ইলিয়াস শান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায় কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমে যা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা এমন অসন্তোষ থেকে তারা এবার অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ‘সাত কলেজ সংস্কার চাই’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে তারা কলেজগুলোর সমস্যার চিত্র তুলে ধরছেন। গ্রুপের কিছু কিছু পোস্টে দেখা গেছে, সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সমাধানের রোডম্যাপও উল্লেখ করছেন। সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী ওই গ্রুপে সরাসরি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, অধিভুক্তি বাতিলের পর সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রান্ত নামে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাবি নিজেদের অধিভুক্ত করলেও তারা সাত কলেজকে বিবেচনা করেছে সবসময়ই অর্থ উপর্জানের মাধ্যম হিসেবে। শিক্ষাগত মানোন্নয়ন তো ঘটেইনি, বরং নিত্য নতুন প্রতিবন্ধকতা আর ভুতুড়ে নিয়মনীতির ভেতর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কলেজগুলোতে। অধিভুক্তকরণের সাত বছরে এসে ঢাবির অর্জন বলতে বিস্তর বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না।’
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান অসন্তোষ নিয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অডিটোরিয়ামে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে কলেজটির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রান্ত বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে যখন বৈষম্যমুক্ত করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তখন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজেও সংস্কার প্রয়োজন। সাত সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সাত কলেজের সংস্কার’ বিষয়ক ওই মতবিনিময় সভায় সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উঠে আসে সাত কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতার কথা।’
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা কলেজগুলোকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে একমত হন।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাতটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, টেক্সটাইল এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ১৩৪টি কলেজের মতোই চলার কথা ছিল নতুন যুক্ত হওয়া অধিভুক্ত সাত কলেজের। অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের মতো নতুন সংযোজিত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট। তবে সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে অধিভুক্ত স্ব-স্ব কলেজের ও বিভাগের নাম। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে হল ও বিভাগের নাম উল্লেখ থাকে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্তির পরিচয় মিললেও বস্তুত তারা অধিকারহীন। তারা বৈষম্যের শিকার।
সাত কলেজে অসন্তোষ কী নিয়ে
ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় রয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরাসরি পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাচ্ছেন, সেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকই পাচ্ছেন না। ঢাবি শিক্ষার্থীরা গবেষণার অফুরন্ত সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাত কলেজে শ্রেণিকক্ষেরই তীব্র সংকট। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সাত কলেজের সুনির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই।
অসন্তোষের দীর্ঘ চিত্র তুলে ধরে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির ২০২২-২৩ সেশনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে হয়ত ফলও প্রকাশ হবে। অথচ সাত কলেজের ২২-২৩ সেশনের এখনো পরীক্ষায়ই হয়নি। প্রত্যেক সেশনের একই অবস্থা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সিলেবাস কভার করার মতো পর্যাপ্ত ক্লাস পায়নি। সাত কলেজে ক্লাস নেয় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষক। আর প্রশ্ন করেন ঢাবির পিএইচডির শিক্ষক, খাতাও তারা দেখেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যায়ন যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সাত কলেজে কোনোরকম পরীক্ষা হলেও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। বিগত বছরগুলোতে দেখা, গেছে ঢাবি ৬-৭ মাস পর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোয় চরম দৈন্যদশা অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস করার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই।
সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের প্রস্তাব
শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বড় বড় ৭টি কলেজ এবং আরও কিছু কলেজ নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বা পশ্চিমবাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে একটি collegiate university-তে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এই ৭টি কলেজের আরও কয়েকটি কলেজে নিয়ে এর একটিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন হিসাবে বানিয়ে বাকি কলেজগুলোকে এর অনুমোদিত কলেজে পরিণত করা। কলেজগুলোতে কেবল ৩-৪ বছরের অনার্স পড়াবে। সেখানে থাকবে না উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিগ্রি পাসকোর্স। এই অনুমোদিত কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মত।
শিক্ষকের যোগ্যতা ও কলেজগুলোর ডিগ্রি নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা হবে পিএইচডি। যেখানে এই অনুমোদিত কলেজের শিক্ষকদের সবারও ন্যূনতম পিএইচডি থাকা উচিত। ৪ বছরের অনার্সই হবে টার্মিনাল ডিগ্রি। এরপর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লিমিটেড সিটের জন্য ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাস্টার্সে ভর্তি হবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কেবল ৭ কলেজের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ক্যাম্পাসেই মাস্টার্স পড়ানো হবে।
তীব্র অসন্তোষ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশের উচ্চশিক্ষার সূচনালগ্নে অবদান রাখা সরকারি সাত কলেজ সংস্কারের অভিপ্রায়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি।’ আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। সরকারের পতনের সঙ্গে অন্যান্য খাতের মতো ভেঙে পড়েছে শিক্ষাখাতও। প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হয়েছে ভিসি-প্রোভিসি, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজে সে ধারাবাহিকতায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ঢাবির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের এক অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তারা এখনো চিঠি না পেলেও মুখে মুখে এ বৈঠকের কথা শুনেছেন। ঢাবির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রশাসন কী বলছে
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া না জানালেও পরে তিনি ক্ষুদেবার্তায় তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে আমাদের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। চাইলেই একেবারে সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য আলোচনা করতে হবে। দুপক্ষকে কথা বলতে হবে, পক্ষগুলোকে একে অপরের কথা শুনতে হবে। আমরা শুনেছি, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন, তারা তাদের কথাগুলো বলুক। আমরা তাদের কথা শুনতে চাই। এরপর প্রয়োজনে আমরা নিজেরা আবার আলোচনা করে সমস্যাগুলোর কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায় কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থবির শিক্ষা কার্যক্রমে যা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা এমন অসন্তোষ থেকে তারা এবার অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ‘সাত কলেজ সংস্কার চাই’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে তারা কলেজগুলোর সমস্যার চিত্র তুলে ধরছেন। গ্রুপের কিছু কিছু পোস্টে দেখা গেছে, সমস্যার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সমাধানের রোডম্যাপও উল্লেখ করছেন। সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী ওই গ্রুপে সরাসরি সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, অধিভুক্তি বাতিলের পর সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’ নামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রান্ত নামে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে ঢাবি নিজেদের অধিভুক্ত করলেও তারা সাত কলেজকে বিবেচনা করেছে সবসময়ই অর্থ উপর্জানের মাধ্যম হিসেবে। শিক্ষাগত মানোন্নয়ন তো ঘটেইনি, বরং নিত্য নতুন প্রতিবন্ধকতা আর ভুতুড়ে নিয়মনীতির ভেতর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কলেজগুলোতে। অধিভুক্তকরণের সাত বছরে এসে ঢাবির অর্জন বলতে বিস্তর বৈষম্য সৃষ্টি ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না।’
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের চলমান অসন্তোষ নিয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অডিটোরিয়ামে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে কলেজটির শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রান্ত বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশকে যখন বৈষম্যমুক্ত করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তখন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত সরকারি কলেজেও সংস্কার প্রয়োজন। সাত সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘সাত কলেজের সংস্কার’ বিষয়ক ওই মতবিনিময় সভায় সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উঠে আসে সাত কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতার কথা।’
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ কমাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেন। পরে ওই বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে সভা হয়। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা কলেজগুলোকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিতে একমত হন।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। ওইদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাতটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বর্তমানে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, টেক্সটাইল এবং গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। ১৩৪টি কলেজের মতোই চলার কথা ছিল নতুন যুক্ত হওয়া অধিভুক্ত সাত কলেজের। অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের মতো নতুন সংযোজিত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট। তবে সার্টিফিকেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে অধিভুক্ত স্ব-স্ব কলেজের ও বিভাগের নাম। সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে হল ও বিভাগের নাম উল্লেখ থাকে। সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্তির পরিচয় মিললেও বস্তুত তারা অধিকারহীন। তারা বৈষম্যের শিকার।
সাত কলেজে অসন্তোষ কী নিয়ে
ঢাকা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়হীনতায় রয়েছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থীরা সরাসরি পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক পাচ্ছেন, সেখানে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকই পাচ্ছেন না। ঢাবি শিক্ষার্থীরা গবেষণার অফুরন্ত সুযোগ পাচ্ছেন, অন্যদিকে সাত কলেজে শ্রেণিকক্ষেরই তীব্র সংকট। ঢাবি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও সাত কলেজের সুনির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নেই।
অসন্তোষের দীর্ঘ চিত্র তুলে ধরে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাবির ২০২২-২৩ সেশনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে হয়ত ফলও প্রকাশ হবে। অথচ সাত কলেজের ২২-২৩ সেশনের এখনো পরীক্ষায়ই হয়নি। প্রত্যেক সেশনের একই অবস্থা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ সিলেবাস কভার করার মতো পর্যাপ্ত ক্লাস পায়নি। সাত কলেজে ক্লাস নেয় বিসিএস ক্যাডার শিক্ষক। আর প্রশ্ন করেন ঢাবির পিএইচডির শিক্ষক, খাতাও তারা দেখেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যায়ন যথাযথভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সাত কলেজে কোনোরকম পরীক্ষা হলেও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। বিগত বছরগুলোতে দেখা, গেছে ঢাবি ৬-৭ মাস পর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোয় চরম দৈন্যদশা অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে ব্যবহারিক ক্লাস করার মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই।
সাত কলেজ নিয়ে ঢাবি অধ্যাপকের প্রস্তাব
শিক্ষার্থীদের আলোচনার মধ্যে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেছেন, ঢাকার বড় বড় ৭টি কলেজ এবং আরও কিছু কলেজ নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন বা পশ্চিমবাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে একটি collegiate university-তে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এই ৭টি কলেজের আরও কয়েকটি কলেজে নিয়ে এর একটিকে কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন হিসাবে বানিয়ে বাকি কলেজগুলোকে এর অনুমোদিত কলেজে পরিণত করা। কলেজগুলোতে কেবল ৩-৪ বছরের অনার্স পড়াবে। সেখানে থাকবে না উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিগ্রি পাসকোর্স। এই অনুমোদিত কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মত।
শিক্ষকের যোগ্যতা ও কলেজগুলোর ডিগ্রি নিয়ে ঢাবির এই অধ্যাপক বলেন, আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা হবে পিএইচডি। যেখানে এই অনুমোদিত কলেজের শিক্ষকদের সবারও ন্যূনতম পিএইচডি থাকা উচিত। ৪ বছরের অনার্সই হবে টার্মিনাল ডিগ্রি। এরপর পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লিমিটেড সিটের জন্য ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাস্টার্সে ভর্তি হবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কেবল ৭ কলেজের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ক্যাম্পাসেই মাস্টার্স পড়ানো হবে।
তীব্র অসন্তোষ নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশের উচ্চশিক্ষার সূচনালগ্নে অবদান রাখা সরকারি সাত কলেজ সংস্কারের অভিপ্রায়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কামনা করছি।’ আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে এখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। সরকারের পতনের সঙ্গে অন্যান্য খাতের মতো ভেঙে পড়েছে শিক্ষাখাতও। প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন হয়েছে ভিসি-প্রোভিসি, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজে সে ধারাবাহিকতায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ঢাবির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সাত কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের এক অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তারা এখনো চিঠি না পেলেও মুখে মুখে এ বৈঠকের কথা শুনেছেন। ঢাবির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরবেন।
প্রশাসন কী বলছে
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও তার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া না জানালেও পরে তিনি ক্ষুদেবার্তায় তার অফিসে গিয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে আমাদের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন প্রশাসক নিয়োগ হয়েছে। চাইলেই একেবারে সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য আলোচনা করতে হবে। দুপক্ষকে কথা বলতে হবে, পক্ষগুলোকে একে অপরের কথা শুনতে হবে। আমরা শুনেছি, শিক্ষার্থীরা আগামীকাল একটা সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন, তারা তাদের কথাগুলো বলুক। আমরা তাদের কথা শুনতে চাই। এরপর প্রয়োজনে আমরা নিজেরা আবার আলোচনা করে সমস্যাগুলোর কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত করবো।

প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৪ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৪ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট, গবেষণার সুযোগ না থাকা, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিভুক্তির পর থেকে এসব সমস্যা লেগেই আছে। এসব সমস্যা সমাধানে ও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে প্রায়ই রাজপথে দেখা যায়
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৪ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে