আবু তাহের খান

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের মধ্যে ভ্রমণপিপাসা অতীতে কখনোই খুব একটা প্রবল ছিল না। হতে পারে, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা এর একটি বড় কারণ। তবে বাঙালির মধ্যে স্বভাবগতভাবেই ঘরকুনো হয়ে থাকার প্রবণতা যে একসময় যথেষ্টই ছিল, তাতে বিন্দুমাত্র কোনো সন্দেহ নেই। অবশ্য স্বাধীনতার পর থেকে জীবিকার প্রয়োজনে সারা পৃথিবীতেই বাঙালি এখন এত বিচিত্র স্থানে ও পেশায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে যে, তা দেখে রীতিমতো অবাক হতে হয়। কে জানে, ভবিষ্যতের কোনো এক পর্যায়ে এ অভিবাসী বাঙালির সংখ্যা হয়তো মূল ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে কি না।
বাঙালি এখন জীবিকার প্রয়োজনে যেমনি বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আবার ভ্রমণের নেশায় এ ছোট্ট দেশের ভেতরেই এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এ সামান্য ভূমিতে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যকার ১ শতাংশেরই-বা স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ কোথায়? আর সে ধরনের সুযোগ না থাকার কারণে সারা বছরই এখন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অসহনীয় ভিড় লেগে থাকছে। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিক হারে মুনাফা লোটার চেষ্টা করতে গিয়ে একশ্রেণির অপরিণামদর্শী পর্যটন ব্যবসায়ী প্রকৃতি ও প্রাণীর এমন সব অপূরণীয় ও সীমাহীন ক্ষতি করছে যে তা এখন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর সার্বিক পরিবেশকেই প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর খামখেয়ালি, দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতা সে ঝুঁকিকে আরও বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। দায়িত্বহীন-বোধহীন এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গোড়া থেকেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, নীতিমালা ও যৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় রেখে কাজগুলো পরিচালনা করত, তাহলে পর্যটন ঘিরে আজ পরিবেশের এ বিপন্ন দশা কিছুতেই তৈরি হতো না। বিষয়টিকে বোঝার জন্য কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো—
সেন্ট মার্টিনের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার। এ রকম ছোট্ট আয়তনের একটি প্রবালদ্বীপে পর্যটনের ভরা মৌসুমে টেকনাফ থেকে চলাচল করে দৈনিক ৮টি বড় জাহাজ এবং আরও বেশ কিছু স্পিডবোট। সেখানে রয়েছে ২৩৮টি ছোটবড় হোটেল/মোটেল এবং একটি সরকারি ডাকবাংলো। আর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) সেখানে এসব অবকাঠামো থাকার কথা নিজেরাই ব্যাপকভাবে প্রচার করছে, যাতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আজ প্রায় এক দশক ধরে বলে আসছে, অত্যধিক পর্যটকের চাপে সেন্ট মার্টিনের ভৌত অবস্থা ও জীববৈচিত্র্য প্রায় বিপন্ন হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় একে রক্ষা করতে হলে সেখানে যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে হোটেল-মোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ এবং পর্যটকের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা, দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও শিথিলতার দিকে যাচ্ছে, যার সঙ্গে ছোট-বড় লোভী ব্যবসায়ীরা যেমনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিপিসির শৈথিল্যপূর্ণ আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি।
৭ অক্টোবর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করতে না দেওয়া ও সেখানে পর্যটকের দৈনিক সংখ্যা বেঁধে দেওয়াসংক্রান্ত নিজ মন্ত্রণালয়ের ইতিপূর্বেকার সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে বলেন, আগামী নভেম্বর নাগাদ সেসব বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে পর্যটকেরা রাতে সেন্ট মার্টিনে থাকতে পারবেন না। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটকদের জন্য নিবন্ধনব্যবস্থা প্রবর্তন ও তাঁদের সংখ্যা দৈনিক ১ হাজার ২৫০-এ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের পর ইতিমধ্যে ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পরিবর্তে উল্টো সেখানে দ্রুতগতিতে আরও নানা অনাকাঙ্ক্ষিত নতুন অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও বিপিসির পক্ষ থেকে সেখানে পর্যটক বৃদ্ধির পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা সত্যি বিস্ময়কর।
সেন্ট মার্টিনের অধঃগামী বিপর্যয়কর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১৯৯৯ সালে এটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Sensitive Area-ESA) হিসেবে ঘোষণা করে। সেন্ট মার্টিনের মতো সারা দেশে সরকার ঘোষিত এরূপ আরও ১২টি ইএসএ রয়েছে, যার মধ্যে সুন্দরবন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, মারজাত বাঁওড়, বুড়িগঙ্গা নদী, শীতলক্ষ্যা নদী, বালু নদ, গুলশান-বারিধারা লেক ও জাফলং-ডাউকি নদী। এর সঙ্গে চলনবিল ও হালতি বিলকেও সম্ভবত ইতিমধ্যে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বা তা হতে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে দেশে মোট ইএসএর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি। এই ১৫টি ইএসএর মধ্যে দু-একটি বাদে বাকি সবই অতি উচ্চহারে পর্যটক আকর্ষণকারী এলাকা, যেগুলো এখন প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দেশে এখন এমন শত শত পর্যটন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যারা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার প্রতি বিন্দুমাত্র দৃষ্টি না দিয়ে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পর্যটকদের এসব যাওয়া-আসা ও সেখানে অবস্থানের কারণে সেখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশের যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন কোনো মনোযোগ নেই, তেমনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার।
কোনো প্রকার আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিধারণবিহীন এ পর্যটন পরিভ্রমণ ব্যবস্থার আওতায় পর্যটকদের দ্বারা ব্যবহৃত শত শত টন পলিথিন, অন্যান্য বর্জ্য ও নানা ক্ষতিকর অগলিত পদার্থ ওইসব এলাকার পরিবেশ ও প্রাণিকুলকে প্রতিমুহূর্তেই স্থায়ী ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। উপযুক্ত কোনো পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থাও ওইসব এলাকায় প্রায় নেই বললেই চলে। আর এ ধরনের পরিভ্রমণের ফলে চলনবিল, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর ও মারজাত বাঁওড়ের মাছ ও অন্যান্য পাখপাখালি এখন প্রায় নিঃশেষ হতে বসেছে। অত্যধিক মনুষ্য চলাচলের কারণে ভীতি এড়াতে সুন্দরবনের হরিণ, বাঘ ও অন্যান্য প্রাণী বনের ভারতীয় অংশের দিকে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিল্পবর্জ্যে আক্রান্ত বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু ইত্যাদি নদ-নদীগুলোর পর্যটন আকর্ষণীয়তা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অথচ এই নদীগুলোই হতে পারত রাজধানী ঢাকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ, যা পৃথিবীর নদীঘেরা বড় শহরগুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ঘটেছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্প না করে ঢাকার চারপাশ ঘিরে যে ৪টি নদী আছে, সেগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সেসবকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে হাতিরঝিলের মতো সফল প্রকল্প সামনেই রয়েছে। হাতিরঝিলের মতো প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পগুলোর দায়িত্বও তাই সেনাবাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। কাজটি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শুরু করে দিতে পারলে ভালো হয়। কারণ, বাংলাদেশের বাস্তবতায় রাজনৈতিক সরকারের আমলে এ ধরনের কাজ হওয়া প্রায় অসম্ভব।
সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র যদি সত্যি সত্যি দেশের উল্লিখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাগুলো অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন পরিভ্রমণ ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচাতে চায়, তাহলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন। আর ওই নীতিমালায় যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে স্থানওয়ারি পর্যটন মৌসুম, দিনওয়ারি পর্যটক সংখ্যা, পর্যটনস্থলে অবস্থান সময়, পর্যটনকেন্দ্রে খাবার ও অন্যান্য দোকানের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানওয়ারি সহায়তা কার্যক্রম যথা-নিরাপত্তা, যাতায়াত, অবস্থান, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্থানীয় সমন্বয় ইত্যাদি। ওই নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক আর যে কাজগুলো করা যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে: এক) পর্যটকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ, চলাচল ও অবস্থান নির্দেশিকা প্রণয়ন; দুই) পর্যটন পরিচালনাকারী বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুসরণীয় নির্দেশিকা তৈরি; তিন) পর্যটন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশিকা প্রণয়ন; চার) বার্ষিক ভিত্তিতে ইসিএসমূহের পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি।
মোটকথা, দেশের পর্যটনশিল্পকে যেমনি ক্রমান্বয়ে জোরদার করতে হবে, তেমনি আবার রক্ষা করতে হবে পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশকেও। পর্যটন ব্যবসা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের একটি নতুন উদীয়মান অর্থনৈতিক খাত। বহু শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এখন চাকরির পেছনে না ঘুরে এ ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে এবং এ কাজে অবশ্যই তাঁরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার দাবিদার। তবে তা কোনোভাবেই দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশকে বিনষ্ট করে নয়। ফলে এ সবকিছুই এমন একটি সমন্বিত নীতিমালার আওতায় করতে হবে, যাতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতিও বিকশিত হতে পারে। তবে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সামগ্রিক স্বার্থে প্রকৃতি ও পরিবেশকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। কারণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে তবেই কেবল মানুষ ও তার অর্থনীতি বেঁচে থাকতে পারবে।
লেখক: আবু তাহের খান
সাবেক পরিচালক, বিসিক

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের মধ্যে ভ্রমণপিপাসা অতীতে কখনোই খুব একটা প্রবল ছিল না। হতে পারে, অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা এর একটি বড় কারণ। তবে বাঙালির মধ্যে স্বভাবগতভাবেই ঘরকুনো হয়ে থাকার প্রবণতা যে একসময় যথেষ্টই ছিল, তাতে বিন্দুমাত্র কোনো সন্দেহ নেই। অবশ্য স্বাধীনতার পর থেকে জীবিকার প্রয়োজনে সারা পৃথিবীতেই বাঙালি এখন এত বিচিত্র স্থানে ও পেশায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে যে, তা দেখে রীতিমতো অবাক হতে হয়। কে জানে, ভবিষ্যতের কোনো এক পর্যায়ে এ অভিবাসী বাঙালির সংখ্যা হয়তো মূল ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে কি না।
বাঙালি এখন জীবিকার প্রয়োজনে যেমনি বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আবার ভ্রমণের নেশায় এ ছোট্ট দেশের ভেতরেই এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এ সামান্য ভূমিতে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যকার ১ শতাংশেরই-বা স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণের সুযোগ কোথায়? আর সে ধরনের সুযোগ না থাকার কারণে সারা বছরই এখন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অসহনীয় ভিড় লেগে থাকছে। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিক হারে মুনাফা লোটার চেষ্টা করতে গিয়ে একশ্রেণির অপরিণামদর্শী পর্যটন ব্যবসায়ী প্রকৃতি ও প্রাণীর এমন সব অপূরণীয় ও সীমাহীন ক্ষতি করছে যে তা এখন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর সার্বিক পরিবেশকেই প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর খামখেয়ালি, দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতা সে ঝুঁকিকে আরও বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। দায়িত্বহীন-বোধহীন এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গোড়া থেকেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, নীতিমালা ও যৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় রেখে কাজগুলো পরিচালনা করত, তাহলে পর্যটন ঘিরে আজ পরিবেশের এ বিপন্ন দশা কিছুতেই তৈরি হতো না। বিষয়টিকে বোঝার জন্য কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো—
সেন্ট মার্টিনের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার। এ রকম ছোট্ট আয়তনের একটি প্রবালদ্বীপে পর্যটনের ভরা মৌসুমে টেকনাফ থেকে চলাচল করে দৈনিক ৮টি বড় জাহাজ এবং আরও বেশ কিছু স্পিডবোট। সেখানে রয়েছে ২৩৮টি ছোটবড় হোটেল/মোটেল এবং একটি সরকারি ডাকবাংলো। আর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) সেখানে এসব অবকাঠামো থাকার কথা নিজেরাই ব্যাপকভাবে প্রচার করছে, যাতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আজ প্রায় এক দশক ধরে বলে আসছে, অত্যধিক পর্যটকের চাপে সেন্ট মার্টিনের ভৌত অবস্থা ও জীববৈচিত্র্য প্রায় বিপন্ন হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় একে রক্ষা করতে হলে সেখানে যত্রতত্র ও অপরিকল্পিতভাবে হোটেল-মোটেল ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ এবং পর্যটকের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সেটি নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা, দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও শিথিলতার দিকে যাচ্ছে, যার সঙ্গে ছোট-বড় লোভী ব্যবসায়ীরা যেমনি রয়েছে, তেমনি রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিপিসির শৈথিল্যপূর্ণ আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি।
৭ অক্টোবর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন করতে না দেওয়া ও সেখানে পর্যটকের দৈনিক সংখ্যা বেঁধে দেওয়াসংক্রান্ত নিজ মন্ত্রণালয়ের ইতিপূর্বেকার সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করে বলেন, আগামী নভেম্বর নাগাদ সেসব বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে পর্যটকেরা রাতে সেন্ট মার্টিনে থাকতে পারবেন না। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটকদের জন্য নিবন্ধনব্যবস্থা প্রবর্তন ও তাঁদের সংখ্যা দৈনিক ১ হাজার ২৫০-এ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের পর ইতিমধ্যে ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার পরিবর্তে উল্টো সেখানে দ্রুতগতিতে আরও নানা অনাকাঙ্ক্ষিত নতুন অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও বিপিসির পক্ষ থেকে সেখানে পর্যটক বৃদ্ধির পক্ষে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা সত্যি বিস্ময়কর।
সেন্ট মার্টিনের অধঃগামী বিপর্যয়কর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১৯৯৯ সালে এটিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (Ecologically Sensitive Area-ESA) হিসেবে ঘোষণা করে। সেন্ট মার্টিনের মতো সারা দেশে সরকার ঘোষিত এরূপ আরও ১২টি ইএসএ রয়েছে, যার মধ্যে সুন্দরবন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, মারজাত বাঁওড়, বুড়িগঙ্গা নদী, শীতলক্ষ্যা নদী, বালু নদ, গুলশান-বারিধারা লেক ও জাফলং-ডাউকি নদী। এর সঙ্গে চলনবিল ও হালতি বিলকেও সম্ভবত ইতিমধ্যে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বা তা হতে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে দেশে মোট ইএসএর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি। এই ১৫টি ইএসএর মধ্যে দু-একটি বাদে বাকি সবই অতি উচ্চহারে পর্যটক আকর্ষণকারী এলাকা, যেগুলো এখন প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকের ভিড়ে মুখর থাকছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দেশে এখন এমন শত শত পর্যটন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যারা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার প্রতি বিন্দুমাত্র দৃষ্টি না দিয়ে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পর্যটকদের এসব যাওয়া-আসা ও সেখানে অবস্থানের কারণে সেখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশের যে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন কোনো মনোযোগ নেই, তেমনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার।
কোনো প্রকার আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিধারণবিহীন এ পর্যটন পরিভ্রমণ ব্যবস্থার আওতায় পর্যটকদের দ্বারা ব্যবহৃত শত শত টন পলিথিন, অন্যান্য বর্জ্য ও নানা ক্ষতিকর অগলিত পদার্থ ওইসব এলাকার পরিবেশ ও প্রাণিকুলকে প্রতিমুহূর্তেই স্থায়ী ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। উপযুক্ত কোনো পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থাও ওইসব এলাকায় প্রায় নেই বললেই চলে। আর এ ধরনের পরিভ্রমণের ফলে চলনবিল, টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর ও মারজাত বাঁওড়ের মাছ ও অন্যান্য পাখপাখালি এখন প্রায় নিঃশেষ হতে বসেছে। অত্যধিক মনুষ্য চলাচলের কারণে ভীতি এড়াতে সুন্দরবনের হরিণ, বাঘ ও অন্যান্য প্রাণী বনের ভারতীয় অংশের দিকে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে শিল্পবর্জ্যে আক্রান্ত বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু ইত্যাদি নদ-নদীগুলোর পর্যটন আকর্ষণীয়তা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অথচ এই নদীগুলোই হতে পারত রাজধানী ঢাকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্যতম প্রধান উপকরণ, যা পৃথিবীর নদীঘেরা বড় শহরগুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ঘটেছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্প না করে ঢাকার চারপাশ ঘিরে যে ৪টি নদী আছে, সেগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সেসবকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে হাতিরঝিলের মতো সফল প্রকল্প সামনেই রয়েছে। হাতিরঝিলের মতো প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পগুলোর দায়িত্বও তাই সেনাবাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। কাজটি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শুরু করে দিতে পারলে ভালো হয়। কারণ, বাংলাদেশের বাস্তবতায় রাজনৈতিক সরকারের আমলে এ ধরনের কাজ হওয়া প্রায় অসম্ভব।
সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র যদি সত্যি সত্যি দেশের উল্লিখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাগুলো অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন পরিভ্রমণ ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচাতে চায়, তাহলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন। আর ওই নীতিমালায় যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে স্থানওয়ারি পর্যটন মৌসুম, দিনওয়ারি পর্যটক সংখ্যা, পর্যটনস্থলে অবস্থান সময়, পর্যটনকেন্দ্রে খাবার ও অন্যান্য দোকানের সংখ্যা, প্রতিষ্ঠানওয়ারি সহায়তা কার্যক্রম যথা-নিরাপত্তা, যাতায়াত, অবস্থান, প্রাথমিক চিকিৎসা, স্থানীয় সমন্বয় ইত্যাদি। ওই নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক আর যে কাজগুলো করা যেতে পারে সেগুলো হচ্ছে: এক) পর্যটকদের জন্য অনুসরণীয় আচরণ, চলাচল ও অবস্থান নির্দেশিকা প্রণয়ন; দুই) পর্যটন পরিচালনাকারী বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুসরণীয় নির্দেশিকা তৈরি; তিন) পর্যটন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশিকা প্রণয়ন; চার) বার্ষিক ভিত্তিতে ইসিএসমূহের পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি।
মোটকথা, দেশের পর্যটনশিল্পকে যেমনি ক্রমান্বয়ে জোরদার করতে হবে, তেমনি আবার রক্ষা করতে হবে পর্যটনকেন্দ্রের পরিবেশকেও। পর্যটন ব্যবসা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের একটি নতুন উদীয়মান অর্থনৈতিক খাত। বহু শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এখন চাকরির পেছনে না ঘুরে এ ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে এবং এ কাজে অবশ্যই তাঁরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার দাবিদার। তবে তা কোনোভাবেই দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশকে বিনষ্ট করে নয়। ফলে এ সবকিছুই এমন একটি সমন্বিত নীতিমালার আওতায় করতে হবে, যাতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতিও বিকশিত হতে পারে। তবে দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণের সামগ্রিক স্বার্থে প্রকৃতি ও পরিবেশকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। কারণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচলে তবেই কেবল মানুষ ও তার অর্থনীতি বেঁচে থাকতে পারবে।
লেখক: আবু তাহের খান
সাবেক পরিচালক, বিসিক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের
২৬ অক্টোবর ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের
২৬ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের
২৬ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জীবন ও প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন অন্তর্গত স্বভাবসমূহের অন্যতম। আর এ ধরনের স্বভাবের তাড়নাতেই ইবনে বতুতা কিংবা হিউয়েন সাং সুদূর মরক্কো কিংবা চীন দেশ থেকে তৎকালীন দুর্গম পথের বাধা অতিক্রম করে এ উপমহাদেশ এসেছিলেন। অবশ্য এ উপমহাদেশীয় মানুষের
২৬ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫