
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছুটি কাটাতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সাকিব সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দুই দিন আগে রানা আব্বাসকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বললেন খেলা ও খেলার বাইরের অনেক কিছুই।
রানা আব্বাস

প্রশ্ন: পারিবারিক কারণে ছুটি নেওয়ায় বোর্ডের অনেকে বলেছেন, আপনার জীবনটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। বাংলাদেশও এখন আপনার কাছে বিদেশ! দূরে থাকা পরিবার আর খেলার মধ্যে ভারসাম্যটা কীভাবে রাখছেন?
সাকিব আল হাসান: এখনো পর্যন্ত (ভারসাম্য) রাখছি। যেহেতু বছরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আগামী বছরে বেশ কিছু বড় পরিকল্পনা আছে। সেগুলো যদি ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সময়টা হয়তো ঠিকঠাক ম্যানেজ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: এটার কারণে কি এখন বেছে বেছে খেলার ভাবনা কাজ করছে?
সাকিব: আমি যে অবস্থায় আছি, বেশি দিন টেস্ট ক্রিকেট ধরে রাখা আমার জন্য কঠিন হবে। এখন আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন সংস্করণ আমি খেলতে চাই, কোন সংস্করণ খেলতে চাই না। আর টেস্ট ক্রিকেটে যেহেতু সময়টা বেশি যায়, এটাই এক সংস্করণ, যেটা নিয়ে আমাকে খুব ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে টেস্ট থেকে আপাতত নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। আর ওয়ানডেতে যদি দেখি পয়েন্টের কোনো ব্যাপার নেই (আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ), সেই সিরিজ যদি না খেলা লাগে, খেললাম না। আর যেগুলো পয়েন্টের বিষয় আছে, সেগুলো খেললাম। পরিকল্পনাগুলো নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করতেই নিশ্চয়ই এই পরিকল্পনা?
সাকিব: ধরুন, ২০২২ বিশ্বকাপের পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। সেটা খেলতে পারব কি পারব না, তা জানি না। তখন যদি মনে হয় আরেকটা ফরম্যাট পরিবর্তন করে টেস্ট খেলব, সেটাও করতে পারি। এখন বেছে বেছে খেলতে হবে, এটাই আমার বাস্তবতা।
প্রশ্ন: সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। রেকর্ড-পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে বলতে হয়, এই দলটা আপনার প্রিয় প্রতিপক্ষ! যে দলের বিপক্ষে টেস্টে আপনার ব্যাটিং গড় ৭৩.৮৫। সেই প্রিয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সিরিজ হাতছাড়া হলে কতটা আফসোস হয়?
সাকিব: আফসোস তো হয়ই। নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ—দুটি জায়গা, যেখানে আমি সব সময়ই খেলতে চাই। এ দিয়ে তিনবার (নিউজিল্যান্ড সফর) হাতছাড়া করলাম। একবার বাচ্চা হওয়ার বিষয় ছিল (মার্চ, ২০২১)। একবার বিপিএল (২০১৯) ফাইনালে চোটে পড়েছিলাম। এবার তো ছুটি নিলাম। এটা আমার জন্য অবশ্যই একটু দুঃখজনক, যেখানে আমি সব সময়ই খেলতে যেতে চাই (নিউজিল্যান্ডে)। আমার পাঁচটা টেস্ট সেঞ্চুরির দুটিই ওখানে। আমি ওখানে ব্যাটিং খুব উপভোগ করি। পৃথিবীর যে কয়েকটি জায়গায় ভালো ব্যাটিংয়ের উইকেট মেলে, নিউজিল্যান্ড তার একটা। সেদিক দিয়ে অবশ্যই আমি খুব মিস করি। আর জায়গাটাও আমি অসম্ভব পছন্দ করি ঘুরতে। সব দিক দিয়েই মিস করি। কিন্তু এখন এটাই বাস্তবতা।
প্রশ্ন: কদিন আগে টেস্টে দ্রুততম ২০০ উইকেট আর ৪০০০ রানের রেকর্ড হলো আপনার। ৫৯ টেস্টেই পরিসংখ্যানটা এমন জায়গায় চলে গেছে, যদি আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারতেন, কোনো সংশয় ছাড়াই আপনাকে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলা যেত! রেকর্ড-পরিসংখ্যান নিয়ে আপনার ভাবনটা কী? এসব কতটা ভাবায় আপনাকে?
সাকিব: যেটা বললেন, হ্যাঁ, আরও যদি খেলতে পারতাম, এমন পারফরম্যান্স রাখতে পারতাম, আরও অনেক কিছু করার সুযোগ হতো। ক্যারিয়ারটা আরও সুন্দর দেখাত। সেটা চিন্তা করলে আফসোস করতেই পারি। কিন্তু এগুলো নিয়ে কখনো ভাবিনি যে ক্যারিয়ার শেষে আমার রান কত, উইকেট কত হবে। এখন কত আছে, কোথায় যাব—এসব আসলে কখনো আমার চিন্তার ভেতরে ছিল না। এমনকি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে কত উইকেট পাব, এসব কোনো দিন টার্গেটে ছিল না যে ব্যক্তিগতভাবে এটা, ওটা করতে চাই। এখনো জানি না আমার টেস্ট, ওয়ানডেতে রান বা উইকেট কত।
প্রশ্ন: এটা নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই যে একজন খেলোয়াড় কতটা গ্রেট, সেটি বিচার করা হয় টেস্ট দিয়ে। অথচ সেই সংস্করণ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার ভাবনা কাজ করছে আপনার মনে।
সাকিব: সত্যি কথা, আমি তিন সংস্করণই খেলতে চাই। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, আমাকে কিছু সময় বের করতে হবে। আর এই বয়সে একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে তিন সংস্করণ সমান তালে খেলাটাও কঠিন। বিশ্বে এখন যারা খেলছে, তারাও অনেক বিশ্রাম নিয়ে খেলছে। রোটেশন পলিসিতে যাচ্ছে। আমাকেও ওদিকেই যেতে হবে। আমার আর কোনো অপশন নেই। এটা নিয়ে চিন্তা করারও জায়গাটা নেই।
প্রশ্ন: বিশ্বের সব দলেই সিনিয়র ক্রিকেটারদের আলাদা প্রভাব বা গুরুত্ব থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ দলে একটু বেশিই সিনিয়রকেন্দ্রিক দল মনে হয়। যখন কোনো সিরিজে সিনিয়রদের বেশির ভাগ থাকেন না, দলকে অনেক এলোমেলো দেখায়। এটা কি পাইপলাইন সমৃদ্ধ না থাকার কারণে নাকি তরুণ খেলোয়াড়দের সামর্থ্যেই ঘাটতি?
সাকিব: আমার কাছে মনে হয়, আমরা ওদের (তরুণ ক্রিকেটার) সেভাবে প্রমোটই করিনি যে ওরা নিজেদের বড় হিসেবে চিন্তা করবে। আমরা কখনোই ওদের সেই দামটাই দিতে পারিনি, যেখানে ওরা নিজেদের নিয়ে ভাববে যে না আমরাও অনেক কিছু করতে পারব। আমাদের পাঁচজনের দিকে এত বেশি মনোযোগ দিয়েছে সবাই—সেটা সংবাদমাধ্যম বলুন, বোর্ড বলুন কিংবা দর্শক; ওরা (সিনিয়রদের বাইরে) সেভাবে চোখেই পড়েনি। ওরা সেভাবে ফিলই করেনি যে আমিও একজন এই দলের অংশ। হ্যাঁ, দু-এক সময় হয়েছে। কিন্তু যদি সামগ্রিকভাবে দেখেন, সব সময়ই এই কথা। এখনো চলছে। এটা কি সারা জীবন চলতে পারে? শচীন, গাঙ্গুলী, লক্ষ্মণ, দ্রাবিড়, কুম্বলে—এঁরা ভারতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছে না? এঁরা যখন বিদায় নিয়েছে, তখন কি ওরা বলেছে, হায়! হায়! আমরা এখন কোথায়? এই পাঁচজন নেই, আমরা তো শেষ! ওরা পরিকল্পনা করেছে, নতুন খেলোয়াড়দের তুলে এনেছে। শূন্যস্থান পূরণ করেছে। হ্যাঁ, বলতে পারেন, নতুন যারা এসেছে তারা তো সেভাবে ভালো করতে পারছে না। আমরা তো তাদের ভালো করার সুযোগই করে দিই না। যখন তারা ওই সুযোগটা পাবে, অবশ্যই তারা ভালো করবে। কথার কথা, আমরা যখন জিম্বাবুয়ে বা শক্তিমত্তায় কিছুটা পিছিয়ে থাকা দলের সঙ্গে খেলি—ভারত এমন অনেক সিরিজ আছে ওদের দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে দিয়েছে। ওরা ওই ভয় করেনি যে হারলে সব শেষ হয়ে যাবে। কারণ, ওরা জানে যে প্রক্রিয়াটা কী। শুধুই শিখিয়েছে আর শিখিয়েছে। এমন ১৫ জনের দল পাঠিয়ে দিন, ওরা যখন নেতৃত্ব দেওয়া শিখবে, ওদের ভালো করার সুযোগ থাকবে। কারণ, ওরা তো লিডারশিপ নিতেই পারে না যখন আমরা (সিনিয়ররা) থাকি। আমাদের যেমন ভুল, আমাদের সিস্টেমেরও গলদ। সব সময়ই একটা ছায়ার ভেতর থাকে ওরা।
প্রশ্ন: লিটন-সৌম্য-সাব্বিরদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাংলাদেশ দল পেয়েছে, তাঁদের যথেষ্ট সুযোগও দেওয়া হয়েছে। তবু তাঁরা এখনো আস্থার পুরো প্রতিদান দিতে পারেনি। এটার ব্যাখ্যা কী হতে পারে?
সাকিব: হ্যাঁ, তা (প্রতিভাবান ক্রিকেটার) পেয়েছি। ওরা তো কখনো কখনো করে দেখিয়েছে। দেখালেও হয়েছে কী, মনোযোগটা শুধু ওই সময়টাতেই তাদের দিকে দিয়েছি। আমরা (সিনিয়ররা) ভালো-খারাপ খেলি, সব মনোযোগ আমাদের পাঁচজনের ওপরই থেকেছে। আমরা ওই সুযোগটাই ওদের করে দিইনি। বলব না, ওদের কোনো দোষ নেই। ওদেরও অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল, দায়িত্ব নেওয়ার জায়গায় আসতে পারত। এমনকি দেখেন প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোতেও এই পাঁচজনই পাঁচ দলের অধিনায়ক হবে। যদি এখানে ওই পাঁচজনের পর নতুন পাঁচজন অধিনায়ক হতো, তাদের সঙ্গে নতুন পাঁচ সহ-অধিনায়ক—তাহলে দলটা তৈরি হওয়ার সুযোগ পেত। কোনো সিস্টেমেই যদি তারা না আসতে পারে…। এই যে বিপিএল আসছে, এখানেও ওই পাঁচজনকে (সিনিয়র) নিয়েই সব প্রমোশন। গত কিছুদিনে ধারাবাহিক ভালো খেলছে তাকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দেওয়া যেত না? দুটো খেলোয়াড়কে যদি দিতেন, তাহলে তারা চিন্তা করত, নাহ, আমিও তাদের মতো একজন। এই চিন্তাগুলো ওদের ভেতর যতক্ষণ প্রবাহিত না করতে পারি, ওরা কীভাবে বড় চিন্তা করবে?
প্রশ্ন: গত কদিনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের একধরনের দূরত্বের খবর বেশ এসেছে। এটার কারণ কী মনে হয়?
সাকিব: হয়তো সবার জায়গা থেকে যার যার মতো কথা বলছে। কিংবা খবর আসছে। কেন, ঠিক বলতে পারব না। তবে আমার কাছে আসলে কখনো সমস্যা মনে হয়নি। শুধু এই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেই নয়, কোনো ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেই নয়। কেউ বলতে পারবে না আমার সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো কোচিং স্টাফের সঙ্গে নয়।
প্রশ্ন: যখন এই দূরত্বের খবর আসে, তখন বিসিবির কর্মকর্তারা কিংবা বোর্ডের বাইরেও অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশ দলে আসলে কড়া কোচ দরকার। এটার সঙ্গে আপনি কি একমত?
সাকিব: (অট্ট হাসি) না, সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। যদি দেখেন স্টিভ রোডসের চেয়ে ভালো রেকর্ড কোনো কোচের নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তিনি কি কড়া হেডমাস্টার ছিলেন? তিনি তো আদর করেও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিয়েছেন। ওঁর সময়ে বাংলাদেশ ভালো ফল করেছে। রেকর্ড দেখলে ওর চেয়ে ভালো রেকর্ড আর কোনো কোচের নেই। তাঁর জয়ের শতাংশ মনে হয় ৫৩ বা ৫৫; যেখানে হাথুরুসিংহের ৪০-৪১, রাসেল ডমিঙ্গোর ৪৩ বা এমন কিছু। অথচ সে (স্টিভ রোডস) একদিন জোরেও কথা বলেনি। খেলোয়াড়েরা তাঁর ওর ওপর রেগে আছে, তবু তিনি খেলোয়াড়কে আদর করছেন। কীভাবে এটার সঙ্গে একমত হই?
প্রশ্ন: অনেক সময় এমন শোনা যায়, খেলোয়াড়েরা কথা শুনছেন না…
সাকিব: কে কথা শোনে না, এটা বলুন তো?
প্রশ্ন: বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকায় শোনার একটা বাধ্যবাধকতা আছে নিশ্চয়ই
সাকিব: শুনতে বাধ্য ঠিক নয়। ধরুন, খেলোয়াড় ও কোচের কথা হচ্ছে। দুজনের দুই মত থাকতে পারে। অনেক সময় দুজনের দ্বিমত থাকে। এটার মানে এই নয় যে তাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। দ্বিমত হওয়ার পরও যখন একটা সিদ্ধান্ত হয়, তখন সবাই সেটা মানে। তার মানে এই নয় যে সব সময়ই কোচের কথা শোনে, সব সময়ই খেলোয়াড়ের কথা শোনে। দুটির মিশ্রণও হয়। বিষয়টা হচ্ছে এটাই। এটার মানে এই নয় যে ঝগড়া হচ্ছে। সাধারণত খারাপ কিছু পেলে আমাদের কেউ না কেউ ভিকটিম হয়। হতে পারে এসব সেটারই অংশ। আর বাস্তবতাও অনেক সময় আমরা ফেস করতে চাই না। তখন ব্লেম গেম হয়। দোষ আপনি তখনই দেবেন, যখন আপনার স্বার্থে আঘাত লাগে। যারাই ব্লেম দিচ্ছে, তাদের স্বার্থে কোথাও কখনো আঘাত লেগেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা ১৫–১৬ বছর একসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, সে অনুযায়ী জাতীয় দলের বড় কোনো সাফল্য নেই বড় মঞ্চে।
সাকিব: ঠিক, তেমন বড় কোনো সাফল্য নেই। ব্যক্তিগত কিছু বড় অর্জন অবশ্য আছে।
প্রশ্ন: তিনটা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছেন। তবু একটি জায়গায় গিয়ে বাংলাদেশ আটকে গেছে। কারণ কী?
সাকিব: এটা বলা আসলে কঠিন। আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ভালো খেলি, অনেক পরিকল্পনা করি। কিন্তু যখন বড় টুর্নামেন্ট বা ইভেন্টে খেলতে যাই, কখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। চাপ একটা কারণ হতে পারে। মেন্টাল ব্লক আছে যে কখনো পারিনি। এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ বের করা আমার পক্ষে কঠিন।
প্রশ্ন: খেলার বাইরের প্রসঙ্গ, কদিন আগে একটা প্রতিবেদনে পড়ছিলাম, খেলা ছাড়ার ১৩ বছর পরও সৌরভ গাঙ্গুলী ৩৩টা পণ্যের দূত। আপনার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কত? সৌরভকে টপকে যাওয়া সম্ভব?
সাকিব: (হাসি) বাংলাদেশের বাজার অতটা বড় হয়নি। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের বাজার। আর ভারতের ১৫০ কোটি মানুষের বাজার। বুঝতেই পারছেন, ওদের বাজার আমাদের তুলনায় কত বড়। একেক রাজ্যেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য আছে। কলকাতায় কত ব্র্যান্ড। মুম্বাইভিত্তিক কত ব্র্যান্ড। আর পুরো ভারতে তো আছেই। আসলে ভারতের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা বোকামি।
প্রশ্ন: কিন্তু বাংলাদেশে পণ্যের দূতিয়ালি বা বিজ্ঞাপনের বাজারে তো আপনার দাপুটে বিচরণ।
সাকিব: আলহামদুলিল্লাহ। এটা মানুষের ভালোবাসা। আমাকে আলাদাভাবে দেখা, সেটা একটা কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন: ইদানীং আপনার ব্যবসায়ী পরিচয়টা বেশ সামনে আছে। ক্রিকেট আর ব্যবসা, দুটিতে সমান মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয় না?
সাকিব: নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে ভাবি না। ক্রিকেট ঠিক রেখে একটা ভালো জিনিস যদি করা যায়, সেটা করতে পারলে আমার ভালো লাগবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, আমার একটা লক্ষ্য আছে। আমি মনে করি সেটা আমার পূরণ করা উচিত। কিংবা মনে হচ্ছে, আমি কখনো না কখনো করতে পারব। সে কারণেই কিছু ব্যবসা শুরু করা। যখন খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে যাবে, এসব আরও বড় আকারে সুন্দর করে করতে পারব। যেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এটা আমি ফিল করি যে এই কাজটা আমার পক্ষে করা সম্ভব। পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করব। সেই কারণেই আসলে এসব শুরু করা। কথার কথা, যদি কোনোভাবে পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি তার মানে আপনি পাঁচ-দশ হাজার মানুষের পরিবারের দেখাশোনা করছেন। ওটা অনেক বড় ব্যাপার। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, সমাজে বেকারত্ব দূর করা, ওই সব পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবনযাপনে উন্নত করার সুযোগ থাকে। এটা যদি করতে পারি, এর চেয়ে ভালো কাজ মনে হয় না আর আছে। এই উদ্দেশ্যেই ব্যবসাগুলো শুরু করা। জানি না কতটা সফল হব। এগুলো যদি নাও পারি ব্যক্তিগতভাবে নিজে ভালোভাবে চলতে-ফিরতে পারব। তবে আমার মনে হয়, সমাজকে কিছু দেওয়ার মতো অবস্থানে আমি আছি। বাংলাদেশকে কিছু দেওয়ার মতো অবস্থানে আমি আছি। সেটা শুধু ক্রিকেটের মাঠে নয়। যদি সুযোগ থাকে কেন আমি দেব না? যেহেতু আছে, চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতটা সফল হতে পারি।
প্রশ্ন: খেলা ছাড়ার পর পুরোপুরি ব্যবসাতেই চলে যাবেন?
সাকিব: জানি না ভবিষ্যতে কী করব বা কী হবে। জীবন নিয়ে অত চিন্তা করি না। তবে এসব করতে পারি, খুব ভালো। না করতে পারলে খারাপ লাগবে এই ভেবে যে ইচ্ছেটা ছিল পূরণ করতে পারিনি। তবে করতে পারলে খুব ভালো লাগবে যে ভালো কাজের সঙ্গে আমি থাকতে পারছি।
প্রশ্ন: ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়েছেন দুজন ক্রিকেট কিংবদন্তি। আগামী এক দশকে বিসিবিতে এমনটা কি দেখার সুযোগ আছে?
সাকিব: হতেই পারে। অসম্ভব কিছুই নয়। তবে যে প্রক্রিয়ায় আমাদের (ক্রিকেট প্রশাসক) হয়, একজন খেলোয়াড়ের (যিনি এখনো খেলছেন) পক্ষে এটা কঠিন। ধরুন, আমাদের বোর্ডে ১০০-২০০ কাউন্সিলর আছে। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে এই কাউন্সিলরদের রাজি করানো, ওদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ভোট আদায় করা কঠিন। এত সহজ না। যে খেলছে না, সংগঠক বা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত; তাদের জন্য হয়তো একজন খেলোয়াড়ের তুলনায় একটু সহজ। আরেকটা হয়, যদি খেলোয়াড় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় বা সাংগঠনিকভাবে কোনোভাবে জড়িয়ে থাকে। তখন তার পক্ষে এসব জানা-বোঝা একটু সহজ হয়।
প্রশ্ন: পারিবারিক কারণে ছুটি নেওয়ায় বোর্ডের অনেকে বলেছেন, আপনার জীবনটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। বাংলাদেশও এখন আপনার কাছে বিদেশ! দূরে থাকা পরিবার আর খেলার মধ্যে ভারসাম্যটা কীভাবে রাখছেন?
সাকিব আল হাসান: এখনো পর্যন্ত (ভারসাম্য) রাখছি। যেহেতু বছরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আগামী বছরে বেশ কিছু বড় পরিকল্পনা আছে। সেগুলো যদি ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সময়টা হয়তো ঠিকঠাক ম্যানেজ করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন: এটার কারণে কি এখন বেছে বেছে খেলার ভাবনা কাজ করছে?
সাকিব: আমি যে অবস্থায় আছি, বেশি দিন টেস্ট ক্রিকেট ধরে রাখা আমার জন্য কঠিন হবে। এখন আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন সংস্করণ আমি খেলতে চাই, কোন সংস্করণ খেলতে চাই না। আর টেস্ট ক্রিকেটে যেহেতু সময়টা বেশি যায়, এটাই এক সংস্করণ, যেটা নিয়ে আমাকে খুব ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে টেস্ট থেকে আপাতত নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। আর ওয়ানডেতে যদি দেখি পয়েন্টের কোনো ব্যাপার নেই (আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ), সেই সিরিজ যদি না খেলা লাগে, খেললাম না। আর যেগুলো পয়েন্টের বিষয় আছে, সেগুলো খেললাম। পরিকল্পনাগুলো নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
প্রশ্ন: ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করতেই নিশ্চয়ই এই পরিকল্পনা?
সাকিব: ধরুন, ২০২২ বিশ্বকাপের পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ সালে। সেটা খেলতে পারব কি পারব না, তা জানি না। তখন যদি মনে হয় আরেকটা ফরম্যাট পরিবর্তন করে টেস্ট খেলব, সেটাও করতে পারি। এখন বেছে বেছে খেলতে হবে, এটাই আমার বাস্তবতা।
প্রশ্ন: সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। রেকর্ড-পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে বলতে হয়, এই দলটা আপনার প্রিয় প্রতিপক্ষ! যে দলের বিপক্ষে টেস্টে আপনার ব্যাটিং গড় ৭৩.৮৫। সেই প্রিয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সিরিজ হাতছাড়া হলে কতটা আফসোস হয়?
সাকিব: আফসোস তো হয়ই। নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ—দুটি জায়গা, যেখানে আমি সব সময়ই খেলতে চাই। এ দিয়ে তিনবার (নিউজিল্যান্ড সফর) হাতছাড়া করলাম। একবার বাচ্চা হওয়ার বিষয় ছিল (মার্চ, ২০২১)। একবার বিপিএল (২০১৯) ফাইনালে চোটে পড়েছিলাম। এবার তো ছুটি নিলাম। এটা আমার জন্য অবশ্যই একটু দুঃখজনক, যেখানে আমি সব সময়ই খেলতে যেতে চাই (নিউজিল্যান্ডে)। আমার পাঁচটা টেস্ট সেঞ্চুরির দুটিই ওখানে। আমি ওখানে ব্যাটিং খুব উপভোগ করি। পৃথিবীর যে কয়েকটি জায়গায় ভালো ব্যাটিংয়ের উইকেট মেলে, নিউজিল্যান্ড তার একটা। সেদিক দিয়ে অবশ্যই আমি খুব মিস করি। আর জায়গাটাও আমি অসম্ভব পছন্দ করি ঘুরতে। সব দিক দিয়েই মিস করি। কিন্তু এখন এটাই বাস্তবতা।
প্রশ্ন: কদিন আগে টেস্টে দ্রুততম ২০০ উইকেট আর ৪০০০ রানের রেকর্ড হলো আপনার। ৫৯ টেস্টেই পরিসংখ্যানটা এমন জায়গায় চলে গেছে, যদি আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারতেন, কোনো সংশয় ছাড়াই আপনাকে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার বলা যেত! রেকর্ড-পরিসংখ্যান নিয়ে আপনার ভাবনটা কী? এসব কতটা ভাবায় আপনাকে?
সাকিব: যেটা বললেন, হ্যাঁ, আরও যদি খেলতে পারতাম, এমন পারফরম্যান্স রাখতে পারতাম, আরও অনেক কিছু করার সুযোগ হতো। ক্যারিয়ারটা আরও সুন্দর দেখাত। সেটা চিন্তা করলে আফসোস করতেই পারি। কিন্তু এগুলো নিয়ে কখনো ভাবিনি যে ক্যারিয়ার শেষে আমার রান কত, উইকেট কত হবে। এখন কত আছে, কোথায় যাব—এসব আসলে কখনো আমার চিন্তার ভেতরে ছিল না। এমনকি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে কত উইকেট পাব, এসব কোনো দিন টার্গেটে ছিল না যে ব্যক্তিগতভাবে এটা, ওটা করতে চাই। এখনো জানি না আমার টেস্ট, ওয়ানডেতে রান বা উইকেট কত।
প্রশ্ন: এটা নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই যে একজন খেলোয়াড় কতটা গ্রেট, সেটি বিচার করা হয় টেস্ট দিয়ে। অথচ সেই সংস্করণ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার ভাবনা কাজ করছে আপনার মনে।
সাকিব: সত্যি কথা, আমি তিন সংস্করণই খেলতে চাই। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, আমাকে কিছু সময় বের করতে হবে। আর এই বয়সে একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে তিন সংস্করণ সমান তালে খেলাটাও কঠিন। বিশ্বে এখন যারা খেলছে, তারাও অনেক বিশ্রাম নিয়ে খেলছে। রোটেশন পলিসিতে যাচ্ছে। আমাকেও ওদিকেই যেতে হবে। আমার আর কোনো অপশন নেই। এটা নিয়ে চিন্তা করারও জায়গাটা নেই।
প্রশ্ন: বিশ্বের সব দলেই সিনিয়র ক্রিকেটারদের আলাদা প্রভাব বা গুরুত্ব থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ দলে একটু বেশিই সিনিয়রকেন্দ্রিক দল মনে হয়। যখন কোনো সিরিজে সিনিয়রদের বেশির ভাগ থাকেন না, দলকে অনেক এলোমেলো দেখায়। এটা কি পাইপলাইন সমৃদ্ধ না থাকার কারণে নাকি তরুণ খেলোয়াড়দের সামর্থ্যেই ঘাটতি?
সাকিব: আমার কাছে মনে হয়, আমরা ওদের (তরুণ ক্রিকেটার) সেভাবে প্রমোটই করিনি যে ওরা নিজেদের বড় হিসেবে চিন্তা করবে। আমরা কখনোই ওদের সেই দামটাই দিতে পারিনি, যেখানে ওরা নিজেদের নিয়ে ভাববে যে না আমরাও অনেক কিছু করতে পারব। আমাদের পাঁচজনের দিকে এত বেশি মনোযোগ দিয়েছে সবাই—সেটা সংবাদমাধ্যম বলুন, বোর্ড বলুন কিংবা দর্শক; ওরা (সিনিয়রদের বাইরে) সেভাবে চোখেই পড়েনি। ওরা সেভাবে ফিলই করেনি যে আমিও একজন এই দলের অংশ। হ্যাঁ, দু-এক সময় হয়েছে। কিন্তু যদি সামগ্রিকভাবে দেখেন, সব সময়ই এই কথা। এখনো চলছে। এটা কি সারা জীবন চলতে পারে? শচীন, গাঙ্গুলী, লক্ষ্মণ, দ্রাবিড়, কুম্বলে—এঁরা ভারতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছে না? এঁরা যখন বিদায় নিয়েছে, তখন কি ওরা বলেছে, হায়! হায়! আমরা এখন কোথায়? এই পাঁচজন নেই, আমরা তো শেষ! ওরা পরিকল্পনা করেছে, নতুন খেলোয়াড়দের তুলে এনেছে। শূন্যস্থান পূরণ করেছে। হ্যাঁ, বলতে পারেন, নতুন যারা এসেছে তারা তো সেভাবে ভালো করতে পারছে না। আমরা তো তাদের ভালো করার সুযোগই করে দিই না। যখন তারা ওই সুযোগটা পাবে, অবশ্যই তারা ভালো করবে। কথার কথা, আমরা যখন জিম্বাবুয়ে বা শক্তিমত্তায় কিছুটা পিছিয়ে থাকা দলের সঙ্গে খেলি—ভারত এমন অনেক সিরিজ আছে ওদের দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়ে দিয়েছে। ওরা ওই ভয় করেনি যে হারলে সব শেষ হয়ে যাবে। কারণ, ওরা জানে যে প্রক্রিয়াটা কী। শুধুই শিখিয়েছে আর শিখিয়েছে। এমন ১৫ জনের দল পাঠিয়ে দিন, ওরা যখন নেতৃত্ব দেওয়া শিখবে, ওদের ভালো করার সুযোগ থাকবে। কারণ, ওরা তো লিডারশিপ নিতেই পারে না যখন আমরা (সিনিয়ররা) থাকি। আমাদের যেমন ভুল, আমাদের সিস্টেমেরও গলদ। সব সময়ই একটা ছায়ার ভেতর থাকে ওরা।
প্রশ্ন: লিটন-সৌম্য-সাব্বিরদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাংলাদেশ দল পেয়েছে, তাঁদের যথেষ্ট সুযোগও দেওয়া হয়েছে। তবু তাঁরা এখনো আস্থার পুরো প্রতিদান দিতে পারেনি। এটার ব্যাখ্যা কী হতে পারে?
সাকিব: হ্যাঁ, তা (প্রতিভাবান ক্রিকেটার) পেয়েছি। ওরা তো কখনো কখনো করে দেখিয়েছে। দেখালেও হয়েছে কী, মনোযোগটা শুধু ওই সময়টাতেই তাদের দিকে দিয়েছি। আমরা (সিনিয়ররা) ভালো-খারাপ খেলি, সব মনোযোগ আমাদের পাঁচজনের ওপরই থেকেছে। আমরা ওই সুযোগটাই ওদের করে দিইনি। বলব না, ওদের কোনো দোষ নেই। ওদেরও অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল, দায়িত্ব নেওয়ার জায়গায় আসতে পারত। এমনকি দেখেন প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোতেও এই পাঁচজনই পাঁচ দলের অধিনায়ক হবে। যদি এখানে ওই পাঁচজনের পর নতুন পাঁচজন অধিনায়ক হতো, তাদের সঙ্গে নতুন পাঁচ সহ-অধিনায়ক—তাহলে দলটা তৈরি হওয়ার সুযোগ পেত। কোনো সিস্টেমেই যদি তারা না আসতে পারে…। এই যে বিপিএল আসছে, এখানেও ওই পাঁচজনকে (সিনিয়র) নিয়েই সব প্রমোশন। গত কিছুদিনে ধারাবাহিক ভালো খেলছে তাকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দেওয়া যেত না? দুটো খেলোয়াড়কে যদি দিতেন, তাহলে তারা চিন্তা করত, নাহ, আমিও তাদের মতো একজন। এই চিন্তাগুলো ওদের ভেতর যতক্ষণ প্রবাহিত না করতে পারি, ওরা কীভাবে বড় চিন্তা করবে?
প্রশ্ন: গত কদিনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের একধরনের দূরত্বের খবর বেশ এসেছে। এটার কারণ কী মনে হয়?
সাকিব: হয়তো সবার জায়গা থেকে যার যার মতো কথা বলছে। কিংবা খবর আসছে। কেন, ঠিক বলতে পারব না। তবে আমার কাছে আসলে কখনো সমস্যা মনে হয়নি। শুধু এই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেই নয়, কোনো ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেই নয়। কেউ বলতে পারবে না আমার সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো কোচিং স্টাফের সঙ্গে নয়।
প্রশ্ন: যখন এই দূরত্বের খবর আসে, তখন বিসিবির কর্মকর্তারা কিংবা বোর্ডের বাইরেও অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশ দলে আসলে কড়া কোচ দরকার। এটার সঙ্গে আপনি কি একমত?
সাকিব: (অট্ট হাসি) না, সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। যদি দেখেন স্টিভ রোডসের চেয়ে ভালো রেকর্ড কোনো কোচের নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে। তিনি কি কড়া হেডমাস্টার ছিলেন? তিনি তো আদর করেও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করে নিয়েছেন। ওঁর সময়ে বাংলাদেশ ভালো ফল করেছে। রেকর্ড দেখলে ওর চেয়ে ভালো রেকর্ড আর কোনো কোচের নেই। তাঁর জয়ের শতাংশ মনে হয় ৫৩ বা ৫৫; যেখানে হাথুরুসিংহের ৪০-৪১, রাসেল ডমিঙ্গোর ৪৩ বা এমন কিছু। অথচ সে (স্টিভ রোডস) একদিন জোরেও কথা বলেনি। খেলোয়াড়েরা তাঁর ওর ওপর রেগে আছে, তবু তিনি খেলোয়াড়কে আদর করছেন। কীভাবে এটার সঙ্গে একমত হই?
প্রশ্ন: অনেক সময় এমন শোনা যায়, খেলোয়াড়েরা কথা শুনছেন না…
সাকিব: কে কথা শোনে না, এটা বলুন তো?
প্রশ্ন: বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকায় শোনার একটা বাধ্যবাধকতা আছে নিশ্চয়ই
সাকিব: শুনতে বাধ্য ঠিক নয়। ধরুন, খেলোয়াড় ও কোচের কথা হচ্ছে। দুজনের দুই মত থাকতে পারে। অনেক সময় দুজনের দ্বিমত থাকে। এটার মানে এই নয় যে তাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। দ্বিমত হওয়ার পরও যখন একটা সিদ্ধান্ত হয়, তখন সবাই সেটা মানে। তার মানে এই নয় যে সব সময়ই কোচের কথা শোনে, সব সময়ই খেলোয়াড়ের কথা শোনে। দুটির মিশ্রণও হয়। বিষয়টা হচ্ছে এটাই। এটার মানে এই নয় যে ঝগড়া হচ্ছে। সাধারণত খারাপ কিছু পেলে আমাদের কেউ না কেউ ভিকটিম হয়। হতে পারে এসব সেটারই অংশ। আর বাস্তবতাও অনেক সময় আমরা ফেস করতে চাই না। তখন ব্লেম গেম হয়। দোষ আপনি তখনই দেবেন, যখন আপনার স্বার্থে আঘাত লাগে। যারাই ব্লেম দিচ্ছে, তাদের স্বার্থে কোথাও কখনো আঘাত লেগেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা ১৫–১৬ বছর একসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, সে অনুযায়ী জাতীয় দলের বড় কোনো সাফল্য নেই বড় মঞ্চে।
সাকিব: ঠিক, তেমন বড় কোনো সাফল্য নেই। ব্যক্তিগত কিছু বড় অর্জন অবশ্য আছে।
প্রশ্ন: তিনটা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছেন। তবু একটি জায়গায় গিয়ে বাংলাদেশ আটকে গেছে। কারণ কী?
সাকিব: এটা বলা আসলে কঠিন। আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ভালো খেলি, অনেক পরিকল্পনা করি। কিন্তু যখন বড় টুর্নামেন্ট বা ইভেন্টে খেলতে যাই, কখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। চাপ একটা কারণ হতে পারে। মেন্টাল ব্লক আছে যে কখনো পারিনি। এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ বের করা আমার পক্ষে কঠিন।
প্রশ্ন: খেলার বাইরের প্রসঙ্গ, কদিন আগে একটা প্রতিবেদনে পড়ছিলাম, খেলা ছাড়ার ১৩ বছর পরও সৌরভ গাঙ্গুলী ৩৩টা পণ্যের দূত। আপনার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কত? সৌরভকে টপকে যাওয়া সম্ভব?
সাকিব: (হাসি) বাংলাদেশের বাজার অতটা বড় হয়নি। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের বাজার। আর ভারতের ১৫০ কোটি মানুষের বাজার। বুঝতেই পারছেন, ওদের বাজার আমাদের তুলনায় কত বড়। একেক রাজ্যেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য আছে। কলকাতায় কত ব্র্যান্ড। মুম্বাইভিত্তিক কত ব্র্যান্ড। আর পুরো ভারতে তো আছেই। আসলে ভারতের কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা বোকামি।
প্রশ্ন: কিন্তু বাংলাদেশে পণ্যের দূতিয়ালি বা বিজ্ঞাপনের বাজারে তো আপনার দাপুটে বিচরণ।
সাকিব: আলহামদুলিল্লাহ। এটা মানুষের ভালোবাসা। আমাকে আলাদাভাবে দেখা, সেটা একটা কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন: ইদানীং আপনার ব্যবসায়ী পরিচয়টা বেশ সামনে আছে। ক্রিকেট আর ব্যবসা, দুটিতে সমান মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয় না?
সাকিব: নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে ভাবি না। ক্রিকেট ঠিক রেখে একটা ভালো জিনিস যদি করা যায়, সেটা করতে পারলে আমার ভালো লাগবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, আমার একটা লক্ষ্য আছে। আমি মনে করি সেটা আমার পূরণ করা উচিত। কিংবা মনে হচ্ছে, আমি কখনো না কখনো করতে পারব। সে কারণেই কিছু ব্যবসা শুরু করা। যখন খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয়ে যাবে, এসব আরও বড় আকারে সুন্দর করে করতে পারব। যেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এটা আমি ফিল করি যে এই কাজটা আমার পক্ষে করা সম্ভব। পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করব। সেই কারণেই আসলে এসব শুরু করা। কথার কথা, যদি কোনোভাবে পাঁচ-দশ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি তার মানে আপনি পাঁচ-দশ হাজার মানুষের পরিবারের দেখাশোনা করছেন। ওটা অনেক বড় ব্যাপার। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, সমাজে বেকারত্ব দূর করা, ওই সব পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবনযাপনে উন্নত করার সুযোগ থাকে। এটা যদি করতে পারি, এর চেয়ে ভালো কাজ মনে হয় না আর আছে। এই উদ্দেশ্যেই ব্যবসাগুলো শুরু করা। জানি না কতটা সফল হব। এগুলো যদি নাও পারি ব্যক্তিগতভাবে নিজে ভালোভাবে চলতে-ফিরতে পারব। তবে আমার মনে হয়, সমাজকে কিছু দেওয়ার মতো অবস্থানে আমি আছি। বাংলাদেশকে কিছু দেওয়ার মতো অবস্থানে আমি আছি। সেটা শুধু ক্রিকেটের মাঠে নয়। যদি সুযোগ থাকে কেন আমি দেব না? যেহেতু আছে, চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতটা সফল হতে পারি।
প্রশ্ন: খেলা ছাড়ার পর পুরোপুরি ব্যবসাতেই চলে যাবেন?
সাকিব: জানি না ভবিষ্যতে কী করব বা কী হবে। জীবন নিয়ে অত চিন্তা করি না। তবে এসব করতে পারি, খুব ভালো। না করতে পারলে খারাপ লাগবে এই ভেবে যে ইচ্ছেটা ছিল পূরণ করতে পারিনি। তবে করতে পারলে খুব ভালো লাগবে যে ভালো কাজের সঙ্গে আমি থাকতে পারছি।
প্রশ্ন: ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়েছেন দুজন ক্রিকেট কিংবদন্তি। আগামী এক দশকে বিসিবিতে এমনটা কি দেখার সুযোগ আছে?
সাকিব: হতেই পারে। অসম্ভব কিছুই নয়। তবে যে প্রক্রিয়ায় আমাদের (ক্রিকেট প্রশাসক) হয়, একজন খেলোয়াড়ের (যিনি এখনো খেলছেন) পক্ষে এটা কঠিন। ধরুন, আমাদের বোর্ডে ১০০-২০০ কাউন্সিলর আছে। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে এই কাউন্সিলরদের রাজি করানো, ওদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ভোট আদায় করা কঠিন। এত সহজ না। যে খেলছে না, সংগঠক বা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত; তাদের জন্য হয়তো একজন খেলোয়াড়ের তুলনায় একটু সহজ। আরেকটা হয়, যদি খেলোয়াড় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় বা সাংগঠনিকভাবে কোনোভাবে জড়িয়ে থাকে। তখন তার পক্ষে এসব জানা-বোঝা একটু সহজ হয়।

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
৪ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
৫ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
৫ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে সোনা জিতেছে মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সান জুটি।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথম সেটে শুরুর কয়েকটি পয়েন্ট মালয়েশিয়ান জুটি আদায় করে বেশ সহজেই। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ান জুমার-ঊর্মি। টাইব্রেকারে নিয়ে যান সেট। ২৫ পয়েন্টের পর আর পেরে ওঠেননি তারা। দ্বিতীয় সেটে একটা সময় পয়েন্ট ছিল ১২-১২। এরপর মালয়েশিয়ার জুটি দেখায় একচ্ছত্র আধিপত্য।
রুপা জিতে ৮৪০ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন জুমার-ঊর্মি। একইসঙ্গে তাঁদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাডমিন্টনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন। ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’
খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুমারের, ‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই।’
গতকাল পুরুষ এককে ভারতের মেইরাবা মাইসনাম, নারী এককে যুক্তরাষ্ট্রের ইশিকা জয়সওয়াল, পুরুষ দ্বৈতে ভারতের নিরঞ্জন নন্দকুমার ও রুবেন কুমার এবং নারী দ্বৈতে থাইল্যান্ডের ফাত্তারিন ও সারিসা জানপেং।

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে সোনা জিতেছে মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সান জুটি।
পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথম সেটে শুরুর কয়েকটি পয়েন্ট মালয়েশিয়ান জুটি আদায় করে বেশ সহজেই। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ান জুমার-ঊর্মি। টাইব্রেকারে নিয়ে যান সেট। ২৫ পয়েন্টের পর আর পেরে ওঠেননি তারা। দ্বিতীয় সেটে একটা সময় পয়েন্ট ছিল ১২-১২। এরপর মালয়েশিয়ার জুটি দেখায় একচ্ছত্র আধিপত্য।
রুপা জিতে ৮৪০ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন জুমার-ঊর্মি। একইসঙ্গে তাঁদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাডমিন্টনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন। ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’
খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুমারের, ‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই।’
গতকাল পুরুষ এককে ভারতের মেইরাবা মাইসনাম, নারী এককে যুক্তরাষ্ট্রের ইশিকা জয়সওয়াল, পুরুষ দ্বৈতে ভারতের নিরঞ্জন নন্দকুমার ও রুবেন কুমার এবং নারী দ্বৈতে থাইল্যান্ডের ফাত্তারিন ও সারিসা জানপেং।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছুটি কাটাতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সাকিব সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দুই দিন আগে রানা আব্বাসকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বললেন খেলা ও খেলার বাইরের অনেক কিছুই
২৪ ডিসেম্বর ২০২১
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
৫ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
৫ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। এই মূল্যে শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড ও গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা যাবে। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড গ্যালারির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন) ৬০০ টাকা ও ক্লাব হাউজ (আপার) ৫০০ টাকা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে হলে খরচ করতে হবে ২ হাজার টাকা।
টিকিটের জন্য ভিজিট করতে হবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইটে। অফলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সিলেট পর্ব।

বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। এই মূল্যে শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড ও গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা যাবে। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড গ্যালারির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন) ৬০০ টাকা ও ক্লাব হাউজ (আপার) ৫০০ টাকা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে হলে খরচ করতে হবে ২ হাজার টাকা।
টিকিটের জন্য ভিজিট করতে হবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইটে। অফলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সিলেট পর্ব।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছুটি কাটাতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সাকিব সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দুই দিন আগে রানা আব্বাসকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বললেন খেলা ও খেলার বাইরের অনেক কিছুই
২৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
৪ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
৫ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালো-খারাপের ভেতরই চলছে। আজ তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তলানির দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফর্টিস এফসি তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কিংস। চমক উপহার দিতে তিন মিনিট সময় নেয় পুলিশ। ওরগিয়েন শেরিংয়ের পাসে কোনাকুনি শটে গোলের খাতা খোলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৩২ মিনিটে কিংসকে সমতায় ফেরান ছন্দে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এনিয়ে লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৫।
দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে কিংসের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে পুলিশ। একের পর এক আক্রমণে গোলের খুব কাছ থেকে ফেরে তারা। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এনে দেন শাফিক কাগিমু। আমিরুল ইসলামের সহায়তায় জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এই হারের পরও এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পুলিশ।
কুমিল্লায় ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৮ মিনিটে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। ৭৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিুপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে মোহামেডান।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসকে ৮ মিনিটে এগিয়ে দেন পা ওমর বাবু। ১৯ মিনিটে বাবুর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াজ সাগর। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বাবু। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে ফর্টিস।

লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালো-খারাপের ভেতরই চলছে। আজ তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তলানির দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফর্টিস এফসি তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কিংস। চমক উপহার দিতে তিন মিনিট সময় নেয় পুলিশ। ওরগিয়েন শেরিংয়ের পাসে কোনাকুনি শটে গোলের খাতা খোলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৩২ মিনিটে কিংসকে সমতায় ফেরান ছন্দে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এনিয়ে লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৫।
দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে কিংসের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে পুলিশ। একের পর এক আক্রমণে গোলের খুব কাছ থেকে ফেরে তারা। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এনে দেন শাফিক কাগিমু। আমিরুল ইসলামের সহায়তায় জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এই হারের পরও এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পুলিশ।
কুমিল্লায় ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৮ মিনিটে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।
দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। ৭৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিুপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে মোহামেডান।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসকে ৮ মিনিটে এগিয়ে দেন পা ওমর বাবু। ১৯ মিনিটে বাবুর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াজ সাগর। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বাবু। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে ফর্টিস।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছুটি কাটাতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সাকিব সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দুই দিন আগে রানা আব্বাসকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বললেন খেলা ও খেলার বাইরের অনেক কিছুই
২৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
৪ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
৫ ঘণ্টা আগে
ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট। অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এনগারাভা বর্তমানে ব্লেসিং মুজারাবানির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে এনগারাভার নাম ঘোষণা করে জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘বছরের পর বছর এনগারাভা খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। ড্রেসিংরুমে তার প্রতি সবার সম্মান রয়েছে এবং সব সংস্করণেই সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সহ অধিনায়ক হিসেবে ব্রায়ানের নিয়োগ তার ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা, পরিপক্বতা ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বগুণের প্রতি আমাদের আস্থার প্রতিফলন।’

ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট। অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এনগারাভা বর্তমানে ব্লেসিং মুজারাবানির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর।
নতুন অধিনায়ক হিসেবে এনগারাভার নাম ঘোষণা করে জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘বছরের পর বছর এনগারাভা খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। ড্রেসিংরুমে তার প্রতি সবার সম্মান রয়েছে এবং সব সংস্করণেই সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সহ অধিনায়ক হিসেবে ব্রায়ানের নিয়োগ তার ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা, পরিপক্বতা ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বগুণের প্রতি আমাদের আস্থার প্রতিফলন।’

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। এই মুহূর্তে বাঁহাতি অলরাউন্ডার ছুটি কাটাতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সাকিব সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দুই দিন আগে রানা আব্বাসকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বললেন খেলা ও খেলার বাইরের অনেক কিছুই
২৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে....
৪ ঘণ্টা আগে
বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।
৫ ঘণ্টা আগে
লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।
৫ ঘণ্টা আগে