
ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

ভালো-মন্দ, উদার-স্বার্থপর, সঠিক-ভুল—এভাবে মানুষকে লেবেল সেঁটে দেওয়ার কাজটা সহজ। কারও আচরণ বিচারে মানুষ সিদ্ধহস্ত। কিন্তু বিজ্ঞানী ফ্রিটজ হ্যাবারের ব্যাপারটা অত সাদা-কালো নয়। ফ্রিটজ হ্যাবার এই দুই প্রান্তের সমসাময়িক হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন—তিনি উদার, নিঃস্বার্থ, একই সঙ্গে তাঁর একটা ভয়ংকর অন্ধকার দিকও আছে। বহু মানুষকে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছেন, আবার তিনিই রাসায়নিক অস্ত্রের কারিগর, যে অস্ত্র মৃতের স্তূপ তৈরি করেছিল।
ফ্রিটজ হ্যাবারকে বলা হয় রসায়নের দেবদূত। তিনি একজন জার্মান রসায়নবিদ। ১৮৬৮ সালে প্রুশিয়ার ব্রেসলাউতের একটি অভিজাত ইহুদি পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৮৮৬ সালে বিখ্যাত রসায়নবিদ রবার্ট বুনসেন এবং কার্ল লিবারম্যানের নির্দেশনায় রসায়নে গবেষণা শুরু করেন। ১৮৯১ সালে ফ্রেডরিক উইলহেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন। ১৮৯৪ সালে কার্লসরুহে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
১৮৯৪ এবং ১৯১১ সালের মধ্যে রসায়নবিদ কার্ল বোশের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ফ্রিটজ হ্যাবার। হ্যাবার-বশ নামে যে বিখ্যাত প্রক্রিয়া সেটির বিকাশ করেছিলেন এই দুজনে। এটি একটি বৈপ্লবিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেন থেকে সরাসরি অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণ করা যায়। অ্যামোনিয়ার প্রধান উপযোগিতা পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উৎপাদনে। এগুলো ব্যবহৃত হয় মূলত সার হিসেবে। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া বিকাশের আগে, অ্যামোনিয়া তৈরির সহজ বা সস্তা কোনো উপায় কারও জানা ছিল না।
হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন।
এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য ফ্রিটজ হ্যাবার ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পান। হ্যাবার-বশ প্রক্রিয়া এখনো অ্যামোনিয়া তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের অর্ধেক খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত সারের পেছনে রয়েছে এই অপরিহার্য পদ্ধতি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, হ্যাবারের উদ্ভাবনের জন্যই পৃথিবীর পাঁচজনের দুজন খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে।
হ্যাবারের কাজকর্ম কিন্তু দ্রুতই কুৎসিত মোড় নিয়েছে। এই জার্মান রসায়নবিদের গল্প এত ভালো উদ্ভাবনের মধ্যেই শেষ হলে মানুষ তাঁকে নায়ক হিসেবে মনে রাখত। কিন্তু তাঁর জীবনের গতিপথ একটি অন্ধকার মোড় নেয়, যা ফ্রিটজ হ্যাবারকে ‘রাসায়নিক যুদ্ধের জনক’ অভিধা এনে দেয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফ্রিটজ হ্যাবার জার্মান সমর মন্ত্রণালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। এর আগেই অবশ্য হ্যাবার ধর্ম পরিবর্তন করেন। ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে লুথারানিজম গ্রহণ করেন।
লুথারানিজম হলো প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানের অন্যতম বৃহৎ একটি শাখা। ষোলো শতকের জার্মান ধর্মগুরু ও সংস্কারক মার্টিন লুথার কিং এই মতবাদের প্রবক্তা। তিনি ক্যাথলিক চার্চের ধর্মতত্ত্ব ও ধর্মচর্চার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেন, পরবর্তীতে যা প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার আন্দোলন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
অবশ্য ফ্রিটজ হ্যাবারের ধর্মান্তরের কারণ খুব একটা স্পষ্ট নয়। ওই সময় জার্মানিতে ইহুদি-বিরোধিতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। অনেকে ধারণা করেন, ফ্রিটজ হ্যাবার হয়তো আরও ভালো একাডেমিক অবস্থান পাওয়ার আশায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
তবে এই রসায়নবিদ খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি ক্লোরিন গ্যাসের উন্নয়নে কাজ করা দলের নেতৃত্ব দেন। এই গ্যাস অন্যান্য প্রাণঘাতী গ্যাসের সঙ্গে ট্রেঞ্চ ফাইটিংয়ে ব্যবহার করা হতো।
বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে হ্যাবার বুঝতে পারেন, কম ঘনত্বের বিষাক্ত গ্যাসের মধ্যে দীর্ঘ সময় কেউ অবস্থান করলে তার ওপর ধীরে ধীরে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। অর্থাৎ এটিকে স্লো পয়জনিং বলা যেতে পারে।
এই সূত্রটি ‘হ্যাবারের নিয়ম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। যুদ্ধে গ্যাসের ব্যবহার তাতে উৎসাহিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর হ্যাবার জার্মানির জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়নে গোপনে কাজ চালিয়ে যান।
কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বও গ্রহণ করেন হ্যাবার। ১৯৩১ সালের মধ্যে জার্মান জাতীয়তাবাদের বাড়বাড়ন্ত চলতে থাকে। ইহুদি একাডেমিক, বিজ্ঞানী, গবেষকেরা ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন। কাইজার উইলহেম ইনস্টিটিউটকে সব ইহুদিকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। হ্যাবার এতে ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাঁর ইহুদি সহকর্মীদের বরখাস্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন যতক্ষণ না তাঁরা অন্য কোনো চাকরি খুঁজে পান।
১৯৩৩ সালের ৩০ এপ্রিল ফ্রিটজ হ্যাবার ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি একই বছর ব্রিটিশ রসায়নবিদদের সহায়তায় বার্লিন ত্যাগ করেন।
এরই মধ্যে হ্যাবারের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। ১৯৩৪ সালে পঁয়ষট্টি বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। ফ্রিটজ হ্যাবারের মৃত্যুর পরে জার্মানির নাৎসি বাহিনী তাঁর উদ্ভাবিত রাসায়নিক পদ্ধতির ভয়ংকর ব্যবহার করেছে। তাঁর গবেষণার ফল কাজে লাগিয়ে হিটলারের গবেষকেরা জাইক্লোন বি গ্যাস উদ্ভাবন করে। এই বিষাক্ত গ্যাস দিয়েই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে হ্যাবারেরই বন্ধু ও পরিচিতসহ লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়।
সবশেষে বলা যায়, ফ্রিটজ হ্যাবার সেই প্রতিভা যিনি বিশ্বের ক্ষুধা মেটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আবার বলা যেতে পারে, তিনি এমন এক দুষ্টু বিজ্ঞানী যিনি বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। এর দায় কি তিনি এড়াতে পারেন। বেঁচে থাকলে তিনি কি তাঁর উদ্ভাবন দিয়ে লাখ লাখ মানুষ হত্যার ঘটনা দেখে দুঃখ পেতেন, যেমনটি আইনস্টাইন হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনার পর নিজের উদ্ভাবনের জন্য খেদ প্রকাশ করেছিলেন।

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

হ্যাবার এবং বশ যৌথভাবে বিকশিত প্রক্রিয়ার কল্যাণেই শিল্প পর্যায়ে সার তৈরি সম্ভব হয়েছে। পটাশিয়াম এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে ফসল উৎপাদন রাতারাতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান সম্ভব করেছে এই উদ্ভাবন...
২২ আগস্ট ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে