ইশতিয়াক হাসান

হানিগাইড বার্ড নামে যে একধরনের পাখি আছে, এটা প্রথম জানতে পারি বিখ্যাত আইরিশ লেখক ও শিকারি জন টেইলরের বই পড়ে। এই মানুষটি ১৯২৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ পূর্ব আফ্রিকায় (বর্তমান মোজাম্বিক) শিকার করেন। সেই সূত্রেই পাখিটি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করি। তাতেই পরিষ্কার হয় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা সবচেয়ে বিচিত্র পাখিদের একটি এই হানিগাইড। বেশ কয়েক জাতের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
এবার এই পাখিদের, মানে হানিগাইড বার্ডের এমন নামকরণের কারণটা বরং জেনে নিই। নাম দেখে যা বুজেছেন তা-ই, এরা মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়। দুর্গমের কোনো ছোটখাটো বসতি বা জঙ্গলের মধ্যে কারও পাতা ক্যাম্পের ধারে এসে ডাকতে শুরু করে এসব পাখি। তারপর এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যায়, উদ্দেশ্য মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ। আফ্রিকানরা এই পাখিদের সঙ্গে বেশ পরিচিত, অনেক সময়ই এদের পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। তবে হানিগাইডরা দমবার পাত্র নয়, একটু অপেক্ষা করে আবার শুরু করে উত্তেজিত ডাকাডাকি, ওড়াউড়ি।
এখন কেউ যদি মধুর খোঁজে পাখিটিকে অনুসরণ করতে ইচ্ছুক হন, সমস্ত জোগাড়যন্ত্র শেষ করে শিস দিয়ে সংকেত দেন একে। ব্যাস, হানিগাইড কাজ শুরু করে। অর্থাৎ, অনুসরণকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে মৌচাকের কাছে। গন্তব্যে পৌঁছার পরও ডাল থেকে ডালে উড়ে উত্তেজিত স্বরে ডাকতেই থাকে। তবে মানবসঙ্গী কাজ শুরু করলে ডাকাডাকি থামিয়ে কাছের একটা গাছে গিয়ে চুপচাপ বসে পড়ে। পাছে আবার মৌ সংগ্রহকারী বিরক্ত হন! চাকে কোনো ঝামেলা থাকলে লোকটা শিস দেবেন। তখন পাখিটা আবার উড়তে উড়তে নতুন এক মৌচাকের কাছে নিয়ে যাবে। ছোট্ট এই পাখিরা কিন্তু মধুর জন্য এত কিছু করে না। বরং তাদের চাওয়া কেবল মধু সংগ্রহের পর মৌমাছির বাসার মোম আর কিছু শূককীট।
মৌচাক খুঁজে বের করতে এই পাখিরা যে সিদ্ধহস্ত, এটা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। আশ্চর্য ব্যাপার, এমনই এক মধুপাখিকে অনুসরণ করে দুই কিশোর বন্ধুসহ কাকতালীয়ভাবে ভয়ানক সুন্দর এক কালো কেশরের মানুষখেকো সিংহের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন জন টেইলর। অনেক দিন খুঁজেও যেটার হদিস পাচ্ছিলেন না। তবে টেইলর পাখিটির মনও খারাপ করেননি, সিংহটিকে মারার পর মধু গাইডকে ডেকে আনার ব্যবস্থা করেন। তারপর মধুও সংগ্রহ করেন দুই সঙ্গীর মাধ্যমে।
তো টেইলরের বইয়ে এই পাখিদের কথা জানতে পেরে একটু পড়াশোনার চেষ্টা করলাম এদের নিয়ে। এতে চমকটা আরও বাড়ল। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও এই নামটি ওরা পেয়েছে আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার বা ব্ল্যাক থ্রোটেড হানিগাইডদের মধুর খোঁজ দেওয়ার আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই। অবশ্য আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাওয়া যাওয়া আরেকটি প্রজাতি স্কেলি থ্রোটেড হানি গাইডেরও গুণটা আছে বলে দাবি করেন অনেকেই।
হানিগাইড নাম পাওয়া বাকি প্রজাতিগুলো কিন্তু পথ দেখিয়ে মোটেই মধুর কাছে নিয়ে যায় না। এদের বেশির ভাগেরও বসতি আফ্রিকায়। এশিয়ায় যে দুই প্রজাতি আছে, তার একটির বিচরণ মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে, অপরটির হিমালয় অঞ্চলে।
গ্রেটার হানিগাইডদের দেখা পাবেন মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোতে। আকারে একেবারেই ছোটখাটো, দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটারের মতো, ওজন ৫০ গ্রাম। পুরুষদের রং গাঢ় ধূসর-বাদামি, গলা কালো, কাঁধে হলদে দাগ, ঠোঁট গোলাপি। মেয়ে পাখিদের ঠোঁট কালচে।
হানিগাইড বার্ডদের এক হিসেবে অন্য বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিপরীত উদাহরণ বলা চলে। এমনিতে মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখিকে পোষ মানায় শিকারের জন্য বা অন্য কোনো কাজে, এখানে উল্টো এরাই মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয় তাদের অনুসরণ করতে।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পাখিগুলোর এই আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য প্রথম লিপিবদ্ধ করেন মোজাম্বিকে ধর্ম প্রচার করা পর্তুগিজ মিশনারি জোয়াও সান্তোস। সেটা ১৫৮৮ সালের ঘটনা। সান্তোস প্রায়ই লক্ষ করতেন সোফালায় তাঁর গির্জার দেয়ালের ফাটলের মধ্য দিয়ে ছোট্ট এক পাখি ওড়াউড়ি করে, আর সুযোগ পেলেই গির্জায় রাখা মোমে ঠোকর দেয়। পরে জোয়াও সান্তোস আবিষ্কার করেন, এই পাখি গাছে গছে ওড়াউড়ি করে মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়।
পরের শতকগুলোতেও এই আশ্চর্য পাখিটা সম্পর্কে বিক্ষিপ্তভাবে নানান তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তবে শুরুতে বিজ্ঞানীরা একে একটা গুজব বলেই ধরে নেন। একটি পাখি মানুষকে মধুর কাছে নিয়ে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল? বহু পরে কেনিয়ার ইকোলজিস্ট ড. হোসেইন আইজাক এবং জার্মান প্রাণিবিদ হেইঞ্জ উলরিখ রেয়ার পাখিটির ব্যাপারে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন, সেটা ১৯৮৯ সালে। এভাবেই হানিগাইডদের কিংবদন্তি সত্যি বলে প্রমাণিত হলো।
তবে হানিগাইড পাখিদের এই বিরল গুণ দুই-একবার যে মানুষকে ঝামেলায় ফেলেনি তা-ও নয়। তবে একজন বন্যপ্রাণিপ্রেমী হিসেবে একে শাপে বর বলেই মনে হয়েছে আমার। বিখ্যাত স্কটিশ শিকারি ডব্লিউ. ডি এম বেল বা করামজো বেলের বইয়ে এমন একটি ঘটনার বিবরণ আছে। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনা, আফ্রিকার কোনো একটি জায়গায় হাতি শিকারে বেরিয়েছেন। ওই সময় মৌমাছিদের বাসাগুলো ছিল মধু ও শূককীটে পরিপূর্ণ। এদিকে অরণ্যটায় হাতি ছিল প্রচুর। চাষবাসের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা আগুন দিয়ে কেবলই জঙ্গল পুড়িয়েছিল, তাই কালো মাটিতে হাতির পায়ের ছাপ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়, হানিগাইডরাও খাবার জোগাড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল তখন। লেখক কিংবা তাঁর শিকারসঙ্গীদের দেখলেই মধুর কাছে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করত। ব্যাস, এই চেঁচামেচিতে হাতিরাও শিকারিদের উপস্থিতি টের পেয়ে যেত। অবশ্য পরে স্থানীয় এক ওঝা আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হানিবার্ডদের ফাঁকি দেন বেল।
আফ্রিকান মধু সংগ্রাহকারীরা এই পাখিদের সঙ্গে যোগাযোগের চমৎকার এক পদ্ধতি বের করে নিয়েছেন। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ক্ল্যায়ার স্পটিসউড আবিষ্কার করেন, মোজাম্বিকের ইয়াও গোত্রের মধু সংগ্রহকারীরা মধু-গাইড পাখিদের ডেকে আনতে প্রথমে চড়া, কাঁপা একটা আওয়াজ করে। তারপর করে অদ্ভুত একধরনের ঘোঁতঘোঁত শব্দ। এই ডাক শুনে পাখিরা বুঝে যায় ওরা অনুসরণের জন্য প্রস্তুত। তবে আফ্রিকার অন্যান্য গোত্রের লোকেরা নিশ্চয় এই সংকেত ব্যবহার করে না, তাঁদের অন্য তরিকা থাকার কথা।
হানিগাইডদের প্রিয় খাবার মৌচাকের মোম হলেও কখনো মাকড়সা, গাছে থাকা কীটপতঙ্গ কিংবা ফলমূলও খায়। তা ছাড়া খাবারের ব্যাপারে অনেকটাই মানুষের সাহায্যনির্ভর এরা। ড. আইজাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, মৌচাক থেকে এরা যে খাবার পায়, এর শতকরা ৯৬ ভাগই মানুষের সাহায্য ছাড়া জোগাড় করা অসম্ভব। এদিকে আফ্রিকার লোকেরা এখন জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের চেয়ে গাঁয়ে মৌমাছি পালনে বেশি উৎসাহী। বাধ্য হয়েই বেচারা হানিগাইডদের পূর্বপুরুষদের দেখিয়ে যাওয়া গাইডের কাজ ছেড়ে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ম্যান ইটারস অ্যান্ড মরোডারস–জন টেইলর, দ্য ওয়ান্ডারিংস অফ এন অ্যালিফেন্ট হান্টার

হানিগাইড বার্ড নামে যে একধরনের পাখি আছে, এটা প্রথম জানতে পারি বিখ্যাত আইরিশ লেখক ও শিকারি জন টেইলরের বই পড়ে। এই মানুষটি ১৯২৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ পূর্ব আফ্রিকায় (বর্তমান মোজাম্বিক) শিকার করেন। সেই সূত্রেই পাখিটি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করি। তাতেই পরিষ্কার হয় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা সবচেয়ে বিচিত্র পাখিদের একটি এই হানিগাইড। বেশ কয়েক জাতের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
এবার এই পাখিদের, মানে হানিগাইড বার্ডের এমন নামকরণের কারণটা বরং জেনে নিই। নাম দেখে যা বুজেছেন তা-ই, এরা মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়। দুর্গমের কোনো ছোটখাটো বসতি বা জঙ্গলের মধ্যে কারও পাতা ক্যাম্পের ধারে এসে ডাকতে শুরু করে এসব পাখি। তারপর এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যায়, উদ্দেশ্য মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ। আফ্রিকানরা এই পাখিদের সঙ্গে বেশ পরিচিত, অনেক সময়ই এদের পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। তবে হানিগাইডরা দমবার পাত্র নয়, একটু অপেক্ষা করে আবার শুরু করে উত্তেজিত ডাকাডাকি, ওড়াউড়ি।
এখন কেউ যদি মধুর খোঁজে পাখিটিকে অনুসরণ করতে ইচ্ছুক হন, সমস্ত জোগাড়যন্ত্র শেষ করে শিস দিয়ে সংকেত দেন একে। ব্যাস, হানিগাইড কাজ শুরু করে। অর্থাৎ, অনুসরণকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে মৌচাকের কাছে। গন্তব্যে পৌঁছার পরও ডাল থেকে ডালে উড়ে উত্তেজিত স্বরে ডাকতেই থাকে। তবে মানবসঙ্গী কাজ শুরু করলে ডাকাডাকি থামিয়ে কাছের একটা গাছে গিয়ে চুপচাপ বসে পড়ে। পাছে আবার মৌ সংগ্রহকারী বিরক্ত হন! চাকে কোনো ঝামেলা থাকলে লোকটা শিস দেবেন। তখন পাখিটা আবার উড়তে উড়তে নতুন এক মৌচাকের কাছে নিয়ে যাবে। ছোট্ট এই পাখিরা কিন্তু মধুর জন্য এত কিছু করে না। বরং তাদের চাওয়া কেবল মধু সংগ্রহের পর মৌমাছির বাসার মোম আর কিছু শূককীট।
মৌচাক খুঁজে বের করতে এই পাখিরা যে সিদ্ধহস্ত, এটা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। আশ্চর্য ব্যাপার, এমনই এক মধুপাখিকে অনুসরণ করে দুই কিশোর বন্ধুসহ কাকতালীয়ভাবে ভয়ানক সুন্দর এক কালো কেশরের মানুষখেকো সিংহের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন জন টেইলর। অনেক দিন খুঁজেও যেটার হদিস পাচ্ছিলেন না। তবে টেইলর পাখিটির মনও খারাপ করেননি, সিংহটিকে মারার পর মধু গাইডকে ডেকে আনার ব্যবস্থা করেন। তারপর মধুও সংগ্রহ করেন দুই সঙ্গীর মাধ্যমে।
তো টেইলরের বইয়ে এই পাখিদের কথা জানতে পেরে একটু পড়াশোনার চেষ্টা করলাম এদের নিয়ে। এতে চমকটা আরও বাড়ল। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও এই নামটি ওরা পেয়েছে আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার বা ব্ল্যাক থ্রোটেড হানিগাইডদের মধুর খোঁজ দেওয়ার আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই। অবশ্য আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাওয়া যাওয়া আরেকটি প্রজাতি স্কেলি থ্রোটেড হানি গাইডেরও গুণটা আছে বলে দাবি করেন অনেকেই।
হানিগাইড নাম পাওয়া বাকি প্রজাতিগুলো কিন্তু পথ দেখিয়ে মোটেই মধুর কাছে নিয়ে যায় না। এদের বেশির ভাগেরও বসতি আফ্রিকায়। এশিয়ায় যে দুই প্রজাতি আছে, তার একটির বিচরণ মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে, অপরটির হিমালয় অঞ্চলে।
গ্রেটার হানিগাইডদের দেখা পাবেন মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোতে। আকারে একেবারেই ছোটখাটো, দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটারের মতো, ওজন ৫০ গ্রাম। পুরুষদের রং গাঢ় ধূসর-বাদামি, গলা কালো, কাঁধে হলদে দাগ, ঠোঁট গোলাপি। মেয়ে পাখিদের ঠোঁট কালচে।
হানিগাইড বার্ডদের এক হিসেবে অন্য বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিপরীত উদাহরণ বলা চলে। এমনিতে মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখিকে পোষ মানায় শিকারের জন্য বা অন্য কোনো কাজে, এখানে উল্টো এরাই মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয় তাদের অনুসরণ করতে।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পাখিগুলোর এই আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য প্রথম লিপিবদ্ধ করেন মোজাম্বিকে ধর্ম প্রচার করা পর্তুগিজ মিশনারি জোয়াও সান্তোস। সেটা ১৫৮৮ সালের ঘটনা। সান্তোস প্রায়ই লক্ষ করতেন সোফালায় তাঁর গির্জার দেয়ালের ফাটলের মধ্য দিয়ে ছোট্ট এক পাখি ওড়াউড়ি করে, আর সুযোগ পেলেই গির্জায় রাখা মোমে ঠোকর দেয়। পরে জোয়াও সান্তোস আবিষ্কার করেন, এই পাখি গাছে গছে ওড়াউড়ি করে মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়।
পরের শতকগুলোতেও এই আশ্চর্য পাখিটা সম্পর্কে বিক্ষিপ্তভাবে নানান তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তবে শুরুতে বিজ্ঞানীরা একে একটা গুজব বলেই ধরে নেন। একটি পাখি মানুষকে মধুর কাছে নিয়ে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল? বহু পরে কেনিয়ার ইকোলজিস্ট ড. হোসেইন আইজাক এবং জার্মান প্রাণিবিদ হেইঞ্জ উলরিখ রেয়ার পাখিটির ব্যাপারে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন, সেটা ১৯৮৯ সালে। এভাবেই হানিগাইডদের কিংবদন্তি সত্যি বলে প্রমাণিত হলো।
তবে হানিগাইড পাখিদের এই বিরল গুণ দুই-একবার যে মানুষকে ঝামেলায় ফেলেনি তা-ও নয়। তবে একজন বন্যপ্রাণিপ্রেমী হিসেবে একে শাপে বর বলেই মনে হয়েছে আমার। বিখ্যাত স্কটিশ শিকারি ডব্লিউ. ডি এম বেল বা করামজো বেলের বইয়ে এমন একটি ঘটনার বিবরণ আছে। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনা, আফ্রিকার কোনো একটি জায়গায় হাতি শিকারে বেরিয়েছেন। ওই সময় মৌমাছিদের বাসাগুলো ছিল মধু ও শূককীটে পরিপূর্ণ। এদিকে অরণ্যটায় হাতি ছিল প্রচুর। চাষবাসের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা আগুন দিয়ে কেবলই জঙ্গল পুড়িয়েছিল, তাই কালো মাটিতে হাতির পায়ের ছাপ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়, হানিগাইডরাও খাবার জোগাড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল তখন। লেখক কিংবা তাঁর শিকারসঙ্গীদের দেখলেই মধুর কাছে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করত। ব্যাস, এই চেঁচামেচিতে হাতিরাও শিকারিদের উপস্থিতি টের পেয়ে যেত। অবশ্য পরে স্থানীয় এক ওঝা আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হানিবার্ডদের ফাঁকি দেন বেল।
আফ্রিকান মধু সংগ্রাহকারীরা এই পাখিদের সঙ্গে যোগাযোগের চমৎকার এক পদ্ধতি বের করে নিয়েছেন। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ক্ল্যায়ার স্পটিসউড আবিষ্কার করেন, মোজাম্বিকের ইয়াও গোত্রের মধু সংগ্রহকারীরা মধু-গাইড পাখিদের ডেকে আনতে প্রথমে চড়া, কাঁপা একটা আওয়াজ করে। তারপর করে অদ্ভুত একধরনের ঘোঁতঘোঁত শব্দ। এই ডাক শুনে পাখিরা বুঝে যায় ওরা অনুসরণের জন্য প্রস্তুত। তবে আফ্রিকার অন্যান্য গোত্রের লোকেরা নিশ্চয় এই সংকেত ব্যবহার করে না, তাঁদের অন্য তরিকা থাকার কথা।
হানিগাইডদের প্রিয় খাবার মৌচাকের মোম হলেও কখনো মাকড়সা, গাছে থাকা কীটপতঙ্গ কিংবা ফলমূলও খায়। তা ছাড়া খাবারের ব্যাপারে অনেকটাই মানুষের সাহায্যনির্ভর এরা। ড. আইজাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, মৌচাক থেকে এরা যে খাবার পায়, এর শতকরা ৯৬ ভাগই মানুষের সাহায্য ছাড়া জোগাড় করা অসম্ভব। এদিকে আফ্রিকার লোকেরা এখন জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের চেয়ে গাঁয়ে মৌমাছি পালনে বেশি উৎসাহী। বাধ্য হয়েই বেচারা হানিগাইডদের পূর্বপুরুষদের দেখিয়ে যাওয়া গাইডের কাজ ছেড়ে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ম্যান ইটারস অ্যান্ড মরোডারস–জন টেইলর, দ্য ওয়ান্ডারিংস অফ এন অ্যালিফেন্ট হান্টার
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৫ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৬ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৩ দিন আগে
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
৫ দিন আগে