
ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলে, এ সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নেওয়া হয়নি। সংস্থার সদস্যরা ব্যাপক ভিড়, বন্দুকযুদ্ধ ও লুটপাটের সম্মুখীন হয়েছেন।
গত ডিসেম্বর থেকেই গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ। ডব্লিউএফপি বলছে, সর্বশেষ ঘটনাগুলো ক্ষুধা ও রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ারই প্রমাণ।
গত অক্টোবরে স্থল অভিযান শুরু করার সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১১ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে গাজার উত্তরাঞ্চলের সব এলাকা খালি করে দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়। উচ্ছেদের আওতায় গাজার ওই সব এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা যুদ্ধের আগে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল ছিল।
বেশির ভাগ বাসিন্দা ইসরায়েলি আদেশ অনুসরণ করলেও কয়েক লাখ বাসিন্দা ওই অঞ্চল ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। ইসরায়েলি সেনারা এই অঞ্চল ঘিরে ফেলায় এবং সেখানে হামাসের ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণে অনেকে ওই অঞ্চল থেকে পালাতে পারেনি আর।
গত মাসে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, উত্তর গাজায় রয়ে যাওয়া অন্তত তিন লাখ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সংস্থাটির সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ বেশ দুরূহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে সুরক্ষা ছাড়পত্রের ওপর নির্ভরশীল।
এই সপ্তাহান্তে ডব্লিউএফপি আশা করেছিল, তারা এক সপ্তাহব্যাপী খাদ্য সরবরাহ শুরু করবে এবং ক্ষুধা ও হতাশা নিবারণে সহায়তা করতে প্রতিদিন ১০টি লরি পাঠাবে।
কিন্তু গত রোববার একটি গাড়িবহর উত্তরের দিকে যাওয়ার পথে ওয়াদি গাজা চেক পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছালে ‘ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় তা ঘিরে ফেলে’ এবং ‘মানুষ গাড়িতে ওঠার একাধিক চেষ্টা’ করে। গাজা শহরে প্রবেশের পর গাড়িবহরটি ‘প্রচণ্ড উত্তেজনা ও বিস্ফোরণের’ মুখোমুখি হয়।
এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরের মধ্যে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি লরিতে লুটপাট ও এক চালককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ডব্লিউএফপি জানায়, গত দুই দিনে তাদের দলগুলো গাজা উপত্যকায় ‘নজিরবিহীন মাত্রার হতাশার সাক্ষী হয়েছে’। খাদ্য ও নিরাপদ পানি অবিশ্বাস্যভাবে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে এবং রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। নারী-শিশুদের পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমে এসেছে এবং এর কারণে তীব্র অপুষ্টি বেড়েই চলেছে।
সংস্থাটি আরও বলে, এরই মধ্যে ক্ষুধার কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউএফপি ও জাতিসংঘের শিশুদের সংস্থা ইউনিসেফ গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলে, গাজার উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি ‘বিশেষ করে চরম’ আকার ধারণ করেছে।
ডব্লিউএফপি বলে, উত্তরাঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পুষ্টি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দুই বছরের কম বয়সী ১৫ শতাংশের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
সংস্থাটি জানায়, এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘দায়িত্বশীল পদ্ধতিতে’ খাদ্য সরবরাহ পুনরায় শুরু করার উপায় বের করবে। এ ছাড়া উত্তর গাজায় সহায়তা বেশ বড় পরিসরে সম্প্রসারণের আহ্বান জানায় সংস্থাটি। বিবৃতি অনুসারে, এর জন্য একাধিক রুট থেকে গাজায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে খাদ্য প্রবেশ করতে হবে। বিবৃতিতে ইসরায়েল ও উত্তর গাজার মধ্যে ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এটি একটি কার্যকর মানবিক ব্যবস্থা, একটি স্থিতিশীল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং সংস্থাটির কর্মী ও সহযোগীদের পাশাপাশি গাজাবাসীদের জন্য সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজা একটি সুতোয় ঝুলছে এবং ডব্লিউএফপিকে অবশ্যই হাজার হাজার নিদারুণ ক্ষুধার্ত মানুষকে দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচাতে হবে।’

ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলে, এ সিদ্ধান্ত খুব সহজেই নেওয়া হয়নি। সংস্থার সদস্যরা ব্যাপক ভিড়, বন্দুকযুদ্ধ ও লুটপাটের সম্মুখীন হয়েছেন।
গত ডিসেম্বর থেকেই গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ। ডব্লিউএফপি বলছে, সর্বশেষ ঘটনাগুলো ক্ষুধা ও রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ারই প্রমাণ।
গত অক্টোবরে স্থল অভিযান শুরু করার সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১১ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে গাজার উত্তরাঞ্চলের সব এলাকা খালি করে দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়। উচ্ছেদের আওতায় গাজার ওই সব এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা যুদ্ধের আগে এই অঞ্চলের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল ছিল।
বেশির ভাগ বাসিন্দা ইসরায়েলি আদেশ অনুসরণ করলেও কয়েক লাখ বাসিন্দা ওই অঞ্চল ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। ইসরায়েলি সেনারা এই অঞ্চল ঘিরে ফেলায় এবং সেখানে হামাসের ঘাঁটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণে অনেকে ওই অঞ্চল থেকে পালাতে পারেনি আর।
গত মাসে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, উত্তর গাজায় রয়ে যাওয়া অন্তত তিন লাখ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সংস্থাটির সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহ বেশ দুরূহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে সুরক্ষা ছাড়পত্রের ওপর নির্ভরশীল।
এই সপ্তাহান্তে ডব্লিউএফপি আশা করেছিল, তারা এক সপ্তাহব্যাপী খাদ্য সরবরাহ শুরু করবে এবং ক্ষুধা ও হতাশা নিবারণে সহায়তা করতে প্রতিদিন ১০টি লরি পাঠাবে।
কিন্তু গত রোববার একটি গাড়িবহর উত্তরের দিকে যাওয়ার পথে ওয়াদি গাজা চেক পয়েন্টের কাছাকাছি পৌঁছালে ‘ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় তা ঘিরে ফেলে’ এবং ‘মানুষ গাড়িতে ওঠার একাধিক চেষ্টা’ করে। গাজা শহরে প্রবেশের পর গাড়িবহরটি ‘প্রচণ্ড উত্তেজনা ও বিস্ফোরণের’ মুখোমুখি হয়।
এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরের মধ্যে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি লরিতে লুটপাট ও এক চালককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ডব্লিউএফপি জানায়, গত দুই দিনে তাদের দলগুলো গাজা উপত্যকায় ‘নজিরবিহীন মাত্রার হতাশার সাক্ষী হয়েছে’। খাদ্য ও নিরাপদ পানি অবিশ্বাস্যভাবে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে এবং রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। নারী-শিশুদের পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমে এসেছে এবং এর কারণে তীব্র অপুষ্টি বেড়েই চলেছে।
সংস্থাটি আরও বলে, এরই মধ্যে ক্ষুধার কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউএফপি ও জাতিসংঘের শিশুদের সংস্থা ইউনিসেফ গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলে, গাজার উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি ‘বিশেষ করে চরম’ আকার ধারণ করেছে।
ডব্লিউএফপি বলে, উত্তরাঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পুষ্টি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দুই বছরের কম বয়সী ১৫ শতাংশের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
সংস্থাটি জানায়, এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘দায়িত্বশীল পদ্ধতিতে’ খাদ্য সরবরাহ পুনরায় শুরু করার উপায় বের করবে। এ ছাড়া উত্তর গাজায় সহায়তা বেশ বড় পরিসরে সম্প্রসারণের আহ্বান জানায় সংস্থাটি। বিবৃতি অনুসারে, এর জন্য একাধিক রুট থেকে গাজায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি পরিমাণে খাদ্য প্রবেশ করতে হবে। বিবৃতিতে ইসরায়েল ও উত্তর গাজার মধ্যে ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এটি একটি কার্যকর মানবিক ব্যবস্থা, একটি স্থিতিশীল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং সংস্থাটির কর্মী ও সহযোগীদের পাশাপাশি গাজাবাসীদের জন্য সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজা একটি সুতোয় ঝুলছে এবং ডব্লিউএফপিকে অবশ্যই হাজার হাজার নিদারুণ ক্ষুধার্ত মানুষকে দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচাতে হবে।’

প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৯ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৪ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৪ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৯ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৯ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৪ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজার উত্তরাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। অঞ্চলটিতে গাড়িবহরগুলো বিপর্যয় ও সহিংসতার মুখে পড়ায় ‘জীবন রক্ষাকারী’ এ কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৯ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৪ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে