Ajker Patrika

স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ

সহায়িকা ডেস্ক
স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ

‘শিক্ষায় নব দিগন্ত’ স্লোগান নিয়ে স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষার প্রত্যয়ে ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। ঢাকার ওসমানী মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সেই থেকে অনেক চেষ্টা সাধনা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে, দুই দশকের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এক মহিরুহে পরিণত হয়েছে।

সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাস
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় সবুজে ঘেরা, ছায়া সুনিবিড়, শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে ১০ একরের বেশি জায়গার ওপর সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত। এই ক্যাম্পাসে রয়েছে সুবিস্তৃত মাঠ, আছে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার আলাদা মাঠ, ফ্রি ওয়াই-ফাই, শিক্ষাবান্ধব ও শান্তিপূর্ণ মনোরম পরিবেশ, ইনডোর ও আউটডোর গেমস এবং বিনোদনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পরিবহন-সুবিধা ও স্বল্প খরচে হোস্টেল-সুবিধা। 

বিশ্বমানের সিলেবাস
শিক্ষার মান উন্নত রাখার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে রয়েছে বিশ্বমানের সিলেবাস ও শিক্ষাকার্যক্রম, যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, উচ্চমানের কম্পিউটার ল্যাব, সিসিটিভিসহ ক্লাস মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার পাশাপাশি জীবনঘনিষ্ঠ সব বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানের ব্যবস্থা।

আরও রয়েছে সুবিন্যস্ত শিক্ষার্থী কার্যক্রম। ফলে আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্যতা অর্জিত হয়। এ ছাড়া এখানে রয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার এবং চাকরির বাজারে যোগ্য করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এইউবিতে ৫টি অনুষদের অধীনে মোট ১২টি বিভাগ রয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলো হলো-বিবিএ, এমবিএ, সিএসই, ইংলিশ, ইকোনমিকস, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিকস, সোশ্যাল ওয়ার্ক, সোশোলোজি অ্যান্ড অ্যানথ্রোপলজি, ইসলামিক স্টাডিজ।

দেশে ও বিদেশে ক্যারিয়ার
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে কর্মজীবনে ভালো করছেন। দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তাঁরা উচ্চপদে আসীন আছেন। বিদেশেও তাঁরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন। অনেকে ভালো উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। এখানে কোনো সেশনজট নেই, কাজেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষ করে সরাসরি কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন। দেশে, প্রবাসে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই—সব মিলিয়ে এইউবি একটি পরিবার। 

স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা
স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যয় রাখা হয়েছে কম, যাতে অল্প আয়ের মানুষও এই উন্নত শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। এ ছাড়া রয়েছে ছাত্রবৃত্তি ও বেতন মওকুফের ব্যবস্থা, এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শতভাগ পর্যন্ত বেতন ছাড়ে লেখাপড়ার সুবিধা, সেমিস্টার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা এখানে সম্পূর্ণ ফ্রি লেখাপড়া করে।

বিদেশি শিক্ষার্থীরাও পড়ছে
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বিদেশি শিক্ষার্থীদেরও আকৃষ্ট করছে। অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশগুলোর শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেছেন ও করছেন। 

শতভাগ বৃত্তি সুযোগ

  • এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) প্রাপ্তদের জন্য ১০০ ভাগ বৃত্তি।
  • এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (জেনারেল) প্রাপ্তদের জন্য ৫০ ভাগ বৃত্তি।
  • এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৪ +৪ = ৮ (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) প্রাপ্তদের জন্য ২৫ ভাগ বৃত্তি।

ভর্তির যোগ্যতা (স্নাতক)
এসএসসি, এইচএসসি, ও-লেভেল, এ-লেভেল, দাখিল ও আলিমের প্রতিটি পর্যায়ে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ-২.৫ অথবা সমমানের গ্রেড থাকতে হবে। তবে কোনো একটি পরীক্ষা ন্যূনতম জিপিএ-২.০০ থাকলে উভয় পরীক্ষায় অবশ্যই মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। 

ভর্তি যোগ্যতা (স্নাতকোত্তর) 
স্নাতক প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির যাবতীয় যোগ্যতার পাশাপাশি স্নাতক বা সমমান পর্যায়ের যে কোনো পরীক্ষায় (স্নাতক/ডিগ্রি পাস/ফাজিল/অন্যান্য ডিগ্রি) ন্যূনতম তৃতীয় বিভাগ থাকতে হবে। পূর্বের পাশকৃত ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও ভর্তি হতে পারবে।

প্রফেসর ড. শাহজাহান খানস্বল্প খরচে উন্নতমানের উচ্চশিক্ষাদানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ  প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক কম। ফলে সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই শিক্ষাবান্ধব। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ পায়।

আধুনিক বিশ্বে যেসব শিক্ষাদানের সুযোগ-সুবিধা ও টেকনোলজি প্রচলিত আছে, সেগুলোর মাধ্যমে তারা যেন উপকৃত হতে পারে, সেদিকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। সে লক্ষ্যেই আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যের জন্য আউট কাম বেইজড এডুকেশনের যেসব প্রয়োজনীয়তা বা আবশ্যকতা, সেগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পদ্ধতি বা কারিকুলাম পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করার মতো। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আউট কাম বেইজড এডুকেশন কিছুটা নতুন, কিন্তু উন্নত বিশ্বে এটা বহু আগেই চলে এসেছে। আমি দীর্ঘদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধ্যাপনা করার কারণে এ বিষয়গুলোর সঙ্গে পরিচিত। সরকারের এই উদ্যোগকে আমি আন্তরিকভাবে সমর্থন করি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। 

উপাচার্য, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত