Ajker Patrika

কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২২, ১২: ৩৭
কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে ভাঙন শুরু হয়। দুপুরে জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চরম শঙ্কায় এলাকাবাসী। তলিয়ে যেতে পারে ১০ থেকে ১২টি গ্রাম।

সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, নদীতে জোয়ার আসছে। তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে আমরা স্থানীয়রা বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছি। 

স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার ওসমান গনি সরদার জানান, ভোর ৪টার দিকে চরামুখা খালের একপাশের (বেল্লালের ঘেরের পাশে) রাস্তা ভাটিতে ভেঙে নদীতে নেমে গেছে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন নাজুক অবস্থায় ছিল। প্রায় দুই চেইন রাস্তা কপোতাক্ষ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। এখন ভাটা থাকায় ঘেরের পানি নদীতে নামছে। স্বেচ্ছাসেবায় বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে মেরামত করতে না পারলে দুপুরের জোয়ারে বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হতে পারে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল বলেন, ওখানের বাঁধ দুর্বল ছিল। প্রায় দেড় শ মিটারের মতো ভেঙে ক্লোজার তৈরি হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে পানি আটকানোর মতো কিছু করা সম্ভব নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাবা-মায়ের মাঝখানে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল

 দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রতিবেশীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রতিবেশীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বাবা-মায়ের মাঝখানে ঘুমিয়ে থাকা শাকিল খান (৪ মাস) নামের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মারা যাওয়া শিশুর বাবা-মা দুজনই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু শাকিল ওই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি টংঘরের বারান্দায় শিশু শাকিলের মরদেহ রাখা আছে। তার পাশেই তার মা কাঁদছেন। আর মানুষেরা তাকে ঘিরে রেখেছে। এ সময় কথা হয় মৃত শাকিলের মা শাকিলা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চা কীভাবে মইরা গেল বলতে পারব না। রাতে আমার আর ওর বাবার মাঝখানে শাকিল ঘুমিয়েছিল। রাত ৪টার দিকে দেখি শাকিলের কোনো সাড়াশব্দ নেই। শাকিল মারা গেছে।’

এদিকে শাকিলের বাবা শুকুর আলী দেন ভিন্ন তথ্য। শুকুর আলী বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। রাত ৩টার দিকে দেখি ছেলের লিকেশ (নিশ্বাস) বন্ধ হয়ে গেছে। হাত-পা ঠান্ডা।’

স্থানীয় প্রতিবেশী কয়েকজন নারী-পুরুষ জানালেন, ভোররাতে শাকিল মারা যাওয়ার পর শাকিলের মা তার বাবাকে বলেন, ‘তুই আমার ছেলেকে মেরে ফেলছু।’ এ সময় শাকিলের বাবা উল্টো তার মাকে বলেন, ‘তুই আমার ছেলেকে মেরে ফেলছু।’ এ নিয়ে ওই রাতে দুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা বাধে। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। এলাকায় এ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়।

ওই মহল্লার বাসিন্দা বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুজনেরই (বাবা-মা) বুদ্ধিসুদ্ধি কম। পাড়ার সবাই তাদের পাগল বলে ডাকে। কখন কী বলে ঠিক নাই। খুবই দরিদ্র তারা। এলাকার সাহায্য-সহযোগিতায় খেয়ে-পরে বাঁচে। একটি টংঘরে থাকে। চার মাসের বাচ্চার যাতে ময়নাতদন্ত না হয়, এ বিষয়ে পরিবার ও আমরা এলাকাবাসী আবেদন করেছি।’

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। কীভাবে মারা গেছে, এ বিষয়ে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। পরিবার বা এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ নেই। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো সেই চিকিৎসককে আগের পদে বহাল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ শোকজের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদে বহাল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারির মাধ্যমে তাঁকে বহাল করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু ধনদেব চন্দ্র বর্মণ মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়, সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন। পরে তাঁর দাখিল করা জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর পাঠানো প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে আগের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো।

চিঠি জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, এই আদেশ গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে।

ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাকে আগের পদে বহাল করেছে। আমি কাজ শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় বিপুল খাদ্যদ্রব্যে ভরা বোটসহ ১২ পাচারকারী আটক

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আটক ১২ জন পাচারকারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক ১২ জন পাচারকারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

মিয়ানমারে পাচারকালে ৩১ লাখ টাকার বেশি মূল্যের খাদ্যদ্রব্যসহ একটি বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত থাকায় ১২ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে রাত ২টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের একটি দল হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটসংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সন্দেহজনক একটি ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করা ২৪৭ বস্তা হলুদ, ২৩৩ বস্তা মাসকলাই ডাল ও ৩২ বস্তা কাঠবাদাম জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ৩১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ সময় আটক করা হয় ১২ জন পাচারকারীকে।

মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, জব্দ করা বোট, আলামত ও আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীদের ফার্মগেট অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৪
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ফার্মগেটে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে সড়কে অবস্থান নিয়ে সবদিকের যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার মৃত্যুর প্রতিবাদে এই অবরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আরও জানান, ৬ ডিসেম্বর তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র সাকিবুল হাসান রানা চার দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার মারা যান।

অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মহিমান ফাহিম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী সাকিবুল হাসান রানাকে রাজনৈতিক সহিংসতার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কলেজে তার জানাজা পড়তে চাইলেও আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কে দাঁড়িয়েছি।’

শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে পুরো এলাকায় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পান্থপথ থেকে ফার্মগেটগামী সড়কটি বন্ধ দেখা গেছে। যার ফলে গ্রিনরোড, পান্থপথ, রাসেল স্কয়ার ও সোনারগাঁও থেকে আসা গাড়ির উত্তরমুখী চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। যার ফলে পান্থপথ, রাসেল স্কয়ার ও মিরপুর রোড সিগন্যালগুলোতে গাড়ির প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত