ইশতিয়াক হাসান

হানিগাইড বার্ড নামে যে একধরনের পাখি আছে, এটা প্রথম জানতে পারি বিখ্যাত আইরিশ লেখক ও শিকারি জন টেইলরের বই পড়ে। এই মানুষটি ১৯২৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ পূর্ব আফ্রিকায় (বর্তমান মোজাম্বিক) শিকার করেন। সেই সূত্রেই পাখিটি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করি। তাতেই পরিষ্কার হয় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা সবচেয়ে বিচিত্র পাখিদের একটি এই হানিগাইড। বেশ কয়েক জাতের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
এবার এই পাখিদের, মানে হানিগাইড বার্ডের এমন নামকরণের কারণটা বরং জেনে নিই। নাম দেখে যা বুজেছেন তা-ই, এরা মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়। দুর্গমের কোনো ছোটখাটো বসতি বা জঙ্গলের মধ্যে কারও পাতা ক্যাম্পের ধারে এসে ডাকতে শুরু করে এসব পাখি। তারপর এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যায়, উদ্দেশ্য মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ। আফ্রিকানরা এই পাখিদের সঙ্গে বেশ পরিচিত, অনেক সময়ই এদের পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। তবে হানিগাইডরা দমবার পাত্র নয়, একটু অপেক্ষা করে আবার শুরু করে উত্তেজিত ডাকাডাকি, ওড়াউড়ি।
এখন কেউ যদি মধুর খোঁজে পাখিটিকে অনুসরণ করতে ইচ্ছুক হন, সমস্ত জোগাড়যন্ত্র শেষ করে শিস দিয়ে সংকেত দেন একে। ব্যাস, হানিগাইড কাজ শুরু করে। অর্থাৎ, অনুসরণকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে মৌচাকের কাছে। গন্তব্যে পৌঁছার পরও ডাল থেকে ডালে উড়ে উত্তেজিত স্বরে ডাকতেই থাকে। তবে মানবসঙ্গী কাজ শুরু করলে ডাকাডাকি থামিয়ে কাছের একটা গাছে গিয়ে চুপচাপ বসে পড়ে। পাছে আবার মৌ সংগ্রহকারী বিরক্ত হন! চাকে কোনো ঝামেলা থাকলে লোকটা শিস দেবেন। তখন পাখিটা আবার উড়তে উড়তে নতুন এক মৌচাকের কাছে নিয়ে যাবে। ছোট্ট এই পাখিরা কিন্তু মধুর জন্য এত কিছু করে না। বরং তাদের চাওয়া কেবল মধু সংগ্রহের পর মৌমাছির বাসার মোম আর কিছু শূককীট।
মৌচাক খুঁজে বের করতে এই পাখিরা যে সিদ্ধহস্ত, এটা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। আশ্চর্য ব্যাপার, এমনই এক মধুপাখিকে অনুসরণ করে দুই কিশোর বন্ধুসহ কাকতালীয়ভাবে ভয়ানক সুন্দর এক কালো কেশরের মানুষখেকো সিংহের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন জন টেইলর। অনেক দিন খুঁজেও যেটার হদিস পাচ্ছিলেন না। তবে টেইলর পাখিটির মনও খারাপ করেননি, সিংহটিকে মারার পর মধু গাইডকে ডেকে আনার ব্যবস্থা করেন। তারপর মধুও সংগ্রহ করেন দুই সঙ্গীর মাধ্যমে।
তো টেইলরের বইয়ে এই পাখিদের কথা জানতে পেরে একটু পড়াশোনার চেষ্টা করলাম এদের নিয়ে। এতে চমকটা আরও বাড়ল। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও এই নামটি ওরা পেয়েছে আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার বা ব্ল্যাক থ্রোটেড হানিগাইডদের মধুর খোঁজ দেওয়ার আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই। অবশ্য আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাওয়া যাওয়া আরেকটি প্রজাতি স্কেলি থ্রোটেড হানি গাইডেরও গুণটা আছে বলে দাবি করেন অনেকেই।
হানিগাইড নাম পাওয়া বাকি প্রজাতিগুলো কিন্তু পথ দেখিয়ে মোটেই মধুর কাছে নিয়ে যায় না। এদের বেশির ভাগেরও বসতি আফ্রিকায়। এশিয়ায় যে দুই প্রজাতি আছে, তার একটির বিচরণ মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে, অপরটির হিমালয় অঞ্চলে।
গ্রেটার হানিগাইডদের দেখা পাবেন মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোতে। আকারে একেবারেই ছোটখাটো, দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটারের মতো, ওজন ৫০ গ্রাম। পুরুষদের রং গাঢ় ধূসর-বাদামি, গলা কালো, কাঁধে হলদে দাগ, ঠোঁট গোলাপি। মেয়ে পাখিদের ঠোঁট কালচে।
হানিগাইড বার্ডদের এক হিসেবে অন্য বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিপরীত উদাহরণ বলা চলে। এমনিতে মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখিকে পোষ মানায় শিকারের জন্য বা অন্য কোনো কাজে, এখানে উল্টো এরাই মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয় তাদের অনুসরণ করতে।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পাখিগুলোর এই আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য প্রথম লিপিবদ্ধ করেন মোজাম্বিকে ধর্ম প্রচার করা পর্তুগিজ মিশনারি জোয়াও সান্তোস। সেটা ১৫৮৮ সালের ঘটনা। সান্তোস প্রায়ই লক্ষ করতেন সোফালায় তাঁর গির্জার দেয়ালের ফাটলের মধ্য দিয়ে ছোট্ট এক পাখি ওড়াউড়ি করে, আর সুযোগ পেলেই গির্জায় রাখা মোমে ঠোকর দেয়। পরে জোয়াও সান্তোস আবিষ্কার করেন, এই পাখি গাছে গছে ওড়াউড়ি করে মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়।
পরের শতকগুলোতেও এই আশ্চর্য পাখিটা সম্পর্কে বিক্ষিপ্তভাবে নানান তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তবে শুরুতে বিজ্ঞানীরা একে একটা গুজব বলেই ধরে নেন। একটি পাখি মানুষকে মধুর কাছে নিয়ে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল? বহু পরে কেনিয়ার ইকোলজিস্ট ড. হোসেইন আইজাক এবং জার্মান প্রাণিবিদ হেইঞ্জ উলরিখ রেয়ার পাখিটির ব্যাপারে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন, সেটা ১৯৮৯ সালে। এভাবেই হানিগাইডদের কিংবদন্তি সত্যি বলে প্রমাণিত হলো।
তবে হানিগাইড পাখিদের এই বিরল গুণ দুই-একবার যে মানুষকে ঝামেলায় ফেলেনি তা-ও নয়। তবে একজন বন্যপ্রাণিপ্রেমী হিসেবে একে শাপে বর বলেই মনে হয়েছে আমার। বিখ্যাত স্কটিশ শিকারি ডব্লিউ. ডি এম বেল বা করামজো বেলের বইয়ে এমন একটি ঘটনার বিবরণ আছে। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনা, আফ্রিকার কোনো একটি জায়গায় হাতি শিকারে বেরিয়েছেন। ওই সময় মৌমাছিদের বাসাগুলো ছিল মধু ও শূককীটে পরিপূর্ণ। এদিকে অরণ্যটায় হাতি ছিল প্রচুর। চাষবাসের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা আগুন দিয়ে কেবলই জঙ্গল পুড়িয়েছিল, তাই কালো মাটিতে হাতির পায়ের ছাপ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়, হানিগাইডরাও খাবার জোগাড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল তখন। লেখক কিংবা তাঁর শিকারসঙ্গীদের দেখলেই মধুর কাছে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করত। ব্যাস, এই চেঁচামেচিতে হাতিরাও শিকারিদের উপস্থিতি টের পেয়ে যেত। অবশ্য পরে স্থানীয় এক ওঝা আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হানিবার্ডদের ফাঁকি দেন বেল।
আফ্রিকান মধু সংগ্রাহকারীরা এই পাখিদের সঙ্গে যোগাযোগের চমৎকার এক পদ্ধতি বের করে নিয়েছেন। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ক্ল্যায়ার স্পটিসউড আবিষ্কার করেন, মোজাম্বিকের ইয়াও গোত্রের মধু সংগ্রহকারীরা মধু-গাইড পাখিদের ডেকে আনতে প্রথমে চড়া, কাঁপা একটা আওয়াজ করে। তারপর করে অদ্ভুত একধরনের ঘোঁতঘোঁত শব্দ। এই ডাক শুনে পাখিরা বুঝে যায় ওরা অনুসরণের জন্য প্রস্তুত। তবে আফ্রিকার অন্যান্য গোত্রের লোকেরা নিশ্চয় এই সংকেত ব্যবহার করে না, তাঁদের অন্য তরিকা থাকার কথা।
হানিগাইডদের প্রিয় খাবার মৌচাকের মোম হলেও কখনো মাকড়সা, গাছে থাকা কীটপতঙ্গ কিংবা ফলমূলও খায়। তা ছাড়া খাবারের ব্যাপারে অনেকটাই মানুষের সাহায্যনির্ভর এরা। ড. আইজাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, মৌচাক থেকে এরা যে খাবার পায়, এর শতকরা ৯৬ ভাগই মানুষের সাহায্য ছাড়া জোগাড় করা অসম্ভব। এদিকে আফ্রিকার লোকেরা এখন জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের চেয়ে গাঁয়ে মৌমাছি পালনে বেশি উৎসাহী। বাধ্য হয়েই বেচারা হানিগাইডদের পূর্বপুরুষদের দেখিয়ে যাওয়া গাইডের কাজ ছেড়ে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ম্যান ইটারস অ্যান্ড মরোডারস–জন টেইলর, দ্য ওয়ান্ডারিংস অফ এন অ্যালিফেন্ট হান্টার

হানিগাইড বার্ড নামে যে একধরনের পাখি আছে, এটা প্রথম জানতে পারি বিখ্যাত আইরিশ লেখক ও শিকারি জন টেইলরের বই পড়ে। এই মানুষটি ১৯২৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজ পূর্ব আফ্রিকায় (বর্তমান মোজাম্বিক) শিকার করেন। সেই সূত্রেই পাখিটি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করি। তাতেই পরিষ্কার হয় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা সবচেয়ে বিচিত্র পাখিদের একটি এই হানিগাইড। বেশ কয়েক জাতের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
এবার এই পাখিদের, মানে হানিগাইড বার্ডের এমন নামকরণের কারণটা বরং জেনে নিই। নাম দেখে যা বুজেছেন তা-ই, এরা মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়। দুর্গমের কোনো ছোটখাটো বসতি বা জঙ্গলের মধ্যে কারও পাতা ক্যাম্পের ধারে এসে ডাকতে শুরু করে এসব পাখি। তারপর এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে যায়, উদ্দেশ্য মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ। আফ্রিকানরা এই পাখিদের সঙ্গে বেশ পরিচিত, অনেক সময়ই এদের পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান তাঁরা। তবে হানিগাইডরা দমবার পাত্র নয়, একটু অপেক্ষা করে আবার শুরু করে উত্তেজিত ডাকাডাকি, ওড়াউড়ি।
এখন কেউ যদি মধুর খোঁজে পাখিটিকে অনুসরণ করতে ইচ্ছুক হন, সমস্ত জোগাড়যন্ত্র শেষ করে শিস দিয়ে সংকেত দেন একে। ব্যাস, হানিগাইড কাজ শুরু করে। অর্থাৎ, অনুসরণকারীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে মৌচাকের কাছে। গন্তব্যে পৌঁছার পরও ডাল থেকে ডালে উড়ে উত্তেজিত স্বরে ডাকতেই থাকে। তবে মানবসঙ্গী কাজ শুরু করলে ডাকাডাকি থামিয়ে কাছের একটা গাছে গিয়ে চুপচাপ বসে পড়ে। পাছে আবার মৌ সংগ্রহকারী বিরক্ত হন! চাকে কোনো ঝামেলা থাকলে লোকটা শিস দেবেন। তখন পাখিটা আবার উড়তে উড়তে নতুন এক মৌচাকের কাছে নিয়ে যাবে। ছোট্ট এই পাখিরা কিন্তু মধুর জন্য এত কিছু করে না। বরং তাদের চাওয়া কেবল মধু সংগ্রহের পর মৌমাছির বাসার মোম আর কিছু শূককীট।
মৌচাক খুঁজে বের করতে এই পাখিরা যে সিদ্ধহস্ত, এটা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। আশ্চর্য ব্যাপার, এমনই এক মধুপাখিকে অনুসরণ করে দুই কিশোর বন্ধুসহ কাকতালীয়ভাবে ভয়ানক সুন্দর এক কালো কেশরের মানুষখেকো সিংহের মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন জন টেইলর। অনেক দিন খুঁজেও যেটার হদিস পাচ্ছিলেন না। তবে টেইলর পাখিটির মনও খারাপ করেননি, সিংহটিকে মারার পর মধু গাইডকে ডেকে আনার ব্যবস্থা করেন। তারপর মধুও সংগ্রহ করেন দুই সঙ্গীর মাধ্যমে।
তো টেইলরের বইয়ে এই পাখিদের কথা জানতে পেরে একটু পড়াশোনার চেষ্টা করলাম এদের নিয়ে। এতে চমকটা আরও বাড়ল। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও এই নামটি ওরা পেয়েছে আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার বা ব্ল্যাক থ্রোটেড হানিগাইডদের মধুর খোঁজ দেওয়ার আশ্চর্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই। অবশ্য আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পাওয়া যাওয়া আরেকটি প্রজাতি স্কেলি থ্রোটেড হানি গাইডেরও গুণটা আছে বলে দাবি করেন অনেকেই।
হানিগাইড নাম পাওয়া বাকি প্রজাতিগুলো কিন্তু পথ দেখিয়ে মোটেই মধুর কাছে নিয়ে যায় না। এদের বেশির ভাগেরও বসতি আফ্রিকায়। এশিয়ায় যে দুই প্রজাতি আছে, তার একটির বিচরণ মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে, অপরটির হিমালয় অঞ্চলে।
গ্রেটার হানিগাইডদের দেখা পাবেন মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোতে। আকারে একেবারেই ছোটখাটো, দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটারের মতো, ওজন ৫০ গ্রাম। পুরুষদের রং গাঢ় ধূসর-বাদামি, গলা কালো, কাঁধে হলদে দাগ, ঠোঁট গোলাপি। মেয়ে পাখিদের ঠোঁট কালচে।
হানিগাইড বার্ডদের এক হিসেবে অন্য বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিপরীত উদাহরণ বলা চলে। এমনিতে মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখিকে পোষ মানায় শিকারের জন্য বা অন্য কোনো কাজে, এখানে উল্টো এরাই মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয় তাদের অনুসরণ করতে।
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পাখিগুলোর এই আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য প্রথম লিপিবদ্ধ করেন মোজাম্বিকে ধর্ম প্রচার করা পর্তুগিজ মিশনারি জোয়াও সান্তোস। সেটা ১৫৮৮ সালের ঘটনা। সান্তোস প্রায়ই লক্ষ করতেন সোফালায় তাঁর গির্জার দেয়ালের ফাটলের মধ্য দিয়ে ছোট্ট এক পাখি ওড়াউড়ি করে, আর সুযোগ পেলেই গির্জায় রাখা মোমে ঠোকর দেয়। পরে জোয়াও সান্তোস আবিষ্কার করেন, এই পাখি গাছে গছে ওড়াউড়ি করে মানুষকে মধুর খোঁজ দেয়।
পরের শতকগুলোতেও এই আশ্চর্য পাখিটা সম্পর্কে বিক্ষিপ্তভাবে নানান তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তবে শুরুতে বিজ্ঞানীরা একে একটা গুজব বলেই ধরে নেন। একটি পাখি মানুষকে মধুর কাছে নিয়ে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল? বহু পরে কেনিয়ার ইকোলজিস্ট ড. হোসেইন আইজাক এবং জার্মান প্রাণিবিদ হেইঞ্জ উলরিখ রেয়ার পাখিটির ব্যাপারে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন, সেটা ১৯৮৯ সালে। এভাবেই হানিগাইডদের কিংবদন্তি সত্যি বলে প্রমাণিত হলো।
তবে হানিগাইড পাখিদের এই বিরল গুণ দুই-একবার যে মানুষকে ঝামেলায় ফেলেনি তা-ও নয়। তবে একজন বন্যপ্রাণিপ্রেমী হিসেবে একে শাপে বর বলেই মনে হয়েছে আমার। বিখ্যাত স্কটিশ শিকারি ডব্লিউ. ডি এম বেল বা করামজো বেলের বইয়ে এমন একটি ঘটনার বিবরণ আছে। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের ঘটনা, আফ্রিকার কোনো একটি জায়গায় হাতি শিকারে বেরিয়েছেন। ওই সময় মৌমাছিদের বাসাগুলো ছিল মধু ও শূককীটে পরিপূর্ণ। এদিকে অরণ্যটায় হাতি ছিল প্রচুর। চাষবাসের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা আগুন দিয়ে কেবলই জঙ্গল পুড়িয়েছিল, তাই কালো মাটিতে হাতির পায়ের ছাপ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা বাধল অন্য জায়গায়, হানিগাইডরাও খাবার জোগাড়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিল তখন। লেখক কিংবা তাঁর শিকারসঙ্গীদের দেখলেই মধুর কাছে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাকাডাকি শুরু করত। ব্যাস, এই চেঁচামেচিতে হাতিরাও শিকারিদের উপস্থিতি টের পেয়ে যেত। অবশ্য পরে স্থানীয় এক ওঝা আর এলাকাবাসীর সহায়তায় হানিবার্ডদের ফাঁকি দেন বেল।
আফ্রিকান মধু সংগ্রাহকারীরা এই পাখিদের সঙ্গে যোগাযোগের চমৎকার এক পদ্ধতি বের করে নিয়েছেন। ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ক্ল্যায়ার স্পটিসউড আবিষ্কার করেন, মোজাম্বিকের ইয়াও গোত্রের মধু সংগ্রহকারীরা মধু-গাইড পাখিদের ডেকে আনতে প্রথমে চড়া, কাঁপা একটা আওয়াজ করে। তারপর করে অদ্ভুত একধরনের ঘোঁতঘোঁত শব্দ। এই ডাক শুনে পাখিরা বুঝে যায় ওরা অনুসরণের জন্য প্রস্তুত। তবে আফ্রিকার অন্যান্য গোত্রের লোকেরা নিশ্চয় এই সংকেত ব্যবহার করে না, তাঁদের অন্য তরিকা থাকার কথা।
হানিগাইডদের প্রিয় খাবার মৌচাকের মোম হলেও কখনো মাকড়সা, গাছে থাকা কীটপতঙ্গ কিংবা ফলমূলও খায়। তা ছাড়া খাবারের ব্যাপারে অনেকটাই মানুষের সাহায্যনির্ভর এরা। ড. আইজাকের গবেষণায় উঠে এসেছে, মৌচাক থেকে এরা যে খাবার পায়, এর শতকরা ৯৬ ভাগই মানুষের সাহায্য ছাড়া জোগাড় করা অসম্ভব। এদিকে আফ্রিকার লোকেরা এখন জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের চেয়ে গাঁয়ে মৌমাছি পালনে বেশি উৎসাহী। বাধ্য হয়েই বেচারা হানিগাইডদের পূর্বপুরুষদের দেখিয়ে যাওয়া গাইডের কাজ ছেড়ে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।
সূত্র: অ্যামিউজিং প্ল্যানেট, ম্যান ইটারস অ্যান্ড মরোডারস–জন টেইলর, দ্য ওয়ান্ডারিংস অফ এন অ্যালিফেন্ট হান্টার

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করা হানিগাইড বার্ডরা কোথায় গেলে মধুর খোঁজ পাওয়া যাবে তা ভালো করেই জানে। মানুষকে পথ দেখিয়ে সেই মধুর কাছে নিয়ে যায় এসব পাখি। মোটামুটি ১৭ ধরনের পাখি এই নামে পরিচিত হলেও মধুর খোঁজ দেয় মূলত আফ্রিকান প্রজাতি গ্রেটার হানিগাইডরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
১ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে