Ajker Patrika

মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহারে কমে শুক্রাণুর পরিমাণ

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ৩৮
মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহারে কমে শুক্রাণুর পরিমাণ

সাধারণত শুক্রাণুর গুণগত মান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন শুক্রাণুর ঘনত্ব, নির্দিষ্ট পরিমাণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ, শুক্রাণুর গতিশীলতা ও শুক্রাণুর সামগ্রিক অবস্থা কেমন তার ওপর। তবে অন্যান্য প্রভাবের বাইরে, মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যাওয়ার ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসারে, কোনো পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে দেড় কোটির কম হলে তার শুক্রাণু দিয়ে কোনো নারীর ডিম্বাণুর নিষিক্ত হতে ১ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। আবার সামগ্রিকভাবে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে ৪ কোটির কম হলে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার হার অনেকটাই কমে যায়। 
 
কয়েক দশক ধরে পরিচালিত একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিগত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়েই পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মান কমেছে। ৫০ বছর আগে যখন পুরুষদের গড়ে প্রতি মিলিলিটারে প্রায় ১০ কোটি (৯৯ মিলিয়ন) শুক্রাণু ছিল, সেখানে বর্তমানে তা গড়ে ৪ কোটি ৭০ লাখে নেমে এসেছে। 

বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করতেন, মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণ যেমন মানুষের শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যকার কার্যক্রমের কমবেশি হওয়া, কীটনাশক শরীরে প্রবেশ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি মানুষের জীবনপ্রণালি যেমন খাদ্যাভ্যাস, মাদক, দুশ্চিন্তা ও ধূমপানও হয়তো শুক্রাণুর গুণগত মানে প্রভাব ফেলে। 

সম্প্রতি মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, সে বিষয়ে গবেষণা চালান সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার গবেষকেরা ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী ২ হাজার ৮৮৬ জন তরুণের ওপর এই গবেষণা চালান। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি জার্নালে। 

গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, ঘন ঘন মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের শুক্রাণুর ঘনত্বের সম্পর্ক রয়েছে। সপ্তাহে যাঁরা একবারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি, তাঁদের চেয়ে যাঁরা সপ্তাহে অন্তত ২০ বার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অনেকটাই কম। যাঁরা মাত্র একবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন। পক্ষান্তরে যাঁরা ২০ বারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৪৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। শতাংশের বিচারে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শুক্রাণু কম ২১ শতাংশ।

তবে মোবাইল ফোন পকেটে রাখলে কোনো প্রভাব পড়ে কি না, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই গবেষণার অন্যতম গবেষক রিতা রাহবান বলেন, ট্রাউজারের পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে তা শুক্রাণুর নিম্ন গুণগত মানের বিষয়ে প্রভাব ফেলে এমন সরাসরি সম্পর্ক আমরা খুঁজে পাইনি। তবে যাঁরা কাছে রাখেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফল দেখেছি। কিন্তু সেটি খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...