ফারুক মেহেদী, ঢাকা

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসার খরচ কিছুটা কমে আসবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজস্ব বাজেটের নানান দিক তুলে ধরেন।
আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব শুনে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নিজের মত দেন। কোনো কোনোটির ব্যাপারে সায় দেন, আবার কোনো কোনোটির ব্যাপারে না-ও বলে দেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের পক্ষ থেকে আসছে বাজেটে এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি থেকে কিছু রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়।
এতে গাড়ির মূল্য হিসাবে ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সায় দিয়েছেন। তবে হাই-টেক পার্কের আওতায় কোনো গাড়ি আমদানি হলে তা যেন এমপিদের শুল্ক-করের চেয়ে কম না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। হাই-টেক পার্কের আওতায় বর্তমানে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ রয়েছে।
বাজেট পরিকল্পনায় ধনীদের ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে সর্বোচ্চ করের স্ল্যাব ২৫ শতাংশ। এটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ফলে চূড়ান্ত বাজেটে এটি থাকলে ধনীদের আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা আগে যা ছিল, এবার তা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মত এসেছে। অন্যদিকে আড়াই শতাংশ কমতে পারে করপোরেট কর। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানো হতে পারে। এতে কিছুটা হলেও কমে আসবে ব্যবসার খরচ।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সেই রকম একটি বাজেটই করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বাজেটের অনেক কিছু শেষ সময়েও বাদ বা যুক্ত হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআরের বিশেষ বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, শেয়ারবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করছাড় বাতিল হতে পারে। বিভিন্ন খাতে যে কর অবকাশ সুবিধা বলবৎ রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বলে জানা গেছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে পুরোপুরি সায় দেননি। এ জন্য আরেকটু অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেনের সুযোগ থাকতে পারে বাজেটে।
বরাবরের মতো এবারও কৃষির প্রতি সদয় মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃষি ও সারে বাড়তি শুল্ক বসানোর প্রস্তাবে ‘না’ বলেছেন তিনি। এ ছাড়া বেজা ও বেপজার আওতায় পণ্য আমদানিতেও সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা না দিয়ে কিছু কিছু শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। মোবাইল ফোনে কথা বলায় বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ ও পুঁজিবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের করছাড় বাতিলেও প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসছে বাজেটে নির্মাণসামগ্রীতে কিছু শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। তবে তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার আওতায় পণ্য, গাড়ি আমদানিতে সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ না রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক-কর আরোপের পক্ষে মত দেন। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম করে স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে তা বাতিল করে বছরে একবার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সায় দেননি বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। রাজস্ব আয়ের স্বার্থে এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণে করছাড় কমানোর চাপ থাকায় নতুন বাজেটে সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হলে তিনি পুরো সায় না দিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরোপের ব্যাপারে হ্যাঁ বলেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন সরকারের এটি প্রথম বছর।
যেকোনো ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হলে প্রথম বছরেই নিতে হয়। বিভিন্ন পদক্ষেপ বা সংস্কারগুলো এ সময়ে করতে পারলে ভালো। পরের বছরগুলোতে নানান বিষয় সামনে আসে। তখন রাজস্বসংক্রান্ত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া একটু কঠিন। সুতরাং রাজস্ব বাড়াতে হলে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এ বছরই নেওয়া উচিত।’

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসার খরচ কিছুটা কমে আসবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজস্ব বাজেটের নানান দিক তুলে ধরেন।
আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব শুনে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নিজের মত দেন। কোনো কোনোটির ব্যাপারে সায় দেন, আবার কোনো কোনোটির ব্যাপারে না-ও বলে দেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের পক্ষ থেকে আসছে বাজেটে এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি থেকে কিছু রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়।
এতে গাড়ির মূল্য হিসাবে ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সায় দিয়েছেন। তবে হাই-টেক পার্কের আওতায় কোনো গাড়ি আমদানি হলে তা যেন এমপিদের শুল্ক-করের চেয়ে কম না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। হাই-টেক পার্কের আওতায় বর্তমানে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ রয়েছে।
বাজেট পরিকল্পনায় ধনীদের ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে সর্বোচ্চ করের স্ল্যাব ২৫ শতাংশ। এটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ফলে চূড়ান্ত বাজেটে এটি থাকলে ধনীদের আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা আগে যা ছিল, এবার তা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মত এসেছে। অন্যদিকে আড়াই শতাংশ কমতে পারে করপোরেট কর। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানো হতে পারে। এতে কিছুটা হলেও কমে আসবে ব্যবসার খরচ।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সেই রকম একটি বাজেটই করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বাজেটের অনেক কিছু শেষ সময়েও বাদ বা যুক্ত হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআরের বিশেষ বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, শেয়ারবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করছাড় বাতিল হতে পারে। বিভিন্ন খাতে যে কর অবকাশ সুবিধা বলবৎ রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বলে জানা গেছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে পুরোপুরি সায় দেননি। এ জন্য আরেকটু অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেনের সুযোগ থাকতে পারে বাজেটে।
বরাবরের মতো এবারও কৃষির প্রতি সদয় মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃষি ও সারে বাড়তি শুল্ক বসানোর প্রস্তাবে ‘না’ বলেছেন তিনি। এ ছাড়া বেজা ও বেপজার আওতায় পণ্য আমদানিতেও সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা না দিয়ে কিছু কিছু শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। মোবাইল ফোনে কথা বলায় বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ ও পুঁজিবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের করছাড় বাতিলেও প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসছে বাজেটে নির্মাণসামগ্রীতে কিছু শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। তবে তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার আওতায় পণ্য, গাড়ি আমদানিতে সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ না রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক-কর আরোপের পক্ষে মত দেন। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম করে স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে তা বাতিল করে বছরে একবার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সায় দেননি বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। রাজস্ব আয়ের স্বার্থে এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণে করছাড় কমানোর চাপ থাকায় নতুন বাজেটে সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হলে তিনি পুরো সায় না দিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরোপের ব্যাপারে হ্যাঁ বলেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন সরকারের এটি প্রথম বছর।
যেকোনো ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হলে প্রথম বছরেই নিতে হয়। বিভিন্ন পদক্ষেপ বা সংস্কারগুলো এ সময়ে করতে পারলে ভালো। পরের বছরগুলোতে নানান বিষয় সামনে আসে। তখন রাজস্বসংক্রান্ত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া একটু কঠিন। সুতরাং রাজস্ব বাড়াতে হলে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এ বছরই নেওয়া উচিত।’
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসার খরচ কিছুটা কমে আসবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজস্ব বাজেটের নানান দিক তুলে ধরেন।
আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব শুনে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নিজের মত দেন। কোনো কোনোটির ব্যাপারে সায় দেন, আবার কোনো কোনোটির ব্যাপারে না-ও বলে দেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের পক্ষ থেকে আসছে বাজেটে এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি থেকে কিছু রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়।
এতে গাড়ির মূল্য হিসাবে ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সায় দিয়েছেন। তবে হাই-টেক পার্কের আওতায় কোনো গাড়ি আমদানি হলে তা যেন এমপিদের শুল্ক-করের চেয়ে কম না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। হাই-টেক পার্কের আওতায় বর্তমানে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ রয়েছে।
বাজেট পরিকল্পনায় ধনীদের ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে সর্বোচ্চ করের স্ল্যাব ২৫ শতাংশ। এটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ফলে চূড়ান্ত বাজেটে এটি থাকলে ধনীদের আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা আগে যা ছিল, এবার তা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মত এসেছে। অন্যদিকে আড়াই শতাংশ কমতে পারে করপোরেট কর। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানো হতে পারে। এতে কিছুটা হলেও কমে আসবে ব্যবসার খরচ।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সেই রকম একটি বাজেটই করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বাজেটের অনেক কিছু শেষ সময়েও বাদ বা যুক্ত হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআরের বিশেষ বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, শেয়ারবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করছাড় বাতিল হতে পারে। বিভিন্ন খাতে যে কর অবকাশ সুবিধা বলবৎ রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বলে জানা গেছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে পুরোপুরি সায় দেননি। এ জন্য আরেকটু অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেনের সুযোগ থাকতে পারে বাজেটে।
বরাবরের মতো এবারও কৃষির প্রতি সদয় মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃষি ও সারে বাড়তি শুল্ক বসানোর প্রস্তাবে ‘না’ বলেছেন তিনি। এ ছাড়া বেজা ও বেপজার আওতায় পণ্য আমদানিতেও সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা না দিয়ে কিছু কিছু শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। মোবাইল ফোনে কথা বলায় বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ ও পুঁজিবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের করছাড় বাতিলেও প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসছে বাজেটে নির্মাণসামগ্রীতে কিছু শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। তবে তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার আওতায় পণ্য, গাড়ি আমদানিতে সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ না রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক-কর আরোপের পক্ষে মত দেন। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম করে স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে তা বাতিল করে বছরে একবার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সায় দেননি বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। রাজস্ব আয়ের স্বার্থে এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণে করছাড় কমানোর চাপ থাকায় নতুন বাজেটে সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হলে তিনি পুরো সায় না দিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরোপের ব্যাপারে হ্যাঁ বলেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন সরকারের এটি প্রথম বছর।
যেকোনো ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হলে প্রথম বছরেই নিতে হয়। বিভিন্ন পদক্ষেপ বা সংস্কারগুলো এ সময়ে করতে পারলে ভালো। পরের বছরগুলোতে নানান বিষয় সামনে আসে। তখন রাজস্বসংক্রান্ত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া একটু কঠিন। সুতরাং রাজস্ব বাড়াতে হলে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এ বছরই নেওয়া উচিত।’

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানোর সিদ্ধান্তে ব্যবসার খরচ কিছুটা কমে আসবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট চূড়ান্ত করতে গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজস্ব বাজেটের নানান দিক তুলে ধরেন।
আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব শুনে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নিজের মত দেন। কোনো কোনোটির ব্যাপারে সায় দেন, আবার কোনো কোনোটির ব্যাপারে না-ও বলে দেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের পক্ষ থেকে আসছে বাজেটে এমপিদের শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি থেকে কিছু রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়।
এতে গাড়ির মূল্য হিসাবে ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে আরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সায় দিয়েছেন। তবে হাই-টেক পার্কের আওতায় কোনো গাড়ি আমদানি হলে তা যেন এমপিদের শুল্ক-করের চেয়ে কম না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। হাই-টেক পার্কের আওতায় বর্তমানে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ রয়েছে।
বাজেট পরিকল্পনায় ধনীদের ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, বর্তমানে সর্বোচ্চ করের স্ল্যাব ২৫ শতাংশ। এটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ফলে চূড়ান্ত বাজেটে এটি থাকলে ধনীদের আগের চেয়ে বেশি কর দিতে হবে।
করমুক্ত আয়ের সীমা আগে যা ছিল, এবার তা অপরিবর্তিত রাখার ব্যাপারে মত এসেছে। অন্যদিকে আড়াই শতাংশ কমতে পারে করপোরেট কর। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত উৎপাদনশীল খাতের প্রতিষ্ঠানের কর কমানো হতে পারে। এতে কিছুটা হলেও কমে আসবে ব্যবসার খরচ।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। আশা করি সরকার সেই রকম একটি বাজেটই করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট ঘোষণার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, বাজেটের অনেক কিছু শেষ সময়েও বাদ বা যুক্ত হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনবিআরের বিশেষ বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, শেয়ারবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করছাড় বাতিল হতে পারে। বিভিন্ন খাতে যে কর অবকাশ সুবিধা বলবৎ রয়েছে, সেগুলো কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক বলে জানা গেছে। এনবিআরের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে পুরোপুরি সায় দেননি। এ জন্য আরেকটু অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেনের সুযোগ থাকতে পারে বাজেটে।
বরাবরের মতো এবারও কৃষির প্রতি সদয় মনোভাব দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই কৃষি ও সারে বাড়তি শুল্ক বসানোর প্রস্তাবে ‘না’ বলেছেন তিনি। এ ছাড়া বেজা ও বেপজার আওতায় পণ্য আমদানিতেও সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা না দিয়ে কিছু কিছু শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন। মোবাইল ফোনে কথা বলায় বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ ও পুঁজিবাজারের ক্যাপিটাল গেইনের করছাড় বাতিলেও প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসছে বাজেটে নির্মাণসামগ্রীতে কিছু শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাতে সায় দেননি। তবে তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার আওতায় পণ্য, গাড়ি আমদানিতে সবক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ না রেখে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক-কর আরোপের পক্ষে মত দেন। ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম করে স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে তা বাতিল করে বছরে একবার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাবে সায় দেননি বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর বাড়তি ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। রাজস্ব আয়ের স্বার্থে এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে আইএমএফের ঋণের শর্তের কারণে করছাড় কমানোর চাপ থাকায় নতুন বাজেটে সবক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হলে তিনি পুরো সায় না দিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরোপের ব্যাপারে হ্যাঁ বলেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন সরকারের এটি প্রথম বছর।
যেকোনো ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হলে প্রথম বছরেই নিতে হয়। বিভিন্ন পদক্ষেপ বা সংস্কারগুলো এ সময়ে করতে পারলে ভালো। পরের বছরগুলোতে নানান বিষয় সামনে আসে। তখন রাজস্বসংক্রান্ত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া একটু কঠিন। সুতরাং রাজস্ব বাড়াতে হলে কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এ বছরই নেওয়া উচিত।’

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও
১৫ মে ২০২৪
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও
১৫ মে ২০২৪
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
২ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও
১৫ মে ২০২৪
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

করছাড় সীমিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ আছে। অভ্যন্তরীণ আয়ের খাতকে শক্তিশালী করতে সরকারেরও চেষ্টা আছে। এ দুই কারণে বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়তি কর আদায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে আসছে বাজেটে। এতে ধনীদের ওপর করের বোঝা কিছুটা বাড়বে। গাড়ি আমদানিতে খরচ বাড়বে সংসদ সদস্যদের (এমপি)। তবে করপোরেট কর ও
১৫ মে ২০২৪
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৩ ঘণ্টা আগে