সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১১ অক্টোবর ‘মা না হওয়ার’ শর্ত বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সরকারি চাকরির আশায় অনেক নারী সন্তান নেননি, কেউ গর্ভপাত করিয়েছেন, অনেকের স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, সন্তান না নেওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিক গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে অনেককে। পারিবারিক চাপ সত্ত্বেও অনেকে বিয়ে পিছিয়েছেন। চার বছর পর হঠাৎ নিয়োগ বাতিল করায় সাত হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী এখন চরম হতাশায় ভুগছেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
সারা দেশে এমন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে আজকের পত্রিকার সরাসরি এবং মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন এই চার বছরের করুণ অভিজ্ঞতার কথা।

খুলনা বিভাগের এক চাকরিপ্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি চাকরির আশায় আমরা লাইফটাই শেষ! খুলনা অঞ্চলে বাড়ি হলেও এখন থাকতে হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফে, অনেকটা একা। কাজ করছি একটি বেসরকারি সংস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সার্কুলারটা হয় ২০২০ সালে মার্চে এবং আমার বিয়ে হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে। পরিবার থেকে আমাকে বিয়ে দেয়। আমার ভাই নাই। বাসায় আমার বৃদ্ধ মা, বাবা ও ছোট দুই বোন আছে। অভাবের সংসার। পরিবারের পুরো দায়িত্ব আমার ওপর। মা-বাবা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। পড়ালেখা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। হোস্টেলে এক বেলার ভাত দুই বেলা খাইছি। কখনো এক দিনের ভাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে নষ্ট না করে পরের দিন খাইছি। আমি তিন-চারটা ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছি। সরকারি চাকরি হয়নি। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যখন বিয়ে হয়, করোনার মধ্যে আমি আবেদন করেছিলাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করার জন্য। ২৭ সেপ্টেম্বর চাকরিটা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ের পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ি যাই। আর ২৫ সেপ্টেম্বর হাতের মেহেদির লাল দাগ নিয়ে উখিয়া-টেকনাফে চলে আসি চাকরিতে যোগ দিতে। বিয়ের আগে শুনেছি, আমার স্বামী ব্যবসা করে। করোনার কারণে নাকি তার ব্যবসা মাইর গেছে। সে বর্তমানে বেকার। সংসার রেখে আমি চলে এসেছি টেকনাফে। সার্কুলার হলেই আমি আবেদন করতাম এবং চেষ্টা করতাম পড়াশোনার।’
‘এদিকে শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে চাপ দেয় বাচ্চা নেওয়ার জন্য। আমি বাচ্চা নেই না। কারণ, চাকরিতে শর্ত আছে, বাচ্চা নেওয়া যাবে না। আমি স্বামীকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। বাচ্চা কয়েক দিন পরেও নেওয়া যাবে। চাকরিটা যদি হয়। এটা আমার জীবনের শেষ সরকারি চাকরির আবেদন। একটা পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলতে শুরু করল, এই মেয়ে সংসার করবে না। অন্য কারও সঙ্গে হয়তো সম্পর্ক আছে। এই মেয়ে চলে যাবে। যে কারণে বাচ্চা নিচ্ছে না। এই অপবাদও আমি নিয়েছি। এভাবে সময় পার করছিলাম। ২০২৩ সালে পরীক্ষা হলো। এর মধ্যে বাচ্চা কনসিভ হয়। যখন পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়, তখন গর্ভের বয়স ছয় মাস। রিটেন পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর চলে আসলে, আমি মেডিসিন খেয়ে ছয় মাসের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলি। শ্বশুরবাড়ি, বাপের বাড়ির কাউকে বলি না। বলি, আমি পড়ে গিয়েছিলাম। মিসক্যারেজ হয়ে গেছে। ওদিকে স্বামী বেকার। বাবা-মাকে দেখতে হয়। বাচ্চার জন্য যদি আমার চাকরি না হয়! অ্যাবরশন হওয়ার পর অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। বাচ্চা না নেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হয়। স্বামীর সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ নেই। পাঁচ মাস আগে স্বামীর সঙ্গে শেষ একবার যোগাযোগ হয়েছে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। আমরা সেপারেশনে যাব এ রকম অবস্থায় আছি, সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি।’
তিনি ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে বলেন, ‘এখন চার বছর পর নিয়োগ বাতিল করল। আমি এখন কী করব! আমার বাচ্চা গেল, স্বামী গেল! এখন স্বামীর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগও নেই। এদিকে আমার বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। আমার কথা, যারা দুর্নীতি করেছে বা যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য আমি সবকিছু কেন হারাব। নোটিশ বাতিল করে আমাদের ভাইভার ফল প্রকাশ করা হোক।’
অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না—এমন শর্ত দিয়ে ২০২০ সালে ১০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সেখানে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে ১ হাজার ৮০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
তিন লাখের বেশি নারী ওই পদের জন্য আবেদন করেন। আর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয় তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ১১ মে। পরে ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন-সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী কয়েকজন।
হাইকোর্টে রিট
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা পরিপত্র কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বাস্থ্যসচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চার বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চার নিয়োগপ্রত্যাশীর রিটে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) এই রুল জারি করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ জবাব দিক বা না দিক, ওই দিন শুনানি হবে। ২০২০ সালে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সাড়ে তিন বছর পর এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ না করে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, ওই (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) পদে নিয়োগের আগে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ করতে হয়। ইতিমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ১৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় করেছে, আমরা রিটে উল্লেখ করেছি। এখন আবার লিখিত পরীক্ষা হলে আবার ব্যয় হবে। আর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগ পেতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে নিয়োগপ্রত্যাশীদের।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার আগে থেকে সারা দেশে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ২ হাজার ৬৭৬টি শূন্য ছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এই জবটা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এরা (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) প্রসূতি মায়েদের সেবা প্রদান করে থাকে। এদের কারণে সরকার মাতৃমৃত্যু, প্রসূতিমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমাতে পেরেছে। এই জায়গাটায় সাকসেস আছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। এই জায়গায় পাবলিক ইন্টারেস্ট আছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ইন্টারেস্ট আছে। তিনি বলেন, কোনো কথাবার্তা নাই, সচিব পরিবর্তনে হঠাৎ মনে হলো রিটেন নেবে। যদি রিটেন নেয়, তাহলে ভাইভা নিল কেন? রিটেনে গন্ডগোল, তাহলে তখনই বাতিল করত। তাঁর প্রশ্ন, রিটেন পরীক্ষায় দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তাহলে কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’
একই ভুক্তভোগী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ছিটমহলের বাসিন্দা ফৌজিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাই। এর আগে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আমাদের আবেদন করার কোনো সুযোগ ছিল না। নাগরিকত্ব লাভের পর সরকারি একাধিক চাকরিতে আবেদন করে তিনটিতে ভাইভায় অংশ নিই। আগের দুটিতে চাকরি হয়নি। পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে ছিল সরকারি চাকরির জন্য আমার শেষ ভাইভা পরীক্ষা। এরই মধ্যে বয়স ৩০ শেষ হয়েছে। তাই সরকারি চাকরিতে আবেদন করার আর কোনো সুযোগও নেই। এফডব্লিউভি পদে নিয়োগের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না বলে একটি শর্ত দেওয়া ছিল। যে কারণে বিয়ে করিনি। যখন আবেদন করি তখন বয়স ২৭ বছর ছিল, এখন ৩০ বছরের বেশি। হঠাৎ নিয়োগ বাতিল করায় আমি হতাশ। আমি এখন কী করব জানি না। আমি পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের এই নোটিশ মানি না।’
জয়পুরহাটের একজন প্রার্থী চাকরির আশায় বিয়ের আট বছরেও সন্তান নেননি। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার বিয়ে হয়। এরপর স্বামী-সংসার সামাল দিয়ে সরকারি চাকরির আশায় পড়ালেখা করি। ২০২০ সালের মার্চে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা পদে সার্কুলার হলে গত চার বছর আমরা বাচ্চা নিইনি। কেননা, যদি বাচ্চা কনসিভ করি, আর যদি চাকরির পরীক্ষা হয়ে যায়, আর যদি টিকে যাই, তাহলে গর্ভধারণের কারণে চাকরি থেকে বাদ পড়ব। এ কারণে আমরা বাচ্চা নেইনি।’
পরিচিত অনেক প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকে ভাইভা ভালো দিয়েছে। যে কারণে বাচ্চা নষ্ট করেছে।’ নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে আট বছর হয়েছে। প্রথম দিকে সরকারি চাকরির আশায় পড়াশোনার কারণে বাচ্চা নেইনি। তারপর এই সার্কুলারে আবেদন করার কারণে বাচ্চা নেইনি। তারপর যখন রিটেন দিয়ে টিকে যাই এবং ভাইভা দিই; এরপর তো বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতেও পারিনি। এই কারণে যে হয়তো আমার চাকরিটা হয়ে যাবে। তারপর যখন ভাইভা দেওয়ার পর সাত মাস কেটে গেল, ওনারা রেজাল্ট দিচ্ছিলেন না। তারপর আমরা বারবার আন্দোলন করেছি। তখন ওনারা বিষয়টি দেখে ওই শর্ত বাতিল করেছে। এর আগে আমাদের সাড়ে তিন বছর জীবন থেকে চলে গেছে। ওনারা এখন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ বাতিল করছে। ওনারা কি আমাদের চারটি বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন! আমরা চাকরির আশায় এত দিন বাচ্চা নেইনি। এখন আমাদের বাচ্চা নিতে সমস্যা হচ্ছে। তাহলে এই দায়ভার কেন আমরা চাকরিপ্রার্থীরা নেব?’
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ৩০ হয়ে গেছে। আমার চাকরির বয়স শেষ। আমি বাচ্চাও নিলাম না। এই নিয়োগটা বাতিল করে মেয়েদের জন্য একটি হতাশাজনক বার্তা দিচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। ওনারা নিয়োগ যদি বাতিলই করবে, তাহলে এক বছরের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করত! চার বছর কেন নিল? আমাদের এই চারটা বছর কে ফিরিয়ে দেবে?’
চাকরির আশায় গর্ভপাত করিয়েছেন জামালপুরের এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমার একটি বাচ্চা আছে। বয়স ১০ বছর। ২০১৪ সালে ওর জন্ম। ২০১৯ সালে বাচ্চা নিতে চেয়েছিলাম। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কনসিভ করি। দুই মাস পর মার্চে সার্কুলার হয়। পরে অ্যাবরশন করে ফেলি। পরে অক্লান্ত পরিশ্রম করি। যে কারণে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করি। ভাইভা পরীক্ষায়ও আমি ভালো করেছি। আমাকে ১২টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমি ৮টি প্রশ্নের উত্তর ভালো করে দিয়েছি। একটির উত্তর মোটামুটি দিয়েছি। আমি আশাবাদী যে চাকরিটা আমার হবে। এখন তীরে এসে তরি ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন আমি কী করব? আমার ৩০ বছর শেষ হয়েছে ২০২০ সালের নভেম্বরে। এ চাকরিটা পাওয়ার আশায় বাচ্চাটা অ্যাবরশন করলাম। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলো। তাদের (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর) অযৌক্তিক শর্ত পালন করতে গিয়ে আমার এই সমস্যাগুলো হয়েছে। এই নিয়োগটা বাতিল করায় পরিবারে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আছি। নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি।’
জামালপুরের এই নারী বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এখন নিয়োগটা বাতিল করছে। দুর্নীতি করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করেছেন। তাঁদের শাস্তি হোক। আমরা কেন শাস্তি পাব? আমরা চাই, নিয়োগ বাতিলের যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে আমাদের ফল প্রকাশ করা হোক।’

আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১১ অক্টোবর ‘মা না হওয়ার’ শর্ত বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সরকারি চাকরির আশায় অনেক নারী সন্তান নেননি, কেউ গর্ভপাত করিয়েছেন, অনেকের স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, সন্তান না নেওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিক গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে অনেককে। পারিবারিক চাপ সত্ত্বেও অনেকে বিয়ে পিছিয়েছেন। চার বছর পর হঠাৎ নিয়োগ বাতিল করায় সাত হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী এখন চরম হতাশায় ভুগছেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
সারা দেশে এমন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে আজকের পত্রিকার সরাসরি এবং মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন এই চার বছরের করুণ অভিজ্ঞতার কথা।

খুলনা বিভাগের এক চাকরিপ্রার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি চাকরির আশায় আমরা লাইফটাই শেষ! খুলনা অঞ্চলে বাড়ি হলেও এখন থাকতে হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফে, অনেকটা একা। কাজ করছি একটি বেসরকারি সংস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সার্কুলারটা হয় ২০২০ সালে মার্চে এবং আমার বিয়ে হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে। পরিবার থেকে আমাকে বিয়ে দেয়। আমার ভাই নাই। বাসায় আমার বৃদ্ধ মা, বাবা ও ছোট দুই বোন আছে। অভাবের সংসার। পরিবারের পুরো দায়িত্ব আমার ওপর। মা-বাবা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। পড়ালেখা করতে গিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। হোস্টেলে এক বেলার ভাত দুই বেলা খাইছি। কখনো এক দিনের ভাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে নষ্ট না করে পরের দিন খাইছি। আমি তিন-চারটা ভাইভা পরীক্ষা দিয়েছি। সরকারি চাকরি হয়নি। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যখন বিয়ে হয়, করোনার মধ্যে আমি আবেদন করেছিলাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করার জন্য। ২৭ সেপ্টেম্বর চাকরিটা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ের পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ি যাই। আর ২৫ সেপ্টেম্বর হাতের মেহেদির লাল দাগ নিয়ে উখিয়া-টেকনাফে চলে আসি চাকরিতে যোগ দিতে। বিয়ের আগে শুনেছি, আমার স্বামী ব্যবসা করে। করোনার কারণে নাকি তার ব্যবসা মাইর গেছে। সে বর্তমানে বেকার। সংসার রেখে আমি চলে এসেছি টেকনাফে। সার্কুলার হলেই আমি আবেদন করতাম এবং চেষ্টা করতাম পড়াশোনার।’
‘এদিকে শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে চাপ দেয় বাচ্চা নেওয়ার জন্য। আমি বাচ্চা নেই না। কারণ, চাকরিতে শর্ত আছে, বাচ্চা নেওয়া যাবে না। আমি স্বামীকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। বাচ্চা কয়েক দিন পরেও নেওয়া যাবে। চাকরিটা যদি হয়। এটা আমার জীবনের শেষ সরকারি চাকরির আবেদন। একটা পর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলতে শুরু করল, এই মেয়ে সংসার করবে না। অন্য কারও সঙ্গে হয়তো সম্পর্ক আছে। এই মেয়ে চলে যাবে। যে কারণে বাচ্চা নিচ্ছে না। এই অপবাদও আমি নিয়েছি। এভাবে সময় পার করছিলাম। ২০২৩ সালে পরীক্ষা হলো। এর মধ্যে বাচ্চা কনসিভ হয়। যখন পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়, তখন গর্ভের বয়স ছয় মাস। রিটেন পরীক্ষায় আমার রোল নম্বর চলে আসলে, আমি মেডিসিন খেয়ে ছয় মাসের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলি। শ্বশুরবাড়ি, বাপের বাড়ির কাউকে বলি না। বলি, আমি পড়ে গিয়েছিলাম। মিসক্যারেজ হয়ে গেছে। ওদিকে স্বামী বেকার। বাবা-মাকে দেখতে হয়। বাচ্চার জন্য যদি আমার চাকরি না হয়! অ্যাবরশন হওয়ার পর অনেক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। বাচ্চা না নেওয়ায় স্বামীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হয়। স্বামীর সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ নেই। পাঁচ মাস আগে স্বামীর সঙ্গে শেষ একবার যোগাযোগ হয়েছে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। আমরা সেপারেশনে যাব এ রকম অবস্থায় আছি, সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি।’
তিনি ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে বলেন, ‘এখন চার বছর পর নিয়োগ বাতিল করল। আমি এখন কী করব! আমার বাচ্চা গেল, স্বামী গেল! এখন স্বামীর সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগও নেই। এদিকে আমার বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। আমার কথা, যারা দুর্নীতি করেছে বা যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য আমি সবকিছু কেন হারাব। নোটিশ বাতিল করে আমাদের ভাইভার ফল প্রকাশ করা হোক।’
অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না—এমন শর্ত দিয়ে ২০২০ সালে ১০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। সেখানে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে ১ হাজার ৮০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
তিন লাখের বেশি নারী ওই পদের জন্য আবেদন করেন। আর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয় তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ১১ মে। পরে ১৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের পর্যবেক্ষণ ও পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন-সংক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির ১১ জানুয়ারির সভার মতামত/সিদ্ধান্তের আলোকে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করা হলো। প্রার্থীদের আবারও লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ভুক্তভোগী কয়েকজন।
হাইকোর্টে রিট
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা পরিপত্র কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বাস্থ্যসচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ চার বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চার নিয়োগপ্রত্যাশীর রিটে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) এই রুল জারি করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ জবাব দিক বা না দিক, ওই দিন শুনানি হবে। ২০২০ সালে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সাড়ে তিন বছর পর এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ না করে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, ওই (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) পদে নিয়োগের আগে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ করতে হয়। ইতিমধ্যে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার ১৫ কোটি টাকার মতো ব্যয় করেছে, আমরা রিটে উল্লেখ করেছি। এখন আবার লিখিত পরীক্ষা হলে আবার ব্যয় হবে। আর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিয়োগ পেতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে নিয়োগপ্রত্যাশীদের।’
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার আগে থেকে সারা দেশে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ২ হাজার ৬৭৬টি শূন্য ছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১ হাজার ৮০টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। এই জবটা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এরা (পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা) প্রসূতি মায়েদের সেবা প্রদান করে থাকে। এদের কারণে সরকার মাতৃমৃত্যু, প্রসূতিমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমাতে পেরেছে। এই জায়গাটায় সাকসেস আছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। এই জায়গায় পাবলিক ইন্টারেস্ট আছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ইন্টারেস্ট আছে। তিনি বলেন, কোনো কথাবার্তা নাই, সচিব পরিবর্তনে হঠাৎ মনে হলো রিটেন নেবে। যদি রিটেন নেয়, তাহলে ভাইভা নিল কেন? রিটেনে গন্ডগোল, তাহলে তখনই বাতিল করত। তাঁর প্রশ্ন, রিটেন পরীক্ষায় দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তাহলে কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’
একই ভুক্তভোগী পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ছিটমহলের বাসিন্দা ফৌজিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাই। এর আগে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আমাদের আবেদন করার কোনো সুযোগ ছিল না। নাগরিকত্ব লাভের পর সরকারি একাধিক চাকরিতে আবেদন করে তিনটিতে ভাইভায় অংশ নিই। আগের দুটিতে চাকরি হয়নি। পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) পদে ছিল সরকারি চাকরির জন্য আমার শেষ ভাইভা পরীক্ষা। এরই মধ্যে বয়স ৩০ শেষ হয়েছে। তাই সরকারি চাকরিতে আবেদন করার আর কোনো সুযোগও নেই। এফডব্লিউভি পদে নিয়োগের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না বলে একটি শর্ত দেওয়া ছিল। যে কারণে বিয়ে করিনি। যখন আবেদন করি তখন বয়স ২৭ বছর ছিল, এখন ৩০ বছরের বেশি। হঠাৎ নিয়োগ বাতিল করায় আমি হতাশ। আমি এখন কী করব জানি না। আমি পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের এই নোটিশ মানি না।’
জয়পুরহাটের একজন প্রার্থী চাকরির আশায় বিয়ের আট বছরেও সন্তান নেননি। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার বিয়ে হয়। এরপর স্বামী-সংসার সামাল দিয়ে সরকারি চাকরির আশায় পড়ালেখা করি। ২০২০ সালের মার্চে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা পদে সার্কুলার হলে গত চার বছর আমরা বাচ্চা নিইনি। কেননা, যদি বাচ্চা কনসিভ করি, আর যদি চাকরির পরীক্ষা হয়ে যায়, আর যদি টিকে যাই, তাহলে গর্ভধারণের কারণে চাকরি থেকে বাদ পড়ব। এ কারণে আমরা বাচ্চা নেইনি।’
পরিচিত অনেক প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকে ভাইভা ভালো দিয়েছে। যে কারণে বাচ্চা নষ্ট করেছে।’ নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে আট বছর হয়েছে। প্রথম দিকে সরকারি চাকরির আশায় পড়াশোনার কারণে বাচ্চা নেইনি। তারপর এই সার্কুলারে আবেদন করার কারণে বাচ্চা নেইনি। তারপর যখন রিটেন দিয়ে টিকে যাই এবং ভাইভা দিই; এরপর তো বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতেও পারিনি। এই কারণে যে হয়তো আমার চাকরিটা হয়ে যাবে। তারপর যখন ভাইভা দেওয়ার পর সাত মাস কেটে গেল, ওনারা রেজাল্ট দিচ্ছিলেন না। তারপর আমরা বারবার আন্দোলন করেছি। তখন ওনারা বিষয়টি দেখে ওই শর্ত বাতিল করেছে। এর আগে আমাদের সাড়ে তিন বছর জীবন থেকে চলে গেছে। ওনারা এখন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ বাতিল করছে। ওনারা কি আমাদের চারটি বছর ফিরিয়ে দিতে পারবেন! আমরা চাকরির আশায় এত দিন বাচ্চা নেইনি। এখন আমাদের বাচ্চা নিতে সমস্যা হচ্ছে। তাহলে এই দায়ভার কেন আমরা চাকরিপ্রার্থীরা নেব?’
ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ৩০ হয়ে গেছে। আমার চাকরির বয়স শেষ। আমি বাচ্চাও নিলাম না। এই নিয়োগটা বাতিল করে মেয়েদের জন্য একটি হতাশাজনক বার্তা দিচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। ওনারা নিয়োগ যদি বাতিলই করবে, তাহলে এক বছরের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করত! চার বছর কেন নিল? আমাদের এই চারটা বছর কে ফিরিয়ে দেবে?’
চাকরির আশায় গর্ভপাত করিয়েছেন জামালপুরের এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমার একটি বাচ্চা আছে। বয়স ১০ বছর। ২০১৪ সালে ওর জন্ম। ২০১৯ সালে বাচ্চা নিতে চেয়েছিলাম। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কনসিভ করি। দুই মাস পর মার্চে সার্কুলার হয়। পরে অ্যাবরশন করে ফেলি। পরে অক্লান্ত পরিশ্রম করি। যে কারণে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করি। ভাইভা পরীক্ষায়ও আমি ভালো করেছি। আমাকে ১২টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আমি ৮টি প্রশ্নের উত্তর ভালো করে দিয়েছি। একটির উত্তর মোটামুটি দিয়েছি। আমি আশাবাদী যে চাকরিটা আমার হবে। এখন তীরে এসে তরি ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন আমি কী করব? আমার ৩০ বছর শেষ হয়েছে ২০২০ সালের নভেম্বরে। এ চাকরিটা পাওয়ার আশায় বাচ্চাটা অ্যাবরশন করলাম। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলো। তাদের (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর) অযৌক্তিক শর্ত পালন করতে গিয়ে আমার এই সমস্যাগুলো হয়েছে। এই নিয়োগটা বাতিল করায় পরিবারে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আছি। নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি।’
জামালপুরের এই নারী বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এখন নিয়োগটা বাতিল করছে। দুর্নীতি করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করেছেন। তাঁদের শাস্তি হোক। আমরা কেন শাস্তি পাব? আমরা চাই, নিয়োগ বাতিলের যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে আমাদের ফল প্রকাশ করা হোক।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রার্থীদের পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে পুলিশ বলেছে, প্রার্থীর ঝুঁকি বিবেচনায় ‘ক্যাটাগরি করে’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলি করে দু্র্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর ওপর প্রকাশ্যে হামলার ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। প্রচারে নিরাপত্তাঝুঁকি ও শঙ্কার কথাও বলছেন অনেকে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ কম হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।
অবশ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিধান করা হবে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ও ঝুঁকিতে আছেন মনে করেন, তিনি পুলিশের কাছে আসবেন, আমরা তাঁর ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, পারিবারিক ও নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই কারণে সরে যাচ্ছি।’
তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থী, ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগেও নেমেছিলেন। কিন্তু হাদির ওপর হামলার পর তাঁরা মাঠে নামতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে এখন প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
জানতে চাইলে গতকাল কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী আমির হামজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার পর আমরা সতর্ক রয়েছি। পুলিশ সুপার, ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা হয়তো সামনে নিরাপত্তা দেবে। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকায় এখন বাইরে কোথাও যাই না। এখন যখনই কোথাও যাই, অন্তত ১৫ জন সঙ্গে নিয়ে যাই।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনে করছেন, বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এনসিপির প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধারা। হাদি সম্মুখসারির জুলাই যোদ্ধা। এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
নরসিংদী-২ আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে আমরা ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।’
এর আগে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে বিএনপির প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত এবং এরশাদউল্লাহসহ দুজন আহত হন। বাবলাকে হত্যার জন্য ওই হামলা হলেও আতঙ্ক ছড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে হাদির ওপর হামলার পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন। সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং তাঁদের জন্য সশস্ত্র ব্যক্তি (রিটেইনার) নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪।
সূত্র জানায়, রোববার ও সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে করণীয় ঠিক করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। করণীয় ঠিক করতে প্রতিটি রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন আইজিপি।
তবে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, অদৃশ্য একটি ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, অনেকেই নির্বাচন করতে দিতে চাইছে না। স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা এখনো সক্রিয়। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে, এটি আরও ভয় তৈরি করছে।
একই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ফয়জুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বস্তি বোধ করছেন না। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ঝুঁকি বিবেচনায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিশ্চিত করা হবে। এগুলো হলো, অতিঝুঁকিতে, মাঝারি ঝুঁকিতে ও কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেক প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করে, যেভাবে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেই অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, যা নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রনেতা, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষকসহ আরও কয়েকটি শ্রেণির ব্যক্তিও এই নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতিমধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ চলছে।
যেসব প্রার্থীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি, তাঁরা সার্বক্ষণিক গানম্যান পাবেন। প্রয়োজনে বাসা ও অফিসে স্থায়ীভাবে গানম্যান নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে জুলাই যোদ্ধা ও অতিঝুঁকিতে থাকা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল্যায়নে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলে প্রার্থীরা নিজেরা সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতে পারবেন, না পারলে পুলিশের পক্ষ থেকে দেহরক্ষী দেওয়া হবে। বাসা, অফিস ও যাতায়াতের সময় এ নিরাপত্তা কার্যকর থাকবে।
ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও চলাচলের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে আগাম জানাতে বলা হয়েছে, যাতে পুলিশ আগে থেকেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিতে পারে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং থানার সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি সমন্বিত ‘নিরাপত্তা প্রটোকল’ তৈরি করছে, যেখানে প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা থাকবে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সব ইউনিট ও থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিরাপদবোধ করলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেউ ক্ষমতা চায়। তাই দেশে এই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের যেমন দায় রয়েছে, তেমনি নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোরও উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সদাচরণ করতে হবে। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রার্থীদের পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে পুলিশ বলেছে, প্রার্থীর ঝুঁকি বিবেচনায় ‘ক্যাটাগরি করে’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলি করে দু্র্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর ওপর প্রকাশ্যে হামলার ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। প্রচারে নিরাপত্তাঝুঁকি ও শঙ্কার কথাও বলছেন অনেকে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ কম হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।
অবশ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিধান করা হবে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ও ঝুঁকিতে আছেন মনে করেন, তিনি পুলিশের কাছে আসবেন, আমরা তাঁর ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, পারিবারিক ও নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই কারণে সরে যাচ্ছি।’
তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থী, ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগেও নেমেছিলেন। কিন্তু হাদির ওপর হামলার পর তাঁরা মাঠে নামতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে এখন প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
জানতে চাইলে গতকাল কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী আমির হামজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার পর আমরা সতর্ক রয়েছি। পুলিশ সুপার, ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা হয়তো সামনে নিরাপত্তা দেবে। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকায় এখন বাইরে কোথাও যাই না। এখন যখনই কোথাও যাই, অন্তত ১৫ জন সঙ্গে নিয়ে যাই।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনে করছেন, বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এনসিপির প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধারা। হাদি সম্মুখসারির জুলাই যোদ্ধা। এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
নরসিংদী-২ আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে আমরা ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।’
এর আগে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে বিএনপির প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত এবং এরশাদউল্লাহসহ দুজন আহত হন। বাবলাকে হত্যার জন্য ওই হামলা হলেও আতঙ্ক ছড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে হাদির ওপর হামলার পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন। সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং তাঁদের জন্য সশস্ত্র ব্যক্তি (রিটেইনার) নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪।
সূত্র জানায়, রোববার ও সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে করণীয় ঠিক করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। করণীয় ঠিক করতে প্রতিটি রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন আইজিপি।
তবে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, অদৃশ্য একটি ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, অনেকেই নির্বাচন করতে দিতে চাইছে না। স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা এখনো সক্রিয়। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে, এটি আরও ভয় তৈরি করছে।
একই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ফয়জুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বস্তি বোধ করছেন না। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ঝুঁকি বিবেচনায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিশ্চিত করা হবে। এগুলো হলো, অতিঝুঁকিতে, মাঝারি ঝুঁকিতে ও কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেক প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করে, যেভাবে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেই অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, যা নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রনেতা, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষকসহ আরও কয়েকটি শ্রেণির ব্যক্তিও এই নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতিমধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ চলছে।
যেসব প্রার্থীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি, তাঁরা সার্বক্ষণিক গানম্যান পাবেন। প্রয়োজনে বাসা ও অফিসে স্থায়ীভাবে গানম্যান নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে জুলাই যোদ্ধা ও অতিঝুঁকিতে থাকা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল্যায়নে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলে প্রার্থীরা নিজেরা সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতে পারবেন, না পারলে পুলিশের পক্ষ থেকে দেহরক্ষী দেওয়া হবে। বাসা, অফিস ও যাতায়াতের সময় এ নিরাপত্তা কার্যকর থাকবে।
ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও চলাচলের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে আগাম জানাতে বলা হয়েছে, যাতে পুলিশ আগে থেকেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিতে পারে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং থানার সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি সমন্বিত ‘নিরাপত্তা প্রটোকল’ তৈরি করছে, যেখানে প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা থাকবে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সব ইউনিট ও থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিরাপদবোধ করলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেউ ক্ষমতা চায়। তাই দেশে এই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের যেমন দায় রয়েছে, তেমনি নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোরও উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সদাচরণ করতে হবে। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেস্মৃতিসৌধে জনতার ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, সাভার

মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে বিজয়ের গান, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্র হয়।
স্বাধীনতার ৫৫তম বছরে প্রবেশের এই ঐতিহাসিক দিনে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে দেশকে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।’
সাভারের উত্তরপাড়া থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন কলেজছাত্র বিশাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
ব্যবসায়ী সুমন ঘোষ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আজও আমাদের প্রেরণা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াত ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের শান্তি কামনা করেনি, এমনকি এখনো করে না। তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এখনো চায় না। তারা চায় দেশটা একটা বিপাকে পড়ুক, একটা খারাপ অবস্থায় চলে যাক, অশান্তিময় থাকুক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার ও পুলিশের ওপর নির্ভর করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। আমাদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণসংহতি আন্দোলন প্রভৃতি দলও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন থেকে আমরা স্বাধীন হলাম, তখন থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটা গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার। অনেক বছর পর এখন আবার মনে হচ্ছে, ওই জিনিসগুলো আমরা অর্জন করতে পারিনি। পারিনি বলেই তো গণ-অভ্যুত্থান হলো, বিপ্লব হলো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ় করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে এলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
এদিকে বিজয় দিবস ঘিরে সাভারে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ এবং বাইপাইল থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগের পর সড়কের ওই অংশে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে বিজয়ের গান, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্র হয়।
স্বাধীনতার ৫৫তম বছরে প্রবেশের এই ঐতিহাসিক দিনে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে দেশকে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।’
সাভারের উত্তরপাড়া থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন কলেজছাত্র বিশাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
ব্যবসায়ী সুমন ঘোষ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আজও আমাদের প্রেরণা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াত ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের শান্তি কামনা করেনি, এমনকি এখনো করে না। তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এখনো চায় না। তারা চায় দেশটা একটা বিপাকে পড়ুক, একটা খারাপ অবস্থায় চলে যাক, অশান্তিময় থাকুক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার ও পুলিশের ওপর নির্ভর করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। আমাদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণসংহতি আন্দোলন প্রভৃতি দলও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন থেকে আমরা স্বাধীন হলাম, তখন থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটা গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার। অনেক বছর পর এখন আবার মনে হচ্ছে, ওই জিনিসগুলো আমরা অর্জন করতে পারিনি। পারিনি বলেই তো গণ-অভ্যুত্থান হলো, বিপ্লব হলো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ় করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে এলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
এদিকে বিজয় দিবস ঘিরে সাভারে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ এবং বাইপাইল থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগের পর সড়কের ওই অংশে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকামিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন উদীচী সংগীত বিভাগের শিল্পীরা। তাঁরা পরিবেশন করেন—‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’, ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘গেরিলা আমরা, আমরা গেরিলা’, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’সহ বেশ কিছু গান। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
সমাবেশে মাহমুদ সেলিম বলেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থামায়নি। তারা মুক্তিযুদ্ধের নিত্যনতুন ইতিহাস তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মিথ্যাবাদী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে না দিতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। এসব অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মাহমুদ সেলিম।
মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে মুক্তি, আত্মত্যাগ ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য পতাকামিছিল ও মুক্তির গান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য, মানবিকতা ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’
এর আগে, বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।

মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকামিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন উদীচী সংগীত বিভাগের শিল্পীরা। তাঁরা পরিবেশন করেন—‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’, ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘গেরিলা আমরা, আমরা গেরিলা’, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’সহ বেশ কিছু গান। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
সমাবেশে মাহমুদ সেলিম বলেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থামায়নি। তারা মুক্তিযুদ্ধের নিত্যনতুন ইতিহাস তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মিথ্যাবাদী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে না দিতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। এসব অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মাহমুদ সেলিম।
মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে মুক্তি, আত্মত্যাগ ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য পতাকামিছিল ও মুক্তির গান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য, মানবিকতা ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’
এর আগে, বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।

আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেমহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারা জাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বিজয় দিবস উদ্যাপনে নানা আয়োজন নিয়ে এই ছবির গল্প:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

























আবেদনের যোগ্যতায় ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়া যাবে না’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর চার বছর আগে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তিন বছর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে