আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিলেটে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১০১ রানের জুটিতেই রেকর্ড স্কোরের ভিত পায় বাংলাদেশ। ২১ তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাথু হামফ্রিসকে পুল করে ছক্কা মেরে ওয়ানডেতে ৮ম ফিফটি তুলে নেন লিটন।
কিন্তু কার্টিস ক্যাম্ফারের করা ২৬তম ওভারের শেষ বলে শর্ট মিড-উইকেটে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান লিটন। ৭১ বলে ৭০ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। ৩টি করে ছয় ও চারের বাউন্ডারি ছিল ইনিংসে। কিন্তু লিটন যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, যেন খেলাটা তাঁর জন্য খুব সহজই ছিল। দুই ম্যাচেই সহজে উইকেট দিয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার।
আরও কিছু ওভার খেললে হয়তো সেঞ্চুরিও পেতেন লিটন। তবে এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন লিটন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘শুরুর দিকে ব্যাটিং করা কিছুটা কঠিন ছিল। অনেক দিন পর মনে হয়েছিল বাইরের দেশের কোনো কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলছি। সেঞ্চুরি না করায় আক্ষেপ নেই, করতে পারলে ভালো লাগতো। যা হয়েছে তা–ই ঠিক আছে।’
তবে এর পরেই লিটনের বিশেষজ্ঞ উত্তর, ‘প্রত্যেক ব্যাটার, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটার যখন নামে—১,২, ৩ ও ৪, তাদের সবারই একটা লক্ষ্য থাকে, নামলে নট-আউট (অপরাজিত) থেকে শেষ করা। অপরাজিত থেকে শেষ করলে ১০০-১৫০ ও হয়ে যায়। এখনকার ক্রিকেটে তো ২০০ অহরহ হচ্ছে। সেঞ্চুরি আক্ষেপ থাকে। কিন্তু সেঞ্চুরি শুধু মাত্র একটা সংখ্যা।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে