
ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
১ দিন আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৫ দিন আগে