ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান করছে। গরুর খামারিরাও মাঝেমধ্যে দাবি করেন, সাপ এসে তাঁদের গরুর দুধ খেয়ে গেছে। কিন্তু আদতেই কি সাপ দুধ পান করতে পারে? বিজ্ঞান কী বলে?
তবে সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে জেনে নেওয়া যাক, সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় চার হাজার প্রজাতির সাপ আছে। তবে এসব সাপের শতভাগই মাংসাশী। এর মানে, এরা কখনোই উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায় না। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এমন প্রজাতির সাপ খুঁজে পাননি, যা অল্প পরিমাণে হলেও উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায়। বরং সাপ খাবারের জন্য জীবন্ত প্রাণী বেছে নেয়; কখনো কখনো পাখি, মাছ এমনকি সাপসহ সরীসৃপ প্রজাতির ডিমও খেয়ে থাকে। সাপের খাদ্যতালিকায় আছে ইঁদুর ও ইঁদুরজাতীয় অন্যান্য প্রাণী, খরগোশ, পাখি, ব্যাঙ, মাছ, বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন কেঁচো, অন্যান্য প্রজাতির সাপ ইত্যাদি। তবে সাপ দুধ বা দুধজাতীয় খাবার খায়—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তা ছাড়া সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্যও দুধ বা দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের ধারণা সমর্থন করে না। কারণ, দুধ হজমের জন্য প্রাণীর ক্ষুদ্রান্ত্রে ‘ল্যাকটজ’ নামের এনজাইম বা জারক রস থাকা আবশ্যক। ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবারকে হজমে সাহায্য করে এই ল্যাকটেজ। কিন্তু সাপের পরিপাক প্রক্রিয়ার ল্যাকটেজের কোনো উপস্থিতি পাননি প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ফলে কোনো প্রজাতির সাপেরই ল্যাকটোজ বা দুধ ও দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের কোনো বাস্তবতা নেই।
ইতালিয়ান গবেষক ডেভিড ইরমাকোরা ২০১৭ সালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সাপের ল্যাকটেজ এনজাইম না থাকায় তার পরিপাক প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজম হয় না। তাই সাপের পক্ষে দুধ হজম করা সম্ভব নয়।
এ ছাড়া প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট ফাউনা ফ্যাক্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, সাপের পক্ষে দুগ্ধজাত খাবার হজম করা সম্ভব নয়।
প্রাণীবিষয়ক আরেকটি ওয়েবসাইট পেট এডুকেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাপের কাটা বিভক্ত জিহবা তরল গ্রহণের জন্য আদর্শ নয়। তবে সাপ যে পানি পান করে, তা চোয়ালের নিচের অংশের মাধ্যমে করে। সাপের মুখের নিচের অংশে অনেকগুলো ছোট খাঁজ থাকে, যা স্পঞ্জের মতো পানিশোষণ করে। আর সাপ এভাবেই পানি পান করে।
তাহলে প্রচলিত এই ধারণাটির উৎপত্তি কোথায়? এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ধারণার সঙ্গে মূলত সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ও অজ্ঞতা জড়িত। মানুষের কল্পনায় নানারূপে নানাভাবে সাপ জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে, যেমন কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সাপ ভয়ের, কোনো ক্ষেত্রে আবার সম্মানের পাত্র।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সাপ নিয়ে একই সাথে ভয় এবং কৌতূহল থাকার কারণেই সাপকেন্দ্রিক নানা ধরনের রীতি-রেওয়াজ, কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোই তো সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ফুটে ওঠে। সেভাবে জনজীবনের সঙ্গে সাপের সম্পৃক্ততার কারণেই সাপ নিয়ে এত গল্প, কাহিনি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের আদিবাসী বা ওই জাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরম্পরাগতভাবে এমন প্রথা দেখা যায়, তারা যখন কোনো শক্তিকে ভয় পায়, তখন সেই শক্তিকে পূজা করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায়।’
ধারণা করা যায়, এসব কুসংস্কার থেকেই সাপের দুধ খাওয়ার প্রচলিত মতটির জন্ম। তবে ১৯৮১ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যানিমেল ডাইভার্সিটি ওয়েবের এক প্রতিবেদনে মিল্কস্নেক (বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যামপ্রোপেল্টিস ট্রায়াঙ্গুলাম) প্রজাতির সাপের দুধ পান করা নিয়ে মিথ বা জনশ্রুতির খোঁজ মিলেছে ।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মিল্কস্নেক নামটি এসেছে পুরোনো বৈশ্বিক লোককাহিনি থেকে। এই কাহিনিমতে, দুধ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সাপটি স্তন্যদায়ী মা ও গরু থেকে দুধ চুষে খায়। যদিও এটি অসম্ভব। কারণ, সাপ নিরীহ প্রাণী এবং মানব মা বা গরু—কেউ সাপের দুধপান অনুমোদন করবে না। এ ছাড়া সাপের পেটে মাত্র কয়েক টেবিল চামচ দুধের জায়গা হবে।
আমাদের দেশে দুধরাজ নামে আরেকটি সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নামে দুধরাজ হলেও এই সাপ দুধ খায়—এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ছাড়া সাপের যেসব বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত, তার মধ্যে সাপের দুধ পানের সক্ষমতা নেই।
যদিও খামারিরা অনেক সময় দাবি করেন, তাঁরা রেট স্ন্যাক বা সাপকে গরুর ওলান থেকে দুধ পান করতে দেখেছেন। তাঁদের এই দাবি মিথ্যা নয়, তবে এটি ভ্রম। ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সাপের খাবারের তালিকায় আছে ইঁদুর। রেট স্ন্যাক অনেক সময় গরুর ওলানকে জীবন্ত ইঁদুর মনে করে কামড়ে ধরে এবং মাথা খুঁজতে থাকে। কারণ, সকল সরীসৃপ প্রাণীই তাদের শিকারকে মাথা থেকে খাওয়া শুরু করে। তবে ইঁদুর নয় বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে এটি ছেড়ে দেয়। আর এ কাজটি একমাত্র রেট স্ন্যাকই করে। কারণ, অন্যান্য সাপের তুলনায় এই প্রজাতির সাপের ওপরে ওঠার সক্ষমতা অনেক বেশি।
হিন্দু ধর্মে সাপ ও দুধ পান করানো
হিন্দু ধর্মে সাপ বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আবার হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে নাগপঞ্চমী নামে উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবের দিন উত্তর ভারতের বহু জায়গায় সাপকে দুধ পান করিয়ে পূজা করা হয়।
তবে নাগপঞ্চমীতে সাপ দুধ পান করে কি না এমন প্রশ্নে ভারতের সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া জানায়, নাগপঞ্চমীর দিন অন্তত দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে সাপের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়। যাতে সে কিছু খেতে না পারে। একপর্যায়ে সাপগুলো তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। ফলে এই ক্ষুধার্ত সাপগুলোকে পরবর্তী সময় যা কিছুই দেওয়া হবে, তা ‘পান’ করবে। সেটা দুধ হোক বা কোমল পানীয়।
ভারতের প্রাণী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা সংগঠন এআরপিএফের তথ্য অনুযায়ী, সাপগুলোকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন না খাইয়ে রেখে নাগপঞ্চমী উৎসবের জন্য প্রস্তুত করেন সাপুড়েরা। দুধ খাওয়ানোর আয়োজনের পরে এগুলো মরে যায় অথবা মেরে ফেলা হয়। তারপর সেসবের চামড়া ৩ থেকে ৫ হাজার রুপিতে বিক্রি করা হয়।
সিদ্ধান্ত
সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ওপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, সাপের পক্ষে দুধ পান করা সম্ভব নয়। বরং ধর্মীয় আচার, কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে সাপের দুধ পানের ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে দুধ পানের পর সাপের পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব নয়।

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান করছে। গরুর খামারিরাও মাঝেমধ্যে দাবি করেন, সাপ এসে তাঁদের গরুর দুধ খেয়ে গেছে। কিন্তু আদতেই কি সাপ দুধ পান করতে পারে? বিজ্ঞান কী বলে?
তবে সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে জেনে নেওয়া যাক, সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় চার হাজার প্রজাতির সাপ আছে। তবে এসব সাপের শতভাগই মাংসাশী। এর মানে, এরা কখনোই উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায় না। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এমন প্রজাতির সাপ খুঁজে পাননি, যা অল্প পরিমাণে হলেও উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায়। বরং সাপ খাবারের জন্য জীবন্ত প্রাণী বেছে নেয়; কখনো কখনো পাখি, মাছ এমনকি সাপসহ সরীসৃপ প্রজাতির ডিমও খেয়ে থাকে। সাপের খাদ্যতালিকায় আছে ইঁদুর ও ইঁদুরজাতীয় অন্যান্য প্রাণী, খরগোশ, পাখি, ব্যাঙ, মাছ, বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন কেঁচো, অন্যান্য প্রজাতির সাপ ইত্যাদি। তবে সাপ দুধ বা দুধজাতীয় খাবার খায়—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তা ছাড়া সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্যও দুধ বা দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের ধারণা সমর্থন করে না। কারণ, দুধ হজমের জন্য প্রাণীর ক্ষুদ্রান্ত্রে ‘ল্যাকটজ’ নামের এনজাইম বা জারক রস থাকা আবশ্যক। ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবারকে হজমে সাহায্য করে এই ল্যাকটেজ। কিন্তু সাপের পরিপাক প্রক্রিয়ার ল্যাকটেজের কোনো উপস্থিতি পাননি প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ফলে কোনো প্রজাতির সাপেরই ল্যাকটোজ বা দুধ ও দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের কোনো বাস্তবতা নেই।
ইতালিয়ান গবেষক ডেভিড ইরমাকোরা ২০১৭ সালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সাপের ল্যাকটেজ এনজাইম না থাকায় তার পরিপাক প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজম হয় না। তাই সাপের পক্ষে দুধ হজম করা সম্ভব নয়।
এ ছাড়া প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট ফাউনা ফ্যাক্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, সাপের পক্ষে দুগ্ধজাত খাবার হজম করা সম্ভব নয়।
প্রাণীবিষয়ক আরেকটি ওয়েবসাইট পেট এডুকেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাপের কাটা বিভক্ত জিহবা তরল গ্রহণের জন্য আদর্শ নয়। তবে সাপ যে পানি পান করে, তা চোয়ালের নিচের অংশের মাধ্যমে করে। সাপের মুখের নিচের অংশে অনেকগুলো ছোট খাঁজ থাকে, যা স্পঞ্জের মতো পানিশোষণ করে। আর সাপ এভাবেই পানি পান করে।
তাহলে প্রচলিত এই ধারণাটির উৎপত্তি কোথায়? এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ধারণার সঙ্গে মূলত সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ও অজ্ঞতা জড়িত। মানুষের কল্পনায় নানারূপে নানাভাবে সাপ জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে, যেমন কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সাপ ভয়ের, কোনো ক্ষেত্রে আবার সম্মানের পাত্র।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সাপ নিয়ে একই সাথে ভয় এবং কৌতূহল থাকার কারণেই সাপকেন্দ্রিক নানা ধরনের রীতি-রেওয়াজ, কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোই তো সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ফুটে ওঠে। সেভাবে জনজীবনের সঙ্গে সাপের সম্পৃক্ততার কারণেই সাপ নিয়ে এত গল্প, কাহিনি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের আদিবাসী বা ওই জাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরম্পরাগতভাবে এমন প্রথা দেখা যায়, তারা যখন কোনো শক্তিকে ভয় পায়, তখন সেই শক্তিকে পূজা করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায়।’
ধারণা করা যায়, এসব কুসংস্কার থেকেই সাপের দুধ খাওয়ার প্রচলিত মতটির জন্ম। তবে ১৯৮১ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যানিমেল ডাইভার্সিটি ওয়েবের এক প্রতিবেদনে মিল্কস্নেক (বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যামপ্রোপেল্টিস ট্রায়াঙ্গুলাম) প্রজাতির সাপের দুধ পান করা নিয়ে মিথ বা জনশ্রুতির খোঁজ মিলেছে ।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মিল্কস্নেক নামটি এসেছে পুরোনো বৈশ্বিক লোককাহিনি থেকে। এই কাহিনিমতে, দুধ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সাপটি স্তন্যদায়ী মা ও গরু থেকে দুধ চুষে খায়। যদিও এটি অসম্ভব। কারণ, সাপ নিরীহ প্রাণী এবং মানব মা বা গরু—কেউ সাপের দুধপান অনুমোদন করবে না। এ ছাড়া সাপের পেটে মাত্র কয়েক টেবিল চামচ দুধের জায়গা হবে।
আমাদের দেশে দুধরাজ নামে আরেকটি সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নামে দুধরাজ হলেও এই সাপ দুধ খায়—এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ছাড়া সাপের যেসব বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত, তার মধ্যে সাপের দুধ পানের সক্ষমতা নেই।
যদিও খামারিরা অনেক সময় দাবি করেন, তাঁরা রেট স্ন্যাক বা সাপকে গরুর ওলান থেকে দুধ পান করতে দেখেছেন। তাঁদের এই দাবি মিথ্যা নয়, তবে এটি ভ্রম। ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সাপের খাবারের তালিকায় আছে ইঁদুর। রেট স্ন্যাক অনেক সময় গরুর ওলানকে জীবন্ত ইঁদুর মনে করে কামড়ে ধরে এবং মাথা খুঁজতে থাকে। কারণ, সকল সরীসৃপ প্রাণীই তাদের শিকারকে মাথা থেকে খাওয়া শুরু করে। তবে ইঁদুর নয় বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে এটি ছেড়ে দেয়। আর এ কাজটি একমাত্র রেট স্ন্যাকই করে। কারণ, অন্যান্য সাপের তুলনায় এই প্রজাতির সাপের ওপরে ওঠার সক্ষমতা অনেক বেশি।
হিন্দু ধর্মে সাপ ও দুধ পান করানো
হিন্দু ধর্মে সাপ বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আবার হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে নাগপঞ্চমী নামে উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবের দিন উত্তর ভারতের বহু জায়গায় সাপকে দুধ পান করিয়ে পূজা করা হয়।
তবে নাগপঞ্চমীতে সাপ দুধ পান করে কি না এমন প্রশ্নে ভারতের সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া জানায়, নাগপঞ্চমীর দিন অন্তত দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে সাপের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়। যাতে সে কিছু খেতে না পারে। একপর্যায়ে সাপগুলো তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। ফলে এই ক্ষুধার্ত সাপগুলোকে পরবর্তী সময় যা কিছুই দেওয়া হবে, তা ‘পান’ করবে। সেটা দুধ হোক বা কোমল পানীয়।
ভারতের প্রাণী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা সংগঠন এআরপিএফের তথ্য অনুযায়ী, সাপগুলোকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন না খাইয়ে রেখে নাগপঞ্চমী উৎসবের জন্য প্রস্তুত করেন সাপুড়েরা। দুধ খাওয়ানোর আয়োজনের পরে এগুলো মরে যায় অথবা মেরে ফেলা হয়। তারপর সেসবের চামড়া ৩ থেকে ৫ হাজার রুপিতে বিক্রি করা হয়।
সিদ্ধান্ত
সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ওপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, সাপের পক্ষে দুধ পান করা সম্ভব নয়। বরং ধর্মীয় আচার, কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে সাপের দুধ পানের ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে দুধ পানের পর সাপের পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব নয়।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান করছে। গরুর খামারিরাও মাঝেমধ্যে দাবি করেন, সাপ এসে তাঁদের গরুর দুধ খেয়ে গেছে। কিন্তু আদতেই কি সাপ দুধ পান করতে পারে? বিজ্ঞান কী বলে?
তবে সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে জেনে নেওয়া যাক, সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় চার হাজার প্রজাতির সাপ আছে। তবে এসব সাপের শতভাগই মাংসাশী। এর মানে, এরা কখনোই উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায় না। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এমন প্রজাতির সাপ খুঁজে পাননি, যা অল্প পরিমাণে হলেও উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায়। বরং সাপ খাবারের জন্য জীবন্ত প্রাণী বেছে নেয়; কখনো কখনো পাখি, মাছ এমনকি সাপসহ সরীসৃপ প্রজাতির ডিমও খেয়ে থাকে। সাপের খাদ্যতালিকায় আছে ইঁদুর ও ইঁদুরজাতীয় অন্যান্য প্রাণী, খরগোশ, পাখি, ব্যাঙ, মাছ, বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন কেঁচো, অন্যান্য প্রজাতির সাপ ইত্যাদি। তবে সাপ দুধ বা দুধজাতীয় খাবার খায়—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তা ছাড়া সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্যও দুধ বা দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের ধারণা সমর্থন করে না। কারণ, দুধ হজমের জন্য প্রাণীর ক্ষুদ্রান্ত্রে ‘ল্যাকটজ’ নামের এনজাইম বা জারক রস থাকা আবশ্যক। ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবারকে হজমে সাহায্য করে এই ল্যাকটেজ। কিন্তু সাপের পরিপাক প্রক্রিয়ার ল্যাকটেজের কোনো উপস্থিতি পাননি প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ফলে কোনো প্রজাতির সাপেরই ল্যাকটোজ বা দুধ ও দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের কোনো বাস্তবতা নেই।
ইতালিয়ান গবেষক ডেভিড ইরমাকোরা ২০১৭ সালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সাপের ল্যাকটেজ এনজাইম না থাকায় তার পরিপাক প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজম হয় না। তাই সাপের পক্ষে দুধ হজম করা সম্ভব নয়।
এ ছাড়া প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট ফাউনা ফ্যাক্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, সাপের পক্ষে দুগ্ধজাত খাবার হজম করা সম্ভব নয়।
প্রাণীবিষয়ক আরেকটি ওয়েবসাইট পেট এডুকেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাপের কাটা বিভক্ত জিহবা তরল গ্রহণের জন্য আদর্শ নয়। তবে সাপ যে পানি পান করে, তা চোয়ালের নিচের অংশের মাধ্যমে করে। সাপের মুখের নিচের অংশে অনেকগুলো ছোট খাঁজ থাকে, যা স্পঞ্জের মতো পানিশোষণ করে। আর সাপ এভাবেই পানি পান করে।
তাহলে প্রচলিত এই ধারণাটির উৎপত্তি কোথায়? এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ধারণার সঙ্গে মূলত সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ও অজ্ঞতা জড়িত। মানুষের কল্পনায় নানারূপে নানাভাবে সাপ জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে, যেমন কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সাপ ভয়ের, কোনো ক্ষেত্রে আবার সম্মানের পাত্র।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সাপ নিয়ে একই সাথে ভয় এবং কৌতূহল থাকার কারণেই সাপকেন্দ্রিক নানা ধরনের রীতি-রেওয়াজ, কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোই তো সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ফুটে ওঠে। সেভাবে জনজীবনের সঙ্গে সাপের সম্পৃক্ততার কারণেই সাপ নিয়ে এত গল্প, কাহিনি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের আদিবাসী বা ওই জাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরম্পরাগতভাবে এমন প্রথা দেখা যায়, তারা যখন কোনো শক্তিকে ভয় পায়, তখন সেই শক্তিকে পূজা করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায়।’
ধারণা করা যায়, এসব কুসংস্কার থেকেই সাপের দুধ খাওয়ার প্রচলিত মতটির জন্ম। তবে ১৯৮১ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যানিমেল ডাইভার্সিটি ওয়েবের এক প্রতিবেদনে মিল্কস্নেক (বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যামপ্রোপেল্টিস ট্রায়াঙ্গুলাম) প্রজাতির সাপের দুধ পান করা নিয়ে মিথ বা জনশ্রুতির খোঁজ মিলেছে ।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মিল্কস্নেক নামটি এসেছে পুরোনো বৈশ্বিক লোককাহিনি থেকে। এই কাহিনিমতে, দুধ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সাপটি স্তন্যদায়ী মা ও গরু থেকে দুধ চুষে খায়। যদিও এটি অসম্ভব। কারণ, সাপ নিরীহ প্রাণী এবং মানব মা বা গরু—কেউ সাপের দুধপান অনুমোদন করবে না। এ ছাড়া সাপের পেটে মাত্র কয়েক টেবিল চামচ দুধের জায়গা হবে।
আমাদের দেশে দুধরাজ নামে আরেকটি সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নামে দুধরাজ হলেও এই সাপ দুধ খায়—এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ছাড়া সাপের যেসব বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত, তার মধ্যে সাপের দুধ পানের সক্ষমতা নেই।
যদিও খামারিরা অনেক সময় দাবি করেন, তাঁরা রেট স্ন্যাক বা সাপকে গরুর ওলান থেকে দুধ পান করতে দেখেছেন। তাঁদের এই দাবি মিথ্যা নয়, তবে এটি ভ্রম। ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সাপের খাবারের তালিকায় আছে ইঁদুর। রেট স্ন্যাক অনেক সময় গরুর ওলানকে জীবন্ত ইঁদুর মনে করে কামড়ে ধরে এবং মাথা খুঁজতে থাকে। কারণ, সকল সরীসৃপ প্রাণীই তাদের শিকারকে মাথা থেকে খাওয়া শুরু করে। তবে ইঁদুর নয় বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে এটি ছেড়ে দেয়। আর এ কাজটি একমাত্র রেট স্ন্যাকই করে। কারণ, অন্যান্য সাপের তুলনায় এই প্রজাতির সাপের ওপরে ওঠার সক্ষমতা অনেক বেশি।
হিন্দু ধর্মে সাপ ও দুধ পান করানো
হিন্দু ধর্মে সাপ বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আবার হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে নাগপঞ্চমী নামে উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবের দিন উত্তর ভারতের বহু জায়গায় সাপকে দুধ পান করিয়ে পূজা করা হয়।
তবে নাগপঞ্চমীতে সাপ দুধ পান করে কি না এমন প্রশ্নে ভারতের সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া জানায়, নাগপঞ্চমীর দিন অন্তত দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে সাপের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়। যাতে সে কিছু খেতে না পারে। একপর্যায়ে সাপগুলো তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। ফলে এই ক্ষুধার্ত সাপগুলোকে পরবর্তী সময় যা কিছুই দেওয়া হবে, তা ‘পান’ করবে। সেটা দুধ হোক বা কোমল পানীয়।
ভারতের প্রাণী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা সংগঠন এআরপিএফের তথ্য অনুযায়ী, সাপগুলোকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন না খাইয়ে রেখে নাগপঞ্চমী উৎসবের জন্য প্রস্তুত করেন সাপুড়েরা। দুধ খাওয়ানোর আয়োজনের পরে এগুলো মরে যায় অথবা মেরে ফেলা হয়। তারপর সেসবের চামড়া ৩ থেকে ৫ হাজার রুপিতে বিক্রি করা হয়।
সিদ্ধান্ত
সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ওপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, সাপের পক্ষে দুধ পান করা সম্ভব নয়। বরং ধর্মীয় আচার, কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে সাপের দুধ পানের ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে দুধ পানের পর সাপের পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব নয়।

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান করছে। গরুর খামারিরাও মাঝেমধ্যে দাবি করেন, সাপ এসে তাঁদের গরুর দুধ খেয়ে গেছে। কিন্তু আদতেই কি সাপ দুধ পান করতে পারে? বিজ্ঞান কী বলে?
তবে সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে জেনে নেওয়া যাক, সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় চার হাজার প্রজাতির সাপ আছে। তবে এসব সাপের শতভাগই মাংসাশী। এর মানে, এরা কখনোই উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায় না। আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এমন প্রজাতির সাপ খুঁজে পাননি, যা অল্প পরিমাণে হলেও উদ্ভিদজাতীয় কিছু খায়। বরং সাপ খাবারের জন্য জীবন্ত প্রাণী বেছে নেয়; কখনো কখনো পাখি, মাছ এমনকি সাপসহ সরীসৃপ প্রজাতির ডিমও খেয়ে থাকে। সাপের খাদ্যতালিকায় আছে ইঁদুর ও ইঁদুরজাতীয় অন্যান্য প্রাণী, খরগোশ, পাখি, ব্যাঙ, মাছ, বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন কেঁচো, অন্যান্য প্রজাতির সাপ ইত্যাদি। তবে সাপ দুধ বা দুধজাতীয় খাবার খায়—এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তা ছাড়া সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্যও দুধ বা দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের ধারণা সমর্থন করে না। কারণ, দুধ হজমের জন্য প্রাণীর ক্ষুদ্রান্ত্রে ‘ল্যাকটজ’ নামের এনজাইম বা জারক রস থাকা আবশ্যক। ল্যাকটোজ বা দুধজাতীয় খাবারকে হজমে সাহায্য করে এই ল্যাকটেজ। কিন্তু সাপের পরিপাক প্রক্রিয়ার ল্যাকটেজের কোনো উপস্থিতি পাননি প্রাণিবিজ্ঞানীরা। ফলে কোনো প্রজাতির সাপেরই ল্যাকটোজ বা দুধ ও দুধজাতীয় খাবার গ্রহণের কোনো বাস্তবতা নেই।
ইতালিয়ান গবেষক ডেভিড ইরমাকোরা ২০১৭ সালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, সাপের ল্যাকটেজ এনজাইম না থাকায় তার পরিপাক প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য হজম হয় না। তাই সাপের পক্ষে দুধ হজম করা সম্ভব নয়।
এ ছাড়া প্রাণীবিষয়ক ওয়েবসাইট ফাউনা ফ্যাক্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, সাপের পক্ষে দুগ্ধজাত খাবার হজম করা সম্ভব নয়।
প্রাণীবিষয়ক আরেকটি ওয়েবসাইট পেট এডুকেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাপের কাটা বিভক্ত জিহবা তরল গ্রহণের জন্য আদর্শ নয়। তবে সাপ যে পানি পান করে, তা চোয়ালের নিচের অংশের মাধ্যমে করে। সাপের মুখের নিচের অংশে অনেকগুলো ছোট খাঁজ থাকে, যা স্পঞ্জের মতো পানিশোষণ করে। আর সাপ এভাবেই পানি পান করে।
তাহলে প্রচলিত এই ধারণাটির উৎপত্তি কোথায়? এ নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ধারণার সঙ্গে মূলত সাংস্কৃতিক বিশ্বাস ও অজ্ঞতা জড়িত। মানুষের কল্পনায় নানারূপে নানাভাবে সাপ জায়গা করে নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে নানা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে, যেমন কোনো কোনো সংস্কৃতিতে সাপ ভয়ের, কোনো ক্ষেত্রে আবার সম্মানের পাত্র।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সাপ নিয়ে একই সাথে ভয় এবং কৌতূহল থাকার কারণেই সাপকেন্দ্রিক নানা ধরনের রীতি-রেওয়াজ, কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়গুলোই তো সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ফুটে ওঠে। সেভাবে জনজীবনের সঙ্গে সাপের সম্পৃক্ততার কারণেই সাপ নিয়ে এত গল্প, কাহিনি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের আদিবাসী বা ওই জাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরম্পরাগতভাবে এমন প্রথা দেখা যায়, তারা যখন কোনো শক্তিকে ভয় পায়, তখন সেই শক্তিকে পূজা করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায়।’
ধারণা করা যায়, এসব কুসংস্কার থেকেই সাপের দুধ খাওয়ার প্রচলিত মতটির জন্ম। তবে ১৯৮১ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অ্যানিমেল ডাইভার্সিটি ওয়েবের এক প্রতিবেদনে মিল্কস্নেক (বৈজ্ঞানিক নাম: ল্যামপ্রোপেল্টিস ট্রায়াঙ্গুলাম) প্রজাতির সাপের দুধ পান করা নিয়ে মিথ বা জনশ্রুতির খোঁজ মিলেছে ।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মিল্কস্নেক নামটি এসেছে পুরোনো বৈশ্বিক লোককাহিনি থেকে। এই কাহিনিমতে, দুধ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সাপটি স্তন্যদায়ী মা ও গরু থেকে দুধ চুষে খায়। যদিও এটি অসম্ভব। কারণ, সাপ নিরীহ প্রাণী এবং মানব মা বা গরু—কেউ সাপের দুধপান অনুমোদন করবে না। এ ছাড়া সাপের পেটে মাত্র কয়েক টেবিল চামচ দুধের জায়গা হবে।
আমাদের দেশে দুধরাজ নামে আরেকটি সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নামে দুধরাজ হলেও এই সাপ দুধ খায়—এমন কোনো প্রমাণ নেই। এ ছাড়া সাপের যেসব বৈশিষ্ট্য স্বীকৃত, তার মধ্যে সাপের দুধ পানের সক্ষমতা নেই।
যদিও খামারিরা অনেক সময় দাবি করেন, তাঁরা রেট স্ন্যাক বা সাপকে গরুর ওলান থেকে দুধ পান করতে দেখেছেন। তাঁদের এই দাবি মিথ্যা নয়, তবে এটি ভ্রম। ইতিপূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, সাপের খাবারের তালিকায় আছে ইঁদুর। রেট স্ন্যাক অনেক সময় গরুর ওলানকে জীবন্ত ইঁদুর মনে করে কামড়ে ধরে এবং মাথা খুঁজতে থাকে। কারণ, সকল সরীসৃপ প্রাণীই তাদের শিকারকে মাথা থেকে খাওয়া শুরু করে। তবে ইঁদুর নয় বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে এটি ছেড়ে দেয়। আর এ কাজটি একমাত্র রেট স্ন্যাকই করে। কারণ, অন্যান্য সাপের তুলনায় এই প্রজাতির সাপের ওপরে ওঠার সক্ষমতা অনেক বেশি।
হিন্দু ধর্মে সাপ ও দুধ পান করানো
হিন্দু ধর্মে সাপ বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে শিবকে গলায় কুণ্ডলীবদ্ধ সাপ দিয়ে চিত্রিত করা হয়, যা অনন্তকাল এবং মহাজাগতিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। আবার হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে নাগপঞ্চমী নামে উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবের দিন উত্তর ভারতের বহু জায়গায় সাপকে দুধ পান করিয়ে পূজা করা হয়।
তবে নাগপঞ্চমীতে সাপ দুধ পান করে কি না এমন প্রশ্নে ভারতের সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়া জানায়, নাগপঞ্চমীর দিন অন্তত দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকে সাপের মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়। যাতে সে কিছু খেতে না পারে। একপর্যায়ে সাপগুলো তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। ফলে এই ক্ষুধার্ত সাপগুলোকে পরবর্তী সময় যা কিছুই দেওয়া হবে, তা ‘পান’ করবে। সেটা দুধ হোক বা কোমল পানীয়।
ভারতের প্রাণী পুনর্বাসন ও সুরক্ষা সংগঠন এআরপিএফের তথ্য অনুযায়ী, সাপগুলোকে ৩০ থেকে ৪৫ দিন না খাইয়ে রেখে নাগপঞ্চমী উৎসবের জন্য প্রস্তুত করেন সাপুড়েরা। দুধ খাওয়ানোর আয়োজনের পরে এগুলো মরে যায় অথবা মেরে ফেলা হয়। তারপর সেসবের চামড়া ৩ থেকে ৫ হাজার রুপিতে বিক্রি করা হয়।
সিদ্ধান্ত
সাপের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ওপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয়, সাপের পক্ষে দুধ পান করা সম্ভব নয়। বরং ধর্মীয় আচার, কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে সাপের দুধ পানের ধারণা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে দুধ পানের পর সাপের পক্ষে বেচে থাকা সম্ভব নয়।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান
১১ নভেম্বর ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান
১১ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান
১১ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’—এই বাংলা প্রবাদের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কাউকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে উপকার করে বা আদর-যত্নে বড় করে তোলার পর সেই ব্যক্তিই যখন আপনার ক্ষতি করে বসে, সে পরিস্থিতিকে ‘দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা’ হিসেবে বলা হয়। আবার বাংলা সিনেমার নানা দৃশ্যে দেখা যায়, সাপ দুধের পেয়ালা থেকে দুধ পান
১১ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫