বিভুরঞ্জন সরকার

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, সেই হবে—তাদের মুখে ছাই পড়েছে। সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না।’ বিদায়ী বছরের বিভিন্ন সময় কত ধরনের গুজব ও আশঙ্কার কথাই তো ছড়ানো হয়েছে, কিন্তু বড় কোনো অঘটন বা ধাক্কা ছাড়াই আমরা বছরটি বিদায় করতে পারছি। নতুন বছর সামনে রেখে, বিশেষ করে বছরের শুরুতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তার ফলাফল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ কত নেতিবাচক প্রচারণাই না চলছে। এসব কুডাকা পাখিদের মুখেও ছাই পড়বে, এটা বলা যায় অতীত অভিজ্ঞতার আলোকেই। তা ছাড়া বাংলায় কথা আছে, শকুনের অভিশাপে...।
দুই বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে (এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে গাজায় নৃশংসতা) পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রমের (ইউএনডিপি) প্রধান আখিম স্টেইনার এক বছর আগেই বলেছিলেন, বিশ্বের ৫৪টি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেও ব্যক্ত করেছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় দাম বাড়ছে। পৃথিবী যেহেতু এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি, সেহেতু খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাদ্যসংকটের কথাটি সামনে আসে। খাদ্য এমন একটি অতিজরুরি দ্রব্য, যা প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। খাদ্যের মতো এমন জরুরি জিনিস নিয়ে যে রাজনীতি হয় না, তা-ও নয়। বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও খাদ্যসংকটের আগাম আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তখন খাদ্য নিয়ে অপপ্রচার ও রাজনীতি থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বক্তৃতায় খাদ্যসংকটের ইঙ্গিত দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ কথা কখনো বলেননি যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে; বরং তিনি এটাই বলেছেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের আছে। তিনি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে বলেছেন।
এটা ঠিক যে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হবেই। আমরা খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। চাল-গমসহ যা যা আমদানি করতে হয়, বিশ্বে তার উৎপাদন কমে গেলে আমরা তো সংকটে পড়তেই পারি। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির চরম অবস্থা যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। মানুষ কর্মহীন হচ্ছে, গরিব হচ্ছে। আয়-ব্যয়ের বিরাট ব্যবধানে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে কোনো অবস্থায়ই স্বাভাবিক বলা যাবে না।
বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য। সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন (৪৫০ কোটি) ডলার ঋণ করেছে বাংলাদেশ। এই অর্থ অবশ্য একবারে পাওয়া যাবে না, তিন বছরে পাওয়া যাবে। এই ঋণচুক্তির সময় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট কনসালট্যান্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, আইএমএফের সঙ্গে এ ধরনের ঋণচুক্তি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ থাকলে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মাথা খাটাবে না।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমানও বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের স্বস্তি নিয়ে আসবে। যদিও অর্থের অঙ্কে এই ঋণ তেমন বড় কিছু নয়। তবে এ ঋণ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া আইএমএফের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হওয়ার খবরে একধরনের বার্তা আছে। এটি বহুপক্ষীয় অন্য সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করবে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের বাজেট সহায়তা দিতে উৎসাহিত হবে। বাজেট সহায়তাও কিন্তু রিজার্ভে যোগ হয়, সেদিক থেকে এর গুরুত্ব আছে।
আইএমএফের ঋণ পাওয়াকে অর্থনীতিবিদেরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও রাজনৈতিকভাবে যাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে, তাঁরা এতে হতাশ হয়েছেন হয়তো। কোনো ঘটনা সরকারের পক্ষে গেলে তাতে বিএনপির গা জ্বলে। কারণ বিএনপি তো সারাক্ষণ ক্ষমতাসীন দলের পতনধ্বনি ছাড়া আর কিছুই শুনতে পায় না। দেশের অর্থনীতি বেহাল হলে তাতে যে খুশি হওয়ার কিছু থাকে না, এটাও এখন বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা ভুলে বসে আছে। তবে সরকারের জন্য আত্মতুষ্টির কিছু নেই। সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপের কারণে যে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে, এটা মানতেই হবে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রীকে মাঝেমাঝেই কথা বলতে হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাফিয়ে লাফিয়ে ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়া সরকারের জন্য ভালো নয়। মানুষের কল্যাণের কথা বলে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়ার নীতি থেকে সরকারকে সরে আসতেই হবে।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় নিজেদের দাতা সংস্থা হিসেবে জাহির করত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাতা হওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অভিধা অত্যন্ত যৌক্তিক। কেননা, বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকে মালিকানা রয়েছে, প্রতিবছর চাঁদা দিয়ে সংস্থাটির তহবিল বৃদ্ধি করে থাকে। আর আইএমএফ বা অন্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণে অর্থ নিলেও আসলসহ বিপুল পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হয়। তারা তো দান করে না। সাধারণত এদের কাছে ঋণ চাইতে গেলেই নানা শর্ত নিয়ে চলে আলোচনা। এগুলো সম্মানজনক নয়।
অনেকেই এটা মনে করেন যে লুটপাট বন্ধ হলে সামান্য ঋণের জন্য আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন হয়তো হতো না। আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংক টাকা দিলেই খুশিতে বগল না বাজিয়ে সরকারের উচিত হবে আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে দৃঢ়তা দেখানো। যদি বৈষম্য কমানোর পথে সরকার না হাঁটে, তাহলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেলেও মানুষের জীবন থেকে সংকট কাটবে না।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য আছে, অগ্রগতি আছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে আর দুর্যোগ-দুর্বিপাকের দেশ হিসেবে পরিচিত নয়। বাংলাদেশ এখন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দেশে দেশে ছোটাছুটি করে না। সামাজিক ও মানব উন্নয়নের অনেক সূচকে বাংলাদেশ এখন অনেক সমৃদ্ধ দেশকেও টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা দেখাতে পারছে। নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ অনেকেই বাংলাদেশের অগ্রগতির, সাফল্যের মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ এখন আর দুর্বল অর্থনীতির দেশ নয়। মানুষের গড় আয় বেড়েছে। আয়ু বেড়েছে। শিক্ষিতের হার বেড়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে। এসব অর্জনকে যাঁরা দেখতে চান না, তাঁরা একদেশদর্শী। তাঁদের সঙ্গে বিতর্ক করা অর্থহীন।
তবে এটাও ঠিক যে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। আরও অনেক সমস্যারই স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষ আছে। এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার সুযোগবঞ্চিত। উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিশেষায়িত শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। শিক্ষার মান নিয়ে আছে প্রশ্ন ও সমালোচনা।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুশাসনের ক্ষেত্রে। আমরা কেন যেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গোষ্ঠী ও দলপ্রীতির বাইরে যেতে পারি না। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, যারা ক্ষমতার রাজনীতি করে, তারা ক্ষমতার বাইরে থাকতে যেসব কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে তার উল্টোটা চর্চা করে। এটা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেলায় যেমন সত্য, তেমনি অতীতে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির বেলায়ও সত্য। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তনটা আনবে কে? যারা খারাপটা চর্চা করছে, তারা ভালোটা আনবে মনে করে বসে থাকলে হবে না। এখন আওয়ামী লীগের শাসন অনেকের ভালো লাগছে না। ঠিক আছে, আওয়ামী লীগকে ভোটে পরাজিত করে তার চেয়ে ভালো একটি দলকে ক্ষমতায় আনার সুযোগ কি আমাদের দেশে আছে? আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি হতে পারে না। বিএনপি কেমন দল, তারা কী করতে পারে, সে প্রমাণ অতীতে তারা দিয়েছে। আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে একটি রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয় জরুরি, বলা যায় এটা এখন সময়ের দাবি। কিন্তু সমাজের কোনো দিক থেকেই তেমন কোনো আয়োজন বা উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এবার নির্বাচনের পর রাজনীতি মেরামতের কোনো উদ্যোগ কি কোনো পক্ষ থেকে নেওয়া হবে? খতম আর পতন চাওয়ার ধারা থেকে রাজনীতি মুক্ত না হলে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে না। আমরা ‘বাহির পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয় পানে চাইনি’। এবার হৃদয় পানে চাওয়ার বিষয়টি কি রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে?
বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, সেই হবে—তাদের মুখে ছাই পড়েছে। সেটা হয়নি, ইনশা আল্লাহ হবেও না।’ বিদায়ী বছরের বিভিন্ন সময় কত ধরনের গুজব ও আশঙ্কার কথাই তো ছড়ানো হয়েছে, কিন্তু বড় কোনো অঘটন বা ধাক্কা ছাড়াই আমরা বছরটি বিদায় করতে পারছি। নতুন বছর সামনে রেখে, বিশেষ করে বছরের শুরুতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তার ফলাফল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ কত নেতিবাচক প্রচারণাই না চলছে। এসব কুডাকা পাখিদের মুখেও ছাই পড়বে, এটা বলা যায় অতীত অভিজ্ঞতার আলোকেই। তা ছাড়া বাংলায় কথা আছে, শকুনের অভিশাপে...।
দুই বছরের করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে (এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে গাজায় নৃশংসতা) পৃথিবীজুড়ে ভয়াবহ এক সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কার্যক্রমের (ইউএনডিপি) প্রধান আখিম স্টেইনার এক বছর আগেই বলেছিলেন, বিশ্বের ৫৪টি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেও ব্যক্ত করেছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় দাম বাড়ছে। পৃথিবী যেহেতু এখনো পুরোপুরি ক্ষুধামুক্ত হয়নি, সেহেতু খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাদ্যসংকটের কথাটি সামনে আসে। খাদ্য এমন একটি অতিজরুরি দ্রব্য, যা প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। খাদ্যের মতো এমন জরুরি জিনিস নিয়ে যে রাজনীতি হয় না, তা-ও নয়। বিশ্বব্যাপী যখন অর্থনৈতিক, জ্বালানি ও খাদ্যসংকটের আগাম আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তখন খাদ্য নিয়ে অপপ্রচার ও রাজনীতি থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক বক্তৃতায় খাদ্যসংকটের ইঙ্গিত দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ কথা কখনো বলেননি যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে; বরং তিনি এটাই বলেছেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা আমাদের আছে। তিনি বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনতে বলেছেন।
এটা ঠিক যে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে গেলে পরিস্থিতি খারাপ হবেই। আমরা খাদ্য উৎপাদনে এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়। চাল-গমসহ যা যা আমদানি করতে হয়, বিশ্বে তার উৎপাদন কমে গেলে আমরা তো সংকটে পড়তেই পারি। তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়েই অর্থনীতির চরম অবস্থা যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। মানুষ কর্মহীন হচ্ছে, গরিব হচ্ছে। আয়-ব্যয়ের বিরাট ব্যবধানে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে কোনো অবস্থায়ই স্বাভাবিক বলা যাবে না।
বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য। সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন (৪৫০ কোটি) ডলার ঋণ করেছে বাংলাদেশ। এই অর্থ অবশ্য একবারে পাওয়া যাবে না, তিন বছরে পাওয়া যাবে। এই ঋণচুক্তির সময় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট কনসালট্যান্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, আইএমএফের সঙ্গে এ ধরনের ঋণচুক্তি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ থাকলে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে মাথা খাটাবে না।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমানও বলেছিলেন, আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের স্বস্তি নিয়ে আসবে। যদিও অর্থের অঙ্কে এই ঋণ তেমন বড় কিছু নয়। তবে এ ঋণ বাংলাদেশের লেনদেনের ভারসাম্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া আইএমএফের ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হওয়ার খবরে একধরনের বার্তা আছে। এটি বহুপক্ষীয় অন্য সংস্থাগুলোকে আশ্বস্ত করবে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের বাজেট সহায়তা দিতে উৎসাহিত হবে। বাজেট সহায়তাও কিন্তু রিজার্ভে যোগ হয়, সেদিক থেকে এর গুরুত্ব আছে।
আইএমএফের ঋণ পাওয়াকে অর্থনীতিবিদেরা ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও রাজনৈতিকভাবে যাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে, তাঁরা এতে হতাশ হয়েছেন হয়তো। কোনো ঘটনা সরকারের পক্ষে গেলে তাতে বিএনপির গা জ্বলে। কারণ বিএনপি তো সারাক্ষণ ক্ষমতাসীন দলের পতনধ্বনি ছাড়া আর কিছুই শুনতে পায় না। দেশের অর্থনীতি বেহাল হলে তাতে যে খুশি হওয়ার কিছু থাকে না, এটাও এখন বিএনপিসহ সরকারবিরোধীরা ভুলে বসে আছে। তবে সরকারের জন্য আত্মতুষ্টির কিছু নেই। সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপের কারণে যে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে, এটা মানতেই হবে। রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রীকে মাঝেমাঝেই কথা বলতে হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাফিয়ে লাফিয়ে ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়া সরকারের জন্য ভালো নয়। মানুষের কল্যাণের কথা বলে কিছু অসৎ ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়ার নীতি থেকে সরকারকে সরে আসতেই হবে।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় নিজেদের দাতা সংস্থা হিসেবে জাহির করত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দাতা হওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রথমবারের মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অভিধা অত্যন্ত যৌক্তিক। কেননা, বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংকে মালিকানা রয়েছে, প্রতিবছর চাঁদা দিয়ে সংস্থাটির তহবিল বৃদ্ধি করে থাকে। আর আইএমএফ বা অন্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণে অর্থ নিলেও আসলসহ বিপুল পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হয়। তারা তো দান করে না। সাধারণত এদের কাছে ঋণ চাইতে গেলেই নানা শর্ত নিয়ে চলে আলোচনা। এগুলো সম্মানজনক নয়।
অনেকেই এটা মনে করেন যে লুটপাট বন্ধ হলে সামান্য ঋণের জন্য আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন হয়তো হতো না। আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংক টাকা দিলেই খুশিতে বগল না বাজিয়ে সরকারের উচিত হবে আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে দৃঢ়তা দেখানো। যদি বৈষম্য কমানোর পথে সরকার না হাঁটে, তাহলে দুর্ভিক্ষ এড়ানো গেলেও মানুষের জীবন থেকে সংকট কাটবে না।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য আছে, অগ্রগতি আছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে আর দুর্যোগ-দুর্বিপাকের দেশ হিসেবে পরিচিত নয়। বাংলাদেশ এখন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দেশে দেশে ছোটাছুটি করে না। সামাজিক ও মানব উন্নয়নের অনেক সূচকে বাংলাদেশ এখন অনেক সমৃদ্ধ দেশকেও টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা দেখাতে পারছে। নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ অনেকেই বাংলাদেশের অগ্রগতির, সাফল্যের মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ এখন আর দুর্বল অর্থনীতির দেশ নয়। মানুষের গড় আয় বেড়েছে। আয়ু বেড়েছে। শিক্ষিতের হার বেড়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে। এসব অর্জনকে যাঁরা দেখতে চান না, তাঁরা একদেশদর্শী। তাঁদের সঙ্গে বিতর্ক করা অর্থহীন।
তবে এটাও ঠিক যে আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। আরও অনেক সমস্যারই স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষ আছে। এখনো অনেক মানুষ আছে, যারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার সুযোগবঞ্চিত। উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, বিশেষায়িত শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। শিক্ষার মান নিয়ে আছে প্রশ্ন ও সমালোচনা।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুশাসনের ক্ষেত্রে। আমরা কেন যেন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গোষ্ঠী ও দলপ্রীতির বাইরে যেতে পারি না। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, যারা ক্ষমতার রাজনীতি করে, তারা ক্ষমতার বাইরে থাকতে যেসব কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে তার উল্টোটা চর্চা করে। এটা বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেলায় যেমন সত্য, তেমনি অতীতে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির বেলায়ও সত্য। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রশ্ন হলো, এই পরিবর্তনটা আনবে কে? যারা খারাপটা চর্চা করছে, তারা ভালোটা আনবে মনে করে বসে থাকলে হবে না। এখন আওয়ামী লীগের শাসন অনেকের ভালো লাগছে না। ঠিক আছে, আওয়ামী লীগকে ভোটে পরাজিত করে তার চেয়ে ভালো একটি দলকে ক্ষমতায় আনার সুযোগ কি আমাদের দেশে আছে? আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি হতে পারে না। বিএনপি কেমন দল, তারা কী করতে পারে, সে প্রমাণ অতীতে তারা দিয়েছে। আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে একটি রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুদয় জরুরি, বলা যায় এটা এখন সময়ের দাবি। কিন্তু সমাজের কোনো দিক থেকেই তেমন কোনো আয়োজন বা উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এবার নির্বাচনের পর রাজনীতি মেরামতের কোনো উদ্যোগ কি কোনো পক্ষ থেকে নেওয়া হবে? খতম আর পতন চাওয়ার ধারা থেকে রাজনীতি মুক্ত না হলে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে না। আমরা ‘বাহির পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয় পানে চাইনি’। এবার হৃদয় পানে চাওয়ার বিষয়টি কি রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে?
বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, স
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, স
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, স
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, স
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫