অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দারিদ্র্য, যুদ্ধ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনপ্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতিকূল মনোসামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করছে।
এখনকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে পশ্চিমা দুনিয়া ঔপনিবেশিক দৃষ্টিতে দেখে। তবে এখন সময় এসেছে পাশ্চাত্যের আর্মচেয়ার ইন্টেলেকচুয়ালরা প্রাচ্য সম্পর্কে যে গবেষণালব্ধ উপাত্ত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করছে, সেগুলো পাশ্চাত্যের লেন্সে না দেখে প্রাচ্যের দৃষ্টিতে দেখার। তারপরও বলতে হবে, সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যে বসবাস করলে মানুষের মনোদৈহিক ও মনোসামাজিক চাপ গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীজুড়ে নারী ও পুরুষের আনুপাতিক হারে নারীদের সংখ্যা কিঞ্চিৎ বেশি। তারপরও নারীরা অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের তুলনায় কম স্বাবলম্বী হওয়ায় মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিতে বেশি ভুক্তভোগী।
এ
সব কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মানসিক স্বাস্থ্যের বোঝা এবং এর প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার মাঝখানে সেতুবন্ধন তৈরি জরুরি। এ জন্য সংস্থাটি তার মেন্টাল হেলথ গ্লোবাল অ্যাকশন প্রোগ্রামকে ৫৫তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে সম্পৃক্ত করে ২০০২ সালে। এটি ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে শহর নিবাসী নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তার লক্ষণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহনে নারী এখন আর অন্তঃপুরের বাসিন্দা হিসেবে থাকতে পারছে না।
গত ২০ বছরে বাংলাদেশ নারী শিক্ষায় এবং ক্ষমতায়নে বেশ খানিক এগিয়েছে। তবে সম্ভবত ক্ষমতায়নের ফলে রূপান্তরিত নারী সমাজকে ধারণ করতে তাদের জীবনসঙ্গীদের সক্ষমতার বিষয়ে আমরা দৃষ্টি দিইনি।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮০ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছে। অক্সফোর্ড টেক্সট বুক অব সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি
খুব সচেতনভাবে লেখক হিসেবে আমি পুরুষদের কোনো দোষ দিচ্ছি না। কারণ, পুরুষটি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছে, পুরুষ হওয়ার কারণে মা তার বাড়ির যত্ন নিচ্ছে। সেই পুরুষটি বড় হয়ে স্ত্রীর কাছেও সে আচরণ আশা করবে স্বাভাবিকভাবে। পুরুষটি দেখছে তার কর্মজীবী নারী সঙ্গীটি উপযুক্তভাবে টেবিলে খাবার পরিবেশন, অতিথি আপ্যায়ন, ঘর গুছিয়ে রাখা, সন্তানের স্কুল থেকে আনা-নেওয়া ইত্যাদি কাজে ঠিকমতো সময় দিতে পারছে না। পুরুষ হিসেবে সেটা মেনে নেওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই পুরুষটি যখন পাশ্চাত্যে যাচ্ছে, তখন কিন্তু স্বামী-স্ত্রী কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। অথচ দেশে মা অফিসে গেলে সন্তান কে দেখবে, গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীলতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়েই জর্জরিত হচ্ছে। ফলে দাম্পত্য সুর বিনষ্ট হচ্ছে।
এদিকে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে বার্ধক্যজনিত রোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন মানুষ স্মৃতিভ্রষ্ট বা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। যৌথ পরিবার যেহেতু ভেঙে গেছে, কাজেই বাড়ির শিশুটির যত্নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বয়স্ক মানুষটির যত্নের লোকেরও অভাব ঘটছে। টাকা দিয়েও সেবাকর্মী পাওয়া এখন দুর্লভ। এই সুযোগে ব্যবসাজীবীরা উচ্চ মূল্যে সেবা দিতে ঢুকে পড়ছে। কিন্তু সেই সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আছে বিস্তর।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপ্রাপ্তির ব্যবধান ৭৫ শতাংশের বেশি।
আমরা একটি ক্রান্তিকালে বাস করছি। যেখানে অতিমারির ছোবল আমাদের শেখাল বাসা থেকে অফিস করা যায়, স্কুল করা যায়, বাজার করা যায়। সেই সঙ্গে বিশ্বায়নের ক্রমাগত হাতছানি আমাদের সংস্কৃতি থেকে ক্রমেই বিচ্যুত করছে। আমরা হয় অতি আধুনিকতা অথবা অতি ধার্মিক আচরণের মধ্যে ক্রমেই ঢুকে যাচ্ছি।
স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলার বড় বিপদ হবে কাকের ময়ূরপুচ্ছ ধারণের মতো। না আমি নিজের সমাজে ফিরতে পারব ভূমিপুত্র হিসেবে, না আমি যে সমাজের হতে চাচ্ছি তাদের আপনজন হব। এই নব্য উপনিবেশ অবচেতনভাবে আমাদের পাহাড়ের শেষ প্রান্তে ফেলে দিচ্ছে। যেখানে ক্রমেই আমরা নিজস্ব সমাজ সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছি অবচেতনভাবে।
এই জটিল অবস্থায় সামগ্রিকভাবে নারীদের মানসিক সমস্যা বাড়ার প্রবণতা তৈরি করেছে। এ থেকে উত্তরণের বড় পথ বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দারিদ্র্য, যুদ্ধ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনপ্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতিকূল মনোসামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করছে।
এখনকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে পশ্চিমা দুনিয়া ঔপনিবেশিক দৃষ্টিতে দেখে। তবে এখন সময় এসেছে পাশ্চাত্যের আর্মচেয়ার ইন্টেলেকচুয়ালরা প্রাচ্য সম্পর্কে যে গবেষণালব্ধ উপাত্ত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করছে, সেগুলো পাশ্চাত্যের লেন্সে না দেখে প্রাচ্যের দৃষ্টিতে দেখার। তারপরও বলতে হবে, সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যে বসবাস করলে মানুষের মনোদৈহিক ও মনোসামাজিক চাপ গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীজুড়ে নারী ও পুরুষের আনুপাতিক হারে নারীদের সংখ্যা কিঞ্চিৎ বেশি। তারপরও নারীরা অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের তুলনায় কম স্বাবলম্বী হওয়ায় মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিতে বেশি ভুক্তভোগী।
এ
সব কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে, বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মানসিক স্বাস্থ্যের বোঝা এবং এর প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার মাঝখানে সেতুবন্ধন তৈরি জরুরি। এ জন্য সংস্থাটি তার মেন্টাল হেলথ গ্লোবাল অ্যাকশন প্রোগ্রামকে ৫৫তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে সম্পৃক্ত করে ২০০২ সালে। এটি ২০০৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে শহর নিবাসী নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তার লক্ষণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহনে নারী এখন আর অন্তঃপুরের বাসিন্দা হিসেবে থাকতে পারছে না।
গত ২০ বছরে বাংলাদেশ নারী শিক্ষায় এবং ক্ষমতায়নে বেশ খানিক এগিয়েছে। তবে সম্ভবত ক্ষমতায়নের ফলে রূপান্তরিত নারী সমাজকে ধারণ করতে তাদের জীবনসঙ্গীদের সক্ষমতার বিষয়ে আমরা দৃষ্টি দিইনি।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮০ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে ভুগছে। অক্সফোর্ড টেক্সট বুক অব সোশ্যাল সাইকিয়াট্রি
খুব সচেতনভাবে লেখক হিসেবে আমি পুরুষদের কোনো দোষ দিচ্ছি না। কারণ, পুরুষটি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছে, পুরুষ হওয়ার কারণে মা তার বাড়ির যত্ন নিচ্ছে। সেই পুরুষটি বড় হয়ে স্ত্রীর কাছেও সে আচরণ আশা করবে স্বাভাবিকভাবে। পুরুষটি দেখছে তার কর্মজীবী নারী সঙ্গীটি উপযুক্তভাবে টেবিলে খাবার পরিবেশন, অতিথি আপ্যায়ন, ঘর গুছিয়ে রাখা, সন্তানের স্কুল থেকে আনা-নেওয়া ইত্যাদি কাজে ঠিকমতো সময় দিতে পারছে না। পুরুষ হিসেবে সেটা মেনে নেওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এই পুরুষটি যখন পাশ্চাত্যে যাচ্ছে, তখন কিন্তু স্বামী-স্ত্রী কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। অথচ দেশে মা অফিসে গেলে সন্তান কে দেখবে, গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীলতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যায় নারী-পুরুষ উভয়েই জর্জরিত হচ্ছে। ফলে দাম্পত্য সুর বিনষ্ট হচ্ছে।
এদিকে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে বার্ধক্যজনিত রোগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন মানুষ স্মৃতিভ্রষ্ট বা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। যৌথ পরিবার যেহেতু ভেঙে গেছে, কাজেই বাড়ির শিশুটির যত্নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বয়স্ক মানুষটির যত্নের লোকেরও অভাব ঘটছে। টাকা দিয়েও সেবাকর্মী পাওয়া এখন দুর্লভ। এই সুযোগে ব্যবসাজীবীরা উচ্চ মূল্যে সেবা দিতে ঢুকে পড়ছে। কিন্তু সেই সেবার মান নিয়ে অভিযোগ আছে বিস্তর।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে রোগীর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপ্রাপ্তির ব্যবধান ৭৫ শতাংশের বেশি।
আমরা একটি ক্রান্তিকালে বাস করছি। যেখানে অতিমারির ছোবল আমাদের শেখাল বাসা থেকে অফিস করা যায়, স্কুল করা যায়, বাজার করা যায়। সেই সঙ্গে বিশ্বায়নের ক্রমাগত হাতছানি আমাদের সংস্কৃতি থেকে ক্রমেই বিচ্যুত করছে। আমরা হয় অতি আধুনিকতা অথবা অতি ধার্মিক আচরণের মধ্যে ক্রমেই ঢুকে যাচ্ছি।
স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলার বড় বিপদ হবে কাকের ময়ূরপুচ্ছ ধারণের মতো। না আমি নিজের সমাজে ফিরতে পারব ভূমিপুত্র হিসেবে, না আমি যে সমাজের হতে চাচ্ছি তাদের আপনজন হব। এই নব্য উপনিবেশ অবচেতনভাবে আমাদের পাহাড়ের শেষ প্রান্তে ফেলে দিচ্ছে। যেখানে ক্রমেই আমরা নিজস্ব সমাজ সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছি অবচেতনভাবে।
এই জটিল অবস্থায় সামগ্রিকভাবে নারীদের মানসিক সমস্যা বাড়ার প্রবণতা তৈরি করেছে। এ থেকে উত্তরণের বড় পথ বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
৫ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
৫ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভে
১০ জুলাই ২০২৪
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
৫ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
৫ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাড়ছে আতঙ্ক
ফিচার ডেস্ক

২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসেও সেই স্বপ্ন অধরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ১১ মাসে সারা দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ নারী ও কন্যাশিশু। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, বরং এটি নতুন করে আশা জাগানো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি একটি গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
চব্বিশের জুলাইয়ের পর মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় দায় রয়েছে, তা নতুন সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাস্তবতার ভিন্ন রূপ। ১১ মাসে মোট নির্যাতিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৯ জন; এর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ মোট নির্যাতিতের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু ও কিশোরী। এই জরিপে বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে।
কন্যা ও শিশুদের প্রতি নির্যাতনের এ সংখ্যা প্রমাণ করে, পরিবার বা সমাজের কোনো স্তরেই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, এমনকি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত পরিবারেও নারীরা নিরাপদ নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসে ৫৯৩ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ১০১ জন। নিপীড়নের শিকার হয় ৯৫ জন; এর মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ৬১ জন। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮১ জনকে, যাদের মধ্যে ১৪১ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭২৪ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ৫০০ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও কন্যাশিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ২৯ নারী ও কন্যশিশু। তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।
প্রতিবেদনটির উদ্বেগজনক দিক হলো, গত ১১ মাসের এই পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের সারা বছরের মোট নির্যাতনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ২ হাজার ২২৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
এটি দেশের নাগরিকদের জন্য এক চরম হতাশার বার্তা। এরই মধ্যে গঠন করা হয় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। যাদের কাজ আইনি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য পর্যালোচনা করে প্রাসঙ্গিক সংস্কার প্রস্তাব করা। সে প্রস্তাব করাও হয়ে গেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসেও সেই স্বপ্ন অধরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ১১ মাসে সারা দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ নারী ও কন্যাশিশু। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, বরং এটি নতুন করে আশা জাগানো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি একটি গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
চব্বিশের জুলাইয়ের পর মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় দায় রয়েছে, তা নতুন সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাস্তবতার ভিন্ন রূপ। ১১ মাসে মোট নির্যাতিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৯ জন; এর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ মোট নির্যাতিতের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু ও কিশোরী। এই জরিপে বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে।
কন্যা ও শিশুদের প্রতি নির্যাতনের এ সংখ্যা প্রমাণ করে, পরিবার বা সমাজের কোনো স্তরেই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, এমনকি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত পরিবারেও নারীরা নিরাপদ নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসে ৫৯৩ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ১০১ জন। নিপীড়নের শিকার হয় ৯৫ জন; এর মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ৬১ জন। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮১ জনকে, যাদের মধ্যে ১৪১ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭২৪ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ৫০০ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও কন্যাশিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ২৯ নারী ও কন্যশিশু। তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।
প্রতিবেদনটির উদ্বেগজনক দিক হলো, গত ১১ মাসের এই পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের সারা বছরের মোট নির্যাতনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ২ হাজার ২২৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
এটি দেশের নাগরিকদের জন্য এক চরম হতাশার বার্তা। এরই মধ্যে গঠন করা হয় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। যাদের কাজ আইনি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য পর্যালোচনা করে প্রাসঙ্গিক সংস্কার প্রস্তাব করা। সে প্রস্তাব করাও হয়ে গেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভে
১০ জুলাই ২০২৪
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
৫ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
মুন্তাহা মিতু, যশোর
আপনার স্বামী যে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লিখেছেন, এর আইনগত অবস্থা হলো এই যে, আইন অনুযায়ী এখনই চূড়ান্তভাবে তালাক হয়নি। বাংলাদেশের আইনে—
» শুধু চিঠিতে লিখে দিলেই তালাক সম্পূর্ণ হয় না।
» স্বামীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
» নোটিশ দেওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিন সময় থাকে। এটিই আইনি ইদ্দত ও মীমাংসার সময়।
» যদি চেয়ারম্যানকে নোটিশ না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইনগতভাবে তালাক এখনো কার্যকর হয়নি।
দ্বিতীয়ত, ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে কি না। হবে যদি—
» চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয়ে থাকে।
» এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী আবার সংসারে না ফেরেন।
» তাহলে ৯০ দিন শেষে তালাক কার্যকর হবে।
তৃতীয়ত, হিল্লা। ৯০ দিন পর যদি আপনারা আবার সংসার করতে চান, তাহলে হিল্লা লাগবে না। কারণ—
» বাংলাদেশের আইনে একসঙ্গে লেখা ‘তিন তালাক’-কে এক তালাক হিসেবেই গণ্য করা হয়।
» এটা তালাক-এ-বাইন কুবরা বা চূড়ান্ত তিন তালাক নয়।
হিল্লা লাগে শুধু তখন, যখন—
» স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা সময়ে ৩ বার তালাক সম্পন্ন করেছেন।
» প্রতিবারই ইদ্দত শেষ হয়েছে।
» আপনার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।
আর স্বাভাবিকভাবে বিয়ের বিষয়ে বলব, এটা আসলে নির্ভর করছে কখন ফিরতে চান, তার ওপর। যদি ৯০ দিনের ভেতরে অর্থাৎ ইদ্দতের সময় ফিরতে চান, তাহলে নতুন বিয়ে লাগবে না। স্বামী চাইলে মুখে বা কাজে সংসারে ফেরালেই হবে। তবে যদি ৯০ দিন শেষ হয়ে যায়, তখন নতুন করে নিকাহ করতে হবে, নতুন দেনমোহর ও সাক্ষী লাগবে, হিল্লা লাগবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
মুন্তাহা মিতু, যশোর
আপনার স্বামী যে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লিখেছেন, এর আইনগত অবস্থা হলো এই যে, আইন অনুযায়ী এখনই চূড়ান্তভাবে তালাক হয়নি। বাংলাদেশের আইনে—
» শুধু চিঠিতে লিখে দিলেই তালাক সম্পূর্ণ হয় না।
» স্বামীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
» নোটিশ দেওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিন সময় থাকে। এটিই আইনি ইদ্দত ও মীমাংসার সময়।
» যদি চেয়ারম্যানকে নোটিশ না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইনগতভাবে তালাক এখনো কার্যকর হয়নি।
দ্বিতীয়ত, ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে কি না। হবে যদি—
» চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয়ে থাকে।
» এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী আবার সংসারে না ফেরেন।
» তাহলে ৯০ দিন শেষে তালাক কার্যকর হবে।
তৃতীয়ত, হিল্লা। ৯০ দিন পর যদি আপনারা আবার সংসার করতে চান, তাহলে হিল্লা লাগবে না। কারণ—
» বাংলাদেশের আইনে একসঙ্গে লেখা ‘তিন তালাক’-কে এক তালাক হিসেবেই গণ্য করা হয়।
» এটা তালাক-এ-বাইন কুবরা বা চূড়ান্ত তিন তালাক নয়।
হিল্লা লাগে শুধু তখন, যখন—
» স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা সময়ে ৩ বার তালাক সম্পন্ন করেছেন।
» প্রতিবারই ইদ্দত শেষ হয়েছে।
» আপনার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।
আর স্বাভাবিকভাবে বিয়ের বিষয়ে বলব, এটা আসলে নির্ভর করছে কখন ফিরতে চান, তার ওপর। যদি ৯০ দিনের ভেতরে অর্থাৎ ইদ্দতের সময় ফিরতে চান, তাহলে নতুন বিয়ে লাগবে না। স্বামী চাইলে মুখে বা কাজে সংসারে ফেরালেই হবে। তবে যদি ৯০ দিন শেষ হয়ে যায়, তখন নতুন করে নিকাহ করতে হবে, নতুন দেনমোহর ও সাক্ষী লাগবে, হিল্লা লাগবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভে
১০ জুলাই ২০২৪
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
৫ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে। এ বছরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া দৃশ্যত কোনো বড় পরিবর্তন আসেনি। আর দিন দিন তাদের জীবনযাপন যেন আরও কঠিন ও দমবন্ধ হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে স্কাই নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্রফোর্ডকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘পৃথিবী কীভাবে এটা হতে দিচ্ছে?’ তিনি বলেছেন, গত চার বছরে তালেবান ৯০ শতাংশ সাংবাদিক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, বিশেষত যাঁরা নারীদের গল্প তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, তারা নারী ও মেয়েদের পদ্ধতিগতভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে নারীদের অনুপস্থিতি দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নের ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্রফোর্ড উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কিছু ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যা নারীদের এই পদ্ধতিগত বিলুপ্তিকে লঘু করে দিচ্ছে।
টিকে থাকার লড়াই
দেশটিতে এমন অনেক নারী আছে, যারা দমবন্ধ পরিবেশে থেকেও নীরবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আফগান নারীদের জীবন দুটি ভিন্ন কিন্তু একই রকম কঠিন চিত্রের মাধ্যমে দেখা যায়। এক, শিক্ষার আলো নিভে গেলেও অনেকে কাজের মাধ্যমে নিজের ও আশপাশের নারীদের জীবনে আলোর প্রদীপ ধরে আছেন। ‘রুখসানা মিডিয়া’তে উঠে এসেছে এমনই এক নারীর গল্প।
তালেবান নারীদের উচ্চশিক্ষা, বিউটি পারলারসহ অসংখ্য পেশা নিষিদ্ধ করার পর সেতারা নামের এক সাবেক বিউটিশিয়ান তাঁর স্বামীর কাছ থেকে শেখা বিদ্যুতের কাজকে জীবিকায় পরিণত করেছেন। হারাত শহরে ৫ বছর আগে মাত্র ৫ হাজার আফগানি দিয়ে শুরু করা তাঁর ছোট ল্যাম্প তৈরির কর্মশালা এখন ৬ লাখ আফগানির বেশি মূল্যের সম্পদে পরিণত হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থেকেও সেতারা নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। রুখসানা মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেতারা বলেছেন, ‘ঘরে বসে থাকার চেয়ে এটি ভালো।’ তাঁর দেওয়া প্রশিক্ষণ বিনা মূল্যে এবং সম্পূর্ণ ব্যবহারিক। লুলাইমার মতো উচ্চশিক্ষিত নারীরা এখানে সোল্ডারিং ও ফিটিংয়ের কাজ শিখছেন। তাঁদের পরিবার প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানালেও কাজের মাধ্যমে মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন তাঁরা।
বেঁচে থাকার জন্য যৌন শোষণ
আফগানিস্তানে মানবিক সংকটের শিকার নারীদের সামনে এখন ভয়াবহ বিষয়ের নাম যৌন শোষণ। ইউএনের তথ্যমতে, আফগানিস্তানে ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু খাদ্যসহায়তার জন্য স্থানীয় ওয়াকিল গুজার বা ইমামের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। লাইলা নামের এক নারী তাঁর ক্ষুধার্ত বাবাহীন সন্তানদের জন্য ত্রাণ আনতে গিয়ে স্থানীয় ওয়াকিল গুজার এবং মসজিদের ইমাম—উভয়ের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। ওয়াকিল গুজার তাঁর কাছে ‘এক রাতের জন্য বাড়িতে আসার’ বিনিময়ে ত্রাণ কার্ড দিতে চান। আর ইমাম তাঁকে ‘অস্থায়ী স্ত্রী’ হওয়ার প্রস্তাব দেন। হয়রানির শিকার এই নারীরা যখন অন্যদের কাছে অভিযোগ করেন, তখন তাঁদেরই উল্টো দোষারোপ করা হয়। নারী অধিকারকর্মী তারান্নুম সাঈদী গণমাধ্যমে জানান, অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং তালেবানের কঠোর বিধিনিষেধই নারীদের এমন ভয়াবহ শোষণের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নতুন আলোর সন্ধানে
২০২৫ সালের শেষ সময়ে এসেও আফগানিস্তানের নারীদের জীবন প্রমাণ করে, সরকারের নীতির কারণে একটি প্রজন্ম কীভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যেখানে সামান্য রুটির জন্য যৌন হয়রানি সহ্য করতে হচ্ছে, সেখানেই সেতারার মতো নারীরা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে স্বনির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আরও একটি বছর কাটতে চলেছে। এই সময়ে, বিশ্বের নজর যখন অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের দিকে, তখন আফগান নারীরা নিজেদের অজান্তেই একটি অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৮তম স্থানে নেমে এসেছে। এ বছরও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া দৃশ্যত কোনো বড় পরিবর্তন আসেনি। আর দিন দিন তাদের জীবনযাপন যেন আরও কঠিন ও দমবন্ধ হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে স্কাই নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্রফোর্ডকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘পৃথিবী কীভাবে এটা হতে দিচ্ছে?’ তিনি বলেছেন, গত চার বছরে তালেবান ৯০ শতাংশ সাংবাদিক ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে, বিশেষত যাঁরা নারীদের গল্প তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, তারা নারী ও মেয়েদের পদ্ধতিগতভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে নারীদের অনুপস্থিতি দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়নের ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্রফোর্ড উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কিছু ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন, যা নারীদের এই পদ্ধতিগত বিলুপ্তিকে লঘু করে দিচ্ছে।
টিকে থাকার লড়াই
দেশটিতে এমন অনেক নারী আছে, যারা দমবন্ধ পরিবেশে থেকেও নীরবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আফগান নারীদের জীবন দুটি ভিন্ন কিন্তু একই রকম কঠিন চিত্রের মাধ্যমে দেখা যায়। এক, শিক্ষার আলো নিভে গেলেও অনেকে কাজের মাধ্যমে নিজের ও আশপাশের নারীদের জীবনে আলোর প্রদীপ ধরে আছেন। ‘রুখসানা মিডিয়া’তে উঠে এসেছে এমনই এক নারীর গল্প।
তালেবান নারীদের উচ্চশিক্ষা, বিউটি পারলারসহ অসংখ্য পেশা নিষিদ্ধ করার পর সেতারা নামের এক সাবেক বিউটিশিয়ান তাঁর স্বামীর কাছ থেকে শেখা বিদ্যুতের কাজকে জীবিকায় পরিণত করেছেন। হারাত শহরে ৫ বছর আগে মাত্র ৫ হাজার আফগানি দিয়ে শুরু করা তাঁর ছোট ল্যাম্প তৈরির কর্মশালা এখন ৬ লাখ আফগানির বেশি মূল্যের সম্পদে পরিণত হয়েছে। পিতৃতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থেকেও সেতারা নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। রুখসানা মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেতারা বলেছেন, ‘ঘরে বসে থাকার চেয়ে এটি ভালো।’ তাঁর দেওয়া প্রশিক্ষণ বিনা মূল্যে এবং সম্পূর্ণ ব্যবহারিক। লুলাইমার মতো উচ্চশিক্ষিত নারীরা এখানে সোল্ডারিং ও ফিটিংয়ের কাজ শিখছেন। তাঁদের পরিবার প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানালেও কাজের মাধ্যমে মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন তাঁরা।
বেঁচে থাকার জন্য যৌন শোষণ
আফগানিস্তানে মানবিক সংকটের শিকার নারীদের সামনে এখন ভয়াবহ বিষয়ের নাম যৌন শোষণ। ইউএনের তথ্যমতে, আফগানিস্তানে ২২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু খাদ্যসহায়তার জন্য স্থানীয় ওয়াকিল গুজার বা ইমামের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। লাইলা নামের এক নারী তাঁর ক্ষুধার্ত বাবাহীন সন্তানদের জন্য ত্রাণ আনতে গিয়ে স্থানীয় ওয়াকিল গুজার এবং মসজিদের ইমাম—উভয়ের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। ওয়াকিল গুজার তাঁর কাছে ‘এক রাতের জন্য বাড়িতে আসার’ বিনিময়ে ত্রাণ কার্ড দিতে চান। আর ইমাম তাঁকে ‘অস্থায়ী স্ত্রী’ হওয়ার প্রস্তাব দেন। হয়রানির শিকার এই নারীরা যখন অন্যদের কাছে অভিযোগ করেন, তখন তাঁদেরই উল্টো দোষারোপ করা হয়। নারী অধিকারকর্মী তারান্নুম সাঈদী গণমাধ্যমে জানান, অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং তালেবানের কঠোর বিধিনিষেধই নারীদের এমন ভয়াবহ শোষণের মুখে ফেলে দিয়েছে।
নতুন আলোর সন্ধানে
২০২৫ সালের শেষ সময়ে এসেও আফগানিস্তানের নারীদের জীবন প্রমাণ করে, সরকারের নীতির কারণে একটি প্রজন্ম কীভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। যেখানে সামান্য রুটির জন্য যৌন হয়রানি সহ্য করতে হচ্ছে, সেখানেই সেতারার মতো নারীরা নিজেদের দক্ষতা দিয়ে স্বনির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভে
১০ জুলাই ২০২৪
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
৫ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
৫ ঘণ্টা আগে