রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’
রাহুল শর্মা, ঢাকা

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার নামে অর্থ লোপাটের বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগীও হয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৯ সালের বিধিমালায় সম্মানী নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধান ছিল না। এ সুযোগে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি নিজেদের ইচ্ছেমতো সম্মানী নিতেন। পরে ২০২৪ সালের প্রবিধানমালায় এ-সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী ছাড়া অন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারবেন না। এর ফলে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার। এগুলোর মধ্যে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ পরিচালনা কমিটি হয় ১১ থেকে ১৪ সদস্যের। এর মধ্যে একজন সভাপতি ও অন্যরা সদস্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহ, বরখাস্ত, বাতিল বা অপসারণ, নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর, প্রতিষ্ঠানপ্রধান নিয়োগ ইত্যাদি পরিচালনার কাজ কমিটির হাতে। উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত বাজেটসহ বার্ষিক বাজেট অনুমোদন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল, অন্যান্য তহবিল, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বিলে সই করাসহ মোটামুটি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কাজই হয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেক সদস্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য গভর্নিং বডির পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনেও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়মবহির্ভূতভাবে সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ডিআইএ। ওই প্রতিবেদনে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে বলা হয়, আর্থিক বিধিতে প্রভিশন না থাকলেও গভর্নিং বডির সদস্যরা (২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর) ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৬ টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এ অর্থের বিপরীতে তাঁরা আয়করও দেননি। পরিচালনা কমিটি ‘কন্টিজেন্সি’ ভাতা বাবদ ৩১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৬ টাকা নিয়েছে। ভালো ফলের জন্য পরিচালনা কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাতা না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিআইএর আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়ে বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য এবং সদস্যসচিব সম্মানী হিসেবে দেড় কোটি টাকার বেশি গ্রহণ করেছেন। ডিআইএ এই টাকা প্রতিষ্ঠানের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঢাকার যেসব কলেজের আয় বেশি, সেসব কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা কমিটির মিটিংয়ের নামে অর্থ লোপাট করছেন। ঢাকার বাইরে এমন চিত্র দেখা যায় না বললেই চলে।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ের নামে সম্মানী নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। বিষয়টির সঙ্গে আর্থিক সুবিধা জড়িত, তাই এ বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। না হলে এমন বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকবে।
উপকমিটির নামেও সম্মানী
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি কলেজে গভর্নিং বডির সদস্যরা অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেন। এসব কমিটির মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খল-ক্রয়-বাজেট-প্রকাশনা-উন্নয়ন-অর্থ ইত্যাদি উপকমিটি। এসব কমিটির সদস্যরা মিটিং বাবদ নামে সম্মানী নেন।
অতিরিক্ত সম্মানী নেওয়ার জন্য উপকমিটি গঠনের বিষয়টি উঠে এসেছে ডিআইএর করা শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের ২০২০ সালের তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ ওয়ার্কিং গ্রুপের নামে ৭টি কমিটি গঠনের পর ঘন ঘন মিটিং করে সম্মানী নিতেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা।
১২ মে ২০২৪
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা।
১২ মে ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা।
১২ মে ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা।
১২ মে ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ দিন আগে