Ajker Patrika

কানের তারকা ফ্যাশন

অলকানন্দা রায়, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৩: ১৩
কানের তারকা ফ্যাশন

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়। আর তাই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে রেড কার্পেটে বাহারি লুক নিয়ে তারকাদের উপস্থিতি। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।

এই উৎসবের প্রথম দিন থেকেই অনন্য সাজে বিশ্বের জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পীরা এখানে হাজির হয়েছেন এক এক করে।

দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার নানা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। তবে এবার বলিউড সুন্দরী কানে হাজির হয়েছেন জুরিবোর্ডের সদস্য হয়ে।

কানের অন্য বিচারকদের সঙ্গে হোটেল মার্টিনেজে ডিনার পার্টিতে অংশ নেন দীপিকা। এ সময় তাঁর পরনে ছিল লুই ভিতোর বর্ণিল পোশাক ও বাদামি রঙের হাইবুট। তবে দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।

কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

অন্যদিকে মঙ্গলবার ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর পরনে ছিল সিল্কের প্রিন্ট শার্ট। সবুজ ঢিলেঢালা প্যান্ট। কোমরে বাদামি বেল্ট। গলায় কুন্দন-মুক্তা ও পাথরের তৈরি ভারী নেকলেস। মাথায় সিল্কের ব্যান্ড।

রেড কার্পেট অনুষ্ঠানে ভারতীয় পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়িতে রেট্রো লুকে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন দীপিকা। কালো ও সোনালি রঙের ডোরাকাটা চুমকির নকশা করা শাড়িতে চমকে দিয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়াকে। ব্রালেটের সঙ্গে সেই শাড়ির মেলবন্ধন নজর কেড়েছে। চড়া মেক আপ, মোটা করে টানা আইলাইনার, বান হেয়ার স্টাইল, সোনালি হেয়ার ব্যান্ড, কানে সব্যসাচীর নকশা করা ভারী দুল—যেন ষাটের দশকের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন দীপিকা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য।ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি বছর ফ্রেঞ্চ রিভেরায় নিজের রূপের দ্যুতি ছড়ানো অভিনেত্রী। কান চলচ্চিত্র উৎসবের নিয়মিত অতিথি তিনি। এবারও সে ধারায় অন্যথা হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রীর সাজপোশাক দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বিদেশি পোশাকশিল্পীর নকশা করা কালো স্লিট গাউনে সেজে উঠেছিলেন তিনি। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই গাউনে রঙিন থ্রিডি ফুলেল মোটিফের কারুকাজ। গাউনের স্লিট অংশে আর ডান কাঁধ জুড়ে রঙিন ফুলের সেই নকশা ঐশ্বরিয়ার পোশাকের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। খোলা চুল, মায়াবী চোখের সাজ আর হালকা মেকআপেই সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজপোশাক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তগণ।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী তামান্না। দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি এখন বলিউডেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকে একাধিক ফটোশ্যুটও করেছেন তিনি। আর সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। খোলা চুল। চোখে চড়া মেকআপ। কানে হিরের দুল। এতটুকুতেই রীতিমতো নজর কেড়েছেন তামান্না।

পূজা হেগড়ে দ্বিতীয় দিন দেখা দিয়েছেন ছড়ানো পালকের ক্রিমরঙা গাউনে। অনেকে বলছেন, এই লুক নাকি দীপিকার বেঙ্গল টাইগার শাড়ি আর ঐশ্বরিয়ার গোলাপি প্যান্ট-স্যুট থেকে ঢের ভালো।

জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।সিরিয়ার ফ্যাশন ডিজাইনার রামি আল আলীর নকশা করা ওয়াইনরঙা গাউনে হিনা খানকে পছন্দ করেছেন ভক্তরা। দ্বিতীয় দিনে হিনা খান পরেছেন টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফোভারির কালো গাউন। এর একটি অংশ বডি হাগিং মিড লেন্থের। সেখানে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা কালো লেস। আর ছড়ানো ট্রেনগুলো অনেকটা পাখার মতো।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সফল ভারতীয়দের ভেতর অন্যতম মাসুম মিনাওয়ালা। ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশে হালকা ওশান ব্লু-রঙা মাসুমের পোশাক নজর কেড়েছে অনেকের। এমব্রয়ডারি করা লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে পরেছেন একই রঙের স্কার্ট। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন অমিত আগারওয়াল।

পরপর পাঁচবারের মতো ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কানের লালগালিচায় অংশ নিলেন দীপা খোসলা। সাদা পালকের ব্লাউজ, গয়না আর শাড়িতে দীপা খোসলা হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। তাঁর শাড়িটি ডিজাইন করেছেন মনীশ মালহোত্রা। দীপার এই লুকের স্টাইলিস্টও তিনি।

এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে।গ্র্যামি আগেই জানান দিয়েছিল, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ বছর গোলাপির বিকল্প নেই। কেননা, গোলাপি দুঃসময় পেরিয়ে নতুনভাবে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। এই সময়ের সঙ্গে যেটি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেটিই আবার প্রমাণিত হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ফারহানা বদিও বেছে নিয়েছিলেন হট পিংক ছড়ানো গাউন। বিশাল এই গাউনটি বানিয়েছে দুবাইভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাটলিয়ার জুহরা। এত গেল বলিউড তারকাদের কথা।

উৎসবে হলিউড তারকারাও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। আমেরিকান অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তামার গাউন পরে রেড কার্পেটে হাঁটেন, যা নিউইয়র্কের স্থাপত্য ইতিহাস এবং বিশেষত স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।

ইংলিশ অভিনেত্রী জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।

ব্রিটিশ মডেল কেট মস পড়েছিলেন বারবেরির ক্ল্যাসিক ভেলভেট টাক্সেডো পোশাক। টম ফোর্ড পরিহিতা গ্ল্যামারাস জুলিয়ান মুরকে দেখে ভক্ত অনুরাগীরা মুগ্ধ হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস পড়েছিলেন চোপার্ড-এর গয়না ও রেনে কাওভিলা স্যান্ডেলসহ একটি লুই ভিত স্যুট। অন্য আরেক মার্কিন এলি ফ্যানিং লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন একটি রূপকথার ব্লাশ গোলাপি আরমানি প্রাইভ গাউন এবং চোপার্ড গয়না পরে। সঙ্গে ছিল গুচির হাত ব্যাগ।

লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে।এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে। পোশাকের ওপরের অংশে ছিল পাথরের কাজ। সোনালি খোলা চুলের একপাশ আটকেছিলেন মুক্তা ও সাদা পুঁতি বসানো ক্লিপ দিয়ে।

লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে। গলায় ও কানে পরেছিলেন ১৩০ ক্যারেটের হিরার গয়না।

পূর্ব-পশ্চিম ও ফিউশন ফ্যাশনের মিলেমিশে কান হয়ে উঠেছে এক রঙিন ভুবন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গ্রামের নাম মহিষখোলা

সুমন্ত গুপ্ত
গ্রামের নাম মহিষখোলা

জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছি আমরা। স্নিগ্ধ সকাল। মহাসড়কে সূর্যের আভা পড়েছে তির্যকভাবে। আমরা যাচ্ছি সুনামগঞ্জ জেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ভারত সীমান্ত গোয়া ধর্মপাশা উপজেলায় মহিষখোলা গ্রামে। সেখানে ঘুমিয়ে আছেন একাত্তরের বীর শহীদেরা।

প্রকৃতির পালাবদলে শীতকাল এসেছে। তাই প্রকৃতির মাঝে চলেছে ঋতুবরণের পালা। আমরা চলেছি নতুন গন্তব্যে। পাগলা বাজারে এসে নামলাম। ঢুকে পড়লাম দয়াল মিষ্টান্ন ভান্ডারে। গরম-গরম পরোটা আর ভাজি দেওয়া হলো। পেটপূজা শেষ করে আমরা এগিয়ে চললাম গন্তব্যের পানে। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসে পৌঁছালাম সুনামগঞ্জ শহরে। সেখান থেকে যেতে হবে তাহিরপুর। প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাত্রা শেষে হাজির হলাম সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের রোজ গার্ডেনে। এখানে দুপুরের খাওয়া শেষে আবারও রওনা দিলাম তাহিরপুরের দিকে।

গ্রামীণ পথে চলার মজাই আলাদা। দুই পাশে ধানখেত। মাঝ দিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি। প্রায়

দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে এসে আমরা পৌঁছালাম তাহিরপুর বাজারে। এবার আমাদের পাড়ি দিতে

হবে টাঙ্গুয়ার হাওর। সময় লাগবে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। মনে মনে সবাই খুশিই হলাম টাঙ্গুয়ার হাওর দেখা যাবে বলে। বাহন রয়েছে দুই ধরনের—ইঞ্জিনচালিত নৌকা আর স্পিডবোট। আমরা চেপে বসলাম ইঞ্জিন নৌকায়।

টাঙ্গুয়ার ঢেউয়ের তালে তালে এগিয়ে চলছি। নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবনধারা আমাদের মোহিত করছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পেরিয়ে পৌঁছালাম ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর গ্রামে। সেখানে জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোহাগ আর মুনিম নামে দুজন। আমরা চেপে বসলাম দুই চাকার বাহনে। এখান থেকে মহিষখোলা গ্রামের দূরত্ব ১০ মিনিট। এই বাইকে করেই সেখানে যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছানো গেল মহিষখোলা গ্রামে।

শান্ত নীরব পরিবেশ। ঘাসফড়িং মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। এগিয়ে চললাম মহিষখোলা নদীর পূর্বপাড় ঘেঁষে একখানা প্রায় নিশ্চিহ্ন টিনের ঘরের উদ্দেশে। এর অস্তিত্ব সরেজমিনে দেখেও কল্পনায় তার পূর্ণ রূপ দেখা কল্পনাবিলাসীদের জন্যও হয়তো দুরূহ হবে। তার আশপাশে ৪২ বছর ধরে মানুষের ছোঁয়া পড়েনি, তাই জঙ্গলাকীর্ণ। সেই ঘরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিতেন। পাকিস্তানি হানাদারদের মাঝেমধ্যে ধরে বন্দী করেও রাখতেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চল ছিল ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সাব-সেক্টর। এর পশ্চিমে গা ঘেঁষে মহিষখোলা নদী, উত্তরে ২০০ গজের মধ্যে ভারত সীমান্তে মেঘালয় পর্বতমালা, পূর্বে সংখ্যাহীন খালবিল এবং বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওর। এর সঙ্গে রাগে-অনুরাগে জড়িয়ে আছে আরেকটি স্নিগ্ধ নদী—জাদুকাটা। শ্রীচৈতন্যের জ্যেষ্ঠ পার্ষদ অদ্বৈতাচার্য এই নদীপারের সন্তান ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এক ভয়াল সংঘর্ষ হয়। এতে অনেক যোদ্ধা মারা যান। মহিষখোলা নদীর পাড়ঘেঁষা সেই বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় তখনই, শহীদ যোদ্ধাদের গণকবর রচিত হয় তারই এদিক-সেদিক। তারপর ৪২ বছর লতা-গুল্ম-বৃক্ষের চাদরে ঢাকা ছিল এই ইতিহাস। বলছিলেন আমাদের সঙ্গী স্থপতি রাজন দাস। তিনি এখানে তৈরি করেছেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মারক। এখানে শায়িত আছেন একাত্তরের শহীদ হওয়া বীর প্রাণেরা।

পূর্ব-পশ্চিম অক্ষ বরাবর সমান্তরাল দুটি সুউচ্চ দেয়াল ৯ ফুট বেদির ওপর এসে দাঁড়ায়, তার ওপর ছায়া হয়ে ছাদ এসে বসে। সিঁড়ি ভেঙে পূর্ব দিকের প্রবেশবিন্দুতে চোখ রাখলে পশ্চিমের নদী আর তার গায়ে এসে পড়া আকাশ দেখা যায়। পূর্ব-পশ্চিম উন্মুক্ত হওয়ায় দুই দেয়ালের ঘর রচিত হয়ে যায়। উত্তর-দক্ষিণের ২৭ ফুট উঁচু দেয়ালে ব্যাকরণ ভেঙে অনেক ছোট-বড় জানালা আড়াল খুলে আলোর উৎস হয়ে ওঠে। ঠিক চোখ মেলে তাকানোর মতো। ‘যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ’ তারা তো বদ্ধ ঘরে থাকে না, যে ঘরে দোর-জানালায় অর্গল টানা, যে ঘরে আলোর ঝলক নেই, দোলা নেই, সে ঘরে স্বাধীনতা প্রবেশ করে না! তাই ‘সব কয়টা জানালা’ই খুলে রাখা হয়েছে। জানালা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যাংশ, যার ব্যবহারিক ও মনস্তাত্ত্বিক মূল্য অতুলনীয়। এটি আমাদের দর্শনেন্দ্রিয়ের মতো।

চোখ দিয়ে যেমন আমাদের দেহ-ঘরে আলো প্রবেশ করে, আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা চোখ দিয়ে হয়, তেমনই দেয়ালকে মুক্তি দেয় জানালা। তবেই দেয়ালের চোখ ফুটে আলো-বাতাস প্রবেশ করে গৃহে প্রাণের সঞ্চার হয়। এ জন্যই ‘খোলা জানালা’ আর ‘স্বাধীনতার চেতনা’ সমার্থক হয়ে উঠেছে। বেদির তিন দিক ঘিরে রয়েছে পানির আধার, যা পশ্চিমে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। প্রতি বর্ষাতেই মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢল নামলে নদী উপচে বেদির তলায় কিছুক্ষণের জন্য হাঁটুপানি জমে। এটা হাওরাঞ্চলের চেনা দৃশ্য। এভাবে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে ‘সব কটা জানালা’ খুলে আমাদের ডাকছে ওরা, ‘যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ’।

যাবেন কীভাবে

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সরাসরি এনা, হানিফ, শ্যামলী, ইউনিকসহ অনেক কোম্পানির বাস এই পথে চলাচল করে। তবে অবশ্যই অগ্রিম টিকিট কেটে রাখুন। তাহলে ঝামেলায় পড়তে হবে না। সুনামগঞ্জ শহরে এসে এম এ খান সেতুর কাছে পাবেন মোটরবাইক অথবা গাড়ি। সেগুলোতে যেতে হবে তাহিরপুর বাজার। সেখান থেকে নৌকায় করে যেতে হবে মধ্যনগর গ্রামে। মধ্যনগর থেকে মহিষখোলা গ্রাম ১০ মিনিটের রাস্তা। দল বেঁধে ঘুরতে গেলেই বেশি আনন্দ করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতে বিরল ঝরনাপাখি

নাকিব বাপ্পি
মাধবকুণ্ড ঝরনার পানিতে বিরল ঝরনাপাখি

ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।

ইংরেজিতে এর নাম প্লাম্বিয়াস ওয়াটার রেডস্টার্ট; আর দাঁতভাঙা বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিকিউরাস ফুলিগিনোসাস।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকের ঘটনা। মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ডে এই পাখির আগমন ঘটেছে—খবরটি পেয়েই মন অস্থির হয়ে উঠল। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন আলোকচিত্রী এর ছবি পোস্ট করে যেন সেই অস্থিরতার আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন। ভাবছি কী করা যায়! ঠিক তখন কাকতালীয়ভাবে সিলেট থেকে অতি প্রিয় এক আলোকচিত্রীর কল পেলাম। আমি কল রিসিভ করতেই তিনি বললেন, ‘চলে আসো।’ তারপর জানালেন কারা কারা থাকবেন, কখন উপস্থিত হবেন ইত্যাদি তথ্য।

পরদিন রাতের বাসে কয়েকজন মিলে রওনা দিলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।

ভোরে পৌঁছে দেখি, ফটোগ্রাফার শামীম ভাই আর তাঁর সঙ্গী-সাথিরা ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছেন। ফলে ‘মহাশয়কে’ খুঁজে পেতে বিশেষ বেগ পেতে হলো না। দীর্ঘ সময় নিয়ে মন-প্রাণ ভরে ছবি তুললাম। মাঝেমধ্যে ক্যামেরার শাটার চাপা থামিয়ে চর্মচক্ষু দিয়েও তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুলিনি।

আকারে অত্যন্ত ছোট এই পাখির পুরুষ প্রজাতির গড় ওজন প্রায় ২২ গ্রাম আর স্ত্রী পাখির ১৮ গ্রাম। এত হালকা শরীরে কী পাহাড়সম সৌন্দর্যই না বয়ে বেড়ায় এরা!

শীতকালে পাহাড়ি নদীর ধারে এই ঝরনাপাখি অস্থায়ী নীড় বানায়। শীত বিদায় নিতেই চলে যায় গ্রীষ্মের গন্তব্যে। সেখানে পৌঁছেই সংসার গড়ায় মনোযোগী হয়। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। স্ত্রী নীল পানগির্দি সাধারণত তিন অথবা চারটি হালকা গোলাপি-ধূসর কিংবা হালকা হলদে রঙের ডিম পাড়ে। ডিমে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সে একাই দায়িত্ব পালন করে। তবে ছানা লালন-পালনের দায়িত্ব পুরুষটির কাঁধেও সমানভাবে বর্তায়।

বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এদের দেখা মেলে।

সবশেষে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সাগরনালে নীলপরীর সন্ধানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, যা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির ভিন্ন এক গল্প। সেটি অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক।

ক্যামেরা ব্যাগে নেওয়ার আগমুহূর্তে পাখিটি পানি আর মাটির সীমানাস্থলে এমনভাবে এসে বসল, দৃশ্যটা যেন এক ইলিউশন। মনে হলো, একটি পাখি হুট করে দুটো পাখি হয়ে গেছে। মনে মনে ‘ঝরনার জলে কার ছায়া গো’ বলতে বলতে সেদিনের মতো ক্লিক করলাম ঝরনাপাখির শেষ ছবিটি।

ছবি ও লেখা: নাকিব বাপ্পি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের পর্যটক কমায় ভারতে নিম্নমুখী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।

ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কিফট’ তাদের প্রতিবেদনে সরকারি মালিকানাধীন এক্সিম ব্যাংকের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ভ্রমণ দ্রুতগতিতে পুনরুদ্ধার করা সত্ত্বেও ভারত পর্যটনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। মহামারি-পরবর্তী ভ্রমণ প্রবণতার হার বাড়া, উন্নত বিমান সংযোগ এবং শিথিল ভিসা নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে।

‘স্কিফট’ জানিয়েছে, ভারত এই প্রবৃদ্ধির সামান্য অংশ ধরে রাখতে পেরেছে মাত্র।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্যাক্স টিএমআই জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চে ২৬ দশমিক ১৫ লাখ পর্যটকের তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমন (এফটিএ) কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪৮ লাখে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা বেড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, এ বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে মোট বিদেশি পর্যটক আগমন দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৮৩ লাখ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রান্তিক ভিত্তিতে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমনের তথ্য পেশ করেন। সেই সংখ্যাগুলো হলো জানুয়ারি-মার্চ বা প্রথম প্রান্তিক: ২৬ দশমিক ১৫ লাখ, এপ্রিল-জুন বা দ্বিতীয় প্রান্তিক: ১৬ দশমিক ৪৮ লাখ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর বা তৃতীয় প্রান্তিক: ১৯ দশমিক ২০ লাখ।

শেখাওয়াত সংসদে তাঁর লিখিত জবাবে আরও জানান, বিদেশি পর্যটকের আগমন কমে যাওয়ার মূল কারণ বাংলাদেশ থেকে আসার সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়া। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভ্রমণের ধরনে মৌসুমি তারতম্য, চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশ-নির্দিষ্ট গতিশীলতা।

শেখাওয়াত বলেন, পর্যটনমন্ত্রী ভারতকে একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের পর্যটনশিল্পের জন্য আরও একটি কঠিন বছর পার হতে চলেছে।

সূত্র: স্কিফট, ট্যাক্স টিএমআই, মিন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: আত্মীয়রা কাঠি করবে, খিটখিটে মেজাজ বিচ্ছেদের কারণ হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ১০
আজকের রাশিফল: আত্মীয়রা কাঠি করবে, খিটখিটে মেজাজ বিচ্ছেদের কারণ হবে

মেষ

আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।

বৃষ

শরীর চনমনে থাকবে। জীবনসঙ্গীর দেখা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যারা সিঙ্গেল, তারা আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি ভালো, মানে আজ বেশি মিথ্যা বললেও কেউ ধরবে না! তবে অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সাবধান! হিসাবে ভুল করলে বস আপনাকে ‘ডেবিট’ করে দেবে।

মিথুন

বুদ্ধির জোরে শত্রুকে কুপোকাত করবেন। তবে খরচ হবে পাগলের মতো। পকেট থেকে টাকা আজ যেন ডানার সাহায্যে উড়ে যেতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স আছে। চা খাওয়ার সময় চিনির বদলে কর্মচারীর ওপর ঝাল মেটাবেন না।

কর্কট

চাঁদ আর মঙ্গলের মিলন আপনার রাশিতেই হচ্ছে! আপনি আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পছন্দের জায়গায় ট্রান্সফার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। কেউ যদি বলে ‘ভাই, তোর ফোনটা একটু দিবি?’ —দেবেন না! ওটা আপনার চরিত্রহননের প্রথম ধাপ হতে পারে।

সিংহ

আত্মীয়রা আজ আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে। সন্তানের উন্নতিতে আপনার বুক আজ কয়েক ইঞ্চি উন্নত হবে। কর্মক্ষেত্রে একদম শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যেতে পারে। মানে গোলপোস্ট পর্যন্ত গিয়ে বল বাইরে মেরে আসার মতো অবস্থা। শান্ত থাকুন, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে সকালে ঝগড়া করে দিনটি মাটি করবেন না।

কন্যা

পড়াশোনায় সাফল্য আসবে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি দারুণ রোমান্টিক। স্ত্রীর কোনো কাজে থমকে যেতে পারেন (হয়তো ভালো রান্না, নয়তো বড় শপিং লিস্ট)।

পেশি বা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে পারেন। জিমের ট্রেইনারের কথা শুনে বেশি ভারী ওজন তুলতে যাবেন না, কোমর সোজা করতে কালঘাম ছুটে যাবে।

তুলা

বিনিয়োগের জন্য দিনটি দারুণ। দীর্ঘদিনের কোনো ঝুলে থাকা কাজ আজ শেষ হবে। অন্যদের সঙ্গে খুশি ভাগ করুন, কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ভাগ করবেন না। আজ কেউ আপনাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে টাকা ধার নিতে পারে। মনে রাখবেন, ধার দেওয়া টাকা আর হারানো দাঁত—একই জিনিস!

বৃশ্চিক

উপার্জনের পথ মসৃণ হবে। মানে আজ দু-টাকা বেশি আসার সম্ভাবনা। প্রেমে বিবাদ এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে! আপনার খিটখিটে মেজাজ আজ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঙ্গীকে ‘তুমি মোটা হয়ে গেছ’ বা ‘তোমার হাতের রান্না ভালো না’—এই জাতীয় আত্মঘাতী মন্তব্য আজ করবেন না।

ধনু

দিনটি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটবে। কাজ শেষ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অফিসের বসের চেহারা দেখলে যদি মনে হয় কামড়ে দিই, তবে একটা চকলেট খেয়ে নিন। গুরুজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।

মকর

ইতিবাচক শক্তি আপনার সঙ্গে আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হতে পারে, যিনি আপনার জীবন বদলে দিতে পারেন। সবকিছু দ্রুত করার চক্করে জুতা উল্টো পায়ে পরে ফেলবেন না। পকেটমার থেকে সাবধান থাকুন, আজ আপনার পকেটে অনেকের নজর আছে।

কুম্ভ

শত বাধা সত্ত্বেও আজ সফল হবেনই। বাড়িতে আজ অতিথি সমাগম হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার সম্ভাবনা আছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্কে যাবেন না। কারণ, শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই ঠিক হয় (নয়তো তাদের হাতে লাঠি থাকে)।

মীন

সঞ্চয় নিয়ে চিন্তা বাড়বে। খরচ নিয়ন্ত্রণ না করলে মাসের শেষে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকতে হবে। সঞ্চয় খোয়ানোর ভয় আছে। আজ অনলাইনে ‘ডিসকাউন্ট’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন, যেটা আপনার দরকার নেই, সেটা এক টাকায় পেলেও আসলে ওটা লোকসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত