Ajker Patrika

আমলাদের শেষ বেলার পছন্দ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ১৪: ৫১
আমলাদের শেষ বেলার পছন্দ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের নিয়ম অনুসারে তিন বছর থাকার কথা। কিন্তু চার মাস সাত দিন পরই বদলির আদেশ পেলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ৩৮তম মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। এই চার মাসে নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু কোনো কাজই শেষ করতে পারেননি সময়ের অভাবে। এমনটিই হয়েছে আগের ৩৭ জন ডিজির ক্ষেত্রেও। অধিকাংশ ডিজিই কয়েক মাস কাজ করে অবসরে গেছেন। অন্যরাও বদলি হয়েছেন অল্প সময়ের মধ্যে। মাত্র তিনজন মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছিলেন।

ডিএনসির কর্মকর্তারা বলছেন, অধিদপ্তরে গত ৩৪ বছরে ৩৮ জন ডিজি বদলি হওয়ায় ডোপ টেস্টের নীতিমালা, বাহিনীর সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, ওয়াকিটকির ব্যবহার, মাদকবিরোধী অভিযান গতিশীল করার মতো অসমাপ্ত কাজগুলো কেউই শেষ করতে পারেননি।

জানা যায়, চাকরির শেষ সময়ে কিছু কর্মকর্তা গ্রেড-১ পদমর্যাদা পান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তদবির করে ডিএনসিতে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখানে কেউ কাজ করেন না। চাকরির মেয়াদ শেষে প্রায় সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান। কিন্তু অন্যদেরও পদটি পছন্দের হওয়ায় কেউই আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান না।

সবশেষ গত ১৫ মে অধিদপ্তরে নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর চাকরির মেয়াদ আছে আর সাত মাস।

প্রেষণে আসা ডিজিদের ঘন ঘন পরিবর্তন প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদ। অধিকাংশ সময় তাঁদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। চাকরির শেষের দিকেই এখানে পদায়ন হয়।

তবে সাবেক একাধিক ডিজি বলেন, অল্প সময় থাকা নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। ঘন ঘন ডিজি পরিবর্তন হতেই পারে। তবে এই অধিদপ্তরে এ পর্যন্ত ‘প্রাতিষ্ঠানিক মেমোরি’ দাঁড়ায়নি। আমলারা চলে যাওয়ার সময় কোনো নোট রেখে যান না। তাঁদের মধ্যে অভিজ্ঞতাও বিনিময় হয় না। তাই এখানে পরিকল্পনা বেশি হয়, কাজ হয় কম।

১৯৭৬ সালে এক্সাইজ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন ডিপার্টমেন্টকে পুনর্বিন্যাসকরণের মাধ্যমে নারকোটিকস অ্যান্ড লিকার পরিদপ্তর নামে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ন্যস্ত করা হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত পরিদপ্তরের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে উৎপাদিত মাদকদ্রব্য থেকে রাজস্ব আদায় করা। ১৯৯০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এই অধিদপ্তরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। অধিদপ্তর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ জন ডিজির পরিবর্তন হয়েছে।

ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই এক-দুজন করে ডিজি পরিবর্তন করা হয়। এক বছরের কম সময় থেকেছেন ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে অবসরে গেছেন ১৮ জন। পূর্ণ মেয়াদে (তিন বছর) ছিলেন তিনজন।

সূত্রমতে, ৩৮তম ডিজি হিসেবে মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী যোগ দিয়েছিলেন গত ১ জানুয়ারি। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছেন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে।

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থাকলে সেখানে কাজের ধারাবাহিকতা থাকে; কিন্তু বেশি দিন থাকার সুযোগ হয় না।

বেশি দিন ডিজি থাকার সুবিধার কথা উল্লেখ করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, জামাল উদ্দিন আহমেদের সময় অধিদপ্তরের যানবাহন ১৫ থেকে ১০০টি হয়। জনবল ১ হাজার ৭১২ থেকে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৯ জনে। প্রতিটি বিভাগে রাসায়নিক পরীক্ষাগার অনুমোদন পায়, মাদক নিরাময় কেন্দ্র ১৫০ থেকে ৩৫০টি করা হয়। বাহিনীর সদস্যের পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, এত সব কাজ আর কোনো ডিজির সময় হয়নি।

এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে ডিএনসির আধুনিকায়ন করতে ছয় মাসের মধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালেও সেই প্রকল্প প্রস্তুত করা যায়নি। কেউ এর দায়িত্ব নেননি।

ডিএনসির সাবেক ডিজি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, পদায়নের আগে চাকরির মেয়াদ যাচাই করা উচিত। কাউকে খুশি করতে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। তাঁর দাবি, আমলাদের মূল সমস্যা হলো, কেউ কারও অভিজ্ঞতা শুনতে চান না। খেয়ালখুশিমতো পরিকল্পনা করায় অধিদপ্তর পিছিয়ে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট, রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেইলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট, রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেইলে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাস-সহিংসতার উসকানিমূলক আহ্বান সম্বলিত পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।

আজ শনিবার থেকে সেখানে রিপোর্ট (অভিযোগ ও তথ্য) করা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে এবং ইমেইলে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করবে।

যে নাম্বার এবং ইমেইলে রিপোর্ট করা যাবে—

হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার: 01308332592,

ই-মেইল: [email protected]

উল্লেখ্য, সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো পোস্ট ‘ডাউন’ করতে অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধুমাত্র যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্মের কাছে রিপোর্ট করতে পারে।

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়, সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সামাজিক মাধ্যমকে সহিংসতা কিংবা অস্থিতিশীলতা তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশ এবং নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এসব সহিংসতার উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে সহিংসতায় উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান অ্যামনেস্টির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৯
হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান  অ্যামনেস্টির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এসব ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ২৬ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টটিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, হাদি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়টিতে সহিংসতায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট-এর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির হয়রানির শিকার হয়েছেন।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এমন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে আইনসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান স্থগিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (প্রশাসন) পূর্ণলাক্ষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্রে বিষয়টি নির্দেশক্রমে জানানো হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সকল অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দেন তিনি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দীর মর্গে হাদির মরদেহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ময়নাতদন্তের জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার কিছু আগে তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে তাঁর কফিন দেশে পৌঁছানোর পর মরদেহ রাখা হয় জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে।

জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ আবারও হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে আনা হবে। এরপর দুপুরে জানাযার জন্য নেওয়া হবে।’

আজ দুপুর ২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত