
শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মুনাফার নতুন হার প্রযোজ্য হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সরকারের দায় কমাতেই মুনাফার হার কমানো হয়েছে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে।
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র বলতে কেবল সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে আমানত রাখলে ৫ শতাংশের নিচে মুনাফা। ফলে এত কম লাভে ব্যাংকে টাকা রাখায় আগ্রহী নয় সাধারণ মানুষ। পুঁজিবাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।
এসব কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বিনিয়োগের পছন্দের জায়গা সঞ্চয়পত্র। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, প্রবাসী বা সাধারণ মানুষ তাঁদের শেষ সম্বল এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে ওই মুনাফা দিয়ে সংসার চালান।
অথচ আকস্মিকই সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় লাগাম টেনে ধরল। বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগের মতোই মুনাফা পাওয়া যাবে। আর ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখের বেশি যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা কম হারে লাভ পাবেন।
এ ব্যাপারে সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সরকার করেছে। এর প্রভাব কী হবে, তা কিছুদিন পরে বোঝা যাবে। আসলে সঞ্চয়পত্রের পেছনে সরকারকে প্রচুর টাকা সুদ দিতে হচ্ছে। মূলত সুদের এ বোঝাটা কমানোর জন্যই সরকার হয়তো এ পথে হেঁটেছে। তবে সরকারের চাওয়া হলো, যারা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তারা যেন বিনিয়োগ করে। ধনীদের জন্য এ প্রকল্প নয়। এখানে শুধু যারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করছে, তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য তাদের লাভের অংশ কমানো হয়েছে। যারা কম বিনিয়োগ করবে তাদের কমানো হয়নি।
এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে সরকারের দায় বাড়ছে, এটাও ঠিক। তাই ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার, এটা হচ্ছে অর্থনীতির একটা সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, সাধারণ মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই সীমিত। তাই তারা সঞ্চয়পত্রকেই বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র মনে করে। সুতরাং মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের টাকাটা বিনিয়োগের বিশ্বস্ত ক্ষেত্র তৈরি না করে, শুধু অর্থনীতির নিয়মের খাতিরে আকস্মিক লাভ কাটছাঁট করা হলো। এটা আসলে সরকারের শক্তিশালী যুক্তি না। এতে মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জানা যায়, ছয় বছর পর সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুনাফা কমানো হয়। বাংলাদেশে মোট ছয় ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয়ের ব্যাংক-সাধারণ হিসাব ছাড়া সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। একই সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট বিক্রি থেকে মুনাফা ও আসল বাবদ পরিশোধ করা অর্থ বাদ দিয়ে এ নিট হিসাব করা হয়।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। বিক্রি অস্বাভাবিক বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি।
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে প্রথম বছরে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ থেকে ৩০ লাখ হলে মুনাফার হার হবে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এভাবে দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা বাড়বে।
এ ছাড়া তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ছাড়াও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ৬ মাস পর কিন্তু ১২ মাসের আগে মুনাফার হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ লাখের বেশি হলে মুনাফার হার হবে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০ লাখের বেশি হলে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই বন্ডের অন্য মেয়াদের ক্ষেত্রেও হার কমানো হয়েছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মুনাফার নতুন হার প্রযোজ্য হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সরকারের দায় কমাতেই মুনাফার হার কমানো হয়েছে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিনিয়োগের নিরাপদ ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে আকস্মিক এ সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়বে।
সাধারণ মানুষের নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র বলতে কেবল সঞ্চয়পত্র। ব্যাংকে আমানত রাখলে ৫ শতাংশের নিচে মুনাফা। ফলে এত কম লাভে ব্যাংকে টাকা রাখায় আগ্রহী নয় সাধারণ মানুষ। পুঁজিবাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকি। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হন না।
এসব কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্তের বিনিয়োগের পছন্দের জায়গা সঞ্চয়পত্র। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, প্রবাসী বা সাধারণ মানুষ তাঁদের শেষ সম্বল এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে ওই মুনাফা দিয়ে সংসার চালান।
অথচ আকস্মিকই সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় লাগাম টেনে ধরল। বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে আগের মতোই মুনাফা পাওয়া যাবে। আর ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখের বেশি যাঁরা বিনিয়োগ করবেন, তাঁরা কম হারে লাভ পাবেন।
এ ব্যাপারে সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা সরকার করেছে। এর প্রভাব কী হবে, তা কিছুদিন পরে বোঝা যাবে। আসলে সঞ্চয়পত্রের পেছনে সরকারকে প্রচুর টাকা সুদ দিতে হচ্ছে। মূলত সুদের এ বোঝাটা কমানোর জন্যই সরকার হয়তো এ পথে হেঁটেছে। তবে সরকারের চাওয়া হলো, যারা নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত তারা যেন বিনিয়োগ করে। ধনীদের জন্য এ প্রকল্প নয়। এখানে শুধু যারা বেশি টাকা বিনিয়োগ করছে, তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য তাদের লাভের অংশ কমানো হয়েছে। যারা কম বিনিয়োগ করবে তাদের কমানো হয়নি।
এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতে সরকারের দায় বাড়ছে, এটাও ঠিক। তাই ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে একটা ভারসাম্য থাকা দরকার, এটা হচ্ছে অর্থনীতির একটা সাধারণ নিয়ম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, সাধারণ মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুবই সীমিত। তাই তারা সঞ্চয়পত্রকেই বিনিয়োগের লাভজনক ক্ষেত্র মনে করে। সুতরাং মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের টাকাটা বিনিয়োগের বিশ্বস্ত ক্ষেত্র তৈরি না করে, শুধু অর্থনীতির নিয়মের খাতিরে আকস্মিক লাভ কাটছাঁট করা হলো। এটা আসলে সরকারের শক্তিশালী যুক্তি না। এতে মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জানা যায়, ছয় বছর পর সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুনাফা কমানো হয়। বাংলাদেশে মোট ছয় ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয়ের ব্যাংক-সাধারণ হিসাব ছাড়া সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। একই সময়ে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মুনাফা-আসল বাবদ ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সে হিসাবে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। মোট বিক্রি থেকে মুনাফা ও আসল বাবদ পরিশোধ করা অর্থ বাদ দিয়ে এ নিট হিসাব করা হয়।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল। বিক্রি অস্বাভাবিক বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি।
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে প্রথম বছরে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ থেকে ৩০ লাখ হলে মুনাফার হার হবে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এভাবে দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা বাড়বে।
এ ছাড়া তিন মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও মুনাফার হার পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ছাড়াও ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। ৬ মাস পর কিন্তু ১২ মাসের আগে মুনাফার হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। বিনিয়োগ ১৫ লাখের বেশি হলে মুনাফার হার হবে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৩০ লাখের বেশি হলে হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, ৫০ লাখের বেশি হলে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এই বন্ডের অন্য মেয়াদের ক্ষেত্রেও হার কমানো হয়েছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাঁরা দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে রওনা হন। এই কন্টিনজেন্ট সেখানে আগে থেকে কর্মরত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’-এর স্থলাভিষিক্ত হবে। এর আগে ৯ ডিসেম্বর প্রথম গ্রুপে ৯৯ জন নৌসদস্য এই মিশনে যোগ দিতে দেশ ছাড়েন।
দক্ষিণ সুদানের প্রতিকূল ও দুর্গম এলাকায় বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—নীল নদের নৌপথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। নৌপথে জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। স্থানীয় জনগণের অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা এবং বেসামরিক নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উদ্ধার এবং মিশনে নিয়োজিত সামরিক-বেসামরিক সদস্যদের রসদসামগ্রী দুর্গম স্থানে পৌঁছে দেওয়া।

গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। নীল নদের ১ হাজার ৩১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখন পর্যন্ত ৭১টি লজিস্টিক অপারেশন (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন নৌসদস্যরা।
দক্ষিণ সুদান ছাড়াও লেবাননের ভূমধ্যসাগরে উপমহাদেশের একমাত্র মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’ নিয়োজিত রয়েছে। নৌবাহিনীর এই গৌরবময় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম উজ্জ্বল করছে।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই-তে সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউএন ঘাঁটি আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত ও আটজন আহত হন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাঁরা দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে রওনা হন। এই কন্টিনজেন্ট সেখানে আগে থেকে কর্মরত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’-এর স্থলাভিষিক্ত হবে। এর আগে ৯ ডিসেম্বর প্রথম গ্রুপে ৯৯ জন নৌসদস্য এই মিশনে যোগ দিতে দেশ ছাড়েন।
দক্ষিণ সুদানের প্রতিকূল ও দুর্গম এলাকায় বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—নীল নদের নৌপথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। নৌপথে জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। স্থানীয় জনগণের অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা এবং বেসামরিক নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ উদ্ধার এবং মিশনে নিয়োজিত সামরিক-বেসামরিক সদস্যদের রসদসামগ্রী দুর্গম স্থানে পৌঁছে দেওয়া।

গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। নীল নদের ১ হাজার ৩১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখন পর্যন্ত ৭১টি লজিস্টিক অপারেশন (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন নৌসদস্যরা।
দক্ষিণ সুদান ছাড়াও লেবাননের ভূমধ্যসাগরে উপমহাদেশের একমাত্র মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’ নিয়োজিত রয়েছে। নৌবাহিনীর এই গৌরবময় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম উজ্জ্বল করছে।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই-তে সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউএন ঘাঁটি আক্রমণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত ও আটজন আহত হন।

শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়ো
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝিতে সাংবাদিকদের মহাসম্মেলন আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ সোমবার প্রতিবাদ সভায় এ কে আজাদ এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যমের কার্যালয়ে যখন হামলা হলো, তখন ডেইলি স্টার সম্পাদক সরকারের সব সংস্থাকে অনুনয় করেছিলেন নিরাপত্তা দিতে। কিন্তু কারও সাহায্য তিনি পাননি।
সভায় নোয়াব সভাপতি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম আলোতে প্রথম আগুন দেওয়া হয়। তখনই ডেইলি স্টার সম্পাদক আশঙ্কা করেছিলেন এরপরে হামলাকারীরা ডেইলি স্টারে যাবে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনো সংস্থা নাই, এমন কোনো ব্যক্তি নাই, যাকে অনুরোধ, অনুনয়-বিনয় করেন নাই যে আপনারা ডেইলি স্টারের সামনে ‘প্রোটেকশন’ দেন। কিন্তু তিনি কোনো সাহায্য সাড়া পাননি। যখন পেয়েছেন পোড়ার পরে পেয়েছেন।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ কে আজাদ আরও বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক যখন অসহায়ের মতো নিচে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর সামনে দিয়ে লুটকারীরা কম্পিউটার, চেয়ার, মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে তখন আইনশৃঙ্খলার সমস্ত বাহিনী ছিল। কিন্তু বাহিনীগুলোর কেউ একটা প্রতিবাদ করেনি।
নোয়াব সভাপতি আরও বলেন, সেই রাতে ডেইলি সম্পাদক তাঁকে জানান, ভবনটিতে ২৮ থেকে ২৯ জন আটকা পড়েছিল। আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বললে তাদের অনেকেই সেই ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেত।
একে আজাদ বলেন, আমরা এভাবে মারা যেতে চাই না। এভাবে আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না।
প্রতিবাদ সভায় জানানো হয়, সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মহাসম্মেলন আয়োজন করা হবে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, উদীচী, ছায়ানটে যারা আগুন দিয়েছে যত দিন তাদের বিচার না হবে, সাংবাদিকেরা যত দিন মত প্রকাশের স্বাধীনতা না পাবে, তত দিন পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে শুধু প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। তাই গণতন্ত্রী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোর সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন ২৬-২৭ জন স্টাফ ভবনের ভেতরে আটকে ছিল, ফায়ার সার্ভিসকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ভবনে আগুন দেওয়া ছিল না, হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিল।
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে তাঁদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝিতে সাংবাদিকদের মহাসম্মেলন আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ সোমবার প্রতিবাদ সভায় এ কে আজাদ এ কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)।
সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যমের কার্যালয়ে যখন হামলা হলো, তখন ডেইলি স্টার সম্পাদক সরকারের সব সংস্থাকে অনুনয় করেছিলেন নিরাপত্তা দিতে। কিন্তু কারও সাহায্য তিনি পাননি।
সভায় নোয়াব সভাপতি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম আলোতে প্রথম আগুন দেওয়া হয়। তখনই ডেইলি স্টার সম্পাদক আশঙ্কা করেছিলেন এরপরে হামলাকারীরা ডেইলি স্টারে যাবে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনো সংস্থা নাই, এমন কোনো ব্যক্তি নাই, যাকে অনুরোধ, অনুনয়-বিনয় করেন নাই যে আপনারা ডেইলি স্টারের সামনে ‘প্রোটেকশন’ দেন। কিন্তু তিনি কোনো সাহায্য সাড়া পাননি। যখন পেয়েছেন পোড়ার পরে পেয়েছেন।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ কে আজাদ আরও বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক যখন অসহায়ের মতো নিচে দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর সামনে দিয়ে লুটকারীরা কম্পিউটার, চেয়ার, মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে তখন আইনশৃঙ্খলার সমস্ত বাহিনী ছিল। কিন্তু বাহিনীগুলোর কেউ একটা প্রতিবাদ করেনি।
নোয়াব সভাপতি আরও বলেন, সেই রাতে ডেইলি সম্পাদক তাঁকে জানান, ভবনটিতে ২৮ থেকে ২৯ জন আটকা পড়েছিল। আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বললে তাদের অনেকেই সেই ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেত।
একে আজাদ বলেন, আমরা এভাবে মারা যেতে চাই না। এভাবে আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না।
প্রতিবাদ সভায় জানানো হয়, সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মহাসম্মেলন আয়োজন করা হবে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, উদীচী, ছায়ানটে যারা আগুন দিয়েছে যত দিন তাদের বিচার না হবে, সাংবাদিকেরা যত দিন মত প্রকাশের স্বাধীনতা না পাবে, তত দিন পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবাদ সভায় সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে শুধু প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার নয়, আজকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। তাই গণতন্ত্রী সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার, প্রথম আলোর সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন ২৬-২৭ জন স্টাফ ভবনের ভেতরে আটকে ছিল, ফায়ার সার্ভিসকে যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ভবনে আগুন দেওয়া ছিল না, হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিল।
প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে তাঁদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।

শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়ো
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব নিরসন করা প্রয়োজন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাশিয়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। খোজিন বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হওয়া উচিত।’ বর্তমান পরিস্থিতিকে আর বাড়তে না দেওয়ার বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রাষ্ট্রদূত খোজিন আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচনের আগে দেশে একটি অনুকূল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য তারা এখন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব নিরসন করা প্রয়োজন। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাশিয়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। খোজিন বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হওয়া উচিত।’ বর্তমান পরিস্থিতিকে আর বাড়তে না দেওয়ার বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সতর্ক করেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রাষ্ট্রদূত খোজিন আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি নির্বাচনের আগে দেশে একটি অনুকূল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য তারা এখন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়ো
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে, ‘হজ ২০২৬-এর সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমাদানপূর্বক প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী প্রত্যেক হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের সমুদয় অর্থ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। বর্ণিতাবস্থায়, হজ ২০২৬ এর যে সকল হজযাত্রী নির্বাচিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ জমা প্রদান করেননি তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে অবশিষ্ট সমুদয় অর্থ জমা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এ সময়ের মধ্যে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা না দিলে সেই হজযাত্রীর হজে গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২০২৬ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক স্বাক্ষরিত হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে, ‘হজ ২০২৬-এর সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমাদানপূর্বক প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী প্রত্যেক হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের সমুদয় অর্থ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। বর্ণিতাবস্থায়, হজ ২০২৬ এর যে সকল হজযাত্রী নির্বাচিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ জমা প্রদান করেননি তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে অবশিষ্ট সমুদয় অর্থ জমা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এ সময়ের মধ্যে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা না দিলে সেই হজযাত্রীর হজে গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের বড় অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের সুদের হারে ছুরির আঁচড় পড়ল। বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা কাটছাঁট করা হয়েছে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে লাভ কমবে সবচেয়ে বেশি। যদিও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা আগের হারে মুনাফা পাবেন। যাঁরা এসব সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়ো
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনাইটেড নেশনস মিশন ইন সাউথ সুদান’ (আনমিস)-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-এর দ্বিতীয় গ্রুপের ৭১ জন নৌসদস্য আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুদানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, আগুন এবং সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে সারা দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে এ মহাসম্মেলন করা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৩৬ মিনিট আগে
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় রাশিয়ান ফেডারেশনের দূতাবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
১ ঘণ্টা আগে