নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
৪২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দুরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন আপনারা আমার অন্তরে আছেন।
০৩ জুন ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দুরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন আপনারা আমার অন্তরে আছেন।
০৩ জুন ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
৪২ মিনিট আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দুরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন আপনারা আমার অন্তরে আছেন।
০৩ জুন ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
৪২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দুরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন আপনারা আমার অন্তরে আছেন।
০৩ জুন ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
৪২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে