নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও আলিয়া সিদ্দিকীর দাম্পত্য কলহ নিয়ে অনেক জল ঘোলা হলো। এ কদিন আলিয়া সিদ্দিকী বিভিন্ন অভিযোগ আনলেও এবার নীরবতা ভাঙলেন নওয়াজুদ্দিন। নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন এই অভিনেতা। পোস্টে তিনি জানান ভারতের মুম্বাই ছাড়াও দুবাইতেও স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছে তিনি। মাসে ১০ লাখ রুপি স্ত্রীর হাতখরচ দেন।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টের শুরুতেই নওয়াজ ক্যাপশনে লেখেন, এটা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নয় বরং নিজের দিক তুলে ধরা। তিনি লেখেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে ‘বাজে মানুষ’ হিসেবে তুলে ধরা হলেও, শুধু সন্তানদের কথা ভেবে এত দিন চুপ ছিলেন তিনি।
নওয়াজুদ্দিন বলেন, ‘প্রথমত, কয়েক বছর ধরে আমি আর আলিয়া একসঙ্গে থাকছি না, আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে বিচ্ছেদ হলেও সন্তানদের কথা ভেবে আমাদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আছে।’
সন্তানদের কথা উল্লেখ করে নওয়াজুদ্দিন আরও বলেন, ‘কেউ কি জানে আমার সন্তানেরা এখন ভারতে? ৪৫ দিন ধরে তারা স্কুলে যেতে পারছে না? স্কুল থেকে চিঠি পাঠিয়েছে। দেড় মাস ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছে, দুবাইয়ের স্কুলে যেতে পারছে না আমার সন্তানেরা।’ নওয়াজের দুই সন্তান দুবাইয়ে পড়াশোনা করে।
আলিয়াকে লোভী আখ্যায়িত করে নওয়াজুদ্দিন লিখেন, ‘আলিয়ার কেবল টাকার চাহিদা। সে আগেও এই ধরনের কাজ করেছে। তাঁর জন্য এত কিছু করার পরও তাঁর সব চাহিদাগুলো না মেটাতে পারায় আমার বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অভিযোগ এনে আমার সম্মান, ক্যারিয়ার নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমি কখনোই চাইব না আমার সন্তানের কোনো ক্ষতি হোক।’
আলিয়া এত দিন অভিযোগ করে আসছিলেন নওয়াজুদ্দিন সন্তানদের দায়িত্ব নিতে চান না। তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন, এ ছাড়া আর্থিক সাহায্যও করেন না। এ অভিযোগের বিষয়ে নওয়াজ লিখেন, ‘আলিয়ার বক্তব্য পুরো মিথ্যা। মুম্বাই ছাড়াও দুবাইয়েও স্ত্রী ও সন্তানদের ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন তিনি। মাসে ১০ লাখ রুপি স্ত্রীর হাতখরচ দেন। এ ছাড়া সন্তানদের স্কুলের খরচ, ঘুরতে যাওয়ার খরচও বহন করেন তিনি।’
২০১৭ সাল থেকে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও আলিয়া সিদ্দিকী আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২০ সালে নওয়াজুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন আলিয়া। তবে ২০২১ সালে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে আবারও বিচ্ছেদের খবর বের হয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে