নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদিনটা খুব ভালো কাটার কথা নয়।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যায়। যে খেলোয়াড় জাতীয় দলের বাইরে থাকেন বা নানা কারণে বাইরে চলে যান—সমর্থকদের কাছে তাঁর একটা ‘হিরো’র ভাবমূর্তি দাঁড়িয়ে যায়। তাঁর অনুপস্থিতি তখন প্রবল অনুভব হয় সমর্থকদের মনে। যেন তিনি থাকলেই দলের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। গত জুলাই থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমেরও এমন একটা ‘হিরো’র ইমেজ দাঁড়িয়েছে। যেটি তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে খুব কমই পেয়েছেন। তাঁর চাচা আকরাম খান যখন বিসিবির প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন তাঁকে নানা নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় তাঁকে নিয়ে যে বিষাক্ত সমালোচনা হয়েছে, তখন ক্যারিয়ারের শেষই প্রায় দেখে ফেলেছিলেন তামিম। নানা বাঁক পেরিয়ে নিজেকে তিনি দেশের সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ। কিন্তু গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাতে তাঁর প্রতি বাংলাদেশের বড় একটা ক্রিকেট সমর্থকগোষ্ঠীর বিশেষ সহানুভূতি তৈরি হয়েছে।
সবশেষ বিপিএলে তামিমের প্রতি সেই সহানুভূতি, সমর্থনের বড় ঢেউ দেখা গেল। যদি টুর্নামেন্টে একটা সমর্থক-জরিপ চালানো হতো, নিশ্চিত তামিমের ফরচুন বরিশালের সমর্থকই বেশি দেখা যেত। তামিমের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর মতো পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। যিনি বন্ধুর পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সেই তামিম ইকবালের ‘নেতৃত্বে’ গত দুই দিনে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যেটিতে দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী বিরক্ত, হতাশ, ক্ষুব্ধ। সামাজিক মাধ্যম ছেয়ে গেছে তামিমসহ তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নেতিবাচক সব পোস্টে। গত কিছুদিনে তামিমের যে ‘হিরো ইমেজ’ তৈরি হয়েছিল, সেটিও নিদারুণ ধাক্কা খেয়েছে। ‘টাকার জন্য ক্রিকেটাররা কত নিচে নামতে পারেন, টাকার জন্য তাঁরা কত সস্তা হতে পারেন’—এ ধরনের মন্তব্য ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। প্রশ্ন উঠছে সংবাদ সম্প্রচার ও পণ্যের বিপণন নীতি নিয়েও।
দুই দিন আগে একটি বেসরকারি চ্যানেল ও একটি ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেজে একেবারে খবরের আদলে তামিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের একটি ফোন কল রেকর্ড ‘ফাঁস’ হয়। এটি যে কোনো খবর নয়, সেদিনই নেটিজেনরা আঁচ করতে পারেন। সমর্থকদের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় নিজেদের নিকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ আগেও দেখা গেছে। সাকিব আল হাসান যেমন—২০২৩ এশিয়া কাপের দল ঘোষণার রাতে নিজের পেজে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমি আর খেলব না, খেলবে কে জানাচ্ছি।’ পরে জানা গেল এটা একটা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ।
ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপনী প্রচারণা দোষের কিছু নয়। উপমহাদেশে এটি হরহামেশাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এটি শিল্পিত রূপে ব্যবহার হলে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কমই থাকে। বাংলাদেশে বোধ হয় আবেগকে পুঁজি করে বিজ্ঞাপন তৈরির সবচেয়ে কদর্য রূপটাই বেশি দেখা যায়। তামিম-মিরাজের ঘটনাটা এর সবশেষ উদাহরণ। সেই ফোন কল রেকর্ডে মিরাজের উদ্দেশে তামিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যদি অধিনায়ক থাকতাম (জাতীয় দলে) তাহলে তো তোরা এটা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাই, তাই তোরা এসব করছ। অসুবিধা নাই মিরাজ, সময় আমারও তো আসবে। একটা কথা শোন, পৃথিবীটা গোল। তুই ওই সাইডে, আমি এই সাইডে। কালকে আমি ওই সাইডে বসব তুই এই সাইডে আসবি। বিষয়টা ভুলে যাইস না, তোর বড় ভাইকেও বলে দিস।...সময় আমারও তো আসবে। এখন তো ন্যাশনাল টিমে খেলি না, তাতে অনেকের ভাব বেড়ে গেছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় নিজেরাই একটি ফেসবুক লাইভে এসে তাঁরা বোঝালেন, তামিম-মিরাজের এই সংলাপ ছিল পুরোই সাজানো। এটি একটি মোবাইল ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ। এতে শুধু সমালোচনার ঢেউ ওঠেনি, দর্শক-সমর্থকেরা এতে ভীষণ প্রতারিত বোধও করেছেন।
যতই বিজ্ঞাপনী প্রচারণার অংশ হোক, দুজন তারকা ক্রিকেটারের এই কথোপকথন শুধুই আপত্তিকর নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল। তামিম কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি তো বিসিবির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলছেন। এই বিজ্ঞাপনে তামিমের সঙ্গী মিরাজ বিসিবির চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়। ক্রিকেট বোর্ডের দুর্বল প্লেয়ার ম্যানেজমেন্টও এখানে সামনে আসছে। আচরণবিধির ক্ষেত্রে তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের নমনীয় আচরণের কারণে খেলোয়াড়েরা আরও সুযোগ পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ সব কর্মকাণ্ড ঘটাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা আর ক্রিকেটারদের যে জনপ্রিয়তা, তার বিপরীতে তাঁদের সাফল্যের প্রসঙ্গও এখন সামনে আসছে। প্রথম ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ৮টিরই কোনো না কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড আছে। শুধু বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের শোকেস গড়ের মাঠ! গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ের যে ভঙ্গুর ক্রিকেট প্রশাসন, তাতে তাদের বড় কিছু জেতা কঠিনও। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী। ক্রিকেট অবকাঠামোও শক্তিশালী হয়েছে আগের চেয়ে অনেক। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতন, বোনাস, ম্যাচ ফি, সুযোগ-সুবিধা হয়েছে আকর্ষণীয়। নিজেদের তারকাখ্যাতি পুঁজি করে ক্রিকেটাররাও যে যাঁর মতো বিত্তবান হয়েছেন, ব্যবসা করছেন। রাজনীতিতে পর্যন্ত নাম লেখাচ্ছেন। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় সাফল্য কোথায়?
বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। যে দল এখনো একটা এশিয়া কাপ জিততে পারেনি, (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও উঠতে পারেনি কখনো—তাদের নিয়ে যে উন্মাদনা, আগ্রহ, তাতে বাংলাদেশ দলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘হাইলি রেটেড ক্রিকেট টিম’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সেই দলের তারকা ক্রিকেটাররা যখন মানুষের আবেগ-বিশ্বাসকে পুঁজি করে খুব সস্তা বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অংশ নেয়, মানুষ তাতে হতাশ, ক্ষুব্ধ আর বিরক্ত না হয়ে কি পারে? আর তামিমদের এই কাণ্ডে বিসিবি যেন শুধুই দর্শক!

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
৫ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস।
৭ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।
গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।
একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।
গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।
একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।
এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস।
৭ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।
দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।
দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।
শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।
দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।
দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।
শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
৫ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৮ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।
মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।
দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।
মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।
দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
৫ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।
রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।
ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’
জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’
এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।
রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।
ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’
জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’
এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

৩৫তম জন্মদিন কাল তামিম ইকবালের একটু অন্য রকম গেল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৬৭ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। ক্রিকেটীয় দিক বিবেচনা করলে জন্মদিন রঙিন করে রাখতে ভালো উপাদানই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে এদিন যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ, তাতে তামিমের জন্মদ
২১ মার্চ ২০২৪
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
৫ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস।
৭ ঘণ্টা আগে
লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগে