Ajker Patrika

ভোটের শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার মুখে বিজেপি

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৫৬
ভোটের শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার মুখে বিজেপি

চলতি মাসেই ভারতের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। রাজ্যগুলো হলো-গোয়া, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব এবং মণিপুর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ৪০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্রে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের শুরুতেই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছে শাসক দল বিজেপি। উত্তর প্রদেশের ১১টি জেলার এই ৫৮টি আসন নিয়ে এবার বেশ চিন্তিত বিজেপি। কেননা বিভিন্ন গণমাধ্যমের জরিপে উঠে এসেছে, কৃষকেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের ওপর এখনো ক্ষুব্ধ। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, হিন্দিভাষী জাঠ অধ্যুষিত এলাকায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি ভালো ফল করবে। যদিও গতবার এই ৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩ টিতেই জিতেছিল বিজেপি। 

উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে সাত দফায় ভোট হবে। শেষ হবে ৭ মার্চ। ভোট গণনা পাঁচ রাজ্যেই একসঙ্গে আগামী ১০ মার্চ। আপাতত নির্বাচনী উত্তাপ সর্বত্র। সবচেয়ে বেশি নজর উত্তর প্রদেশের দিকে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপির উন্নয়ন সংক্রান্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অভাব নেই। তবে ধর্মীয় বিভাজনই যে তাঁদের ভোটে জেতার মূল হাতিয়ার সেটা বোঝা গিয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারে। বিজেপির প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় এলে লাভ জিহাদ রুখতে কঠোর আইন হবে রাজ্যে। 

অন্যদিকে, সপা-র প্রতিশ্রুতি কর্মসংস্থান ও স্বচ্ছ প্রশাসনের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক সরকার গঠন। 

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী'র নেতৃত্বে কংগ্রেস নারীশক্তিকেই কাজে লাগাতে মরিয়া। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিও। তবে আসল লড়াই সপা ও বিজেপির। 

করোনা পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও চ্যালেঞ্জ। কারণ দলগুলো ভোট প্রচারের সুযোগ পায়নি এবার। ভার্চুয়াল প্রচার চালাতে হয়েছে। 

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশের দ্বিতীয় দফার সঙ্গে এক যোগে ভোট হবে উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও গোয়ায়। মণিপুর বিধানসভার ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ। ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যেই একসঙ্গে ভোট গণনা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইরানের মানবাধিকার আইনজীবী নার্গিস মোহাম্মাদি। ছবি: সিএনএন
ইরানের মানবাধিকার আইনজীবী নার্গিস মোহাম্মাদি। ছবি: সিএনএন

ইরানি মানবাধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মাশহাদ শহরে এক স্মরণসভায় অংশ নেওয়ার সময় তাঁকে ‘হিংস্রভাবে’ আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্যারিসভিত্তিক নার্গিস ফাউন্ডেশন।

সিএনএন জানিয়েছে, নিহত আইনজীবী খোসরো আলিকোরদির স্মরণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী হানা দিয়ে নার্গিস সহ আরও কয়েকজন কর্মীকে আটক করেছে।

২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি ইরানের অন্যতম সুপরিচিত মানবাধিকার আইনজীবী। গত দুই দশকের বেশির ভাগ সময় তিনি তেহরানের কুখ্যাত অ্যাভিন কারাগারে বন্দী ছিলেন। এই কারাগারে সাধারণত সরকার-বিরোধী ও সমালোচকদের রাখা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ এবং প্রচার চালানোর অভিযোগে নার্গিসের বিরুদ্ধে মোট ৩১ বছরের সাজা রয়েছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পায়ের একটি অস্ত্রোপচারের পর কিছুদিনের জন্য নার্গিসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। তিনি পুনরায় জেলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলেও তিনি কারাগার থেকে অল্প সময়ের চিকিৎসা ছুটির মধ্যেও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিগত এক বছরে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার আয়োজনে অংশ নিয়ে ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে সরব ছিলেন।

গত সপ্তাহে টাইম ম্যাগাজিনে লেখা এক নিবন্ধে নার্গিস বলেন—ইরানি জনগণ আসলে কোনো শান্তিই পায় না। কারণ রাষ্ট্র তাদের ব্যক্তিজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে। নজরদারি, সেন্সরশিপ, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও সহিংসতার হুমকিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত।

তিনি ইরানের নাগরিক সমাজ, স্বাধীন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার রক্ষকদের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থনের আহ্বান জানান।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অ্যাভিনের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি, লক্ষ্য একটিই—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।’

নার্গিস মোহাম্মাদি কারাগারে থাকার সময় থেকেই নারী বন্দীদের ওপর নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার অভিযোগ করে আসছেন। বিভিন্ন চিঠি ও বক্তব্যে তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হওয়া নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন। যদিও ইরানি সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

নার্গিসের যমজ সন্তান কিয়ানা ও আলি তাঁর হয়ে ২০২৩ সালে নরওয়ের অসলোতে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে। তাঁর স্বামী তাগি রাহমানিও দীর্ঘ ১৪ বছর রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অধৈর্য হয়ে পুতিন-এরদোয়ানের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

তুর্কমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতারা মিলিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার এই বৈঠকের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ এক অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়।

আরটি ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পুতিনের সঙ্গে তাঁর নির্ধারিত বৈঠক বিলম্বিত হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে চলা একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রবেশ করেন।

আরটি ইন্ডিয়া বলছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার পাশের একটি রুমে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। এরপর অধৈর্য শাহবাজ শরিফ পুতিন যেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, সেই সভাকক্ষে কূটনৈতিক নিয়ম ভেঙ্গে দরজা ঠেলে প্রবেশ করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, তিনি অন্তত দ্রুত একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সেরে নিতে পারেন।

জানা গেছে, ওই কক্ষে প্রবেশের প্রায় ১০ মিনিট পর তিনি সেখান থেকে চলে যান।

ক্যামেরায় ধরা পড়া এই মুহূর্তটি অনলাইনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। ’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘পুতিন ভিক্ষুকদের পেছনে সময় নষ্ট করতে চান না’। অন্য একজন লিখেছেন, ‘ট্রাম্পও এই ভিক্ষুকদের সঙ্গে একই আচরণ করতেন।’

উল্লেখ্য, ফোরামটি তুর্কমেনিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। দেশটির স্থায়ী নিরপেক্ষতার নীতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। এই নীতি অনুযায়ী, তুর্কমেনিস্তান কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয় না, আত্মরক্ষার বাইরে কোনো সংঘাতে অংশ নেয় না এবং নিজের ভূখণ্ডে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতিও দেয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত পাঠদান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কোর্স শেষে একজন শিক্ষার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন ড. আলী উসমান কাসমি (বাঁয়ে) ও ড. শহীদ রশীদ (মাঝে)। ছবি: দ্য ট্রিবিউনকে (ইন্ডিয়া)
কোর্স শেষে একজন শিক্ষার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন ড. আলী উসমান কাসমি (বাঁয়ে) ও ড. শহীদ রশীদ (মাঝে)। ছবি: দ্য ট্রিবিউনকে (ইন্ডিয়া)

দেশভাগের পর প্রথমবার পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কৃত পড়ানো শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) সম্প্রতি ‘সংস্কৃতের পরিচিতি’ (Introduction to Sanskrit) নামে একটি কোর্সটি শেষ করেছে। দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষাটি পড়ানো শুরু হওয়ায় দেশটির শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি করেছে।

নিজেদের ওয়েবসাইটে এলইউএমএস জানায়, ‘বিশ্বের প্রাচীনতম ও প্রভাবশালী ভাষাগুলোর একটি সংস্কৃত। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে এটি খুব কমই পড়ানো হয়েছে। কয়েক দশক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এর পুনরাবির্ভাব দক্ষিণ এশিয়ার সম্মিলিত বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি নতুন অঙ্গীকার তুলে ধরছে।’

এ উদ্যোগের কেন্দ্রে আছেন ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শাহিদ রশীদ। তিনি বলেন, ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার দার্শনিক, সাহিত্যিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তানে সংস্কৃত ভাষার ওপর কোনো কোর্স পড়ানো ‘ক্ষুদ্র কিন্তু একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ’।

এলইউএমএস জানিয়েছে, রশীদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আগ্রহই তাঁকে ভাষাটি শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনকে (ইন্ডিয়া) অধ্যাপক শাহিদ রশীদ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন—কেন সংস্কৃত শিখছি? আমি বলি, কেন শিখব না? এটি পুরো অঞ্চলের ঐক্যের ভাষা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পাণিনির গ্রাম এই অঞ্চলে ছিল। ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পাহাড়ের মতো—এটি একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ। আমাদের এটিকে নিজের ঐতিহ্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। এটি কোনো ধর্মের সম্পত্তি নয়।’

লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘গুরমানি সেন্টারের’ পরিচালক আলী উসমান কাসমি দ্য ট্রিবিউনকে জানান, শুরুতে সপ্তাহে একটি উন্মুক্ত প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছিল, যেখানে ছাত্র, গবেষক, আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ—সবাই অংশ নিতে পারতেন। ভালো সাড়া পাওয়ায় পরে বিশ্ববিদ্যালয় এটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স হিসেবে চালু করে।

আলি উসমান কাসমি বলেন, ‘এখনো শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম, তবে আমরা আশাবাদী যে পরের কয়েক বছরে তা আরও বাড়বে। আশা করছি ২০২৭ সালের স্প্রিং সেমিস্টার থেকে এটি বছরব্যাপী কোর্স হিসেবে পড়ানো সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান-ভারত উপমহাদেশের যৌথ ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় সংস্কৃত চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য, কবিতা, শিল্প ও দর্শনের বহু শিকড় বৈদিক যুগে গাঁথা। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, বেদও এই অঞ্চলে রচিত হয়েছিল—তাই মূল ভাষায় এসব পাঠের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।

এলইউএমএস জানিয়েছে, এই কোর্স ছাত্র ও গবেষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস, দর্শন ও সংস্কৃতি বোঝার ক্ষেত্রে প্রাচীন ভাষার প্রতি নতুন আগ্রহের ইঙ্গিত। ভবিষ্যতে গুরমানি সেন্টার আরও এমন উদ্যোগ চালিয়ে যাবে।

ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস (এলইউএমএস) মহাভারত এবং ভগবদ্গীতা নিয়ে কোর্স চালুর পরিকল্পনাও করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের দনবাসকে ভাগাভাগি করে নিতে চায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—জানালেন জেলেনস্কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেন তাদের সামরিক বাহিনী দনবাস থেকে প্রত্যাহার করে নিক। এরপর কিয়েভ বর্তমানে যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, সেখানে ওয়াশিংটন একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ তৈরি করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়েভে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে দনবাসের নিয়ন্ত্রণাধীন অংশ রাশিয়াকে দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু জেলেনস্কি জানান, ওয়াশিংটন এখন একটি আপসের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা সরে যাবে, কিন্তু রাশিয়ার সৈন্যরা ওই অঞ্চলে প্রবেশ করবে না।

তবে এই অঞ্চলকে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ বা ‘অসামরিকীকৃত অঞ্চল’ বলা হলেও, এই অঞ্চলটি কে শাসন করবে—তা তারা জানে না। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন মনে করে এই পরিকল্পনাটি ন্যায্য নয়, কারণ ইউক্রেন সরে যাওয়ার পর রাশিয়ার সৈন্যরা সেখানে ঢুকে পড়বে না—এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। জেলেনস্কি মনে করেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দনবাসকে ভাগাভাগি করে নিতে চায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি একপক্ষের সৈন্যদের (ইউক্রেনীয়) পিছু হটতে হয় এবং অন্য পক্ষের সৈন্যরা (রুশ) যেখানে আছে সেখানেই থাকে, তবে অন্য পক্ষের সৈন্যদের কে ঠেকিয়ে রাখবে? অথবা তারা বেসামরিক নাগরিকের বেশে এসে এই মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল দখল করবে না সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?’

জেলেনস্কির মতে, মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাশিয়া যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেই দনবাস থেকে ইউক্রেন সরে আসবে। অন্যদিকে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে চলমান যুদ্ধরেখা ‘স্থির’ করা হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া অন্যান্য অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু ছোট এলাকা ছেড়ে দেবে।

জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যদি এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত হয়, তবে তা অনুমোদন করার জন্য নির্বাচন বা গণভোটের প্রয়োজন হবে। কারণ ‘কেবল ইউক্রেনীয় জনগণই’ আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আসা শান্তি চুক্তিতে দ্রুত সই করার জন্য ইউক্রেন প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, জেলেনস্কি খসড়া শান্তি পরিকল্পনা ‘পড়েও দেখেননি’। তিনি মনে করেন, ইউক্রেনে নির্বাচন হওয়া উচিত। ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি কারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের ওপরই অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক করতেই ক্লান্ত।’

জার্মানিতে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, যদি পুতিনকে ইউক্রেনে তাঁর উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হয়, তবে ইউরোপে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাস্তব হয়ে উঠবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই মহাদেশ রাশিয়ার হুমকি নিয়ে ‘নীরবে আত্মতুষ্ট’ ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই। ইউরোপের সব দেশকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে।

ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির নেতারা একমত যে আঞ্চলিক প্রশ্ন নিয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘চার বছর ধরে ভোগান্তি ও মৃত্যুর পর ইউক্রেনের জনগণকে এমন শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করা ভুল হবে।’

ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভে ইইউর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। যদিও হাঙ্গেরির রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ নেতা ভিক্টর অরবান আনুষ্ঠানিক আলোচনা আটকে রেখেছেন। তবে ইইউ এনলার্জমেন্ট কমিশনার মার্টা কস বলেন, ‘ইউক্রেন ইইউর সদস্য হবে এবং কেউ এটি আটকাতে পারবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত