বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিদের ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন রজত পাতিদার। ইন্দোরে জন্ম নেওয়া ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে টুর্নামেন্টের আগে হয়তো অনেকেই বেঙ্গালুরুর একাদশেও বিবেচনা করেননি। এমনকি মেগা নিলামেও দল পাননি পাতিদার। মৌসুম শুরুর পর চোটের বদলি হিসেবে সুযোগ পান। অথচ তিনিই কি না লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে জয়ের নায়ক।
আইপিএলের ইতিহাস পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে নকআউট পর্বে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন পাতিদার। ৩ নম্বরে নেমে রজতের ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই লক্ষ্ণৌর সামনে দুই শতাধিক রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বেঙ্গালুরু। ৫৪ বলে ১২ চার এবং ৭ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। তাঁর ইনিংসের সুবাদেই প্রথম এলেমিনেটরে ১৪ রানের জয় পেয়েছেন কোহলিরা।
ম্যাচ জেতানোর পর পাতিদার জানিয়েছেন তাঁর সাফল্যের রহস্য। তিনি বলেছেন, ‘আমার মূল লক্ষ্যই ছিল ঠিকঠাক টাইমিং করা। জোরে মারার থেকেও এটাতেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলার ছিল ক্রুণাল পান্ডিয়া। তখনই নিজের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি।’
প্রথম কয়েকটা বল খেলার পরেই বড় রান করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন পাতিদার। রজত বলেছেন, ‘পরিকল্পনামতো ব্যাট করতে পারছিলাম। তখনই মনে হয় বড় ইনিংস খেলতে পারি। আমি সুযোগের অপেক্ষা করেছি। অযথা ঝুঁকি নিতে চাইনি। সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছি। ঠিক সময়ে বল মারার চেষ্টা করেছি। কোনো বলে রান করতে না পারলেও ভাবিনি। চাইনি নিজের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে