
ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর আগে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসলে কী?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেদিকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট কাজ করিয়ে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সররা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করেন।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে। এর জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করতে কী প্রয়োজন?
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় পেশা হিসেবে পরিচিত। নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান এবং আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই ইনকাম করার সহজ মাধ্যম।
এই জগৎটায় সফলতা অর্জন সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও ধৈর্যশক্তি থাকে। নিজের কাজের দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার বেসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন হয়
১. মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী নিজের দক্ষতা
২. ডিভাইস-ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন
৩. ইংরেজি ভাষায় বেসিক ধারণা
৪. একটি স্মার্টফোন
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে এ ধরনের ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলো আপনাকে নানা ধরনের কাজের বিপরীতে ভালো মজুরির আশ্বাস দিলেও কার্যত তা হয় না। অনেকেই প্রতারিত হন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা আপনাকে ঠকানোর জন্য বসে আছে। আবার অনেক ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোতে কাজ পাওয়াটা কিছুটা কঠিন। কারণ, সেখানে কার্যাদেশ দেওয়া লোকের সংখ্যা কম। তাই নতুন কোনো সাইটে কাজ করতে চাইলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া জরুরি। যেখানে কাজ করতে চাইছেন, দেখতে হবে, তা সক্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য কি না।
আজ আমরা যেসব ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এই ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আমরা সবাই জানি ২০২২ সালে এসে ফ্রিল্যান্সিং হয়ে উঠেছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই এতে আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে এর জন্য সব চেয়ে সেরা চাহিদাসম্পন্ন এবং সুবিধা প্রদানকারী ওয়েবসাইটগুলো কী কী।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। আজকের নিবন্ধ থেকে ২০২২ সালের সেরা ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমরা জানব। এই ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।
১৩টি টপ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট
আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস পাবেন। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাই সবচেয়ে লাভজনক ও ভালো। তবে সবার সুবিধার্থে বাংলাদেশি কিছু মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও বলব। এবার আসি মূল বিষয়ে—
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিল্যান্সার
স্বাধীন কাজ
১. upwork.com
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Upwork। এটা এমন এক সাইট, যেখানে জব পোস্টিং ফিড খুব দ্রুত আপডেট হয়।
আপওয়ার্কে যেকোনো ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এসে ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নেয় নিজেদের জন্য। কাজের বিনিময়ে ন্যায্য মজুরিও দেয়। এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, আপনি খুব সহজেই আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মের প্রতিটি সেক্টরে প্রচুর আপডেটেড কাজ দেওয়া থাকে, যা থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিতে পরবেন। আপওয়ার্কে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইন, কাস্টমার সাপোর্ট, ফ্রিল্যান্স রাইটিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজমেন্টের মতো কাজগুলো অনায়াসে পাবেন। এই কাজগুলোর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।
সাধারণত আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘণ্টাভিত্তিক—উভয় রেটেই কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর এই ওয়েবসাইট পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার কেন্দ্রিক পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই Upwork-এ কাজ করার আগে অবশ্যই পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে জেনে নিন।
২. fiverr.com
এখন আমরা কথা বলছি আরেকটি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট নিয়ে। এটি হলো fiverr.com, যা অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে। নতুনদের জন্য Fiverr দিয়ে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা অনেকটাই সুবিধাজনক।
আপনি আউটসোর্সিং নতুন শুরু করলে আপনার জন্য ফাইবার হতে পারে সবচেয়ে সেরা সুযোগ। এই ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু করে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার কাজও দেওয়া হয়।
কী কী কাজ করা যায় এখানে? এই সাইট থেকে সবচেয়ে বেশি যে কাজ পাবেন, তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনুবাদ, অডিও ও ভিডিও এডিটিং। এই প্রতিটি কাজের চাহিদা এই সময়ে অনেক।
আপনি যেকোনো কাজ নিয়ে প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ করে দিলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যে টাকা দেবে, তা থেকে ফাইবার আবার ২০ শতাংশ কেটে রাখবে। আর এটা হচ্ছে Fiverr. com-এর পলিসি। এদিকে কাজ করার ক্ষেত্রে শুধু ফিক্সড রেটের কাজই আপনি পাবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করার পরও একইভাবে আপনাকে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ফাইবার থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করতে হবে।
৩. freelancer.com
freelancer.com হচ্ছে আরেকটি পুরোনো ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। প্রায় ১৬ মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার এখানে কাজ করেন।
এই সাইট এত বেশি জনপ্রিয় যে, অনেক বেশি ব্যবহারকারী এর সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে freelancer.com-এ কাজের সুযোগ এবং প্রতিযোগিতা অন্য সব সাইট থেকে অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে ঘণ্টাভিত্তিক ও ফিক্সড রেট—দুভাবেই কাজ পেতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে অভিজ্ঞতা বাড়লে এই সাইট থেকে কাজ করাটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে। নতুনদের জন্য আমরা এই সাইট সাজেস্ট করছি না। কারণ, প্রথম দিকে নতুন প্রজেক্ট শেষ করার পর আপনাকে কিছু অতিরিক্ত ভাতা দিতে হয় এই সাইটে।
কিন্তু যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য উপার্জিত অর্থের ১০ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কোম্পানি নিজেই নিয়ে নেয়। এ সাইট থেকে কাজ করে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে আপনাকে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে।
৪. peopleperhour.com
পিপল পার আওয়ার হচ্ছে লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস। এই সাইট তার নাম দিয়েই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, এখানে ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু বর্তমানে আপনি ফিক্সড রেটের কাজও পেয়ে যাবেন এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে।
পিপল পার আওয়ার প্ল্যাটফর্মেও কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য সর্বনিম্ন ২০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। আবার সে আয় করা টাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সে সাইট নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এই সাইটে কাজ করে টাকা উত্তোলন করতে আপনাকে একইভাবে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৫. 99designs.com
ধরুন আপনি ডিজাইনিং খুব পছন্দ করেন এবং স্বাধীনভাবে ডিজাইন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান। এ ক্ষেত্রে আপনার সামনে রয়েছে সকল ফ্রিল্যান্স ডিজাইন লাভারদের পছন্দের সাইট ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইট।
কীভাবে কাজ করা যায় ৯৯ ডিজাইনস ওয়েবসাইটে? এই প্ল্যাটফর্মে ডিজাইন কিনতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ডিজাইনের বর্ণনা লিখে কনটেস্টের আয়োজন করে। যারা কাজ করতে চান, তাঁরা ক্লায়েন্টের প্রত্যাশা পূরণ করতে তাদের নির্দেশনা মেনে ডিজাইন সাবমিট করবে। জমা পড়া ডিজাইন থেকে যেটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে, সেটি তারা গ্রহণ করবে। যে ডিজাইনার কাজ পেলেন, তিনিই পূর্বঘোষিত অর্থ পাবেন।
এই ওয়েবসাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। সাধারণত প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি গড়ে ১৯৯ ডলার আয় করতে পারবেন। এই সাইট থেকে কাজ করে পেমেন্ট পেতে পেওনিয়ার ও পেপাল ফলো করুন।
৬. guru.com
আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নাম হলো Guru। এই সাইট ফিক্সড ও ঘণ্টাভিত্তিক রেটে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাইটটিতে পোস্ট করা কাজগুলোর বাজেট সাধারণত ১০ থেকে ২০০ ডলারের মধ্যে হয়।
এই ওয়েবসাইটেও একইভাবে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার পর ক্লায়েন্ট প্রদত্ত টাকার ৪ দশমিক ৯৫ থেকে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়, যা অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম। তাই আপনি চাইলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। অন্য সাইটের মতো এখানেও প্রতিযোগিতা খুব বেশি। পেমেন্ট প্রসেস হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম।
৭. toptal.com
আপনি যদি আউটসোর্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আমরা টপটাল প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দেখতে বলব। কেন আমরা এই ওয়েবসাইটটি সাজেস্ট করছি? কারণ, টপটাল ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি চাইলে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এই সাইটে কাজ করার নিয়মের সঙ্গে অফিসে বসে কাজ করার অনেকটা মিল আছে। এই সাইট থেকে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে হয়তো অনলাইনে আপনার সাক্ষাৎকারও নেওয়া হতে পারে। এই কাজগুলো সম্পন্নের পর আপনি এই সাইট থেকে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আপনার হাতে পেতে পারেন এবং ভালো টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, এই ওয়েবসাইট আইটি বিষয়ে দক্ষ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে যাদের আলাদা স্বপ্ন আছে, তাদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি হয় ইঞ্জিনিয়ারিং, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।
৮. weworkremotely
এই প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য রয়েছে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা। উই ওয়ার্ক রিমোটলি সাইট থেকে প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, কপিরাইটিং, মার্কেটিং, সেলসসহ নানা ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।
এই সাইটে কাজ করার জন্য আপনি চাইলে নিউজলেটারেও আবেদন করতে পারবেন। যে সেক্টরে আপনি পারদর্শী, ঠিক সে সেক্টরটি নির্বাচন করে কাজের সন্ধান করুন। এই সাইটে আপনি ফুল-টাইম ও যেকোনো চুক্তির আওতায় কাজ করতে পারবেন। সুযোগ রয়েছে চুক্তিতে থাকা শর্তগুলো দেখে নেওয়ারও।
উই ওয়ার্ক রিমোটলি ওয়েবসাইটটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন কাজের আপডেট দেয়। তাই আপনি কিছু সময় পরপর এ ওয়েবসাইট চেক করুন নতুন কাজের সন্ধানে।
৯. dribbble
এখন আরেকটি বিশাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করছি, যার নাম Dribbble। মূলত Dribbble একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এটি একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসও। এখানে কী কী কাজ করা যায়? এই সাইটে সারা বিশ্বের ডিজাইনার ও ক্রিয়েটিভরা তাঁদের সেরা কাজগুলো শেয়ার করেন।
বর্তমানে Dribbble তাদের প্ল্যাটফর্মে একটি চাকরির বোর্ড যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনি ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হলে এই সাইটে ঢুঁ মারতে বলব আপনাকে। এই সাইটে আপনি গ্রাফিকস, ইলাস্ট্রেটর, মোবাইল ও ওয়েব ডিজাইনার, অ্যানিমেটর ও ব্র্যান্ড ডিজাইনারের মতো কাজগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ ছাড়া চাইলে এখানে ফুল-টাইম চাকরিও করতে পারেন। নিজের প্রোফাইলে সেরা কাজগুলো ভালো কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আপলোড করুন। এতে আপনার সেরা কাজগুলো সবার কাছে পৌঁছে যাবে সহজেই। অন্যরা তখন চাইলে আপনাকে হায়ার করবে তাদের নিজেদের কাজ করে দেওয়ার জন্য। এভাবে আপনি টাকা উপার্জনের সুযোগ পাবেন।
১০. simplyhired.com
SimplyHired হচ্ছে স্বাধীনভাবে কাজ করার আরেকটি অসাধারণ আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট ভিজিট করলে আপনি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি তৈরির কাজ পর্যন্ত পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটের কাজ শুধু অনলাইনভিত্তিক নয়। বরং আপনার জন্য এই সাইট থেকে অফলাইনেও কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।
SimplyHired.Com-এ প্রায় ২৪টি দেশের মানুষ কাজের অফার দিচ্ছে এবং কাজ খুঁজছে। তাই ধীরে ধীরে এই সাইটটিও ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। তাদের আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় মানসম্মত অথোরিটি মেনটেইন করার চেষ্টা করে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটে কাজের অফার দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প, ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেলও থাকে, যা বিশেষত নতুনদের জন্য বেশ সহায়ক।
১১. clearvoice
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে তাহলে ClearVoice সাইটটি আপনার জন্য। ক্রিয়েটিভ কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট সেরা বলা যায়। এই সাইট থেকে আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমন: আর্টিকেল রাইটার, ভয়েস ওভার, শর্ট ভিডিও ইত্যাদি কাজের প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে এই সাইট আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
এই সাইটে কাজ করার জন্য তারা আপনাকে একটি বিনা মূল্যের সিভি পোর্টফোলিও দেবে, যার মাধ্যমে আপনি আগের কাজের ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো কাজ পেতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব পোর্টফোলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন, চাইলে এতে প্রফেশনাল লুকও দিতে পারবেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
এবার আসুন বাংলাদেশি কিছু ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং পেশার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব কার্যক্ষেত্র, যেখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
যদিও বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এখনো খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখে নিই বাংলাদেশি কিছু সাইটের তথ্য, যেখানে কাজ করে আপনি চাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।
১২. স্বাধীন কাজ
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে স্বাধীন কাজ ডটকম একটি পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইট মূলত তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের টার্গেট করে। এখানে কেমন কাজ পাবেন? আপনি এই সাইটটিতে প্রজেক্টভিত্তিক লোকাল, অর্থাৎ দেশীয় কাজ পাবেন।
যদি আপনি বাংলাদেশি সাইটে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কাজ শুরু করতে হবে। কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ওঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ ইউজার হতে হবে।
১৩. বিল্যান্সার
এবার আমরা পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশের প্রথম বাংলা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিল্যান্সারের সঙ্গে। এই সাইটের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট বাংলাদেশি মানুষ।
এই মার্কেটপ্লেস বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে জায়গা করে নিতে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে। আপনি আগ্রহী ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকলে আজই এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আপনাকে পেপাল, বিকাশ ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে হবে।
আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি কাজ করতে চাইলে সঠিকভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়ম মেনে কাজ করুন। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।

স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
২ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
৩ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে থাকে দাহ্য ‘ইলেকট্রোলাইট’; এটি মূলত জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত লিথিয়াম লবণের একটি তরল দ্রবণ। ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ হওয়া, ফুটো হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত গরম হলে এই তরল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তখন এক বিপজ্জনক রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়, যাকে বলা হয় ‘থার্মাল রানঅ্যাওয়ে’। এর ফলে ব্যাটারি খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানে ব্যাটারিজনিত ধোঁয়া বা আগুনের ৮৯টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত জানুয়ারিতে একটি এয়ারবাসে পাওয়ার ব্যাংক থেকে লাগা আগুনে পুরো বিমানটিই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।
২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের অর্ধেক ব্যবসায়ী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি-সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।
হংকংয়ের চায়নিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ব্যাটারির নকশায় এমন পরিবর্তন এনেছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, বর্তমান উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন না করেই এটি প্রয়োগ করা সম্ভব।
গবেষণার প্রধান লেখক এবং ভার্জিনিয়া টেকের পোস্টডক্টরাল ফেলো ইউ সান বলেন, ‘সাধারণত ব্যাটারির পারফরম্যান্স বাড়াতে গেলে নিরাপত্তা কিছুটা বিঘ্নিত হয়। আমরা এমন একটি তাপ-সংবেদনশীল উপাদান তৈরি করেছি, যা সাধারণ তাপমাত্রায় ভালো পারফরম্যান্স দেবে, কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাটারিকে স্থিতিশীল রাখবে।’
কীভাবে কাজ করে এটি
গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন ইলেকট্রোলাইটে দুটি দ্রাবক ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায়—প্রথম দ্রাবকটি ব্যাটারির রাসায়নিক কাঠামোকে দৃঢ় রাখে এবং কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। উচ্চ তাপমাত্রায়—ব্যাটারি গরম হতে শুরু করলে দ্বিতীয় দ্রাবকটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি রাসায়নিক কাঠামোকে কিছুটা শিথিল করে দেয় এবং আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে এমন বিক্রিয়াগুলো ধীর করে দেয়।
গবেষণাগারে নতুন নকশার ব্যাটারিকে যখন পেরেক দিয়ে ফুটো করা হয়, তখন এর তাপমাত্রা বেড়েছিল মাত্র ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, প্রথাগত ব্যাটারিতে একই পরীক্ষায় তাপমাত্রা মুহূর্তের মধ্যে ৫৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে ব্যাটারির স্থায়িত্বে কোনো প্রভাব পড়ে না। ১ হাজার বার চার্জ করার পরও এটি ৮০ শতাংশের বেশি ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ই-চুন লু জানান, এই পদ্ধতি বাণিজ্যিক ব্যাটারি সিস্টেমে সহজে যুক্ত করা সম্ভব। কারণ, এতে শুধু বিদ্যমান ইলেকট্রোলাইট তরলটি বদলে দিলেই হয়, কোনো নতুন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, ‘বড় পরিসরে উৎপাদন করলে এর খরচ বর্তমান ব্যাটারির মতোই হবে।’
অধ্যাপক ই-চুন লু জানান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এমন প্রযুক্তির ব্যাটারি বাজারে আসবে।

স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে থাকে দাহ্য ‘ইলেকট্রোলাইট’; এটি মূলত জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত লিথিয়াম লবণের একটি তরল দ্রবণ। ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ হওয়া, ফুটো হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত গরম হলে এই তরল অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তখন এক বিপজ্জনক রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়, যাকে বলা হয় ‘থার্মাল রানঅ্যাওয়ে’। এর ফলে ব্যাটারি খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানে ব্যাটারিজনিত ধোঁয়া বা আগুনের ৮৯টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত জানুয়ারিতে একটি এয়ারবাসে পাওয়ার ব্যাংক থেকে লাগা আগুনে পুরো বিমানটিই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।
২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের অর্ধেক ব্যবসায়ী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি-সংশ্লিষ্ট অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।
হংকংয়ের চায়নিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ব্যাটারির নকশায় এমন পরিবর্তন এনেছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, বর্তমান উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন না করেই এটি প্রয়োগ করা সম্ভব।
গবেষণার প্রধান লেখক এবং ভার্জিনিয়া টেকের পোস্টডক্টরাল ফেলো ইউ সান বলেন, ‘সাধারণত ব্যাটারির পারফরম্যান্স বাড়াতে গেলে নিরাপত্তা কিছুটা বিঘ্নিত হয়। আমরা এমন একটি তাপ-সংবেদনশীল উপাদান তৈরি করেছি, যা সাধারণ তাপমাত্রায় ভালো পারফরম্যান্স দেবে, কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাটারিকে স্থিতিশীল রাখবে।’
কীভাবে কাজ করে এটি
গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন ইলেকট্রোলাইটে দুটি দ্রাবক ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায়—প্রথম দ্রাবকটি ব্যাটারির রাসায়নিক কাঠামোকে দৃঢ় রাখে এবং কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। উচ্চ তাপমাত্রায়—ব্যাটারি গরম হতে শুরু করলে দ্বিতীয় দ্রাবকটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি রাসায়নিক কাঠামোকে কিছুটা শিথিল করে দেয় এবং আগুনের সূত্রপাত ঘটাতে পারে এমন বিক্রিয়াগুলো ধীর করে দেয়।
গবেষণাগারে নতুন নকশার ব্যাটারিকে যখন পেরেক দিয়ে ফুটো করা হয়, তখন এর তাপমাত্রা বেড়েছিল মাত্র ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, প্রথাগত ব্যাটারিতে একই পরীক্ষায় তাপমাত্রা মুহূর্তের মধ্যে ৫৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে ব্যাটারির স্থায়িত্বে কোনো প্রভাব পড়ে না। ১ হাজার বার চার্জ করার পরও এটি ৮০ শতাংশের বেশি ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ই-চুন লু জানান, এই পদ্ধতি বাণিজ্যিক ব্যাটারি সিস্টেমে সহজে যুক্ত করা সম্ভব। কারণ, এতে শুধু বিদ্যমান ইলেকট্রোলাইট তরলটি বদলে দিলেই হয়, কোনো নতুন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, ‘বড় পরিসরে উৎপাদন করলে এর খরচ বর্তমান ব্যাটারির মতোই হবে।’
অধ্যাপক ই-চুন লু জানান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এমন প্রযুক্তির ব্যাটারি বাজারে আসবে।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
২ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
৩ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে অভিযোগ নিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, হেট স্পিচ—যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়; সেটা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ মতে দণ্ডনীয় অপরাধ। সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বানসংবলিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে মেটাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্ট সম্পর্কে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল চালু করা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, নির্বাচনের আগে ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারই ফলে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা তুলে ধরে শুক্রবার মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক পলিসি) সাইমন মিলনার, আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক (পাবলিক পলিসি) সারিম আজিজ ও মানবাধিকার নীতি প্রধান ফ্রেডরিক রাউস্কিকে চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি ও বিটিআরসি। ওই চিঠিতে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলায় উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে, ফেসবুক ব্যাপক সহিংসতা উসকে দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন এবং আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার আহ্বানের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা উসকে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং বাস্তবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা।’
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং আরেকটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট, পেজ ও চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করতে এর আগে একাধিকবার মেটাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু মেটা সে সব অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেনি। শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে সে বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
চিঠির সঙ্গে সহিংসতা ও হামলার আহ্বান জানানো কিছু ফেসবুক পোস্টের তালিকা সংযুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়, এসব কনটেন্ট সম্পর্কে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট করা হলেও, ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ সময়মতো বা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। এসব পোস্টের অব্যাহত উপস্থিতি ও বিস্তার সহিংসতায় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে গণমাধ্যম ভবন ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও রয়েছে।
সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট ডাউন করতে, অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে তুলে ধরতে পারে। তাই সরকার সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দিতে ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। এখন থেকে ০১৩০৮৩৩২৫৯২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং [email protected] ই-মেইলে উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দেওয়া যাবে। এসব তথ্য বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে একটা পক্ষ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার একধরনের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা মেটাকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পাশাপাশি উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে অভিযোগ নিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল আইডি চালু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, হেট স্পিচ—যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়; সেটা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ মতে দণ্ডনীয় অপরাধ। সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বানসংবলিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে মেটাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পোস্ট সম্পর্কে সরাসরি রিপোর্ট করতে হবে। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইল চালু করা হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, নির্বাচনের আগে ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তারই ফলে এসব হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা তুলে ধরে শুক্রবার মেটার ভাইস প্রেসিডেন্ট (পাবলিক পলিসি) সাইমন মিলনার, আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক (পাবলিক পলিসি) সারিম আজিজ ও মানবাধিকার নীতি প্রধান ফ্রেডরিক রাউস্কিকে চিঠি দেয় জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি ও বিটিআরসি। ওই চিঠিতে সহিংসতা উসকে দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলায় উসকানি দেওয়া কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান জানানো হয়।
বর্তমানে দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ চলছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে, ফেসবুক ব্যাপক সহিংসতা উসকে দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন এবং আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার আহ্বানের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে থাকা বাংলাদেশে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোকে সহিংসতা উসকে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং বাস্তবে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব উসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা।’
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবং আরেকটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট, পেজ ও চ্যানেল নিষ্ক্রিয় করতে এর আগে একাধিকবার মেটাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু মেটা সে সব অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেনি। শুক্রবার পাঠানো চিঠিতে সে বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
চিঠির সঙ্গে সহিংসতা ও হামলার আহ্বান জানানো কিছু ফেসবুক পোস্টের তালিকা সংযুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগ করে বলা হয়, এসব কনটেন্ট সম্পর্কে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট করা হলেও, ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ সময়মতো বা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। এসব পোস্টের অব্যাহত উপস্থিতি ও বিস্তার সহিংসতায় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে গণমাধ্যম ভবন ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও রয়েছে।
সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট ডাউন করতে, অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে তুলে ধরতে পারে। তাই সরকার সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দিতে ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। এখন থেকে ০১৩০৮৩৩২৫৯২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং [email protected] ই-মেইলে উসকানিমূলক পোস্টের তথ্য দেওয়া যাবে। এসব তথ্য বিটিআরসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে একটা পক্ষ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে মানুষকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার একধরনের প্রচেষ্টা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
৩ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেটাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গতকাল শুক্রবার মেটার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ফেসবুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে বড় ধরনের সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও আসন্ন নির্বাচন বানচালের ডাক দেওয়া হচ্ছে, যা জনজীবনে সহিংসতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ভিন্ন মতাদর্শের কিছু ব্যক্তি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে এই মৃত্যুকে সমর্থন জানিয়েছে, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। আবার কেউ কেউ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছে। এসব উসকানিমূলক প্রচারণার পরই দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়ে এবং জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।
বিটিআরসির অভিযোগ, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরাতে বা ব্লক করতে দেরি করছে মেটা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেটা যে সময় নিচ্ছে, এর মধ্যে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে আরও সহিংসতা ছড়ানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মেটার কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সময়মতো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত কনটেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গাইডলাইন আরও কঠোর, দ্রুত ও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা; বাংলা ভাষার কনটেন্টে নজরদারি জোরদার করা এবং অভিযোগ ওঠা কনটেন্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেটাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গতকাল শুক্রবার মেটার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ফেসবুকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে বড় ধরনের সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন ও আসন্ন নির্বাচন বানচালের ডাক দেওয়া হচ্ছে, যা জনজীবনে সহিংসতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ভিন্ন মতাদর্শের কিছু ব্যক্তি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে প্রকাশ্যে এই মৃত্যুকে সমর্থন জানিয়েছে, যা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। আবার কেউ কেউ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছে। এসব উসকানিমূলক প্রচারণার পরই দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টার ও দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়ে এবং জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়।
বিটিআরসির অভিযোগ, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরাতে বা ব্লক করতে দেরি করছে মেটা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেটা যে সময় নিচ্ছে, এর মধ্যে ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে আরও সহিংসতা ছড়ানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মেটার কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সময়মতো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় চিঠিতে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত কনটেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গাইডলাইন আরও কঠোর, দ্রুত ও প্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করা; বাংলা ভাষার কনটেন্টে নজরদারি জোরদার করা এবং অভিযোগ ওঠা কনটেন্টের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
২ দিন আগে
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আজ আমরা যেসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করব, তার প্রতিটি আন্তর্জাতিক মানের প্ল্যাটফর্ম। এসব ওয়েবসাইটে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে। তাই এ ওয়েবসাইটগুলোর ওপর আপনি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
২০ এপ্রিল ২০২২
স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি—সবকিছুতেই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার। কিন্তু এই ব্যাটারি থেকে মাঝেমধ্যে ভয়াবহ আগুনের খবর পাওয়া যায়, যা অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ নকশায় সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় উসকানিমূলক কনটেন্টের (আধেয়) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কনটেন্ট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাগুলো।
২ দিন আগে
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিহত ও হাজারো মানুষ আহত হওয়ার পর দেশ এখন একটি নাজুক রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয়...
৩ দিন আগে