ইশতিয়াক হাসান

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
৮ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১০ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
৮ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১০ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৬ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১০ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
৮ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১২ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৬ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
৮ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১০ ঘণ্টা আগে