুর্নীতি বেড়ে গেছে, তৈরি হয়েছে মাফিয়ার দল, বাইরের দেশ থেকে পণ্য আসছে, তা বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। তার বেশির ভাগই কালো বাজার। মানুষের হাতে টাকা নেই। আবার একদল মানুষ টাকার পাহাড়ে বসে আছে। এ রকম এক অরাজক অবস্থায় আমরা দিন কাটাচ্ছিলাম। এখন যে ঘটনার কথা বলব, সেটা মনে হয় ১৯৯৪–৯৫ সালের দিকের ঘটনা।
আগ্রোপ্রোম দোকানটায় বিদেশিরা খুব একটা যেত না। রাশান বা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের লোকেরাই যেত। আমি সেখান থেকে কখনো কখনো বাজার করতাম।
সেই দোকানে মাংস বিক্রি করত তোলিয়া। আমার চেয়ে বয়সে বড়। আনাতোলিকে আদর করে তোলিয়া নামে ডাকা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের রীতি অনুসারে সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। একের পর এক ক্রেতা নিজেদের পছন্দমতো মাংসের টুকরো বেছে নিতেন।
একদিন তোলিয়া জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী?’
বললাম।
‘কোন দেশ থেকে এসেছ, কিউবা? ইন্ডিয়া?’
‘না। বাংলাদেশ।’
‘এটা কোথায়?’
‘ইন্ডিয়ার পাশেই।’
‘ইন্ডিয়ায় তো গরু খায় না!’
‘কেউ কেউ খায়। ওই দেশে অনেকগুলো ধর্মের মানুষ থাকে। কেউ গরু খায়, কেউ খায় না। আমরা বাংলাদেশে গরু খাই।’
‘ভালো ভালো!’
আমি আমার মনের মতো মাংস কিনে ফিরে এলাম।
এর পর থেকে ঘটতে থাকল এক অদ্ভুত ঘটনা। আমি যখনই আগ্রোপ্রামে যেতাম, লাইনে দাঁড়াতাম, তোলিয়া আড়চোখে আমাকে দেখত। কিন্তু কোনো কথা বলত না। আমি যখন একটু একটু করে লাইনের এক নম্বরে আসতাম, তখন ও আমাকে দাঁড়াতে বলে একটা মাংসের ট্রে নিয়ে চলে যেত ভিতরে। সেখান থেকে কুড়ালে মাংস কাটার শব্দ শোনা যেত। তারপর এমন মাংস নিয়ে আসত, যাতে হাড়ের চেয়ে মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি।
প্রথম দিকে কেউ সেটা খেয়াল করত না। কিছু হিংসুটে বুড়ি সব দেশেই থাকে। ওরা সবখানেই একটা গন্ডগোল বাধিয়ে দেয়। সে রকমই এক বুড়ির চোখে পড়ল, আমার পালা আসতেই তোলিয়া চলে যায় ভিতরে, সেখান থেকে ভালো ভালো মাংস নিয়ে আসে। তা থেকেই বেছে আমাকে দেয়।
সেই বুড়ি ছিল আমার ঠিক পেছনে। বিড়বিড় করে বলছিল, ‘এইবার কসাই ভিতরে গিয়ে ভালো মাংস নিয়ে আসবে। এই বিদেশি ছেলেটার জন্য আলাদা আয়োজন।’
বুড়ির বিড়বিড়ানি তোলিয়ার কানে গেল। সে বলল, ‘হ্যাঁ, ওর জন্য আমি ট্রে নিয়ে মাংস আনতে যাব।’
‘ওরা তো এ দেশে এসে দেশটা ছারখার করে দিল। আমরা এ দেশের নাগরিকেরাই খেতে পাই না, আর এরা এসে আমাদের খাওয়ায় ভাগ বসাচ্ছে!’
‘ওরা তো উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। ওরা পড়াশোনা করছে। দেশে ফিরে প্রত্যেকেই বিজ্ঞানী হবে।’
‘ওদের বিজ্ঞানী হওয়ার নিকুচি করি। নিজের দেশে গিয়ে বিজ্ঞানী হোক। আমাদের দেশটাকে জ্বালাচ্ছে কেন?’
তোলিয়া বলল, ‘আমি ট্রেতে করে মাংস নিয়ে এলে কি সব মাংস ও নিয়ে যাবে? ওটার ভাগ আপনি পাবেন না?’
এবার কথাটা বুঝতে পারে বুড়ি। আসলে আমার জন্য মাংস কেটে আনলে তার ভাগ্যেও জুটবে কম হাড়ওয়ালা মাংস। কিন্তু তাতেও তিনি দমলেন না। এবার লড়াইটা চালালেন অন্যভাবে, ‘ও এখান থেকেই মাংস নিক। কিংবা একটু অপেক্ষা করুক। তুমি আমার জন্য ট্রে ভরে নিয়ে এস। আগে আমি নেব, তারপর ও নেবে।’
তোলিয়া বলল, ‘এটা আমার দোকান। আমি যেভাবে চাইব, সেভাবেই হবে। আপনি মাংস নিলে নেবেন, না হলে লাইন থেকে সরে দাঁড়ান। অযথা এখানকার পরিবেশ নষ্ট করবেন না!’
তোলিয়ার সঙ্গে তর্ক করে পারবে না বলে বুড়ি এবার আমাকেই গালাগাল দিতে লাগল। আমাদের কারণেই নাকি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছে, আমাদের পালতে গিয়েই সোভিয়েতরাজের খাজাঞ্চিখানা উজাড় হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তখন খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিল। কিন্তু এখন ভাবি, সে সময় বুড়িরা হঠাৎ করে দারিদ্র্যের যে অকুল দরিয়ায় পড়েছিল, তাতে পৃথিবীর সবকিছুর প্রতিই তাদের রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে দেশে ফেরার আগপর্যন্ত তোলিয়া আমার জন্য ওর নিয়মটাই বহাল রেখেছিল। এসব ছোট ছোট ভালোবাসার গল্পগুলোই আনন্দ দেয়।

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই।কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না। কোন যৌথ খামার থেকে এই আলু আসত, জানি না, কিন্তু যেভাবেই তা রান্না করতাম বা ভাজতাম, তাতে আলুর স্বাদটা হতো মনের মতো। আলুও যে আলাদাভাবে সুস্বাদু হতে পারে, সেটা আগ্রোপ্র্রোমের আলু খেয়েই প্রথম বুঝেছি। এর আগে আলু নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিল না।
আরও একটা কথা, ‘নতুন আলু’ যে স্বাদে-গন্ধে পুরোনো আলুর চেয়ে একেবারেই আলাদা, সেটাও সোভিয়েত জীবন শুরু হওয়ার পর বুঝতে শুরু করেছিলাম।
ক্লাসের পর যখন একা লাগত, তখনই বের হয়ে পড়তাম। কখনো ট্রামে, কখনো ট্রলিবাসে, কখনো বাসে করে চলে যেতাম বহু দূর। সে অভিজ্ঞতার কথাও বলব ধীরে ধীরে। আজ বলব সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যখন দেশগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, তার পরের কথা। সোভিয়েত যুগের নিশ্চিন্ত নির্ভরতা তত দিনে হারিয়ে গেছে। রুশ দেশের মানুষেরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে কত ধানে কত চাল। দুর্নীতি বেড়ে গেছে, তৈরি হয়েছে মাফিয়ার দল, বাইরের দেশ থেকে পণ্য আসছে, তা বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। তার বেশির ভাগই কালো বাজার। মানুষের হাতে টাকা নেই। আবার একদল মানুষ টাকার পাহাড়ে বসে আছে। এ রকম এক অরাজক অবস্থায় আমরা দিন কাটাচ্ছিলাম। এখন যে ঘটনার কথা বলব, সেটা মনে হয় ১৯৯৪–৯৫ সালের দিকের ঘটনা।
আগ্রোপ্রোম দোকানটায় বিদেশিরা খুব একটা যেত না। রাশান বা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের লোকেরাই যেত। আমি সেখান থেকে কখনো কখনো বাজার করতাম।
সেই দোকানে মাংস বিক্রি করত তোলিয়া। আমার চেয়ে বয়সে বড়। আনাতোলিকে আদর করে তোলিয়া নামে ডাকা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের রীতি অনুসারে সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। একের পর এক ক্রেতা নিজেদের পছন্দমতো মাংসের টুকরো বেছে নিতেন।
একদিন তোলিয়া জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী?’
বললাম।
‘কোন দেশ থেকে এসেছ, কিউবা? ইন্ডিয়া?’
‘না। বাংলাদেশ।’
‘এটা কোথায়?’
‘ইন্ডিয়ার পাশেই।’
‘ইন্ডিয়ায় তো গরু খায় না!’
‘কেউ কেউ খায়। ওই দেশে অনেকগুলো ধর্মের মানুষ থাকে। কেউ গরু খায়, কেউ খায় না। আমরা বাংলাদেশে গরু খাই।’
‘ভালো ভালো!’
আমি আমার মনের মতো মাংস কিনে ফিরে এলাম।
এর পর থেকে ঘটতে থাকল এক অদ্ভুত ঘটনা। আমি যখনই আগ্রোপ্রামে যেতাম, লাইনে দাঁড়াতাম, তোলিয়া আড়চোখে আমাকে দেখত। কিন্তু কোনো কথা বলত না। আমি যখন একটু একটু করে লাইনের এক নম্বরে আসতাম, তখন ও আমাকে দাঁড়াতে বলে একটা মাংসের ট্রে নিয়ে চলে যেত ভিতরে। সেখান থেকে কুড়ালে মাংস কাটার শব্দ শোনা যেত। তারপর এমন মাংস নিয়ে আসত, যাতে হাড়ের চেয়ে মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি।
প্রথম দিকে কেউ সেটা খেয়াল করত না। কিছু হিংসুটে বুড়ি সব দেশেই থাকে। ওরা সবখানেই একটা গন্ডগোল বাধিয়ে দেয়। সে রকমই এক বুড়ির চোখে পড়ল, আমার পালা আসতেই তোলিয়া চলে যায় ভিতরে, সেখান থেকে ভালো ভালো মাংস নিয়ে আসে। তা থেকেই বেছে আমাকে দেয়।
সেই বুড়ি ছিল আমার ঠিক পেছনে। বিড়বিড় করে বলছিল, ‘এইবার কসাই ভিতরে গিয়ে ভালো মাংস নিয়ে আসবে। এই বিদেশি ছেলেটার জন্য আলাদা আয়োজন।’
বুড়ির বিড়বিড়ানি তোলিয়ার কানে গেল। সে বলল, ‘হ্যাঁ, ওর জন্য আমি ট্রে নিয়ে মাংস আনতে যাব।’
‘ওরা তো এ দেশে এসে দেশটা ছারখার করে দিল। আমরা এ দেশের নাগরিকেরাই খেতে পাই না, আর এরা এসে আমাদের খাওয়ায় ভাগ বসাচ্ছে!’
‘ওরা তো উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। ওরা পড়াশোনা করছে। দেশে ফিরে প্রত্যেকেই বিজ্ঞানী হবে।’
‘ওদের বিজ্ঞানী হওয়ার নিকুচি করি। নিজের দেশে গিয়ে বিজ্ঞানী হোক। আমাদের দেশটাকে জ্বালাচ্ছে কেন?’
তোলিয়া বলল, ‘আমি ট্রেতে করে মাংস নিয়ে এলে কি সব মাংস ও নিয়ে যাবে? ওটার ভাগ আপনি পাবেন না?’
এবার কথাটা বুঝতে পারে বুড়ি। আসলে আমার জন্য মাংস কেটে আনলে তার ভাগ্যেও জুটবে কম হাড়ওয়ালা মাংস। কিন্তু তাতেও তিনি দমলেন না। এবার লড়াইটা চালালেন অন্যভাবে, ‘ও এখান থেকেই মাংস নিক। কিংবা একটু অপেক্ষা করুক। তুমি আমার জন্য ট্রে ভরে নিয়ে এস। আগে আমি নেব, তারপর ও নেবে।’
তোলিয়া বলল, ‘এটা আমার দোকান। আমি যেভাবে চাইব, সেভাবেই হবে। আপনি মাংস নিলে নেবেন, না হলে লাইন থেকে সরে দাঁড়ান। অযথা এখানকার পরিবেশ নষ্ট করবেন না!’
তোলিয়ার সঙ্গে তর্ক করে পারবে না বলে বুড়ি এবার আমাকেই গালাগাল দিতে লাগল। আমাদের কারণেই নাকি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছে, আমাদের পালতে গিয়েই সোভিয়েতরাজের খাজাঞ্চিখানা উজাড় হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তখন খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিল। কিন্তু এখন ভাবি, সে সময় বুড়িরা হঠাৎ করে দারিদ্র্যের যে অকুল দরিয়ায় পড়েছিল, তাতে পৃথিবীর সবকিছুর প্রতিই তাদের রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে দেশে ফেরার আগপর্যন্ত তোলিয়া আমার জন্য ওর নিয়মটাই বহাল রেখেছিল। এসব ছোট ছোট ভালোবাসার গল্পগুলোই আনন্দ দেয়।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই। কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না...
০৮ মে ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই। কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না...
০৮ মে ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই। কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না...
০৮ মে ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই। কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না...
০৮ মে ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে