তানভীরুল ইসলাম, ঢাকা

শুরুতেই বলতে হয়, আপনি যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করছেন, সেই দেশের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, আপনি সেই দেশের নাগরিক, তার প্রমাণ অনেকটাই নির্ভর করে পরিচয়পত্রের ওপর। বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ১৮ বছর বয়সী হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারবেন। আজকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম’। তবে এ আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া যাক।
বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশি নাগরিকের প্রমাণ এই জাতীয় পরিচয়পত্র। তা ছাড়া, বিভিন্ন সময় একাধিক অপরিহার্য জনসেবা; যেমন: রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সরকারি সহযোগিতা ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথম জারি করা হয় ২০০৬ সালের ২২ জুলাই। সে সময় দেওয়া পরিচয়পত্রটির ওপর প্লাস্টিকের ল্যামিনেট আবরণ ছিল। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় স্মার্ট এনআইডি কার্ড। এই স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক এবং মাইক্রোচিপ এমবেড করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে পরিবর্তন আনার মূল কারণ ছিল হুবহু নকল রোধ।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তারা নিম্নলিখিত সুবিধা এবং পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত—
১. নাগরিকদের অধিকার এবং সুবিধা
২. শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধা
৩. জাতীয় পরিচয়
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স
৫. পাসপোর্ট
৬. সম্পত্তি বা জমি ক্রয়-বিক্রয়
৭. বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
৮. ব্যাংকঋণ সহায়তা
৯. সরকারি পেনশন
১০. বিআইএন (Business Identification Number) সুবিধা
১১. ব্যবসা বা ট্রেড লাইসেন্স
১২. যানবাহনের নিবন্ধন
১৩. বিমা প্রকল্প
১৪. বিবাহ নিবন্ধন
১৫. ই-পাসপোর্ট
১৬. ই-গভর্ন্যান্স
১৭. গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ
১৮. মোবাইল সংযোগ
১৯. ব্যাংক লেনদেন
২০. শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ
উপরিউক্ত, বিষয়গুলো থেকে সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার ফলে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিতও হতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমেও এই সেবা নেওয়া সম্ভব। ফ্যাক্স নম্বর: ৬০-২-৫৫০০৮৫১৫ এবং ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]
১. এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।
২. জন্মসনদের মূল কপি।
৩. ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য ইসি প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থাকা।
৪. বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিল, বাড়ি ভাড়ার রসিদ, অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ।
মোবাইলে ডায়াল করে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব। এটি প্রধানত ইউএসএসডি ডায়াল প্রক্রিয়া দ্বারা হয়। সব মোবাইল অপারেটর থেকেই এ কাজ সম্ভব হলেও বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বের করা সহজ। অন্য মোবাইল অপারেটরে যদি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তবে এর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রয়েছে অনলাইন। নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন থেকে যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন
১. প্রথমে মোবাইল ডায়াল অপশনে গিয়ে *১৬০০# ডায়াল করতে হবে।
২. ডায়ালের পর একটি ইন্টারফেস আসবে এবং দুটি ইনফরমেশন থাকবে: 1. Status of your sim এবং 2. Status against your NID.
৩. দ্বিতীয় নম্বর সিলেক্ট করে (2-লিখে) সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এর পর ইন্টারফেসটিতে লেখা আসবে (Your request has been accepted. Please wait for reply)।
৫. রিপ্লাই আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে এবং ১৬০০ নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইউএসএসডি ডায়াল করে শুধুমাত্র এনআইডি কার্ডের নম্বর বের করা সম্ভব হলেও আর কোনো তথ্য এখানে বের করা যায় না। এ সেবা থেকে প্রিন্ট কপি বের করা সম্ভব নয়। তবে প্রক্রিয়াটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বের করার জন্য বেশ সহজ মাধ্যম।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিকল্প নেই। যেকোনো অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল ডকুমেন্টের কাজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কাজেও এর ব্যবহার রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে মোবাইল নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার এ নিয়ম মেনে নম্বর পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়তা কেন্দ্র থেকে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

শুরুতেই বলতে হয়, আপনি যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করছেন, সেই দেশের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, আপনি সেই দেশের নাগরিক, তার প্রমাণ অনেকটাই নির্ভর করে পরিচয়পত্রের ওপর। বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ১৮ বছর বয়সী হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারবেন। আজকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম’। তবে এ আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া যাক।
বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশি নাগরিকের প্রমাণ এই জাতীয় পরিচয়পত্র। তা ছাড়া, বিভিন্ন সময় একাধিক অপরিহার্য জনসেবা; যেমন: রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সরকারি সহযোগিতা ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথম জারি করা হয় ২০০৬ সালের ২২ জুলাই। সে সময় দেওয়া পরিচয়পত্রটির ওপর প্লাস্টিকের ল্যামিনেট আবরণ ছিল। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় স্মার্ট এনআইডি কার্ড। এই স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক এবং মাইক্রোচিপ এমবেড করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে পরিবর্তন আনার মূল কারণ ছিল হুবহু নকল রোধ।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তারা নিম্নলিখিত সুবিধা এবং পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত—
১. নাগরিকদের অধিকার এবং সুবিধা
২. শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধা
৩. জাতীয় পরিচয়
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স
৫. পাসপোর্ট
৬. সম্পত্তি বা জমি ক্রয়-বিক্রয়
৭. বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
৮. ব্যাংকঋণ সহায়তা
৯. সরকারি পেনশন
১০. বিআইএন (Business Identification Number) সুবিধা
১১. ব্যবসা বা ট্রেড লাইসেন্স
১২. যানবাহনের নিবন্ধন
১৩. বিমা প্রকল্প
১৪. বিবাহ নিবন্ধন
১৫. ই-পাসপোর্ট
১৬. ই-গভর্ন্যান্স
১৭. গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ
১৮. মোবাইল সংযোগ
১৯. ব্যাংক লেনদেন
২০. শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ
উপরিউক্ত, বিষয়গুলো থেকে সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার ফলে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিতও হতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমেও এই সেবা নেওয়া সম্ভব। ফ্যাক্স নম্বর: ৬০-২-৫৫০০৮৫১৫ এবং ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]
১. এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।
২. জন্মসনদের মূল কপি।
৩. ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য ইসি প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থাকা।
৪. বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিল, বাড়ি ভাড়ার রসিদ, অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ।
মোবাইলে ডায়াল করে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব। এটি প্রধানত ইউএসএসডি ডায়াল প্রক্রিয়া দ্বারা হয়। সব মোবাইল অপারেটর থেকেই এ কাজ সম্ভব হলেও বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বের করা সহজ। অন্য মোবাইল অপারেটরে যদি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তবে এর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রয়েছে অনলাইন। নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন থেকে যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন
১. প্রথমে মোবাইল ডায়াল অপশনে গিয়ে *১৬০০# ডায়াল করতে হবে।
২. ডায়ালের পর একটি ইন্টারফেস আসবে এবং দুটি ইনফরমেশন থাকবে: 1. Status of your sim এবং 2. Status against your NID.
৩. দ্বিতীয় নম্বর সিলেক্ট করে (2-লিখে) সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এর পর ইন্টারফেসটিতে লেখা আসবে (Your request has been accepted. Please wait for reply)।
৫. রিপ্লাই আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে এবং ১৬০০ নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইউএসএসডি ডায়াল করে শুধুমাত্র এনআইডি কার্ডের নম্বর বের করা সম্ভব হলেও আর কোনো তথ্য এখানে বের করা যায় না। এ সেবা থেকে প্রিন্ট কপি বের করা সম্ভব নয়। তবে প্রক্রিয়াটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বের করার জন্য বেশ সহজ মাধ্যম।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিকল্প নেই। যেকোনো অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল ডকুমেন্টের কাজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কাজেও এর ব্যবহার রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে মোবাইল নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার এ নিয়ম মেনে নম্বর পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়তা কেন্দ্র থেকে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
তানভীরুল ইসলাম, ঢাকা

শুরুতেই বলতে হয়, আপনি যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করছেন, সেই দেশের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, আপনি সেই দেশের নাগরিক, তার প্রমাণ অনেকটাই নির্ভর করে পরিচয়পত্রের ওপর। বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ১৮ বছর বয়সী হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারবেন। আজকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম’। তবে এ আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া যাক।
বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশি নাগরিকের প্রমাণ এই জাতীয় পরিচয়পত্র। তা ছাড়া, বিভিন্ন সময় একাধিক অপরিহার্য জনসেবা; যেমন: রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সরকারি সহযোগিতা ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথম জারি করা হয় ২০০৬ সালের ২২ জুলাই। সে সময় দেওয়া পরিচয়পত্রটির ওপর প্লাস্টিকের ল্যামিনেট আবরণ ছিল। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় স্মার্ট এনআইডি কার্ড। এই স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক এবং মাইক্রোচিপ এমবেড করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে পরিবর্তন আনার মূল কারণ ছিল হুবহু নকল রোধ।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তারা নিম্নলিখিত সুবিধা এবং পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত—
১. নাগরিকদের অধিকার এবং সুবিধা
২. শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধা
৩. জাতীয় পরিচয়
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স
৫. পাসপোর্ট
৬. সম্পত্তি বা জমি ক্রয়-বিক্রয়
৭. বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
৮. ব্যাংকঋণ সহায়তা
৯. সরকারি পেনশন
১০. বিআইএন (Business Identification Number) সুবিধা
১১. ব্যবসা বা ট্রেড লাইসেন্স
১২. যানবাহনের নিবন্ধন
১৩. বিমা প্রকল্প
১৪. বিবাহ নিবন্ধন
১৫. ই-পাসপোর্ট
১৬. ই-গভর্ন্যান্স
১৭. গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ
১৮. মোবাইল সংযোগ
১৯. ব্যাংক লেনদেন
২০. শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ
উপরিউক্ত, বিষয়গুলো থেকে সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার ফলে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিতও হতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমেও এই সেবা নেওয়া সম্ভব। ফ্যাক্স নম্বর: ৬০-২-৫৫০০৮৫১৫ এবং ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]
১. এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।
২. জন্মসনদের মূল কপি।
৩. ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য ইসি প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থাকা।
৪. বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিল, বাড়ি ভাড়ার রসিদ, অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ।
মোবাইলে ডায়াল করে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব। এটি প্রধানত ইউএসএসডি ডায়াল প্রক্রিয়া দ্বারা হয়। সব মোবাইল অপারেটর থেকেই এ কাজ সম্ভব হলেও বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বের করা সহজ। অন্য মোবাইল অপারেটরে যদি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তবে এর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রয়েছে অনলাইন। নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন থেকে যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন
১. প্রথমে মোবাইল ডায়াল অপশনে গিয়ে *১৬০০# ডায়াল করতে হবে।
২. ডায়ালের পর একটি ইন্টারফেস আসবে এবং দুটি ইনফরমেশন থাকবে: 1. Status of your sim এবং 2. Status against your NID.
৩. দ্বিতীয় নম্বর সিলেক্ট করে (2-লিখে) সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এর পর ইন্টারফেসটিতে লেখা আসবে (Your request has been accepted. Please wait for reply)।
৫. রিপ্লাই আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে এবং ১৬০০ নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইউএসএসডি ডায়াল করে শুধুমাত্র এনআইডি কার্ডের নম্বর বের করা সম্ভব হলেও আর কোনো তথ্য এখানে বের করা যায় না। এ সেবা থেকে প্রিন্ট কপি বের করা সম্ভব নয়। তবে প্রক্রিয়াটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বের করার জন্য বেশ সহজ মাধ্যম।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিকল্প নেই। যেকোনো অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল ডকুমেন্টের কাজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কাজেও এর ব্যবহার রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে মোবাইল নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার এ নিয়ম মেনে নম্বর পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়তা কেন্দ্র থেকে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

শুরুতেই বলতে হয়, আপনি যে দেশে স্থায়ীভাবে বাস করছেন, সেই দেশের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, আপনি সেই দেশের নাগরিক, তার প্রমাণ অনেকটাই নির্ভর করে পরিচয়পত্রের ওপর। বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও পরিচয়পত্র থাকার বিষয়টি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ১৮ বছর বয়সী হলে জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে পারবেন। আজকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম’। তবে এ আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে কিছু তথ্য দেওয়া যাক।
বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশি নাগরিকের প্রমাণ এই জাতীয় পরিচয়পত্র। তা ছাড়া, বিভিন্ন সময় একাধিক অপরিহার্য জনসেবা; যেমন: রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সরকারি সহযোগিতা ইত্যাদি গ্রহণের সুযোগ পাওয়া যায় এর মাধ্যমে।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথম জারি করা হয় ২০০৬ সালের ২২ জুলাই। সে সময় দেওয়া পরিচয়পত্রটির ওপর প্লাস্টিকের ল্যামিনেট আবরণ ছিল। ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তখন এর নাম দেওয়া হয় স্মার্ট এনআইডি কার্ড। এই স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক এবং মাইক্রোচিপ এমবেড করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রে পরিবর্তন আনার মূল কারণ ছিল হুবহু নকল রোধ।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তারা নিম্নলিখিত সুবিধা এবং পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত—
১. নাগরিকদের অধিকার এবং সুবিধা
২. শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুবিধা
৩. জাতীয় পরিচয়
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স
৫. পাসপোর্ট
৬. সম্পত্তি বা জমি ক্রয়-বিক্রয়
৭. বাংলাদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
৮. ব্যাংকঋণ সহায়তা
৯. সরকারি পেনশন
১০. বিআইএন (Business Identification Number) সুবিধা
১১. ব্যবসা বা ট্রেড লাইসেন্স
১২. যানবাহনের নিবন্ধন
১৩. বিমা প্রকল্প
১৪. বিবাহ নিবন্ধন
১৫. ই-পাসপোর্ট
১৬. ই-গভর্ন্যান্স
১৭. গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ
১৮. মোবাইল সংযোগ
১৯. ব্যাংক লেনদেন
২০. শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ
উপরিউক্ত, বিষয়গুলো থেকে সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার ফলে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিতও হতে হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া, ফ্যাক্স অথবা ই-মেইলের মাধ্যমেও এই সেবা নেওয়া সম্ভব। ফ্যাক্স নম্বর: ৬০-২-৫৫০০৮৫১৫ এবং ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]
১. এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।
২. জন্মসনদের মূল কপি।
৩. ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য ইসি প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থাকা।
৪. বাবা, মা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিল, বাড়ি ভাড়ার রসিদ, অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ।
মোবাইলে ডায়াল করে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব। এটি প্রধানত ইউএসএসডি ডায়াল প্রক্রিয়া দ্বারা হয়। সব মোবাইল অপারেটর থেকেই এ কাজ সম্ভব হলেও বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বের করা সহজ। অন্য মোবাইল অপারেটরে যদি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হয়, তবে এর বিকল্প মাধ্যম হিসেবে রয়েছে অনলাইন। নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন থেকে যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন
১. প্রথমে মোবাইল ডায়াল অপশনে গিয়ে *১৬০০# ডায়াল করতে হবে।
২. ডায়ালের পর একটি ইন্টারফেস আসবে এবং দুটি ইনফরমেশন থাকবে: 1. Status of your sim এবং 2. Status against your NID.
৩. দ্বিতীয় নম্বর সিলেক্ট করে (2-লিখে) সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এর পর ইন্টারফেসটিতে লেখা আসবে (Your request has been accepted. Please wait for reply)।
৫. রিপ্লাই আসার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে এবং ১৬০০ নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইউএসএসডি ডায়াল করে শুধুমাত্র এনআইডি কার্ডের নম্বর বের করা সম্ভব হলেও আর কোনো তথ্য এখানে বের করা যায় না। এ সেবা থেকে প্রিন্ট কপি বের করা সম্ভব নয়। তবে প্রক্রিয়াটি শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বের করার জন্য বেশ সহজ মাধ্যম।
বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিকল্প নেই। যেকোনো অফিশিয়াল-আনঅফিশিয়াল ডকুমেন্টের কাজ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কাজেও এর ব্যবহার রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে মোবাইল নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করার এ নিয়ম মেনে নম্বর পেলে জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়তা কেন্দ্র থেকে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় চেপে ধরেন এবং পরে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি...
১ দিন আগে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত সেপ্টেম্বরে জনপ্রিয় ইউটিউবার আইশোস্পিড লাইভস্ট্রিম করেছিলেন তাঁর সঙ্গে ভাইরাল হিউম্যানয়েড ইনফ্লুয়েন্সার রিজবটের সাক্ষাৎ।
রিজবটের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে ১০ লাখের বেশি অনুসারী। রিজবট পরিচিত কৌতুকপূর্ণ ব্যঙ্গ এবং মাঝেমধ্যে মানুষকে মধ্যমা দেখানোর জন্য। অন্যদিকে আইশোস্পিড বা স্পিড (বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যার পাঁচ কোটি অনুসারী) লাইভস্ট্রিমে নাটকীয় আচরণের জন্য বিখ্যাত।
দুই পক্ষের ওই সাক্ষাতে কী হয়েছিল—সেটিই এখন একটি মামলার বিষয়। রিজবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল রোবোটিকস গত নভেম্বরে স্পিড (আসল নাম ড্যারেন জেসন ওয়াটকিনস জুনিয়র), তাঁর ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মিক্সড ম্যানেজমেন্ট এবং সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় ফেলে এর গলা চেপে ধরেন এবং মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
অভিযোগে বলা হয়, রিজবটের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ করেছেন স্পিড। তিনি ভালোভাবেই জানতেন, একটি অত্যাধুনিক রোবটের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক নয়। তিনি জানতেন, এ ধরনের আচরণ রিজবটের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাঁর এসব কার্যকলাপের ফলে রোবটের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে এবং এর মুখ-গলায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।
স্পিডের ম্যানেজমেন্ট টিম টেকক্রাঞ্চের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
সোশ্যাল রোবোটিকসের আইনজীবী জোয়েল লেভাইন জানান, রোবটের ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্পিডের টিমের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা মামলা করেছেন।
তিনি টেকক্রাঞ্চকে বলেন, ‘এটি লাইভস্ট্রিমে হওয়া ঘটনা। তাই তথ্য নিয়ে খুব বেশি অস্পষ্টতা নেই। আমরা শুধু এর জবাবদিহি চাই।’

গত সেপ্টেম্বরে জনপ্রিয় ইউটিউবার আইশোস্পিড লাইভস্ট্রিম করেছিলেন তাঁর সঙ্গে ভাইরাল হিউম্যানয়েড ইনফ্লুয়েন্সার রিজবটের সাক্ষাৎ।
রিজবটের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে ১০ লাখের বেশি অনুসারী। রিজবট পরিচিত কৌতুকপূর্ণ ব্যঙ্গ এবং মাঝেমধ্যে মানুষকে মধ্যমা দেখানোর জন্য। অন্যদিকে আইশোস্পিড বা স্পিড (বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যার পাঁচ কোটি অনুসারী) লাইভস্ট্রিমে নাটকীয় আচরণের জন্য বিখ্যাত।
দুই পক্ষের ওই সাক্ষাতে কী হয়েছিল—সেটিই এখন একটি মামলার বিষয়। রিজবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল রোবোটিকস গত নভেম্বরে স্পিড (আসল নাম ড্যারেন জেসন ওয়াটকিনস জুনিয়র), তাঁর ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মিক্সড ম্যানেজমেন্ট এবং সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় ফেলে এর গলা চেপে ধরেন এবং মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
অভিযোগে বলা হয়, রিজবটের ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ করেছেন স্পিড। তিনি ভালোভাবেই জানতেন, একটি অত্যাধুনিক রোবটের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক নয়। তিনি জানতেন, এ ধরনের আচরণ রিজবটের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাঁর এসব কার্যকলাপের ফলে রোবটের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে এবং এর মুখ-গলায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।
স্পিডের ম্যানেজমেন্ট টিম টেকক্রাঞ্চের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
সোশ্যাল রোবোটিকসের আইনজীবী জোয়েল লেভাইন জানান, রোবটের ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্পিডের টিমের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা মামলা করেছেন।
তিনি টেকক্রাঞ্চকে বলেন, ‘এটি লাইভস্ট্রিমে হওয়া ঘটনা। তাই তথ্য নিয়ে খুব বেশি অস্পষ্টতা নেই। আমরা শুধু এর জবাবদিহি চাই।’

জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া...
০১ জুলাই ২০২২
অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি...
১ দিন আগে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিলিকন ভ্যালিতে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত অ্যাপল হঠাৎ করে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্মী-সংকটের সম্মুখীন। শীর্ষ নির্বাহী থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলীরাও প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ইন্টারফেস ডিজাইনের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। এরপর কোম্পানি ঘোষণা করে, তাদের জেনারেল কাউন্সেল ও সরকারি সম্পর্কবিষয়ক প্রধানও বিদায় নিচ্ছেন। এই চারজনই সরাসরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের অধীনে কাজ করতেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে আরও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। হার্ডওয়্যার টেকনোলজির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অ্যাপলের অন্যতম সম্মানিত নির্বাহী জনি স্রুজি সম্প্রতি কুককে জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে কোম্পানি ছাড়ার কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন তিনি। অ্যাপলের মূল্যবান চিপ উদ্যোগের নেপথ্য কারিগর স্রুজি সহকর্মীদের জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে অন্য কোম্পানিতে যোগ দেবেন।
এদিকে অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
সব মিলিয়ে কুকের দায়িত্বকালে সবচেয়ে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অ্যাপল। কুক শিগগির পদ ছাড়বেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে অ্যাপলকে তার টিম পুনর্গঠন করতে হবে এবং এআইয়ের যুগে টিকে থাকার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
অ্যাপলের ভেতরে কিছু পদত্যাগ গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের আরও মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে চাইছেন কুক। অন্যদিকে কিছু নির্বাহীর বিদায়কে দেখা হচ্ছে স্বাভাবিক অবসরের সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে। তবু এই পরিবর্তনগুলোকে একধরনের ‘উদ্বেগজনক মেধা পাচার’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিইও অবশ্য দাবি করছেন, অ্যাপল তার ইতিহাসের সবচেয়ে উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি করছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাঁজযোগ্য আইফোন ও আইপ্যাড, স্মার্ট গ্লাস এবং রোবট।
তবে প্রতিষ্ঠানটি গত এক দশকে সফল কোনো পণ্য বিভাগ খুলতে পারেনি। এই পরিস্থিতি অ্যাপলকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে দুর্বল করে দিচ্ছে, যারা এআই-নির্ভর পরবর্তী প্রজন্মের ডিভাইস তৈরি করতে বেশি সক্ষম।
ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক অ্যাপলের এক মুখপাত্র এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

সিলিকন ভ্যালিতে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত অ্যাপল হঠাৎ করে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় কর্মী-সংকটের সম্মুখীন। শীর্ষ নির্বাহী থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলীরাও প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাচ্ছেন।
গত সপ্তাহে অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ইন্টারফেস ডিজাইনের প্রধান পদত্যাগ করেছেন। এরপর কোম্পানি ঘোষণা করে, তাদের জেনারেল কাউন্সেল ও সরকারি সম্পর্কবিষয়ক প্রধানও বিদায় নিচ্ছেন। এই চারজনই সরাসরি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের অধীনে কাজ করতেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে আরও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। হার্ডওয়্যার টেকনোলজির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অ্যাপলের অন্যতম সম্মানিত নির্বাহী জনি স্রুজি সম্প্রতি কুককে জানিয়েছেন, নিকট ভবিষ্যতে কোম্পানি ছাড়ার কথা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন তিনি। অ্যাপলের মূল্যবান চিপ উদ্যোগের নেপথ্য কারিগর স্রুজি সহকর্মীদের জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে অন্য কোম্পানিতে যোগ দেবেন।
এদিকে অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
সব মিলিয়ে কুকের দায়িত্বকালে সবচেয়ে অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে অ্যাপল। কুক শিগগির পদ ছাড়বেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে অ্যাপলকে তার টিম পুনর্গঠন করতে হবে এবং এআইয়ের যুগে টিকে থাকার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
অ্যাপলের ভেতরে কিছু পদত্যাগ গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের আরও মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে চাইছেন কুক। অন্যদিকে কিছু নির্বাহীর বিদায়কে দেখা হচ্ছে স্বাভাবিক অবসরের সময় ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে। তবু এই পরিবর্তনগুলোকে একধরনের ‘উদ্বেগজনক মেধা পাচার’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিইও অবশ্য দাবি করছেন, অ্যাপল তার ইতিহাসের সবচেয়ে উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি করছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাঁজযোগ্য আইফোন ও আইপ্যাড, স্মার্ট গ্লাস এবং রোবট।
তবে প্রতিষ্ঠানটি গত এক দশকে সফল কোনো পণ্য বিভাগ খুলতে পারেনি। এই পরিস্থিতি অ্যাপলকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে দুর্বল করে দিচ্ছে, যারা এআই-নির্ভর পরবর্তী প্রজন্মের ডিভাইস তৈরি করতে বেশি সক্ষম।
ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক অ্যাপলের এক মুখপাত্র এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া...
০১ জুলাই ২০২২
মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় চেপে ধরেন এবং পরে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
২ ঘণ্টা আগে
নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি...
১ দিন আগে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করছে।
বিভিন্ন নথি, ই-মেল এবং পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে স্মার্টফোনগুলোতে লোকেশন পরিষেবাগুলো সর্বদা সক্রিয় থাকবে, ব্যবহারকারীর হাতে এ ধরনের পরিষেবা বন্ধ বা ডিঅ্যাকটিভেট করার কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ-জিপিএস প্রযুক্তি—যা সাধারণত কেবল নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু থাকলে বা জরুরি কলের সময় সক্রিয় হয়—তা কর্তৃপক্ষকে এমন নির্ভুল লোকেশন ডেটা সরবরাহ করতে পারে যা দিয়ে ব্যবহারকারীকে প্রায় নিখুঁতভাবে ট্র্যাক করা সম্ভব।
ব্রিটেনের ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জুনাদে আলী এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘এই প্রস্তাব কার্যকর হলে ফোনগুলো এক-একটি সম্পূর্ণ নজরদারি ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে।’
মোদি সরকার এর আগে সব ডিভাইসে বাধ্যতামূলকভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ প্রি-লোড করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর সেটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন প্রস্তাব সামনে এলো।
তদন্তের সময় টেলিকম সংস্থাগুলোর কাছে আইনি অনুরোধ করা হলেও তারা ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরেই মোদি প্রশাসন এ বিষয়টির সমাধান নিয়ে ভাবছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, সংস্থাগুলো কেবল সেলুলার টাওয়ার ডেটা ব্যবহার করতে পারে। এ ধরনের ডেটা কেবল একটি আনুমানিক এলাকা নির্দেশ করে। এই ডেটা ব্যবহারকারীকে তার প্রকৃত অবস্থান থেকে বেশ কয়েক মিটার দূরে দেখায়। কিন্তু এ-জিপিএস মাত্র এক মিটারের মধ্যেই অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম।
রিলায়েন্সের জিও এবং ভারতী এয়ারটেল-এর প্রতিনিধিত্বকারী সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই) প্রস্তাব করেছে, সঠিক অবস্থান তখনই সরবরাহ করা যাবে যখন সরকার স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের এ-জিপিএস প্রযুক্তি সক্রিয় করতে নির্দেশ দেবে।
লবিং গ্রুপ ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ), ভারতে অ্যাপল এবং গুগল উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে। তারা সরকারের কাছে পাঠানো এক গোপন চিঠিতে জানিয়েছে, ডিভাইসের অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা বিশ্বে আর কোথাও নেই। রয়টার্সে দেখা সেই চিঠিতে আইসিইএ লিখেছে, এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের একজন নিরাপত্তা গবেষক কুপার কুইন্টিন এই ধরনের প্রস্তাব সম্পর্কে আগে কখনো শোনেননি বলে উল্লেখ করে এটিকে ‘সত্যিই ভয়ানক’ বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও ভারতে এ ব্যাপারে এখনো কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে অ্যাপল, স্যামসাং এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলো এই প্রস্তাবের বাধ্যতামূলক প্রয়োগের বিরোধিতা করেছে। আইসিইএ সতর্ক করে বলেছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে সামরিক কর্মী, বিচারক, করপোরেট নির্বাহী এবং সাংবাদিকেরাও থাকবেন। এই ধরনের পেশার মানুষদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য থাকায় তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে।
অন্যদিকে, টেলিকম কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, পুরোনো ট্র্যাকিং পদ্ধতিও সমস্যা তৈরি করছে, কারণ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকেরা ব্যবহারকারীদের পপ-আপ বার্তা দেখিয়ে সতর্ক করে। বার্তায় দেখানো হয়, ক্যারিয়ার (অপারেটর কোম্পানি) তাদের লোকেশন ডেটায় অ্যাকসেস করার চেষ্টা করছে। এতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারেন যে তাঁকে ট্র্যাক করা হচ্ছে। তাই টেলিকম কোম্পানিগুলো মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকদের এই পপ-আপ ফিচার ডিঅ্যাকটিভেট করার নির্দেশ দিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে আইসিইএ জোর দিয়ে বলেছে, স্বচ্ছতা এবং ডিভাইসে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ অক্ষত রাখার জন্য গোপনীয়তার উদ্বেগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পপ-আপ চালু রাখা উচিত।

নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করছে।
বিভিন্ন নথি, ই-মেল এবং পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে স্মার্টফোনগুলোতে লোকেশন পরিষেবাগুলো সর্বদা সক্রিয় থাকবে, ব্যবহারকারীর হাতে এ ধরনের পরিষেবা বন্ধ বা ডিঅ্যাকটিভেট করার কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ-জিপিএস প্রযুক্তি—যা সাধারণত কেবল নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু থাকলে বা জরুরি কলের সময় সক্রিয় হয়—তা কর্তৃপক্ষকে এমন নির্ভুল লোকেশন ডেটা সরবরাহ করতে পারে যা দিয়ে ব্যবহারকারীকে প্রায় নিখুঁতভাবে ট্র্যাক করা সম্ভব।
ব্রিটেনের ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জুনাদে আলী এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, ‘এই প্রস্তাব কার্যকর হলে ফোনগুলো এক-একটি সম্পূর্ণ নজরদারি ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে।’
মোদি সরকার এর আগে সব ডিভাইসে বাধ্যতামূলকভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সাইবার নিরাপত্তা অ্যাপ প্রি-লোড করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর সেটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন প্রস্তাব সামনে এলো।
তদন্তের সময় টেলিকম সংস্থাগুলোর কাছে আইনি অনুরোধ করা হলেও তারা ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরেই মোদি প্রশাসন এ বিষয়টির সমাধান নিয়ে ভাবছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, সংস্থাগুলো কেবল সেলুলার টাওয়ার ডেটা ব্যবহার করতে পারে। এ ধরনের ডেটা কেবল একটি আনুমানিক এলাকা নির্দেশ করে। এই ডেটা ব্যবহারকারীকে তার প্রকৃত অবস্থান থেকে বেশ কয়েক মিটার দূরে দেখায়। কিন্তু এ-জিপিএস মাত্র এক মিটারের মধ্যেই অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম।
রিলায়েন্সের জিও এবং ভারতী এয়ারটেল-এর প্রতিনিধিত্বকারী সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই) প্রস্তাব করেছে, সঠিক অবস্থান তখনই সরবরাহ করা যাবে যখন সরকার স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকদের এ-জিপিএস প্রযুক্তি সক্রিয় করতে নির্দেশ দেবে।
লবিং গ্রুপ ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ), ভারতে অ্যাপল এবং গুগল উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে। তারা সরকারের কাছে পাঠানো এক গোপন চিঠিতে জানিয়েছে, ডিভাইসের অবস্থান ট্র্যাকিংয়ের এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা বিশ্বে আর কোথাও নেই। রয়টার্সে দেখা সেই চিঠিতে আইসিইএ লিখেছে, এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের একজন নিরাপত্তা গবেষক কুপার কুইন্টিন এই ধরনের প্রস্তাব সম্পর্কে আগে কখনো শোনেননি বলে উল্লেখ করে এটিকে ‘সত্যিই ভয়ানক’ বলে অভিহিত করেছেন।
যদিও ভারতে এ ব্যাপারে এখনো কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে অ্যাপল, স্যামসাং এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলো এই প্রস্তাবের বাধ্যতামূলক প্রয়োগের বিরোধিতা করেছে। আইসিইএ সতর্ক করে বলেছে, ব্যবহারকারীদের মধ্যে সামরিক কর্মী, বিচারক, করপোরেট নির্বাহী এবং সাংবাদিকেরাও থাকবেন। এই ধরনের পেশার মানুষদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য থাকায় তাঁদের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে।
অন্যদিকে, টেলিকম কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, পুরোনো ট্র্যাকিং পদ্ধতিও সমস্যা তৈরি করছে, কারণ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকেরা ব্যবহারকারীদের পপ-আপ বার্তা দেখিয়ে সতর্ক করে। বার্তায় দেখানো হয়, ক্যারিয়ার (অপারেটর কোম্পানি) তাদের লোকেশন ডেটায় অ্যাকসেস করার চেষ্টা করছে। এতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারেন যে তাঁকে ট্র্যাক করা হচ্ছে। তাই টেলিকম কোম্পানিগুলো মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকদের এই পপ-আপ ফিচার ডিঅ্যাকটিভেট করার নির্দেশ দিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে আইসিইএ জোর দিয়ে বলেছে, স্বচ্ছতা এবং ডিভাইসে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ অক্ষত রাখার জন্য গোপনীয়তার উদ্বেগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পপ-আপ চালু রাখা উচিত।

জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া...
০১ জুলাই ২০২২
মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় চেপে ধরেন এবং পরে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় পরিচয়পত্রের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের সহায়তা কেন্দ্রে সরাসরি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। এ জন্য ফোন করতে হবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ফোন নম্বর ১০৫-এ। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা গ্রহণ করা যাবে। তা ছাড়া...
০১ জুলাই ২০২২
মামলার অভিযোগে বলা হয় এবং লাইভস্ট্রিম ভিডিওতেও দেখা যায়, স্পিড বারবার রিজবটের মুখে ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে সোফায় চেপে ধরেন এবং পরে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাপলের এআই কর্মীরা দল বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। মেটা প্ল্যাটফর্মস, ওপেনএআইসহ নানা স্টার্টআপ অ্যাপল ইঞ্জিনিয়ারদের টানছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি আরও পিছিয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাপল এখন পর্যন্ত বড় কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতির অজুহাতে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোকে স্যাটেলাইট লোকেশন ট্র্যাকিং (এ-জিপিএস) ব্যবস্থা সর্বদা সক্রিয় রাখতে বাধ্য করার জন্য ভারত সরকার টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। তবে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার উদ্বেগে অ্যাপল, গুগল এবং স্যামসাং-সহ বৃহৎ প্রযুক্তি...
১ দিন আগে